এক
প্রেম ও দ্রোহ
কবিতা গান উপন্যাসে
বাজে অগ্নিবীণা
২৬ মে ২০১৯
দুই
রাগমোচন
খেলা শেষে বিজয়ী
উভয় পক্ষ
তিন
রবি ঠাকুর
বাংলার বিচ্ছুরণ
দেখিছো সবে
চার
ঘরের কবি
এত প্রেম পুস্তকে
বাস্তবে কই?
পাঁচ
নষ্ট জমিন
সহস্র পুষ্প হেথা
সুগন্ধ কই?
এক
প্রেম ও দ্রোহ
কবিতা গান উপন্যাসে
বাজে অগ্নিবীণা
২৬ মে ২০১৯
দুই
রাগমোচন
খেলা শেষে বিজয়ী
উভয় পক্ষ
তিন
রবি ঠাকুর
বাংলার বিচ্ছুরণ
দেখিছো সবে
চার
ঘরের কবি
এত প্রেম পুস্তকে
বাস্তবে কই?
পাঁচ
নষ্ট জমিন
সহস্র পুষ্প হেথা
সুগন্ধ কই?
মাতৃগর্ভে খুন হওয়া মেষ শাবক
তারও একটা পরিণতি আছে
কোমল চামড়ার কারাকুল টুপি
শোভা পায় নামীদামী শিরে!
অক্ষর না পেয়ে জন্মের পূর্বেই
খুন হয় যে সব কবিতা গুলো
তাদের আর্তনাদ কি পৌঁছায়
নিষ্ঠুর হন্তারকদের কানে?
১৭ মে ২০১৯
বিস্তারিত»পরকলা
সপনে বা জাগরণে হেথা খুজি হোথা খুজি
কোথা আছে বল সেই এক জোড়া কাঁচ?
বসাতে হবে তার নাকের উপর
যেন হিসেবের আলো না মেশে
সামনে বা পিছে দূরে বা কাছে।
যেন সে দেখে সাদাকে সাদা
আর কালোকে কালো
যেন সে বলে মন্দকে মন্দ
আর ভালোকে ভালো।
I need a glass
with adjustable light
for conscious justice
who is not blind
but observes at own will.
হে আমার প্রিয় কলহ, সবই উৎসর্গ করেছি
তোমার তরে এবং তোমার সন্তানদিগের তরে
তবু তুমি সুখী নও, আরো এবং আরো চাও
সবকিছুর চেয়ে বেশি আর কী হতে পারে?
চাইলে নিতে পারো কিডনি কর্নিয়া লিভার
বার-বি-কিউ পার্টির জন্য মাংস, তা ও
আমার হাড্ডি চিবুতে চাইলে বল
নির্দ্বিধায় গলা পেতে দেবো ছুরির নিচে
কেবল একটিই অনুরোধ আছে
কুৎসিত কথা বোলো না,
ঝাঁউবন পাহাড় মেরিন ড্রাইভ প্রবাল পাথর
অতিশয় চটপটে লাল কাঁকড়ার দল
বৃত্তাকার হতে চাওয়া সাম্পান নৌকা
বালুকাবেলায় আছড়ে পড়া ফেনায়িত ঢেউ
সেলফি তোলায় ব্যস্ত উচ্ছল ষোড়শী।
জটিল ভূ রাজনৈতিক চিন্তায় মগ্ন আমি
কোরিয়া উপদ্বীপ মধ্যপ্রাচ্য যৌন জিহাদ
শান্তির পায়রা অধ্যাপক জেনারেল তনয়া
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির জ্বলন্ত রাখাইন
রক্তপিপাসু ধর্ম মদান্ধ অপদেবতার দল
শান্তি পদকের নিরবচ্ছিন্ন তামাশা
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা আর
বিতর্ক আহবানের মাঝে নগদ নারায়ণ।
আড়াই ইঞ্চি হৃদয়টাতে
সবার বুকের বাম দিকেতে/
হৃদয় নামের যন্ত্র আছে,
অলিন্দ আর নিলয় থাকে/
এই যন্ত্রের আশেপাশে।
আড়াই ইঞ্চি হৃদয়টাতে/
হাজার খানেক ইচ্ছা থাকে,
সেথা আবার প্রতিটি ইচ্ছায়/
নিজের আলাদা জগৎ আছে।।
এত ছোট যন্ত্রটাতে/
এত-কিছু কি-করে-থাকে,
এক জনমের কান্না হাসি/
থাকে হিয়ার আঁকেবাঁকে।
আড়াই ইঞ্চি হৃদয়টাতে/
হাজার খানেক ইচ্ছা থাকে,
এই বোশেখের চাওয়া
এই বোশেখে আর কিছু নয় চাওয়া-
জানালাগুলো একটু খোলা রেখো।
দখিনপানের মাতাল প্রেমিক হাওয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গালে দেখো;
মেঘপুকুরে চাঁদ দিয়েছে ডুব,
বিজলী আঁধার ভাঙছে ক্ষণে ক্ষণে।
হাস্নুহেনা ঘ্রাণ ছড়ালে খুব
আমার কথাই পড়ুক তোমার মনে।
আকাশ হতে নীল গিয়েছে চলে,
দিঘীর জলেও তার ছায়াটি নেই;
মেঘমেয়েদের ওড়নাগুলোর তলে
নীল তারাটি জ্বলছে তবু সেই।
Asbestos, the beloved virgin
essential material to build
mansions on earth for
the mighty Gods.
Now the city is burned,
loyal wind blows up
signs of settlement
temple remains untouched.
