~ ‘প্লেটো থেকে পাওলি দাম’ পড়তে পড়তে কবিকে প্রণাম ~

[ গ্রন্থপাঠ প্রতিক্রিয়া বা গ্রন্থ সমালোচনা ]

নেশাগ্রস্ত হতে হয়, বুঁদ হতে হয়। পাঠের অলিগলি ঘুরে যেনো শব্দে শব্দে উন্মোচিত হয় এক চুম্বকাকর্ষী কামার্ত শরীর। না প্রেম নয় নারী নয় তার উপজীব্য। খুব লাগসই আর নির্ভুল কথাটুকুন কাভারের ফ্ল্যাপেই অনবদ্য শব্দমালায় গাঁথা আছে।

[ ‘আমি প্রেমের কবিতা লিখতে পারি না, হাঁটু কাঁপে’ – একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সুবোধ। প্লেটো থেকে পাওলি দাম (বইটাতে) এমন একটা দীর্ঘ সময়ের কথা ধরে আছেন এখানে যেখানে ‘সিস্টেম’ হয়ে ওঠে সুবোধের লক্ষ্য।

বিস্তারিত»

ওদের কথা

হ্রদের পাড় ঘেঁষে পায়ে চলা পথ ধরে
হেঁটে যায় আত্মমগ্ন কিছু বেভুল পথিক।
কেউ কেউ প্রেমিক যুগল, কেউ শুধুই
আনমনে হেঁটে যাওয়া কোন মুগ্ধ কবি,
আহত হয়েও যে মনে মনে রচে যায়
অবিনাশী প্রেমের পংক্তিমালা। ওদের
কথায় কান পেতে রয় শান্ত দিঘীর জল,
নির্বাক ল্যাম্প পোস্ট, কিছু ঝরা পাতা,
আর কিছু পর্ণমোচী উদাসী ডালপালা।

বিস্তারিত»

ন্যূনতা

পা জোড়া তো ঠিকই আছে;
হাঁটলামও অনেক।
বিশ্বের এ অনন্ত চরাচরে
কত ঘুরে বেড়ালাম,
কিন্তু কোথাও কোন পদচিহ্ন
রেখে আসতে পারলাম না।

হাত দুটো তো ঠিকই আছে;
লেখালেখিও করেছি অনেক।
থিতু মনের খেরোখাতায়
কত কিছুই তো লিখলাম!
কিন্তু কোথাও কোন স্বাক্ষর
রেখে আসতে পারলাম না।

চোখ দুটো তো ঠিকই আছে।
দেখলামও অনেক।

বিস্তারিত»

মরিচীকা সুখ।

ম‌রিচীকা সুখ
‌মো ও খা ও।

কা‌রো কা‌রো ম‌নে এত সুখ, সুখ ফে‌রি ক‌রে
বচ‌নে‌ে সুখ বস‌নে সুখ মু‌খে‌তে সু‌খের খই উড়ে
আস‌নে সুখ বাস‌নে সুখ, সু‌খেই নিদ্রা হ‌রে
সুখী ভে‌বে সুখ খু‌জে বসত সু‌খের অন্ধকা‌রে ।

‌বৈশা‌খে না‌মে নাই প‌থে বজ্র‌নিনাদ শুন‌তে পা‌বে
আষা‌ঢ়ে ভিজে নাই দিন প‌ঙ্কে কদম পিছ‌লে যা‌বে,
হাত দি‌য়ে খায়‌নি‌ খাবার সোনর চামচ ছিল মু‌খে
মা‌য়ের বু‌কে‌তে হয়‌নি‌তো ঘুম এখনো নির্ঘুম চো‌খে।

বিস্তারিত»

দেখা

নীল সাগরের তল দেখিনি
দেখেছি তোমার নীল দু’চোখ
দেখেছি কত গভীর সে তা
সেথা ডুবেই না হয় মরণ হোক।

দেখেছি গোলাপ পাঁপড়ি আমি
দিন শেষে সেও হয় মলিন
রাঙা তোমার ঠোঁটের হাসি
বুকে আমার বাজায় বীণ।

