যে প্রেম-প্রতিজ্ঞা ছিলো সেদিন প্রাতে-
অবহেলার আঁচড়ে রক্তাক্ত হলো ভর দুপুরে।
সূর্যের নিষ্ঠুরতায়-
অনুভূতি পুড়িয়ে-
অপেক্ষার আশ্রয়ে-
আশ্রয়ের অপেক্ষায়-
মাথা রাখলাম এক বিকেলের কাঁধে।
কিন্তু, সে ভার সে সইবে কেন?
হাত বাড়িয়ে অধিকারটুকু চাইতেই-
মুখ ফিরিয়ে চলে গেলো সে।
ধূলায় লুটানো মুখ আকাশপানে তুলতেই
সন্ধ্যাতারা ডাকল হাতছানিতে।
স্নিগ্ধতার আকর্ষণে-
স্বপ্নের আমন্ত্রণে-
বন্ধনের মায়াজালে-
মায়াজালের বন্ধনে-
আমার সবটুকু সঁপে দিলাম তার পায়ে-
শাঁখের ধ্বনির মতই মিলিয়ে গেলো সে।
শূন্য, রিক্ত আমি পূজার ঘরে একা বসে।
রাত বাড়লে বারান্দা পেড়িয়ে
আঙিনায় এসে দাঁড়ালাম।
সেখানে শকুনিদের মাতম চলছে।
মাছিরা এসে ভির করছে
বাসি হয়ে যাওয়া প্রসাদের লোভে।
মৃত্যুর গন্ধে বুঁদ হয়ে
একটা খোঁড়া কুকুর ঝিমাচ্ছে এক কোণায়।
কিন্তু আমার মাঝে তখন-
জীবনের ক্ষুধা-
স্পর্শের ক্ষুধা-
প্রেমের আলিঙ্গনে-
আলিঙ্গনের প্রেমে-
আমার আঙিনা ডিঙিয়ে দুয়ার পেড়োতেই-
দেখা মিলল এক নতুন ‘আমি’র।
যতদিন ছিলাম তোমার হয়ে,
বলতে তুমি, ‘প্রেয়সী আমার’!
আজ যখন আমি আমার হলাম,
খেতাব জুটল ‘বারাঙ্গনা’র।
তবুও, আমি ঋণী তোমার কাছে-
হারাবার আজ কিছুই নেই বাকি।
অভিসারিণী রাতের মাঝে যে আঁধারটুকু-
সে তো মিথ্যে নয়!-
আলোর আশ্বাসে সে পথ ভুলায় না কারো।
ঠাঁই মেলে, জেনো, সবার সেথায়।
কলঙ্কিনীর আবার জাত কি, বলো!
১) "আজ যখন আমি আমার হলাম,
খেতাব জুটল ‘বারাঙ্গনা’র।"
যারা খেয়াল খুশি মত জনে জনে এইসব খেতাব দিয়ে বেড়ায়, তাদের কি খেয়েদেয়ে আর কোনো কাজ নাই - অন্যের পিছনে লেগে বেড়ানো ছাড়া?
খুবই বিরক্তির সাথে বললাম কথাটা। কারন তারা কে যে কতটা সাধু, জানা আছে, চেনা আছে, হাড়ে হাড়ে।
প্রতিটা মানুষেরই অধিকার আছে অন্যকে ডিস্টার্ব না করে নিজের মত জীবন যাপনের।
যে তা করছে, করতে চাইছে - "লীভ হিম/হার এলোন"!!!
এই কথাটা বুঝতেও কি রকেট সায়েন্টিস্ট হৈতে হবে নাকি?
২) "অভিসারিণী রাতের মাঝে যে আঁধারটুকু-
সে তো মিথ্যে নয়!-
আলোর আশ্বাসে সে পথ ভুলায় না কারো।
ঠাঁই মেলে, জেনো, সবার সেথায়।
কলঙ্কিনীর আবার জাত কি, বলো!"
এই অংশটুকুতে সব কিছু পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবার যে প্রত্যয়টা দেখতে পেলাম, সেটা ভাল লেগেছে।
ওয়ার্স্ট কেইস সিনারিও থেকেও ঘুরে দাড়াতেই না পারলাম, তাহলে কিসের এত গরিমা এই মানব-জনম নিয়ে?
🙂 🙂 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ধূলায় লুটানো মুখ আকাশপানে তুলতেই
সন্ধ্যাতারা ডাকল হাতছানিতে - এ হাতছানির ইশারাটা দেখতে পাওয়াটাই কবির কাজ।
ভাল লেগেছে।