অক্ষতযোনি এসবেসটস
অলিম্পাসবাসিগণের প্রিয়
মর্ত্যের আধুনিক বাগানবাড়ি
প্রস্তুতের অপরিহার্য অনুসঙ্গ।
এখন নগর পোড়ে, অনুগত বাতাস
উড়িয়ে নিয়ে যায় বসতির চিহ্ন
আর দেবালয় রয়ে যায় অক্ষত।
বনের পাখি ঝাঁপ দেয়
চড়ে বসে বাতাসের পিঠে
ভেসে চলে প্রবাহের
শেষ সীমায়
ডানা ঝাপ্টে ঝেড়ে ফেলে
গোধুলির আলো
যেন আকাশটা তারই।
কিন্তু যে পাখি বন্দী
খাঁচার নিষ্ঠুর শিকের
ফাঁক দিয়ে সে তো
বলতে গেলে বাইরের
কিছুই দেখতে পায় না
তার পাখা ছাঁটা
পা শিকল দিয়ে বাঁধা
গলাটাই শুধু মুক্ত
তাই গলা বের করে
সে গান গায়।
পাকা ফল হয়ে সে ঝুলে ছিলো।
যে কোন সময়ে…
টুপ করে ঝরে পড়ার অপেক্ষায়।
কতটুকু কাঁপুনি হলে সে ঝরে পড়বে-
তা মাপার জন্য কোন রিখটার স্কেলের প্রয়োজন নেই,
সে জানতো…
শুধু একটু শিরশিরে বাতাস…
কিংবা একটি ক্ষুদ্র পাখির চঞ্চুচুম্বন,
ব্যস, এটুকুতেই সে ঝরে পড়তে পারে-
সে জানতো।
অন্তঃসারশূন্য, কীটাক্রান্ত ফল মাটি ছাড়া কেউ খায় না,
মহাশূন্যের অনন্ত অন্তরীক্ষে আমরা সবাই
একেকটি ঘূর্ণায়মান জ্যোতিষ্ক।
জন্মাবধি আপন কক্ষপথ ধরে ঘুরছি সবাই;
কখনো একাকী, কখনো যুগলবন্দী, আবার
কখনো গুচ্ছদলে আবদ্ধ গ্রহানুপুঞ্জের মত
হাত ধরাধরি করে। একবার হাত ছুটে গেলে
ছিটকে চলে যাই বহু দূরে, দূর হতে দূরান্তরে,
নতুন কোন কক্ষপথ বেয়ে।
আমাদের পথ হয়ে যায় ভিন্ন। ভিন্ন পথগুলো
ঘুরতে ঘুরতে যদিওবা কখনো
খুব কাছাকাছি চলে আসে,
যদ্যপি প্রেম যদ্যপি প্রণয় গদ্যের আকারে প্রকাশিত হলেও আদতে এটি একটি অনবদ্য কাব্যগ্রন্থ।লিখেছেন লুৎফুল হোসেন।কবির সাথে সাক্ষাত হয়েছিল ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে।ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লেখালেখির সুবাদে তাঁর সাথে আমার পরিচয়।তার পর ফেসবুকে যোগাযোগ।অন্যদের উৎসাহ এবং স্বীকৃতি দিতে এই বৃহত্তম বদ্বীপের মহান অধিবাসীদের রয়েছে অকৃপন কৃপনতা।সে দিক থেকে লুৎফুল হোসেন ব্যতিক্রম। তিনি অন্যের লেখা পড়েন, মন্তব্য করেন এবং সে লেখাতে মন্তব্যগুলোও পড়েন। এমন সুহৃদ মেলা ভার।সাক্ষাতের সময় তিনি আমাকে দুইটি অসম্ভব সুন্দর বই উপহার দেন।
বিস্তারিত»সাগরের বুকে ভাসমান সব জাহাজ
কখনো না কখনো পোতাশ্রয় খোঁজে,
রাতের আঁধারে গতিপথ সন্ধানে
সমুদ্রতটে বাতিঘর খোঁজে।
আমি এক স্থলবিমুখ জাহাজ,
আমি না খুঁজি কোন পোতাশ্রয়
না খুঁজি কোন বাতিঘর।
সাগরের প্রশস্ত বুক আমার সাকিন।
সম্মুখের অনন্ত জলরাশি আমায় ডাকে,
কখনো তরঙ্গে তরঙ্গে হয়ে উঠি উদ্বেলিত
কখনো নিস্তরঙ্গ মৌনতায় সাগর আমায়
স্থৈর্যের মন্ত্র দান করে দীক্ষিত করে তোলে।
আমি কেউ না! তুমি কে?
তুমিও কি “কেউ না “?
বেশ, তা হলে আমরা
হয়ে গেলাম এক জোড়া।
হিস্…, একদম চুপ
কাউকে বলবে না।
ওরা আমাদের একদম
শেষ করে দিবে, জানো!
“কেউ” হয়ে ওঠা যে
কী বিষন্ন ব্যাপার!
প্রকাশ্যে কোলা ব্যাঙ
কেমন এক জীবন!
কাদা ভর্তি আত্মগরবী
জলাশয়ের সামনে
সারা বেলা সেই এক ঘেঁয়ে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ!
নিম্ন-সমতলভূমি আমায় ডেকে
স্বাধীন বসতি গড়ার আহ্বান জানায়
দখলদারিত্বের কোন শ্রম ব্যতিরেকে,
আমি তাতে সাড়া দিতে উদ্যত হই।
তাই না দেখে পাহাড়টাও গুরুভার,
চাল মেরে দেয় তার। কঠিন পথের
পিচ্ছিল বাঁক বেয়ে ওপরে ওঠার
ইশারায় আমন্ত্রণ জানায় সে আমায়।
দুটো আমন্ত্রণেই একসাথে সাড়া দিতে
পারি না আমি; যে কোন একটা পথ
বেছে নিতে হবে আমায়,