আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!
তোমার দুচোখ ভেবে আচমকা চিনচিন করে উঠবেনা কোনও গোপন প্রেমিকের মন।
কিন্তু আমি দেখেছি তোমার অগোছালো লেপটে থাকা কাজল,
তোমার মণিতে ঠোঁটের হাসির আবছা প্রতিবিম্ব,
চোখের পাতার অদ্ভুত অবনমন – যেন আলতো খুলে আছে স্বরগের দরজা,
কিংবা ডানায় পিঠ ঢেকে বসে আছে আধভেজা বুনোহাঁস।
তোমার চোখের নিচে জমে থাকা গতরাতের কালির রেখায় যাযাবর
কোনও পিচঢালা রাস্তার মত – গন্তব্য স্বপ্নে পাওয়া ইউটোপিয়া।
অবাধ্য লক্ষ্মীছাড়া চুল এসে পড়ে তোমার কপাল বেয়ে,
কোনও ভিনদেশী জলপ্রপাতের মত।
ভুল করে এর সব দেখেছি।
কিছু খুঁজতে যাইনি, পেতেও চাইনি
অথচ
দেখ, বেঘোরে কেমন হারিয়ে গিয়েছি!
তোমার চোখের সরলতায় আমার স্বপ্নে রঙ মেখেছি
মনের ভুলে, দু চোখ তুলে যেদিন তোমার চোখ দেখেছি।
সিসিবিতে কার দেখা পাওয়া গেল অবশেষে? কতদিন পরে এলে, বল!
নিত্যদিন আমরা অসাধারণের সন্ধান করি। অসাধারণ মানুষ, অসাধারণ সুন্দর চোখ, কান, দাঁতের সাইজ; এমনকি অসাধারণ সব ভাবনাচিন্তা অথবা চাহনিও! জৌলুসহীন আটপৌরে সাদামাটা মানুষগুলোকে আমরা দেখতে পাইনা। সীমার মাঝে অসীমের মত সাধারণের মাঝে যে চোখ অসাধারণ কিছু খুঁজে পায় সে যে নিজেই অসাধারণ!
তোমার অডিও ব্লগের দাবী ছাড়িনি এখনো। তুমুল গানবাজনার অপেক্ষায় রইলাম, ভাইয়া!
ঈদের শুভেচ্ছা আর ভালবাসা রইল!
আপু বেশ কিছু কারণে মন বেশ বিষিয়ে ছিলো। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে ''নাহ, জীবন অত খারাপ ও না''।
অসংখ্য ধন্যবাদ। অডিও ব্লগ আসছে। শীঘ্রম!
মন খারাপের বস্তাটিকে ছুঁড়ে ফেলে হাতে গিটার তুলে নাও এবার। তোমার লেখার মতই মুচমুচে একটি অডিও ব্লগের অপেক্ষায় রইলাম।
জীবন সতত মধুর না হলেও মন্দ নয়; ভাইয়া 😀
(সম্পাদিত)
আপনার কথায় ভরসা পাই আপু। তবে মন খারাপের বোধগুলি ঝেড়ে ফেলা গেলেও মুছে ফেলা যায়না। 🙁 🙁
আপনার লিখা আমার ভাল্লাগছে
বাহ, ভাল লাগল।
আশা করি নিয়মিত থাকবে।
ঈদ মোবারক।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। প্রচেষ্টা থাকবে।
আমারও বেশ লেগেছে।
আমার কিন্তু মনে হয় না, বনলতার চোখ আসলেই পাখির বাসার মত ছিল।
এইরকমের সাদামাটা একটা চোখেই কবি হারিয়ে যেতে পেরেছিলেন বলেই তাকে পাখির বাসার মত মনে হয়েছিল তাঁর...
হারিয়ে যাওয়াটা আসলেই বোধহয় ওরকম।
যাতে হারিয়ে যাওয়া যায়, অন্যদের আছে তা সাধারন থাকলেও ঐ হারিয়ে যাওয়া মানুষের কাছে তা হয়ে ওঠে অসাধারন......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂 🙂 🙂 🙂
একটু নিয়মিত লেখা না দিলে কি চলে হক সাহেব!
কবিতাটায় সুর বসাইতে মন চাইতেসে! 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাইয়া "জীবন চাপ দিচ্ছে"..তাই লিখার অবকাশ মেলেনা.....আর বসিয়ে দিন সুর। ধন্য হবো।
খুব সুন্দর হয়েছে তোমার এ কবিতা। দৃষ্টিকাড়া শিরোনাম, অবলীলায় পড়ে যাওয়া যায়, অনুভব করা যায়।
"চোখের পাতার অদ্ভুত অবনমন – যেন আলতো খুলে আছে স্বরগের দরজা" - অসাধারণ অভিব্যক্তি!
ধনুক ভুরুর নীচে নারীর কাজল লেপটানো চোখের আবেদন সব চোখে ধরা পড়েনা। তবে কারো চোখে কবিতা নাচায়।
গদ্য পদ্য, সাহিত্যের উভয়ক্ষেত্রে তুমি দেখছি এক সব্যসাচী! লেখালেখি চালিয়ে যেও অবিরত। শুভকামনা রইলো।
:clap: :clap: :clap:
ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা! বাকরুদ্ধ! 🙂 🙂 🙂 🙂
অসাধারণ লেখা টা পড়ে খুব্ই ভালা লাগলো । এত সুন্দর করে যে চোখের ভাষা পড়া যাই , বোঝা যাই , বলা যায়।