শান্ত দিঘীর জল দেখেছি
কি মায়াময় রুপ যে তার
দৃষ্টি তোমার ততই গভীর
শিহরণে মন জাগে আমার।

বিস্তারিত»

ক্লান্তি

জেগে থাকার আছে
এক বিস্ময়কর ক্লান্তি

তবুও মানুষ জেগে থাকে
তার যাপিত জীবনের সমস্ত স্মৃতি নিয়ে
সেই কবে, পেয়ারা গাছে পাখির বাসা
পেঁপের ডাটিতে বানানো
সাবানের বুদ্বুদ,
সময়ের মতই যা গেছে উড়ে,
প্যারেড মাঠের কোনায়, কুমকুমদের বাড়ি ছুঁয়ে

এই তো কবে যেন, তোমার ঠোঁটে
আঁকতেই চুমু , গলে গেলো উত্তর মেরু
বিস্ফোরিত হোল ক্র্যাকাটাও
তোমাদের সেই বিখ্যাত চিলে কোঠায়

এই তো সেদিন
জয়নাল,

বিস্তারিত»

আশা মনে নিরাশা

মনটা আর মন নেই
চাওয়া পাওয়ার হিসেবক্লিষ্ট
রোগাক্রান্ত মন আজ
স্বপ্নভারে ন্যুহ্য
কি চাও তুমি মন? জানো কি তা?

পূর্ণিমারচাঁদ দেখতে সাধ হয়
হাসিতে জলতরঙ্গ
দৃষ্টিতে রঙধনু
কিংবা শব্দ সুরের মুর্ছনা….
বড্ড বেশী চাওয়া গো তোমার…..।

নিজ ভুবনের রাণী হয়ে
সে করছে রাজত্ব
আর আমি…..?
তার স্বপ্নে বিভোর হয়ে
না পাওয়ার অপূর্ণতায় ডুবে
একদিন না হয় শেষই হবো…..।

বিস্তারিত»

সময়ের সংলাপ

বাবলু তুমি দৌড়ে চলো, দৌড় ছাড়া আর চলবে না,
থামাথামি তো চলবে না, জোর কদমেও চলবে না।
সময় তোমার বড্ডো কম, এ ছাড়া আর গতি নেই,
পিঠের বোঝা ভারী হলেও চলতে হবে তা নিয়েই!

বাবলু তোমার মনটা খারাপ? দিশেহারা বড্ডো তুমি?
বুকটা তোমার হয়ে আছে মরু সাহারার বিরাণ ভূমি?
দিনভর তুমি কিসব লিখো, কার কাছে কি বলবে বলে,

বিস্তারিত»

মরিচীকা

মরিচীকা
মো ও খা ও।

উড়তে উড়তে উড়ে গেছি বহুদূর
সুদুর নীলিমা জুড়ে দিকহীন রোদ্দুর
প্রান্তর পাড় হয়ে  দাঁড় ফেলে
কালা পানি সাতারে ঢেঁকুর গিলে।
ঐযে আকাশ সেত কিছু নয়, শুন্য
চাঁদ যে কত সুন্দর খানা খন্দ পূর্ণ
বাতাস বাতাস নয় সে তোলে ঝড়
প্রেম কি সে প্রেম প্রবাহ প্রলয়ঙ্কর।

আছারিল জননী জঠর পিয়াতক
মাতোয়ার মহুয়া রসে ঢেউ পাঁক,

বিস্তারিত»

জল ও জোছনা

আকাশে জল এলে জোছনা হারিয়ে যায়
ধরণীর জলাধার বলে চাঁদনি আয় আয়!
জোছনার আলোয় ভাসে সাগরের বুক,
নাবিকের মনে ভাসে ফেলে আসা মুখ।
রূপোলী তরঙ্গ কাঁপে চন্দ্রালোকের মায়ায়,
কবি ও শিল্পী মগ্ন হয় কবিতায়, আঁকায়।
জল-জোছনা মিলে মিশে হয়ে একাকার,
রাতের পৃথিবীকে দেয় স্বর্গের বাহার!

