ক’দিন থেকেই মনটা খারাপ…ব্যর্থ আমি শুনে
ক’বার যেন ব্যর্থ আমি? দেখি তো আজ গুণে!!
বউ কেন রোজ বকে আমায় ব্যর্থতাকে নিয়ে…
দেখি তো আজ নিজের জীবন…পিছন ফিরে গিয়ে!!
……………………………….
আমি ছিলেম সরল-সোজা…ভীষণ বোকা-সোকা
অনেক লোকই সুযোগ বুঝে দিয়েছিল ধোঁকা।
ছোটবেলায় পাইনি কভূ…ভাল হওয়ার দাম
লাভের মাঝে…লাভ হয়েছে…“ব্যর্থ ছেলে” নাম।।
ইশকুলেতে পড়তে গিয়ে…মিশতে সবার সাথে
ভাল থাকার ফল পেয়েছি…সটান…হাতে নাতে।
উজ্জ্বল পিঙ্গল কৈশোর
যে দুরন্ত বালকটি আজ দাপিয়ে দাপিয়ে
বন্ধুদের সাথে পাড়াময় খেলে বেড়াচ্ছে,
নোংরা ডোবায়, নালায় অনায়াসে নেমে
দু’হাত ভরে উল্লাসে ডানকানা মাছ ধরছে,
হৈচৈ করে কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরছে,
হায়! সে মোটেও জানেনা- এর পর
কিশোর বয়সে এসে সে একা হয়ে যাবে!
বন্ধুরা যদিবা থাকে আশে পাশেই, তবুও-
সে একা হয়ে যাবে, একা রয়ে যাবে!
একা পথ চলতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
সর্বংসহা তুমি, সর্বভূক তুমি
তোমার গর্ভে রোপিত হয় বীজ,
সে বীজে লুকিয়ে থাকে জীবন।
বীজ থেকে অংকুরোদ্গম হয়,
ফুলে ফলে শোভিত হয় কানন।
তোমার বুকে বড় হয় মানুষ,
সরীসৃপ, তৃণলতা, শস্যক্ষেত্র।
নীরবে সরবে বড় হতে থাকে,
তুমি বুক পেতে রাখো দিবারাত্র।
যে মানুষ এখন তোমার বুকে
চলেছে সদর্পে পদাঘাত করে,
সেই একদিন স্তব্ধ, জড় হয়ে
হারিয়ে যাবে তোমার গহ্বরে।
দৌড়
এক অদৃশ্য হুইসেলের ফুঁৎকারে আমাদের দৌড় শুরু হয়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা দৌড়াতেই থাকি।
শেষ সীমারেখা দৃশ্যমান নয়।
যার পথ যত দীর্ঘ, স্মৃতির সম্ভার তার তত বেশি ভারী।
যার যার পথসীমা নির্দিষ্ট, তবে ট্র্যাক পৃথক।
রেলপথের মত কখনো দুটো ট্র্যাক এক হয়ে যায়,
আবার কখনো বাঁকা পথ নেয়।
পথ শেষ হওয়া সতীর্থরা পড়ে রয়, আমরা দৌড়াতে থাকি।
গোলাপ কি নগ্ন?
বল আমায়, গোলাপ কি নগ্ন?
না কি এটা তার একমাত্র পোশাক?
গাছেরা লুকায় কেন
শেকড়ের জাঁকজমক?
কে শোনে চুরি যাওয়া
মোটরগাড়ির অনুতাপ?
বৃষ্টিতে পড়ে থাকা ট্রেন
আছে কি এর চে বিষাদ?
–Pablo Neruda
Tell me, is the rose naked
Or is that her only dress?
বসন্ত তুমি
বসন্ত তুমি
ওবায়েদুল্লাহ
প্রকৃত পরাণ ছিল না কোন কালে
তুমি ছাড়া,
বিবসনা ছিল সুর ফাগুনের গানে
মন দিশেহারা।
ফুটিল শাখাতে ফুল মৌভরা মুকুল
কাপে মধুবন,
গুন্জরি কলি কোলে ভ্রমর আকুল
সুখ আহরন।
শিমুল পলাশ সেজেছে লাল দেহভর
পোড়ায় পরাণ,
সরষের মাঠ উন্মনা পড়ে হলুদ শাড়ি
প্রেম ভরা গান।
তোমারি প্রেমে বহিল মলয় দক্ষিনে
গাহি কুহুতান,
সময়
সময় একটি সতত বহমান নদী।
সে নদীতে আমরা মাত্র কিছুকাল ভেসে চলি।
কখনো চোখ বুঁজে উজানে সন্তরণে,
আবার কখনো ভেসে ভেসে ভাটায়, নির্লিপ্ততায়!
সময় বয়ে চলে জন্ম জন্মান্তর ধরে,
কালের সাক্ষী হয়ে রয় মানুষের কিছু অমর কীর্তি।
নশ্বর মানুষ বিলীন হয়ে যায় ধরিত্রীর মৃত্তিকায়,
কিছু কিছু মানব কর্মকে সময়ও সমীহ করে যায়।
এক জলে মানুষ দু’বার নামতে পারেনা
একটি মুহূর্তকে কেবল একবারই আঁকড়ানো যায়।
নতুন রূপে ‘নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই’
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশিত হয়েছিল আমার প্রথম কবিতার বই ‘নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই’। ঐ বছর মেলাতেই বইটির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যায় এবং অভূতপূর্ব সাড়া পাই কবিতা প্রিয় পাঠকদের কাছ থেকে। এ বছর বইটির দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে চৈতন্য প্রকাশন থেকে। বইটি মেলায় পাওয়া যাচ্ছে চৈতন্য প্রকাশনের ৬০৪-৬০৫ নম্বর স্টলে। এছাড়া অনলাইনে রকমারি এবং বইপড়ুন ডট কমের মাধ্যমে সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে।
বিস্তারিত»অনু কবিতাঃ নতুন ত্বক
লোকটার একটা গভীর ক্ষত ছিল।
সেই ক্ষতের উপরে কেউ একজন
এসেছিল নতুন ত্বক হয়ে।
সেই থেকে……
লোকটা খুব ভয়ে ভয়ে থাকতো,
কখন কে এসে ঘষে দিয়ে যায়!
