সূর্যপুত্র (ভূমিকাসহ……পর্ব এক)

[পাদটিকাঃ দীর্ঘদিন এই ব্লগে (যথেষ্ট সময় দিতে না পারার কারণে) ইনএ্যাকটিভ মেম্বার হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ হঠাৎ …অনেক কাজের ভীড়ে সুযোগ করে আসলেও…, লেখালেখি করার মতন সময় নিয়ে আসতে পারতাম না। একই সাথে বেশ কয়েকটি (অফিসিয়াল) দায়িত্ব পড়ে যাওয়ায় এবং বিশেষ একটি কোর্সে স্টুডেন্ট হিসাবে যথেষ্ট চাপে থাকায়ই সিসিবিতে আমার এই অনিয়মিত আসা-যাওয়া।

বঙ্গোপসাগরে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় আমাদের (বাংলাদেশের) জাহাজ কর্তৃক একটি শ্রীলংকান ফিশিং বোট উদ্ধারের বিষয়ে নিশ্চয়ই এই ব্লগের সবাই জানেন।

বিস্তারিত»

বাণী চিরন্তণী-১

ছোটবেলায় আমাদের বাসায় ইত্তেফাক রাখা হত।এখন যেমন পেপার খুলেই সরাসরি খেলার পাতায় চলে যাই তখন সেই রকম ছিলনা।ইত্তেফাকের দুটি জিনিস আমার জন্য বরাদ্দ থাকত-একটা হল আমার নিজের আগ্রহের…টারজানের কার্টুন

বিস্তারিত»

বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ যদি আর না ফিরি

(আজ ১২ ভাদ্র। আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, রেঁনেসা এবং সাম্যবাদী চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষনজন্মা এই প্রতিভাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ভাষা এবং যোগ্যতা কোনটিই নেই আমার। “যদি আর না ফিরি” শিরোনামে কবির ভাষণটি একযুগ ধরে আমার ডায়েরীতে সংরক্ষিত আছে। কবি নির্বাক হওয়ার আগে এটিই সম্ভবত শেষ বক্তব্য। আজ খুব ইচ্ছে হলো সিসিবির বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।)
800px-nazrul_tomb_2amr
“মসজিদের পাশে আমায় কবর দিও ভাই/গোর থেকে যেন আযান শুনতে পাই।”

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৬

১। আমাদের পৌরনীতির ইসহাক আলী স্যার খুব জনপ্রিয় ছিলেন। স্যার অনেক ফ্রি ছিলেন এবং অনেক সময় সিরিয়াস রোমান্টিক কথা বলতেন। স্যারকে আমরা গুরু মানতাম আর বলতাম *ক্স আলী। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে বলতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে যেতেন।তার একটা নমুনা-
“এই সেই আব্দুল বিশ্বাস(আব্দুর রহমান বিশ্বাস) যে খালেদা জিয়ার পে*কোট ধোয়”
পৌরনীতি পরীক্ষায় কোন প্রশ্নের উত্তর মানেই বেশি নম্বরের আশায় একগাদা পয়েন্ট আর কোটেশন,

বিস্তারিত»

আমাদের বাঁশিওয়ালা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মানুষটাকে কাছ থেকে দেখেছিলাম দু’তিনবার। আকাশের মতো এমন বিশাল এক মানুষ। এমন সিংহহৃদয় মানুষ, আমাদের জাতির জীবনে একজনই এসেছিলেন। কিছুটা নিজের ক্যারিশমা, কিছুটা সাহস আর বাকিটা সময়- তাকে করে তুলেছিল এই জনপদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায়। মানুষকে ভীষণ বিশ্বাস করতেন তিনি। হয়তো রবীন্দ্রনাথের মতোই মনে করতেন, ‘মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’

এই বাঁশিওয়ালা আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে, বাঙালি জাতির মুক্তির যুদ্ধে।

বিস্তারিত»

সেই রাত্রির কল্পকাহিনী

এই কবিতাটা পড়ার আগে আমি এটার আবৃত্তি শুনেছিলাম, শিমুল মুস্তাফার কন্ঠে। এখনো মনে আছে, একবার শুনেই স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। প্রচন্ড অপরাধবোধ আর লজ্জায় আমার নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিলো। খুঁজে বের করে কবিতাটা পড়ার সাহস হচ্ছিলো না। কিন্তু তারপরও পড়েছি, নিজেকে ধিক্কার দেবার জন্যে বইটা কিনে এনে কবিতাটা খুঁজে বের করে পড়েছি। একবার, বারবার।

বিস্তারিত»

এ্যাডাম টিজিং

ডিসক্লেইমারঃ আমি নারী বিদ্বেষী নই মোটেও …

ইভ টিজিং নিয়ে অনেক কথা হয়, পত্র-পত্রিকা-তে লেখালেখিও হয় প্রচুর। কিন্তু এ্যাডাম টিজিং নিয়ে এ জীবনে কাউকে কিছু লিখতে বা বলতে শুনলাম না। এ্যাডাম টিজিং শব্দটা ডিকশনারী-তে আছে কিনা তাতেও অবশ্য আমার সন্দেহ আছে। না থাকারই কথা। একেতো ডিকশনারী নিজে নারী, তার উপর আবার পূরুষ শাসিত সমাজে এই শব্দ চালু হলে পূরুষের দূর্বলতা প্রাকাশ পায়। ‘আমি টিজায়িত হইয়াছি’ বলে চিক্কুর দিয়ে আদতে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করা আর যার হোক পূরুষের শোভা পায় না।

বিস্তারিত»

