আসসালাতু খায়রুম মিনান্নাউম
রাতের আঁধার চিরে দৃপ্ত ঘোষনা
কথা গুলো এখনো কানে ভাসে
“বেটা ওঠ, বেলা দশটা বাজে“
মুচকি হাসি চলে আসে
জানি, কেন এমন বলতে।
আমি কি কম চালাক ছিলাম?
দরোজা একটু ফাঁক করে
নিশ্চিন্তে লম্বা ঘুম দিতাম।
এভাবে তোমাকে ঠকাতে গিয়ে
নিজেকেই ঠকিয়েছি বারবার।
এখন বড্ড কষ্ট লাগে
বাবা হবার আগে কেন
বাবাকে বোঝা যায় না?
লুকোচুরি
টিল্লো–ও, ধাপ্পু, টুকি টুকি
ছোটরা খেলে লুকোচুরি
খুজে পায় বা নাই পায়
খেলাতেই মজা ভারি।
বড়রাও খেলে লুকোচুরি
লুকায় লুকায় চুরি চুরি
কি লুকায় খুজে দেখি
কে বা আছে এত সাহসী!
একান্ত সেই গোপন কোটরে
লুকিয়ে রাখি কত কী যে!
না পাওয়ার দুঃখ রোগ
টাকা কড়ি গোপন ভোগ
লুকিয়ে রাখি চোখের জল
আর লুকাই বুকের অনল।
থেমিস কি অন্ধ?
থেমিস কি অন্ধ না কি তার চোখ বাঁধা?
সে দেবী না মানবী এ এক দুর্বোধ্য ধাঁধাঁ!
তার দাঁড়িপাল্লায় পূণ্যের শূণ্যতা
থাকে নিরাপদ উচ্চতায়
সুবিচার প্রার্থী বিপদে থাকে
নাঙ্গা তলোয়ারের ঘায়!
তার জালে চুনোপুঁটি আটকা পড়ে
আর রাঘববোয়াল দাপিয়ে বেড়ায়
থেমিস কি অন্ধ?
ভালবাসার উহ্য ভাষাঃ
“আজ সকালে Delights & Shadows কবিতার জন্য ২০০৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৯ বছর বয়স্ক আমেরিকান কবি Ted Kooser এর Porch Swing in September কবিতাটি পড়ছিলাম। কবিতাটি পড়ে কবি সম্বন্ধে জানতে তার ‘সংক্ষিপ্ত পরিচিতি’ তে গেলাম। সেখানে এক জায়গায় তার পরিবার সম্বন্ধে লেখা আছেঃ
He lives near the town of Garland, Nebraska, with his wife, Kathleen Rutledge, and their dogs, Alice and Howard. He also has a son,
বিস্তারিত»শিথিল ভাবনা
মুঠোভরা সর্ষেদানা মুঠোয় ধরে রাখা যায় না।
সুরসুর করে একসময় সব পড়ে যায়,
মুঠো খালি হয়ে যায়।
কবির ভাবনাগুলোও যেন ঠিক তেমনি—
কবি যতই মাথায় ভরে রাখেন না কেন,
সুরসুর করে একসময় ওরা সবাই
কোথায় যেন হারিয়ে যায়! আবার-
শূন্য মাথায় নতুন ভাবনা এসে অকাতরে জড়ো হয়।
ঘাস বিচালি যা কিছুই মুঠোয় আঁকড়ানো হোক না কেন,
বিস্তারিত»এক পেয়ালা ঘুম
এক পেয়ালা ঘুম
সমূখটা জুড়ে আছে
জাতীয় ফলের পাতা
বামদিকে সবজী বাগান
ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টি
সুনসান ভোর
দু:খিনী মোর নিদ্রা
অনিদ্রার যুদ্ধে মগ্ন
আমার প্রয়োজন
এক পেয়ালা ঘুম।
এক পেয়ালা ঘুম।
বাপ্পী খান
বিস্তারিত»প্রথম প্রেম
প্রথম প্রেম
আমার প্রেমিকার সাথে আমার কথা হত ঠিক রাত বারোটায়,
শুরুতেই বলতাম, ইশ! কি কষ্ট সারাদিন দেখিনি।
কিভাবে পারে লোকে, এতো দূরে থাকতে!
একই পৃথিবীর নিচে তবু চলে অবলীলায় মিথ্যে শব্দচয়ন,
শুরু হত প্রেমালাপ, লোকের ভাষায় ছাইপাশ রসালাপ,
বিন্দু থেকে সিন্ধু, চলে যেত সময়। ভালোবাসা সস্তা খেলা
সেখান থেকেই হল জানা।
বিস্তারিত»বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন
কোন পীর আউলিয়ার নামে নয়,
যেমন জালালাবাদ, জামালপুর।
কোন সাহসী নারীর নামে নয়,
যেমন চৌধুরাণী বা ভবানীপুর।
তবু করি সেই অখ্যাত নাম স্মরণ,
বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন!
