শহরের আগুন আজ আর
কিছুতেই দেবালয় ছোঁয় না।
মানুষকে যতোটা সে বাসে ভালো
দেবতাকে ঠিক ততোটা না।
দেবতার শাদা কিংবা নীল
রক্ত – দাহ্য ততোটা
নয়, যতোটুকু কামলার বা
শ্রমিকের, খেটে খাওয়া মানুষের,
নগন্য সাধারণ লাল
রক্ত হয়। অনায়াস বহ্নুতসবে
যারে সহজে পোড়ানো যায়।
স্বস্তা আবেগে কথার
খই ফোটায় যারা, সেই সব
বোকা সাধারণ কেরানী ও
কর্মী, প্রেমিক ও কবি ;
মানুষের ভালোবাসা নিয়ে যার
আবেগাপ্লুত হবার মতো
নিছক বোকামী সহজাত।
জরা ও অভাব, অনাহুত
প্রাণঘাত, শংকা, সংশয়,
অনিশ্চিত যাপনের ভয়,
নগর ও নাগরিকদেরে
ভালোবাসে যতো অবারিত, নয়
তার কিছুটাও ভাগাভাগি করে
তুলে রাখা দেবতা ও দেবালয় তরে।
আগুনে নাড়ী সেঁকে জন্ম
যার। ছাই ভষ্মে মিশে যেতে
সানন্দ জীবনপাত বাঁধা তার।
সেই সাধারণ জীবনের স্বাদ
এতোটুকু বোঝে সাধ্য কী দেবতার !
নগরের আগুন তাই আজ
কিছুতেই দেবালয় ছোঁয় না।
মানুষকে যতোটা সে বাসে ভালো
দেবতাকে তার কিছুটাও না।
০৭ আগস্ট ২০১৫
একটা কথা, এই ব্লগের কবিরা কদাচিৎ কবিরা প্রেম - ভালোবাসার বাইরে অন্যকিছু নিয়ে ভাবে।
তোমার অনেক কবিতায়ই সমাজ ভাবনা, জীবন বোধের ব্যাপার স্যাপার থাকে ( আমি যদি ঠিক মত বুঝে থাকি)
।
এই জন্যেই তোমার কবিতারা আলাদা। এবং সাহসী।
চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
চারপাশের অনেক কিছুই নজর কাড়ে ।
অনাকাংখিত ঘটনারা বিচলিত করে ।
ভাবনার বৃত্তে ওসব কখনো কখনো সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় ।
আর যে কোনো লেখাইতো মনের ভাবনাগুলোর বিম্ব ।
আগুনও অন্ধ নয়, তার আছে ছ্যুত-অছ্যুত বোধ, তাই আজ কপট সময়! ভালো লেগেছে।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
চমৎকার মন্তব্য। কবিতার মত এটাও খুব ভালো লেগেছে।
অপমৃত্যুর অবর্ণনীয় যন্ত্রণার উত্তাপ যখন দেবালয় ছোঁয় না ।
কাটা মুন্ডু হোলি খেলে নগর ও সভ্যতাকে শ্মশান বানিয়ে ।
তখন আর কিছু না হোক যন্ত্রণাগুলোকে উগরে দেবার মতোন কিছু শব্দ নির্মাণ হয়তো কিয়দ লাঘব করে মনস্তাপ ।
আর যদি তা কখনো কাউকে ছুঁয়ে যায়, উস্কে দিয়ে যায় চেতনার ছাই ... (সম্পাদিত)
"নগরের আগুন তাই আজ
কিছুতেই দেবালয় ছোঁয় না।
মানুষকে যতোটা সে বাসে ভালো
দেবতাকে তার কিছুটাও না।" - নগর জীবন ও নাগরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সুগভীর উপলব্ধি থেকে উঠে এসেছে এসব কথা।
দেবতা আর দেবালয় যদি ছুঁতো
অপমৃত্যুরা হয়তো থমকে যেতো