মুসলিম ইন আমেরিকা-৩: সেরা ব্যক্তিত্বঃ হামযা ইউসুফ

স্থানঃ লেকচার হল, ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন।
তিল ধারনের জায়গা নেই লেকচার হলটিতে, এমনকি লেকচার হলের বাইরেও উপচে পরা ভিড়। স্টেজের উপর দাঁড়িয়ে একজন বক্তা স্পষ্ট আরবী এবং নির্ভূল কুরানিক ভাষায় যে বক্তব্য রাখলেন, তা শুনে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে তাঁর জন্ম মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে নয়। তিনি হলেন শেখ হামযা ইউসুফ, জন্মসুত্রে আমেরিকান এবং কনভার্টেড মুসলিম। গোটি স্টাইলের দাড়ি ও স্পোর্টস জ্যাকেট পরিহিত হামযা ইউসুফ দেখতে অনেকটা আমেরিকান কলেজ প্রফেসরের মত।

বিস্তারিত»

MJ, তোমাকে ভালবেসেছি, বেসে যাব!

কোনো একটা ব্লগে লিখেছিলাম, কলেজে ৭ম শ্রেণীতে পদার্পণ করার পর ১২এর সিনিয়র ভাইরা ডেকে নিয়ে যায়, সেখানে আমাকে ড্যান্স করে মাইকেল জ্যাকসনের গান গাওয়ানো হয়। ঐটুকু পিচ্চির মাইকেল জ্যাকসনের আস্ত একটা ইংরেজী গান মুখস্ত ছিল এটা তো কম কথা নয়।

হ্যা, আমি মাইকেলের সেরকমই একজন ভক্ত ছিলাম। আমাকে এই সিরিয়াস ট্যালেন্টেড আর্টিস্ট-এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার খালাত ভাই রাজীব। তখন আমরা মনে হয় ক্লাস 3/4 এ পড়ি।

বিস্তারিত»

সাময়িক পোস্ট : কিং অফ পপের প্রস্থান

আমার মতো অনেকের শৈশব জুড়ে আছে মনে হয়, মাইকেল জ্যাকসন। সেই থ্রিলারের ভূতের নাচ, অথবা বিলি জিনের সেই মুন ড্যান্স এখনো কি আমাদের মুগ্ধ করে না? বিলি জিন গানটার ভিডিও দেখে ঢাকায় তখন মাইকেল জ্যাকসনের স্টাইলের জুতা পাওয়া যেতো, পোলাপান সাদা মোজা দিয়ে সেই জুতা পড়ে কি ভাব টাই না নিতো। অনেক বির্তক জন্ম দেওয়া এই নায়ক কিন্তু ঠিকই গেয়েছিল কালো আর সাদা মানুষদের সাম্যর গান,

বিস্তারিত»

আমার ফুটবলপ্রীতি

ফুটবল খেলাটার সাথে আমার কেন জানি খুব একটা প্রেম নেই =(( । ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কিছুটা ভাল হবার কারণে মা-খালারা আমাকে গাব্দু-গুব্দু (মতান্তরে ৩০ ব্যাচের শাহীন ভাইয়ের ভাষায়হোঁদল কুৎকুৎ) বলে ডাকতেন। সেই আমি আমার এই দেহ নিয়ে তড়িৎগতিতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াব এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তবে চট্টগ্রামের ষোল শহরে বন গবেষণা কেন্দ্রে আব্বুর যখন পোস্টিং ছিল তখন পাহাড়ের উপরে পাড়ার অন্যান্য বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলার সময় গোলকীপারের পোস্টটা আমার জন্য বাধা ছিল।

বিস্তারিত»

আইনস্টাইনের বুয়েট গ্রাজুয়েশন

roberts_k_einstein
১.

অবশেষে আইনস্টাইন বুয়েটে ভর্তি হইল।

কথাটা যত সহজে বলা গেল,কাজটা কিন্তু ততটা সোজা ছিলনা।এর পিছনে ছিল বিরাট ইতিহাস…

বিস্তারিত»

ট্রিবিউট টু তুহিন (৯৯-০৫)

তুহিন ছুরিকাহত হবার পর তার রিকভার করার জন্য অভিনন্দন হিসেবে এবং কিভাবে এটা ঘটলো সেটা জানার পর তাকে নিজ দায়িত্ববোধের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করছিলাম তুহিন ছুরিকাহত এই পোস্টে। মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে মনে হওয়ায় পোস্ট হিসেবে লিখছি। তুহিন একজন পথচারীকে ছিনতাই হতে দেখে ছিনতাইকারীকে বাধা দিতে গিয়ে ছুড়িকাহত হয়েছে। কি আমার প্রতিক্রিয়া?

fantastic, marvelous!!!!

অবশ্যই তুহিন আমাদের গর্বের বিষয়। এই না হলে আর ক্যাডেট?

বিস্তারিত»

বসাক স্যারের বই – “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”

এই বছর বই মেলা থেকে একটা কবিতা সংকলনের অনুবাদ কিনে ফেললাম। মূলত ২টা কারণে এই বই আমার সংগ্রহের সবচেয়ে দামী বইগুলোর একটি বলে বিবেচনা করছি। প্রথমত বইটার বিষয় বস্তু, যা এর নামের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে; “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”। আর দ্বিতীয়ত বইটার অনুবাদক আমাদের অনেকেরই প্রিয় শিক্ষক সুরেশ রঞ্জন বসাক স্যার । ক্যাডেট কলেজ থেকে অবসর নিয়ে যিনি এখন সিলেটের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু

ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে।

বিস্তারিত»