বুকে ধরা ছিলো চারটে প্লাটফর্ম।
স্লিপার বসানো, পাথর বিছানো
সমান্তরালে আঁকাবাকা রেলপথে
দিনে রাতে ট্রেনগুলো ছয়দিকে
আনমনে আনাগোনা করতো দ্রুত।
বসত ভিটেয় কাঁপুনি লাগিয়ে যেত।
যমুনার ভাঙ্গনে তিস্তামুখ ঘাট
স্থান বদলাতো প্রায় হঠাৎ হঠাৎ।
একদিন এমনই হবে
একদিন সন্ধ্যা নামার আগেই,
আকাশের মেঘ ফুঁড়ে ঝিলমিল তারারা বেরিয়ে আসবে,
শুক্লা তিথির চাঁদের সাথে ওরা প্রতিযোগিতায় নামবে-
কে তোমার নজরে আগে আসতে পারে!
তোমার দৃষ্টি থাকবে দূরান্তের ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটির ওপর,
দেখবে, সেও দূর থেকে বিচ্ছুরিত আলোর রশ্মি ছড়িয়ে
তোমাকেই ডাকছে। সেদিন তুমি বুঝে যাবে-
সত্যকে যারা বুকে বেঁধে রাখে, তাদের চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
সবাই কুর্ণিশ করে পথ দেখায়।
তেমন কোন অভিযোগ নেই
তেমন কোন অভিযোগ নেই।
ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।
না তেমন কোন অভিযোগ নেই আর
স্বপ্নের বিলাস ডুবে গেছে ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ
অমাবশ্যার রাতে , উঠেনি সূর্য প্রাতে
কেটেছে দিন ব্রতে বিস্মৃত শত আহ্লাদ।
নেই কোথাও কোন তল্লাটে খোঁজ তার
অলস অবেহলা মুছে গেছে পায়ের ছাপ
জোয়ার জাগেনি জলে শ্রোত অণলে
প্রসাদ প্রণমিল সত্যরে শত অভিশাপ।
তবু আকাশ ভরিল তারকারা আলো
হিংসা উৎকট আরো নিকষিত কালো,
শুভ জন্মদিন জন্মদিন
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
আমার একটা দুঃখ আছে সুখের প্রলেপ দেয়া,
সেই সুখেতেই কান্না আছে যত্ন করে পাওয়া।
সুখ দুঃখের আস্তাবলে কষ্ট লাগাম টানে,
বেদনা বিলাসে শান্তি বলো পেলাম কেমন করে?
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
রাত্রিটাকে খুব ভালবাসি প্রখর সূর্য্য তাপে,
অমাবস্যায় অনেক কালো চাঁদনীর অনুতাপে।
ভুল করে যত জাগতিক ভুল স্বপ্নের কান্ডারী,
তুমি বিহনে,,,,,,
তুমি বিহনে,,,,,,,,,,,,,,,,,
লিখতে গিয়ে হোঁচট খেলে
বুঝবো আমি কি?
তোমায় ছাড়া ছন্নছাড়া
আমি যে হয়েছি।
তোমায় পেলে মগজটাতে
প্রেমের সুবাস বহে,
তুমিহীনা অলস কলম
বন্ধ্যাত্ব সহে।
তোমার প্রলেপ পরলে বুকে
জোয়ার বয়ে যায়,
তুমি ছাড়া মরুভূমি
অববাহিকায়।
তুমি যখন আমায় খোঁজো
প্রফুল্ল হয় মন,
ফুলে ফুলে ফুলময় হয়
প্রেমের বৃন্দাবন।
সাতাশ বছর পরে – সাত
সেদিন ছিলো ভালোবাসা দিবস
আগেই পৌছে গেছি, মনে হলো
কিছু একটা ভুলে গেছি, সিঁড়ি দিয়ে
তাড়াহুড়া করে নামছি। এক ডজন
লাল গোলাপ আনতে। একটু পরে
থমকে গেলাম, সামনে নীলা সিঁড়ি
দিয়ে উপরে আসছে। ধ্যৎতেরিকি।
দুই হাত পিছনে লুকোলাম, ভাবটা
এমন হাতে কিছু ধরা আছে, বললাম
“নীলা তুমি বসো, আমি একটু আসছি।”
তাড়াহুড়ো করে গিয়েও লাভ হলো না।
বিস্তারিত»অগ্রগামী যাত্রী
আরোহী বিহীন রিক্সা কিংবা খোলা ভ্যান থেকে
যখন স্বয়ংক্রিয় একটি যান্ত্রিক ঘোষণা ভেসে আসে-
‘একটি শোক সংবাদ’ — ইত্যাদি ইত্যাদি,
আমি তখন আর আগের মত
কান পেতে উদগ্রীব থাকি না এ কথা জানতে-
হায়! কে চলে গেল!
ভেবে নেই–
যার সময় হয়েছে যাবার, সেই চলে গেল!
এ এক অমোঘ নিয়তি, অলঙ্ঘনীয়।
আমি শুরু করি আমার প্রস্তুতি,
ভাল থেকো
ভাল থেকো শীতে হেমন্তে,
ভাল থেকো বর্ষায়, বসন্তে।
ভাল থেকো গ্রীষ্মে, খরায়,
ভাল থেকো ধূলির এ ধরায়।
ভাল থেকো তুমি অঘ্রাণে শরতে,
ভাল থেকো এ শুভ্র তুষারপাতে।
ভাল থেকো জ্যোৎস্নায় অমাবস্যায়,
নিশীথে ও দিবসে, প্রাতে ও সন্ধ্যায়।
(আনায়াকে মনে পড়ে)
ঢাকা
০৬ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।