সাতাশ বছর পরে – পাঁচ

তোমার জন্য আবারো কবিতা পড়তে বসেছি
জীবনানন্দের কবিতা
“সুরন্জনা, ঐখানে যেও নাকো তুমি
বলোনাকো কথা ঐ যুবকের সাথে”।

যতোবার পড়ি, ততোবার একই কথা মনে হয়
এটা কি আমার জন্যই লিখেছিলেন
জীবনানন্দ?
নাকি নীলা, এই সুরন্জনাই তোমায় ভাবিত করেছে
ঐ যুবকের কাছে যেতে?

যতদূর পারি, চেস্টা করে গেছি,
হাঁটু গেড়ে ভুল স্বীকার করেছি,
যদিও তেমন কোন ভুল করিনি,
এখন অপেক্ষা করতে পারি,
শুধুই দীর্ঘ অপেক্ষা,
অসাড় প্রতীক্ষা, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর প্রতীক্ষা।
কিংবা আশা করতে পারি,
অথবা হাঁটু গেড়ে প্রার্থনাও করতে পারি-
কিছু একটা যদি হঠাৎ করেই ঘটে যায়;
ঐ যুবক কোন একটা ভুল করে ফেলে
একটু বড় একটা ভুল-
আমার ছোট একটু ভুল থেকে আরো বড় ভুল।
তোমার নীলা যদি
মনে হতো, ফিরে যাওয়াটা মন্দ হয়না!

বড় স্বার্থপরের মত ভাবছি, নীলা
আমিতো আর সময়কে ঘুরাতে পারিনা,
সুযোগ পেলে একই ভুল হতো না।
আমার হাতে সবই আছে নীলা,
শুধু সময়টাই নাই।
হাতে শুধু সময়টা পাইনি, একবার
নীলা তুমি যদি শুনতে আমার কথা,
শেষ কথা নিজে বলে, চলে গেলে ঐ যুবকের কাছে
একবার শুনলে না, বলতেই দিলে না।
এক মুহুর্ত সময় হলো না, যেন
সময় কোথায়, সময় নস্ট করার!

এমন কোন ভুল করিনি,
এমন কোন ভুল ছিলো না যা
উপেক্ষা করা যায়না।
যুবকের সাথে যদি যাবে ঠিক করেই থাকো
আমার ভুল খুঁজে পাপ-বোধ বাড়ানোর
কি দরকার ছিলো, নীলা?

যাই তোমার কারন হোক না কেন
ভালবাসলে কিছুতো আছে যা আমাদের
অবশ করে, ক্লান্ত করে, অবসাদ আনে।
অবসাদে আমার কোন ক্লান্তি নাই
অপেক্ষায় আছি, থাকবো
নীলা, তোমার একদিন মানতেই হবে
আমি ছাড়া কেউ নেই
ভুল না করেও ভুলের স্বীকার করে
ক্ষমা প্রার্থনা করে।
তোমার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
হয় আমার শেষ, কিংবা তোমার শেষ।

ঐ যুবক আছে, থাকবে, যদি তুমি না থাকো
আরেক নীলা খুঁজে নেবেই।
আমার নীলা, শুধুই আমার।
এবার কি আমার কথা শুনবে,
ফিরে আসবে?
বুকের একটা পাশ খালি হয়ে গেছে
ঢিমেতালে বাতাস আসা যাওয়া করছে।
এটা তোমার জায়গা, এটা কাউকে নিতে দেবো না।
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায়ই থাকবো।
আমার কথা তোমায় শুনতেই হবে,
আমাকে বুঝতেই হবে, যেমন তোমায় বুঝি।

এতোবড় পৃথিবী, এতো মানুষ
কেন শুধু একজনকেই ভালোবাসা যায়?
আমার জন্য, নীলা, শুধু তোমাকেই নীলা।

৫,৭৯১ বার দেখা হয়েছে

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।