জানুয়ারির হাইকু

হাইকু ১৫২

দুই হাজার কুড়ি
কারসাজি আর বিদূষক
নির্বাসনে যাক

হাইকু ১৫৩

বই আর বউ
অমিলে সৃষ্টির কথকতা
কবিতা ও ব্যর্থতা

হাইকু ১৫৪

ঘন কুয়াশা
রবির পরে মেঘ ছোটে
বাম ডানে উইপার

হাইকু ১৫৫

তুরাগ নদীর তীর
দিনের বেলায় হেডলাইট
ধীর হাইওয়ে

হাইকু ১৫৬

জেগে ওঠা চর
ধ্যান করে বকের দল
মোলায়েম রোদে

হাইকু ১৫৭

জানুয়ারির ভোর
লেপের মাঝে এলার্ম ঘড়ি
বিলাপসম বাজে!

বিস্তারিত»

ভুলে যেতে হয়

কে কবে কী বলেছিল,
কখন বলেছিল, এসব-
অন্তর কন্দরে রাখতে নেই,
এসব ভুলে যেতে হয়।

কার চকিত চঞ্চল হাসি
আকাশ থেকে এক ফালি
বিজলী প্রভা এনে দিয়েছিল,
সে কথা ভুলে যেতে হয়।

যার কথায় পরাণে প্রথম
নিক্কণের সুর বেজেছিল,
নিস্তব্ধ নীরবতার আচ্ছাদনে
তার স্মৃতি ঢেকে রাখতে হয়।

কার কান্নায় বুকের নদীটা
ক্ষণে ক্ষণে উছলে উঠেছিল,

বিস্তারিত»

অনুবাদ হাইকু

কোবায়াশি ইশার সাতটি হাইকু

এক

শীতল হাওয়া
সব শক্তি দিয়ে ডাকে
ঝিঁঝিঁপোকা

দুই

ঠাণ্ডা বাতাস
পেঁচিয়ে মোচড় দিয়ে
এখানে এলো

তিন

গরমে পর্বতমালা
আমার প্রত্যেকটি ধাপে
আরো দেখতে পাই

চার

চড়ুইপাখির ছানা
পথ ছাড়ো পথ ছাড়ো
ঘোড়া পার হচ্ছে

পাঁচ

গরুর বাছুরটি
গিয়েছে বেড়াতে
শরতের বৃষ্টি

ছয়

সেপ্টেম্বর মাস
ডোরাকাটা কিমোনো
পরেছে আকাশ

সাত

লোভ জাগানিয়া
ধীরে ধীরে তুলতুলে
তুষার পড়ছে

ইয়োশা বুসনের সাতটি হাইকু

এক

হারুসামে ইয়া
মোনোগাতারি য়ুকু
মিনো তো কাসা

বসন্তের বৃষ্টি
কথা বলতে বলতে
চলে যাচ্ছে

দুই

য়ুকু হারু ইয়া
ওমোতাকি বিওয়া নো
দাকি গোকোরো

বসন্তের গমন
চৌতারা বাদ্যযন্ত্র
ধারণের অনুভুতি

তিন

না নো হানা ইয়া
সুকি হা হিগাসি নি
হি ওয়া নিশি নি

ক্যানোলা ফুল
পুব দিকে চাঁদ
পশ্চিমে সূর্য

চার

বোতান চিরিতে
উচি কাসানারিনু
নি সান হেন

বিক্ষিপ্ত পিওনি ফুল
আর জড়ো করে রাখা
কয়েকটি পাঁপড়ি

পাঁচ

ওনো ইরে তে
কো ওডোরোকু ইয়া
ফুয়ু কোদাচি

কুড়াল মেরে
আমি অবাক গন্ধে
শীতের বৃক্ষরাজি

ছয়

ফুজি হিতোতসু
উজুমি নোকোসিতে
ওয়াকাবা কানা

ফুজিয়ামা ব্যতীত
সব কিছু ডুবে গেছে
কচি কচি পাতায়

সাত

য়ুদাচি ইয়া
কুসুবা ও সুকামু
মুরা সুজুমে

বিকালের বৃষ্টি
ঘাস ধরবে না পাতা
গ্রামের চড়ুইপাখি

♦মাতসুয়ো বাসো,

বিস্তারিত»

