তোমারে দাও, আশা পুরাও

ঠাকুর এ পৃথিবীর বায়ু গ্রহণ করেছিলেন আশি বছর। দিয়ে গেছেন তার চেয়ে অনেক, অনেক বেশি। জন্মেছিলেন কলকাতার সবচাইতে সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ঐশ্বর্য কম দেখেননি, ছেলেবেলা থেকেই দেখেছেন চারপাশে জাঁকজমকের আধিক্য। বিলাত ভ্রমণ করে আসা জমিদারপুত্র রবীন্দ্রনাথ হয়ে থাকাই তার জন্য অনেক সহজ ছিল। কিন্তু সে পথ তাকে টানেনি। টেনেছে তাকে নানা রকমের প্রশ্ন; টেনেছে তাকে জীবন।

সেই আশি বছরে ঠাকুর প্রেম খুঁজেছেন, প্রেমের কারণ খুঁজেছেন,

বিস্তারিত»

“একটা চিঠি” ……(বাবা-মায়ের লেখা, যা পোস্ট করা হয়নি)……….

প্রিয় সন্তান,
…………

আমি যখন বার্ধক্য উপনীত হবো…।আমি আশা করবো.. “তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সাথে ধৈর্যশীল হবে”

ধরো আমি যদি হঠাৎ থালা ভেঙ্গে ফেলি,অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি…..
কারণ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হরিয়ে ফেলছি….। আশা করি তুমি আমার প্রতি চিৎকার করবে না।

বয়স্ক মানুষ খুব স্পর্শকাতর….……
তুমি যখন চিৎকার করে কথা বলো তখন তারা নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যায় ,

বিস্তারিত»

হাবিবুল্লাহ স্যারের অপ্রত্যাশিত চিরবিদায়

ছোটবেলায় আব্বার কাছে শুনতাম ‘কলেজের বারান্দায় পা না রাখলে নলেজ হয়না’।১৯৯৩ সালের ২০শে মে সপ্তম শ্রেনীতেই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের আঙ্গিনায় পা রাখার মাধ্যমে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়।নলেজ হয়েছে কিনা জানিনা কিন্তু আমার কলেজ যে অনেক নলেজেবল স্যারের উপস্থিতিতে নলেজের আধার ছিল তা বেশ বুঝতে পারি।
কলেজে গিয়েই হাউস মাস্টার হিসেবে পাই ইংরেজীর হাবিবুল্লাহ স্যার কে।অনেক জ্ঞানী,ড়ায়নামিক,মানষিকভাবে অনেক তরুন সেইসাথে কড়া।একদিন উইকএন্ড মুভি শো হচ্ছিল অডিটরিয়ামে।আমি তখনো যাইনি,হাউসে ফাঁকি মারছিলাম।হাউসের সামনে স্যারের কাছে ধরা।স্যার খুব শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলেন কেন যাইনি।আমি আমতা আমতা করে কিছু বলতে গেলেই আমাকে ধরার জন্য থাবা দিয়েছেন।আমি যখন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলাম স্যারও আমাকে ধরার জন্য রীতিমত দৌড়।ধরতে না পারলেও ঐ বয়সে ভালই ধাওয়া দিয়েছিলেন আমাকে।স্যার কোন এক টার্মে আমার রেজাল্ট শীটে হাউস মাস্টারের কমেন্টে লিখলেন “সম্ভাবনাময় ক্যাডেট” যা আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল।কালে কালে বেলা অনেক গড়িয়েছে স্যারও অবসর জীবনে চলে গিয়েছেন।গত রিইউনিয়নে(ডিসেম্বর ২০০৯)অনেকদিন পর স্যারের সাথে দেখা।সালাম দেয়ার পর স্যারকে বললাম,

বিস্তারিত»

ছাগলে তো সব ঘাস খেয়ে ফেললো…

ঢাকার বন্ধুর ফোন এল।

– কিরে, তুই নাকি ইউনুসের জন্যে ‘ফাইট’ করছিস।
– ঠিক ইউনুসের জন্যে না। আমার জন্যে।

অপর দিক থেকে খানিকক্ষন চুপচাপ।

– তাহলে ঠিক আছে।
– ঢাকার লোকের চিন্তাধারা কোন দিকে?
– সবাই আছে যায় যার তালে। এদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। জানিনা কোন দিকে যাচ্ছে।
– তোর তো কোন অসুবিধা নেই।

বিস্তারিত»

