সাতাশ বছর পরে – দুই

সারারাত ঘুম হয়নি নীলা। জেগেই আছি।

ক্লান্ত শরীর, যতবার বিছানায় গা এলিয়ে দেই
চোখ দুটো বারবার খুলে এক ঝটকায় খুলে যায়;
মনে হয় তুমি মাথার পাশে হবসে আছে
নরম হাত বুলাচ্ছো যেন দুদন্ড শান্তিতে ঘুমাতে পারি।

তোমায় পাশে সজাগ বসিয়ে কিভাবে ঘুম আসে?

এমন বিভ্রান্তের মত চোখ বুজে আসা ঘুম ভেঙে চলে,
নীলা তুমি পাশে নেই, তবু কোন অশরীর বসে থাকে?
চেনাজানা মুখ গুলো মনে হয় মুখোশ পড়া।
শুধু তোমার মুখোশ ছাড়া, যেই তুমি কাছে নাই।

সারারাত জেগে জেগে এমন দূর্ভেদ্য ধাঁধা জাগিয়ে রাখে।

সময় কি এতেদূরে চলে গেছে, কিছুই কি বাকী নেই?
সব সুন্দর স্মৃতিগুলো বায়েস্কোপের মত সরে সরে যায়।
যেই দিন চলে গেছে, যতই চাই, ফিরে আসেনা।
কল ছেড়ে মাথায় পানি ঢালি, ঘুম খুঁজে পাই না।

চলেই যদি যাবে নীলা, এতো কাছে এসেছিলে কেন?

দিন যতো যায়, ক্লান্ত থেকে ক্লান্ত হতে থাকি,
অপেক্ষার একটা সীমা আছে, তাও পেরিয়ে যায়।
ছোট একটা জীবন পার হয়ে যায়, থামাতে পারি না,
নীলা, এ এক অসম্ভব প্রতীক্ষা, তবু অপেক্ষায় থাকি।

হাতে গোনা কিছু ভুল সময় থাকতে শুধরাতে পারলাম কৈ?

এভাবে প্রতীক্ষার পালা চলবে, চলতেই থাকবে?
মাঝে মাঝে মনে হয় কখনো দেখা না হলেই ভালো ছিলো
কাছে যদি আসবে তবে দূরে চলে গেলে কেন?
এইভাবে রাতের পর রাত জাগতে আর পারছি না।

নীলা তুমি কি ঘুম পাড়াতে এসেছো নাকি জাগিয়ে রাখতে?

৫,১৮৮ বার দেখা হয়েছে

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।