ডিসেম্বরের হাইকুগুচ্ছ

ডিসেম্বরের হাইকুগুচ্ছ

১২৫

অতলান্তিক সময়
চলতে স্রোতের বিপরীতে
কূলহারা নাবিক

১২৪

এক রত্তি ডাঙা
পালক খুঁটে খুঁটে হাঁস
রোদ কণা মাখে

১২৩

সাদা সজনে ফুল
ফুলিয়ে রোঁয়া বুলবুলি
রৌদ্র মাখে গায়

১২২

উল্টা বিব্রত
আজব প্রজন্ম কহে
সব তোমাদের দোষ

১২১

মলন মলা শেষ
উঠোন ঠুকরে মা মুরগী
ছানাদের ডাকে

১২০

হেমন্তের দুপুর
ছোট্ট দ্বীপে হাঁসের দল
জলকেলি শেষে।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা অধরা

ভালোবাসো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে দেখো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
তবে, আমি ভালোবাসি ?
উমম………হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে আসবে আমার ?
জানিনা………

জীবনের অতল গহীনে দ্বিধা আর দ্বন্দ্ব
চাওয়া পাওয়া, আর না পাওয়া চাওয়া সব ধূসর হয়ে
সাঙ্গ হবে খেলা একদিন
মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ।
তবুও ভালোবাসি প্রিয়তমা, জেনে রেখো…
ভালোবাসি তোমায় ।

বিস্তারিত»

হাইকু গুচ্ছ

১১৪

কুয়াশার চাদর
সীমের মাচায় ফুলপাতায়
নাচে টুনটুনি

১১৩

বকলম কবি
সুবর্ণ বন্দর লোভে
নিজ সন্তান ফেরি

১১২

খড়ের গাদায় ভাপ
দুধ নারকেল খেজুর রসে
পিঠে খাওয়ার ধুম

১১১

প্রকৃতির পর্দা
কচুরিপানার ফুলে
তৃপ্ত নয়ন মন

১১০

আখ ফুলে ফিঙে
গাঁয়ের বধু ধান ওড়ায়
হেমন্ত বাতাসে

১০৯

মায়ের বুকের ওম
পাশ ফিরতে লেপের মাঝে
শিমুল বিচি বাজে

১০৮

এক এক শূণ্য নয়
অনুবাদ পার্থক্যে হয়
কথার ডালপালা

১০৭

গোলাপী বা লাল
সবুরে মেওয়া ফলে
রে ঝিঁঝিঁ বাঙ্গাল!

বিস্তারিত»

আটটি হাইকু

এক

তারার আলো
পতঙ্গের ঐকতান আর
নাসিকা গর্জন

দুই

শীতনিদ্রায় ব্যাঙ
আসেনি প্রিয়া বৃষ্টিতে
অশ্রুধারায় বান

তিন

বোলতার আক্রমন
আকাশে তারা ঝিকমিক
পতঙ্গের কনসার্ট
২৮/১০/২০১৯

 

চার

কার্তিকে লঘুচাপ
প্যাট প্যাট ছাদ গড়ানো জল
সানশেডে কাক

পাঁচ

হেমন্তে লঘুচাপ
নারকেল গাছে ভেজে কাক
পানকৌড়ির প্রায়

ছয়

নাসিকা গর্জন
প্রতিবেশী কোলবালিশ
আর বৃষ্টির বাগড়া

সাত

টিক টিক হাতঘড়ি
ঘুনপোকার ক্যাট কুট কট
রাত হলো সারা
২৫/১০/১৯

 

বিস্তারিত»

মা‌য়ের খুব কাছাকা‌ছি

মা‌য়ের খুব কাছাকা‌ছি
ওবা‌য়েদুল্লাহ

মাটির উপর শু‌য়ে কান পে‌তে আছি,
সোদা গন্ধ না‌কে পি‌ঠে শিতল পরশ
মা‌য়ের খুব কাছাকা‌ছি।
মা ম‌া‌গো তুই কেমন আছিস ?

তুই শু‌য়ে ঘ‌রে আমি যে দা‌ড়ি‌য়ে বাই‌রে
চ‌লে গে‌লি মাগো সত্যি আমাকে ছে‌ড়ে,
দেখ‌বো না তো‌কে কোন দিন বাড়‌ি ফি‌রে
এও কি হয় ম‌া বল, বাড়‌ি যা‌বো কি ক‌রে?