ঢাকা
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ধারাপাত ভুলে গেছি, পদ্য ভুলিনি
শৈশবে মুখস্ত করা ধারাপাত ভুলে গেছি,
নামতা ভুলে গেছি, পাটিগণিতের আর্য্যা ভুলে গেছি।
তবে মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর নাম এখনো ভুলিনি,
কারণ শৈশব থেকেই কবিতাকে মনে মনে ভালবেসেছি।
মায়ের শেখানো ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি’ কিংবা-
‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো’- এসব স্বপ্নীল পংক্তিমালা
এখনো বিস্মৃতির অতল গর্ভে হারিয়ে যায়নি, এখনো এগুলো
প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছে, কন্ঠে নিত্য আবৃত্ত হয়,
অপেক্ষা : বিকশিত হোক নারী
নিহরীকার জাদুঘরে, নিউট্রন নক্ষত্রের কফিনে সে এক দুঃখ বিলাসিনী মায়া
ছায়াপথ আজ তার মোহে মহান, শালীনতার শিকলে মলিন তার ছায়া
কোলাহলের মাঝে লীন হয়ে হারিয়ে যায় তার নিঃসঙ্গ, নিষ্পাপ হাসি
অদ্ভুতূড়ে এই পাগলামিতে ধ্বসে পড়ে ব্যবিলন,মুগ্ধ দেবতারা দেয় কাশি
নিকষ কালো রাতের আধারে, শহুরে পথে সাইকেলে ঘোরা তার শখ
বেঁকে বসে সব দানব যাজক, থাবা দেয় তাতে কামুক ড্রাকুলার অশ্লীল নখ
মঞ্চ নাটকে ময়দা মুখোশের প্রতিযোগিতায় ,
উপেক্ষিতার সম্ভ্রম
ফুলের দোকানে সেদিন খুব ভিড় ছিল,
ফুলপ্রেমী ক্রেতাদের আনন্দোচ্ছ্বাস ছিল।
সুশোভিত, সুঘ্রাণ, সতেজ ফুলের মাঝে
পেছন সারিতে ছিল এক বাসি ফুল লাজে।
কারো কারো দৃষ্টি ছিল শুধু রঙের উপর,
কেউবা খুঁজেছিল কিছু গোলাপ মনোহর।
কেউবা মৃণাল হাতে শুভ্র রজনীগন্ধার,
স্মিতমুখে কিনেছিল প্রিয়ার উপহার।
দিনশেষে অবশেষে এলেন এক ঋষি,
পেছন সারিতে এসে তিনি হলেন খুশী।
সব অশ্রুফোঁটা জল নয় জোলোও নয়
সব অশ্রুফোঁটা জল নয়, জোলোও নয়।
কিছু কিছু ফোঁটা উঠে আসে
জলের নীচে ডুবে থাকা বর্ণহীন ভারী তরল থেকে।
ছোটবেলায় রসায়নে শেখা এইচটুও নয়, এইচটুওটু।
যেন জলের চেয়ে ভারী হাইড্রোজেন পারোক্সাইড।
কিছু কিছু অশ্রুফোঁটার জন্মই হয়
নীরবে নিঃশব্দে ঝরে পড়তে,
নিভৃতে, গোপনে, অন্ধকারের বিষণ্ণতায়।
সৌম্যতায়, মৌনতায়, ঐকান্তিকতায়।
নিবিড় স্মৃতির প্রতিবিম্বে, একান্তে, বিবিক্তবাসে।
কেউ সেসব ঝরে পড়ার সাক্ষী হতে পারেনা।
বিস্তারিত»প্রেমের সংজ্ঞা
প্রেমের সংজ্ঞা।
এটাতো একলা একটা হৃদয়; কোন মহাকাশ নয়,
ছোট ছোট অভিমান; সুখ জাগানীয়া নয়।
তারপরেও সুযোগ আসে; হিয়ার চতুরতায়,
সত্যি প্রেমের প্রলাপ শোনে; মনের বর্বরতায়।
প্রেমের সংজ্ঞা কে দিতে পার
আমিতো পারিনা মোটে,
তুমি যদি পারো বলনা আমায়
কপালেতে যদি জোটে।।
যতদিন যায় ততবেশী দেখি; নতুনের রং পেলব,
মানেনা কিছুই ঘর সংসার;
প্রার্থনাঃ বিকশিত হোক নারী
নিহরীকার জাদুঘরে, নিউট্রন নক্ষত্রের কফিনে সে এক দুঃখ বিলাসিনী মায়া
ছায়াপথ আজ তার মোহতে মহান, শালীনতার শিকলে মলিন তার ছায়া
কোলাহলের মাঝে লীন হয়ে হারিয়ে যায় তার নিঃসঙ্গ, নিষ্পাপ হাসি
অদ্ভুতূড়ে এই পাগলামিতে ধ্বসে পড়ে ব্যবিলন,মুগ্ধ দেবতারা দেয় কাশি
নিকষ কালো রাতের আধারে, শহুরে পথে সাইকেলে ঘোরা তার শখ
বেঁকে বসে সব দানব যাজক, থাবা দেয় তাতে কামুক ড্রাকুলার অশ্লীল নখ
মঞ্চ নাটকে ময়দা মুখোশের প্রতিযোগিতায় ,