~ অনাঘ্রাত ~

দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে বন
কাবাব কিমার মতোন মাংসের শরীর
চারকোল গন্ধ ছড়িয়ে অশরীরী মন
নিকোটিন আর নোনা স্বাদ মাখা
বিভ্রমের আকাশে আটকা পড়া
অনুভূতির ঘুড়ি
স্মৃতির বনভূমি জুড়ে
পরিযায়ী পাখিদের ওড়াওড়ি

বরফে বেঁধেছি অপেক্ষা
গুটিয়ে রেখেছি সূতায়
বাকিটা বলার ইচ্ছা
অঘ্রাণের নির্মেদ আকাশ
মেঘের পাতায় পাতায়
নাহয় লিখুক আজ কিছু
পরিব্রাজ্য ভ্রমণ কিংবা
দ্বিধার সন্যাসে বিভ্রান্ত হবার গল্প
শীতের আগে উদগ্রীব মেগাফোনগুলো
জানুক কিছুটা –

বিস্তারিত»

এক ফোঁটা জল

এক ফোঁটা জল,
সেটাও হতে পারে এক সমুদ্র অতল,
যদি সেটা ঝুলে কোন আঁখির পাতায়
হৃদয় মথিত কোন সূক্ষ্ম ব্যথায়।

কবিতা,স্বপ্ন, গান,ঝর্না বহমান,
নিভৃতে বিরহী হৃদয় রোরুদ্যমান,
সব কিছু মূর্ত হয় এক ফোঁটা জলে,
ইতিহাস ভেসে উঠে কত কথা বলে!

ইনানী সৈকত, কক্সবাজার
০৪ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

পয়েন্ট

এই নিয়েছে ঐ নিল যাহ্‌ ! পয়েন্ট নিয়েছে কেড়ে,
লাগলে ধরব জীবন বাজি, পয়েন্ট দেব না ছেড়ে।
কাজের পিছে ছুটি আমি, ভেঙে পায়ের জয়েন্ট,
লাফিয়ে পড়ে ধরতে হবে মাটিতে পড়া পয়েন্ট।
কাজের মাঝে কাজের চেয়ে হিসেব করি যত,
বছর শেষে কার ঝুলিতে জমল পয়েন্ট কত।
না বাড়লে নিজের পয়েন্ট, মারি জোরে ল্যাং
নিচে থেকে জাপ্টে ধরি ঊর্ধগামীর ঠ্যাং।

বিস্তারিত»

~ কথার ভাঁজে উপহার অপেক্ষমান সেই ছুরি ~

[ অল্প কবিতা অল্প গল্প ~ একটি ‘অকল্প’ ]

অনেক দিন কথা হয় না।
আট দিন এগারো ঘন্টা। একে কি অনেক বলে !
সব খবর ভালো তো ?
যেমন হয় আর কি।
অভিমান নাকি রাগ !
বলেছি !
রাগ তো বিশ্বের সুলভতম বিষয়টি বৈ অন্য কিছু নয়।
সেজন্যেই তো ওসব করা ছেড়েছি।
মন অবশ্য মানুষের সব দিন এক রকম থাকেনা।

বিস্তারিত»

একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে

যতই অনিচ্ছা থাক,
একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে।
চলে যেতেই হবে, অমোঘ নিয়মে,
এক অনন্ত যাত্রাপথে, আদেশভুক্ত যাত্রী হয়ে।

কেউ যেতে চায় না, তবু যেতে হয়।
চিরনিদ্রায় শুয়ে থাকতে সেই রেখাঙ্কিত সারিতে,
যেখানে ঘুমিয়ে থাকবে আরো অজানা অনেকে,
তবে কার পাশে কে ঘুমোবে, তা অজানাই রবে।

সব কিছুই থেকে যাবে। খোলা ধূলিমাখা ল্যাপটপ,
অগোছালো টেবিল,

বিস্তারিত»

প্রত্যুষের ভাবনা ও প্রার্থনা

আমরা সকলেই ঘুরছি।
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সবকিছুই নিজ আবর্তে ঘুরছে।
হে সকল গতির নিয়ন্ত্রক, তোমার আদেশে
এক নিমেষে সব গতিতে যতি নেমে আসে।
প্রতি অনুপলে কোন না কোন গতি থেমে যায়,
আবার প্রতি অনুপলে নতুন কোন গতি সৃষ্টি হয়।
হে মহাবিশ্বের অধিপতি,
নিশ্চয়ই তুমি সকল গতির মহানিয়ন্ত্রক!

তোমার আদেশেই কঠিন বাঁধন
এক নিমেষে ছিন্ন হয়,
আবার যোজন যোজন দূরের বস্তু
এক পলকে আবদ্ধ হয়।

বিস্তারিত»

ভাল থেকো পাখি তুমি

ভাল থেকো পাখি তুমি, ভাল থেকো।
আজীবন সুখে থেকো, আদরে আদরে।
ভালবাসায়, মমতায়,
স্নেহের বাঁধনে থেকো।
চোখের তারায় তারায় দুষ্টুমি নিয়ে থেকো,
টোল পড়া দুটি গালে হাসি নিয়ে থেকো।
যে তোমার দুষ্টুমিকে হাসিমুখে প্রশ্রয় দিবে,
এমন উদার লোকের কাছেই যেন চিরদিন থাকো!