বিস্তারিত»

মা মোর

মা মোর
ওবা‌য়েদুল্লাহ্

এই বাংলার খুব অজ এক গা‌য়ে
‌স‌ন্ধে হ‌লে শেয়া‌লেরা ডাক‌তো প‌থে
হাস গু‌লো হে‌লে‌ দুলে ফির‌তো গৃ‌হে
রা‌তে কে‌রো‌সিন বা‌তির স‌লোকে
‌হে‌সে‌লে রান্না সেরে আসতো ঘ‌রে
গাঢ় শ্যামল রঙের কি‌শো‌রী মে‌য়ে।
‌সেই এক রমনীর গতর ফে‌টে
কোন এক আধার রা‌তে
আর্তনা‌দে অবি‌চ্ছে‌দ্য না‌ড়ি কে‌টে
আমি এসে‌ছিলাম ডাক‌তে মা‌কে।

অতল গভীরে সমুদ্র‌ মন্থন
সহস্র আলোক পথ‌ বিচরন,

বিস্তারিত»

এক ডজন হাইকু

এক

প্রেম ও দ্রোহ
কবিতা গান উপন্যাসে
বাজে অগ্নিবীণা
২৬ মে ২০১৯

দুই

রাগমোচন
খেলা শেষে বিজয়ী
উভয় পক্ষ

তিন

রবি ঠাকুর
বাংলার বিচ্ছুরণ
দেখিছো সবে

চার

ঘরের কবি
এত প্রেম পুস্তকে
বাস্তবে কই?

পাঁচ

নষ্ট জমিন
সহস্র পুষ্প হেথা
সুগন্ধ কই?

বিস্তারিত»

কারাকুলের মেষ

মাতৃগর্ভে খুন হওয়া মেষ শাবক
তারও একটা পরিণতি আছে
কোমল চামড়ার কারাকুল টুপি
শোভা পায় নামীদামী শিরে!

অক্ষর না পেয়ে জন্মের পূর্বেই
খুন হয় যে সব কবিতা গুলো
তাদের আর্তনাদ কি পৌঁছায়
নিষ্ঠুর হন্তারকদের কানে?

১৭ মে ২০১৯

বিস্তারিত»

পরকলা

পরকলা

সপনে বা জাগরণে হেথা খুজি হোথা খুজি
কোথা আছে বল সেই এক জোড়া কাঁচ?
বসাতে হবে তার নাকের উপর
যেন হিসেবের আলো না মেশে
সামনে বা পিছে দূরে বা কাছে।
যেন সে দেখে সাদাকে সাদা
আর কালোকে কালো
যেন সে বলে মন্দকে মন্দ
আর ভালোকে ভালো।

I need a glass

I need a glass
with adjustable light
for conscious justice
who is not blind
but observes at own will.

বিস্তারিত»

~ কলহকে ~

হে আমার প্রিয় কলহ, সবই উৎসর্গ করেছি
তোমার তরে এবং তোমার সন্তানদিগের তরে
তবু তুমি সুখী নও, আরো এবং আরো চাও
সবকিছুর চেয়ে বেশি আর কী হতে পারে?

চাইলে নিতে পারো কিডনি কর্নিয়া লিভার
বার-বি-কিউ পার্টির জন্য মাংস, তা ও
আমার হাড্ডি চিবুতে চাইলে বল
নির্দ্বিধায় গলা পেতে দেবো ছুরির নিচে
কেবল একটিই অনুরোধ আছে
কুৎসিত কথা বোলো না,

বিস্তারিত»

অনামিকা

ঝাঁউবন পাহাড় মেরিন ড্রাইভ প্রবাল পাথর
অতিশয় চটপটে লাল কাঁকড়ার দল
বৃত্তাকার হতে চাওয়া সাম্পান নৌকা
বালুকাবেলায় আছড়ে পড়া ফেনায়িত ঢেউ
সেলফি তোলায় ব্যস্ত উচ্ছল ষোড়শী।

জটিল ভূ রাজনৈতিক চিন্তায় মগ্ন আমি
কোরিয়া উপদ্বীপ মধ্যপ্রাচ্য যৌন জিহাদ
শান্তির পায়রা অধ্যাপক জেনারেল তনয়া
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির জ্বলন্ত রাখাইন
রক্তপিপাসু ধর্ম মদান্ধ অপদেবতার দল
শান্তি পদকের নিরবচ্ছিন্ন তামাশা
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা আর
বিতর্ক আহবানের মাঝে নগদ নারায়ণ।

বিস্তারিত»