ঢাকা
১৭ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

বিনে সুতার মালা

বিনে সুতার মালা

নক্ষত্রখচিত ছায়াপথে
রেশমী জালের ন্যায়
অতিক্রান্ত হয় সময়
মাঝে কিছু বন্ধন রয়ে যায়।

কলমের কালির ফাঁদে
ধীরে ধীরে ধরা পড়ে
জোসনার নীলকান্তমনি
খুলে যায় আকাশের জানালা।

শব্দেরা রূপ নেয় কবিতায়
তোমার অলিন্দের গানের মুক্তো
মালা গাঁথে আমার নিলয়ের গভীরে

বছর যুগ বিভক্ত করে আমাদের
তবু প্রলম্বিত স্থাপত্যকৌশলে
বিজড়িত হয় শ্বাস প্রশ্বাস
আমাদের আত্মাযুগল।

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – ছয়

নীলার জন্য ছয়টি গোলাপ।
ঠিক ছয়টি মাসই ছিলো আমাদের
দেখা-কথা-প্রেম-ভালবাসা।

একটা হলুদ গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস শুধু বন্ধুই ছিলাম।
একটা গোলাপী গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস বন্ধুর চেয়েও বেশী।
দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
যে দুই মাস প্রেম আচ্ছন্ন করে ছিলো।
বাকী দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
আমি নিশ্চিত ছিলাম ঐ দুই মাস
এটা কোন প্রেম নয়,

বিস্তারিত»

ব্যর্থ আমি

ক’দিন থেকেই মনটা খারাপ…ব্যর্থ আমি শুনে
ক’বার যেন ব্যর্থ আমি? দেখি তো আজ গুণে!!
বউ কেন রোজ বকে আমায় ব্যর্থতাকে নিয়ে…
দেখি তো আজ নিজের জীবন…পিছন ফিরে গিয়ে!!
……………………………….
আমি ছিলেম সরল-সোজা…ভীষণ বোকা-সোকা
অনেক লোকই সুযোগ বুঝে দিয়েছিল ধোঁকা।
ছোটবেলায় পাইনি কভূ…ভাল হওয়ার দাম
লাভের মাঝে…লাভ হয়েছে…“ব্যর্থ ছেলে” নাম।।
ইশকুলেতে পড়তে গিয়ে…মিশতে সবার সাথে
ভাল থাকার ফল পেয়েছি…সটান…হাতে নাতে।

বিস্তারিত»

উজ্জ্বল পিঙ্গল কৈশোর

যে দুরন্ত বালকটি আজ দাপিয়ে দাপিয়ে
বন্ধুদের সাথে পাড়াময় খেলে বেড়াচ্ছে,
নোংরা ডোবায়, নালায় অনায়াসে নেমে
দু’হাত ভরে উল্লাসে ডানকানা মাছ ধরছে,
হৈচৈ করে কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরছে,
হায়! সে মোটেও জানেনা- এর পর
কিশোর বয়সে এসে সে একা হয়ে যাবে!
বন্ধুরা যদিবা থাকে আশে পাশেই, তবুও-
সে একা হয়ে যাবে, একা রয়ে যাবে!
একা পথ চলতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

সর্বংসহা তুমি, সর্বভূক তুমি

তোমার গর্ভে রোপিত হয় বীজ,
সে বীজে লুকিয়ে থাকে জীবন।
বীজ থেকে অংকুরোদ্গম হয়,
ফুলে ফলে শোভিত হয় কানন।

তোমার বুকে বড় হয় মানুষ,
সরীসৃপ, তৃণলতা, শস্যক্ষেত্র।
নীরবে সরবে বড় হতে থাকে,
তুমি বুক পেতে রাখো দিবারাত্র।

যে মানুষ এখন তোমার বুকে
চলেছে সদর্পে পদাঘাত করে,
সেই একদিন স্তব্ধ, জড় হয়ে
হারিয়ে যাবে তোমার গহ্বরে।

বিস্তারিত»