উড়ে যাবার ঠিক আগে আগে,
তোমার কান্নার আওয়াজ এখনো আমার কানে বাজে।
তুমিহীন এ ঘরে ফিরে এসে আমি আর ঘুমোতে পারিনি,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – চার

এইভাবে না বলে একা একা চলে যাওয়া
একদমই ভালো ছিলোনা, নীলা।
যেতেই যদি হয় একবার বিদায় নিয়ে যেতে
বলে যেতে কোথায় যাচ্ছো,
হয়তোবা পথের সাথী হতাম, হয়তো আমরা আর ফিরতাম না।
এখন তুমি যেমন গেছো, নীলা।
হারাতেই যদি হয়, একসাথে হারাতাম
এক পথে, শেষ না হবার মতো এক রাস্তায়।

একা একা অপেক্ষা করতে ভালো লাগে না।

বিস্তারিত»

যা কিছু রচেছি প্রফুল্ল হিয়ায়

প্রভু,
উদরে উনুন জ্বালিয়ে রাখোনি,
মনে রাখোনি কোন জ্বালা,
করোটিতে নেই স্নায়বিক চাপ
শিরোপরি নেই ক্ষুব্ধ প্রতাপ
সাধ বশে তাই
সদা রচে যাই
প্রেমের পংক্তিমালা।

সকল প্রেমের উৎস তুমি,
সব কবিতার একই পটভূমি।
মনোসরোবরে যত ফুল ফোটে
জ্যোৎস্না কিংবা আঁধার রাতে
পদ্যে পদ্যে সেসব কথায়
হৃদয় কমল বিকশিত হয়।
যা কিছু রচেছি প্রফুল্ল হিয়ায়
পেয়েছি সবই তোমার দয়ায়।

বিস্তারিত»

ভয় পাই

ইদানীং আমি ভয় পাই-
যানজটকে, কারণ স্থবির যানে আমার নিঃশাস বন্ধ হয়ে আসে।
ভয় পাই অসময়ে আমার বাড়ীর কাছে রিক্সায় ঘোরা
কোন আগন্তুকের মাইকে উচ্চারিত নির্লিপ্ত ঘোষণাকে,
কারণ অনেক চেনা মুখের চিরপ্রস্থান আমাকে ব্যাথিত করে।

আমি আরো ভয় পাই-
যখন প্রবাসী কোন স্বজনের দেশে ফেরার কথা শুনি,
কারণ, ইদানীং পর পর কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, যখন
পরিচিত প্রবাসীর লাগেজ এসেছে,

বিস্তারিত»

ছবি কেবলই ছবি

কোন কোন ছবি বেশ অবলীলায়
একশ’ একটা গল্প বলে যায়।
তবু, ছবি শুধুই ছবি।
ছবিকে নির্নিমেষ দেখা যায়,
পরখ করা যায়,
স্পর্শ করা যায়,
ছবিকে নিয়ে অনুক্ষণ ভাবাও যায়
তবে ছবির সাথে গল্প করা যায় না!

বিস্তারিত»

পাখির কথা

পাখি তোমার আঁখি কেন করছে ছলোছল?
কোথায় গেল তোমার ঠোটের হাসিটা নির্মল?
তোমার ঘরে তারা এনে দূর আকাশের ঐ,
পাখি তোমার মানিক রতন সঙ্গী গেলো কই?

রূপার বরণ পালক তোমার সোনার বরণ ঠোঁট,
কন্ঠে তোমার যাদুর বাঁশী, চক্ষে মেঘের জোট।
পাখি তোমায় আধার দেবার মানুষ গেল কই?
নিজের আধার, ছানার আধার খুঁজতে কী কষ্টই!

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে- তিন

মাঝরাতে একা হাটতে গিয়ে পুরনো পথে দেখা হলো।
“নীলা তুমি এখানে কেনো, এখন কেনো, একা কেনো?
সারাদিন তোমায় খুঁজি, কোথায় হারিয়ে গেছো?
একা সময় কাটে না, বসেই আছি কখন তোমায় দেখবো।”

নীলার সেই তীক্ষ্ণ চাহনী, যা বুকে তীরের মতো লাগে
হেসে ফেললো, “আমি কি আর সবার মাঝে আছি?
তুমি খোঁজ, একা খোঁজ, তোমার কাছে ধরা দেবার জন্য
এই পথে,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – দুই

সারারাত ঘুম হয়নি নীলা। জেগেই আছি।

ক্লান্ত শরীর, যতবার বিছানায় গা এলিয়ে দেই
চোখ দুটো বারবার খুলে এক ঝটকায় খুলে যায়;
মনে হয় তুমি মাথার পাশে হবসে আছে
নরম হাত বুলাচ্ছো যেন দুদন্ড শান্তিতে ঘুমাতে পারি।

তোমায় পাশে সজাগ বসিয়ে কিভাবে ঘুম আসে?

এমন বিভ্রান্তের মত চোখ বুজে আসা ঘুম ভেঙে চলে,
নীলা তুমি পাশে নেই,

বিস্তারিত»

অনুবাদ কবিতাঃ সন্তানদের নিয়ে

তোমার সন্তানেরা তোমার নয়।
তারা জীবনের সন্তান, জীবনের আকুল আত্ম-আকাঙ্ক্ষা প্রসূত।
ওরা তোমার আত্মজ, কিন্তু তুমি ওদের উৎস নও,
যদিও ওরা তোমার সাথেই থাকে, তবুও ওরা তোমার স্বত্বাধীন নয়।

তুমি ওদের ভালবাসা দিতে পারো, কিন্তু ভাবনা নয়,
কারণ ওদের নিজস্ব ভাবনা রয়েছে।
তুমি ওদের দেহকে গৃহে রাখতে পারো, কিন্তু আত্মাকে নয়,
ভাবীতে ওদের আত্মার বসত,
যা তোমার অধিগম্য নয়,

বিস্তারিত»