ইতিহাসের অংশ

কলেজে কয়েকটা বিষয় ছিল- ইতিহাস, পৌরনীতি, ভূগোল যেগুলো বিজ্ঞান মানবিক বিভাজনের পর বিজ্ঞানের ছাত্রদের তেমন একটা পড়তে হয়নি। সংগত কারণেই এই বিষয়গুলো শেষ পড়েছি সেই ১৯৯৭ সালের দিকে। কিন্তু এখনো মনে পড়ে ইসহাক আলী স্যার এর পৌরনীতি বা হেদায়েতুন নবী স্যারের ইতিহাস পড়ানো। ইসহাক আলী স্যারকে নিয়ে আমার ফ্ল্যাশব্যাকে কিছু শেয়ার করেছিলাম পরে হয়ত আরো কিছু শেয়ার করবো কিন্ত আজ ইতিহাস নিয়েই বলতে চাই।

বিখ্যাত শিল্পী রফিকুন্নবীর(রনবী)ভাই হওয়ার কারণে হেদায়েতুন নবী স্যারকে হেনবী বলতাম আমরা।

বিস্তারিত»

এলোমেলো কথামালা-২

এলোমেলো কথামালা-১

১। এই সিরিজটি শুরু করার সময়ে ভেবেছিলাম…পরের কয়েকটি পর্ব জুড়েই শুধু বদরুল ভাইয়ের (নামঃ বদরুল আলম, ক্যাডেট নং-৩৯৯, বদর হাউস, ৮ম ইনটেক, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, কলেজে অবস্থানকালীন সময়ঃ ১৯৭১-৭৭) কথা লিখবো। কিভাবে তিনি তুরস্কে আসলেন…কিভাবে ভাবী-র সাথে তাঁর পরিচয়…বিবাহ…সন্তানদের গল্প…ইত্যাদি …ইত্যাদি।

২। পরের দিকে লিখতে চেয়েছিলাম…কিভাবে তিনি তুরস্কের মার্সিন শহরে একজন অনাহুত আগন্তক থেকে সেখানে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন…কিভাবে তিনি বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী-র পাল্লায় পড়ে ২/৩ লাখ মার্কিন ডলার লস খেয়েছিলেন……আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন…।

বিস্তারিত»

সাইফুদ্দাহার শহীদ, আমাদের ভালোবাসা নিন

সাইফুদ্দাহার শহীদ প্রাক্তন ফৌজিয়ান। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ওল্ড ফৌজিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন- ওফা’-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বেশ কিছুকাল। ‘ওফা’র নানা অনুষ্ঠানে উনাকে তৎপর দেখেছি। তেমন কোনো কথা সামনা সামনি কখনো বলেছি এমন মনে পড়ে না। অথচ উনার চেহারাটা বেশ ভালোই মনে ছিল।

মাঝের সময়টা নিজের পেশার পেছনে দৌঁড়ে ‘ওফা’র অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছি খুব কম। এ কারণে কখনো খেয়াল হয়নি যে চেনা চেহারার মানুষটাকে দীর্ঘদিন দেখা যাচ্ছে না।

বিস্তারিত»

আমার সৌভাগ্য

২০০৮ সাল। আমি তখন ক্লাস ১২ এ পড়ি। সেদিন ছিল প্যারেন্টস ডে| সেই ক্লাস সেভেন থেকেই আমার প্যারেন্টস নিয়মিত আসে না। আসলেও অনেক দেরী করে আসে। আমিও বুঝি সেই মংলা থেকে কুমিল্লায় প্যারেন্টস ডে’গুলোতে আসা কতটা কষ্টকর। তাই আমি নিজেই মাঝে মাঝে আসতে নিষেধ করতাম। কখনো খুব বেশি খারাপ লাগে নি। এমনকি আমাদের এস,এস,সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যখন আর সবার বাবা মা এসেছে। তখন অভিভাবক শূন্য হয়ে আমার খুব বেশি খারাপ লাগে নাই।

বিস্তারিত»

মারিও বালোতেল্লি… দি আইটেম

{নীচের আইটেম সম্পর্কে আগে থেকে আগ্রহ থাকলেও ফেসবুকে কামরুল ভাইয়ের লিঙ্ক ধরেই খোঁচাখুচি করেই এত কিছুর খোঁজ পেলাম। তাই ওনাকেই এই পোস্টটা উৎসর্গ করলাম। (সেই সাথে এরকম একজন সেলিব্রেটি ব্লগারের নাম লাগিয়ে আমার ব্লগের হিট কাউন্ট একটু বাড়িয়ে নেবার চেষ্টা)}

মারিও বালোতেল্লি। ২০ বছর বয়সী ইটালিইয়ান ফুটবল খেলোয়ার। কিছুদিন আগে জিতেছে ফিফার ‘গোল্ডেন বয়’ পুরষ্কার, বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুন খেলোয়ার ( অনূর্ধ ২১) হিসেবে।

বিস্তারিত»

২৫ শে জানুয়ারী, ১৯৮৫

দিনটি ছিল ২৫ শে জানুয়ারী, ১৯৮৫।

এই দিনে প্রথম কমপিউটারে বাংলায় লেখা হয়। সেই অর্থে ডিজিটাল বাংলার সূচনা হচ্ছে ২৫শে জানুয়ারী, ১৯৮৫। প্রথম পূর্নাঙ্গ বাংলা সফটওয়্যার শহীদলিপির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে এইদিনে। এইদিনে শহীদলিপির স্রষ্টা সাইফ-শহীদ, আমাদের সাইফ ভাই, তাঁর মাকে চিঠি লিখার মাধ্যমে বাংলা ভাষার একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন।

সাইফ শহীদ ভাই এব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছেন সিসিবিতে এবং সচলায়তনে।

বিস্তারিত»

‘স্যার, আপনাকে সালাম’

আগস্ট ১৯৭১। পাল বাড়ির উঠোনে জুবুথুবু হয়ে দাঁড়িয়ে অনেকগুলো মানুষ। একজন, দু’জন, তিনজন, একে একে বাড়তে থাকে সংখ্যা, পনের ছাড়িয়ে আঠার পর্যন্ত। বিভিন্ন বয়সের, বৃদ্ধ, তরুন, কিশোর। জড়ো হওয়া মুখগুলোতে তীব্র উৎকণ্ঠা, ভীতি আর গভীর শঙ্কা। কারো চোখে পানি, কারো ঠোটে তিরতির কাঁপন।বুকের ভেতর ভয়ংকর ধুকপুক, হাতুড়ির শব্দ। এতোদিনের চেনা মুখগুলোর দিকে তাকালেই ব্যাথাতুর শেষ দেখার অনুভূতি। ভীষন কষ্ট, বাঁচার তীব্র আকুতি। উদ্যত বন্দুক হাতে খাকি পোশাকের হায়নাগুলোর দিকে তাকাতে প্রবৃত্তি হয় না তীব্র ক্ষোভ আর ঘৃণায়।

বিস্তারিত»

সালমান খান,একজন আলোকের দিশারী !

প্রথমেই বলে নেই যারা সালমান খান নামটি দেখে বলিউড হিরো সালমান খানের কথা ভেবেছেন তারা ভুল করছেন । এই সালমান খান একজন শিক্ষাবিদ।

সালমানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্স শহরে ১৯৭৭ সালে ।বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিনি। তার বাবা বরিশাল থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান, আর মা কলকাতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে গণিত, তড়িৎ কৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান_এ তিন বিষয়েই স্নাতক করেন সালমান।

বিস্তারিত»

অসংঙ্গায়িত…

দীর্ঘ সময় ধরে শুনছি
জলপ্রপাতের অন্যরকম শব্দ

ছিমছাম পাহাড়ী সন্ধ্য্যায়
পানি পড়ার ছেড়া ছেড়া শব্দ

আমি শব্দ দিয়ে সংজ্ঞা দিতে পারি নি
জল পতনে বাতাস কাপার শব্দকে

বিস্তারিত»

একজন সরোস ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ।

বারাক ওবামার নাম আমরা সবাই জানি কিন্তু তার সৃস্টিকর্তাদের একজন জর্জ সরোসের নাম আমরা অনেকেই জানিনা। তিনি একজন বিনিয়োগকারী, বিনিয়োগ গবেষক, অর্থনীতিবিদ, জনহিতৈষী। তার জন্ম ১৯৩০ সালে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে, তিনি তার শৈশবে নাজি বাহিনীর হাতে আটক হন এবং পরবর্তি সময়ে সভিয়েত কমিনিজ্যমের দ্বারা অত্যাচারিত হন। তিনি একজন ইহুদী। এবং অন্যান্য আট দশটা ইহুদীদের মত তিনিও ফ্যাসিস্ট ও কমিনিজ্যম বিরোধি। তিনি উদারনৈতিকবাদে বিশ্বাসী।

এবার আসি আসল কথায় ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার জন্য ২ জন দায়ী ব্যাক্তির একজন তিনি।

বিস্তারিত»

আমি আবারও কিছু বলিতে পারিলাম না-৮

১।

ক। আমার স্ত্রী-র সাথে অকারণেই একচোট হয়ে গেল। কারণটা তেমন জটিল কিছু নয়…আমার ছেলেকে আমি লরি-র কয়েকটা ছবি মেইল করে পাঠিয়েছিলাম সেটা নিয়েই…

-তুমি কেন ওই ছবিগুলি পাঠালে?
-কেন, তাতে কি এমন সমস্যা হয়েছে?
-দিন নেই…রাত নেই…সব সময়ে সেই ছবিগুলি দেখে…আর আমাকে বলে আরও ছবি ডাউনলোড করে দিতে!
-তো তুমি আরও কয়েকটা ছবি ডাউনলোড করে দিলেই তো পারো!

বিস্তারিত»