আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা।
বিস্তারিত»মতি ইউ আর ডেড হলদে এডিটর
সত্যি বলছি মতি ভাই বা মতি মিঞার প্রথম আলো মতান্তরে প্রথম আলু একসময় আমার প্রিয় পত্রিকা ছিলো। সত্য এই যে এখনো আমরা অনেক সময়ই প্রথম আলোর লিঙ্ক শেয়ার করি রেফারেন্স দিই।
ছবি লিঙ্ক পেলাম শামস রাশেদ জয় এর ওয়াল থেকে। ক্লিক করুন।
ডোন্ট বিলিভ আলু এনি মোর। তাই ওদের লিঙ্ক সহ স্ক্রিন শট দিলাম। অন্যান্য ছবির ক্ষেত্রেও একই কাজ করবো।
বিস্তারিত»কালো মানুষ, মানুষ
নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা (জোজা উচ্চারণ: [xoˈliːɬaɬa manˈdeːla]; জন্ম: জুলাই ১৮, ১৯১৮ – ডিসেম্বর ৫, ২০১৩) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকারগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৯৪ হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ম্যান্ডেলা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র সংগঠন উমখন্তো উই সিযওয়ের নেতা হিসাবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬২ সালে তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার গ্রেপ্তার করে ও অন্তর্ঘাতসহ নানা অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
বিস্তারিত»চলে গেলেন নুরুল ইসলাম স্যার…
ক্যাডেট কলেজের মা-বাবা ছাড়া দিনগুলিতে কিছু মানুষের নিবিড় স্নেহ-মমতা আমাদের আজীবন ঋণী করে রেখেছে। আমাদের সবার প্রিয় ম্যাথাম্যাটিক্সের নুরুল ইসলাম স্যার তাঁদের অন্যতম প্রধান। ক্যাডেটদের স্বভাবসিদ্ধ ‘শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা’র উর্ধের এই মানুষটি ছিলেন দার্শনিক গোত্রের। তিনি কেন রাগ করতে পারেন না, বা করেন না – এটাই আমাদের কাছে বিস্ময়ের বিষয় ছিল। অন্যদের বেদম প্রহারে যা হত না – নুরুল ইসলাম স্যারের ‘কি রে বেটা!’ ‘স্টুপিড’
বিস্তারিত»মৃত্যুর আগে
-১-
গতকাল হুমায়ূন কবির সাহেব কলকাতা এসেছেন শুনে জীবনানন্দ সকাল সকাল তাঁর বাসায় চলে এসেছেন। কিন্তু আজকেও হুমায়ূন কবির সাহেবের সাথে দেখা হল না। পিএ যদিও বলল উনি বাড়িতে নেই, তবু সাক্ষাতের জন্য আসা এত লোকজন আর গাড়ি বারান্দায় দাড়ানো গাড়ি বলে দিচ্ছে একজন নিঃস্ব কবির সাথে দেখা করে চাকরির আর্জি শোনার চাইতে আরো অনেক বড় কাজ আছে মন্ত্রী মশায়ের। দুই মাস আগে একবার কবির সাহেবের সাথে দেখা হয়েছিল।
বিস্তারিত»হেলাল হাফিজের কবিতা ওড়না: কিছু বিতর্ক এবং আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি
হেলাল হাফিজ অতিসাম্প্রতিক কালে আবার কবিতা লিখছেন। কবির পয়ষট্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় তিনটি কবিতা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কবিতার নাম ওড়না। বলাবাহুল্য কবির সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এর আগে বহু লেখায় উল্লেখ করেছি। সেই সূত্রে এই কবিতাটির প্রসব বেদনায় যখন কবি ছটফট করছেন তখন আমি কবির সাথে ছিলাম। প্রায়ই তিনি অনুভূতিহীন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কবিরা একটু অন্যমনস্ক,অগোছালো থাকবে এটাই নিয়ম হলেও কবি হেলাল হাফিজ অত্যন্ত গোছানো একজন মানুষ।
বিস্তারিত»কবি হেলাল হাফিজ ও ব্যক্তিগত অনুভূতি
মুল লেখাঃ
কবি হেলাল হাফিজের সাথে আমার পরিচয় খুবই অদ্ভুত ভাবে। এক বিকেলে চারুকলার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ঢেলে সাজানো বই গুলোর দিকে চোখ বোলাতেই একটি বই চোখে লেগে যায়। যে জলে আগুন জ্বলে। চোখে লাগার মতোই বই। অদ্ভুত শিরোনাম। বই হাতে নিয়ে কয়েক পাতা ওল্টাতেই একটা কবিতা চোখে পড়ে। এক নিমিষেই পড়ে ফেলি।
“প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট
নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট?”
যদ্যপি আমার গুরু…
জীবনে প্রথম কোন বই পড়েছিলাম মনে নেই। ঠাকুরমা’র ঝুলি হবে হয়তো। তবে সবচেয়ে বেশী পড়েছি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই। এটা নিশ্চিত।
আজ অনেকে বলছে স্যারের মৃত্যুদিবস!!! আমার প্রশ্ন স্যার মারা গেলেন কিভাবে??
তাঁর কি মৃত্যু আছে? একজন হুমায়ূন আহমেদ কি মরনশীল কেউ? এই নষ্ট পৃথিবী কে স্যারের দেহ ত্যাগ করেছে…কিন্তু স্যার তো আমাদের মাঝেই আছেন! পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগুনিত হিমু-মিসির আলী-শুভ্র-রুপা-মাজেদা খালা-মহাজ্ঞানী ফিহা-মজিদ-রমনা থানার ওসি-পাংখাপুলার রশীদ-তিতলী-কংকা-মুনা-বাকের ভাই-সৈয়দ বংশের পোলা-বদি-ধনু শেখ-মুহিব-বাদল-আতাহারদের মাঝেই স্যার চিরকাল থাকবেন!
বিস্তারিত»আমাদের নায়ক
যে কোনো সময় খারাপ খবরটা আসতে পারে। তাই তৈরি হয়ে আছি। মনকে বুঝিয়েছি, এটাই বাস্তব। নির্মম সত্য। তবু কি মন মানতে চায়!
প্রিটোরিয়ার যে হাসপাতালটায় নেলসন মান্দেলা শেষ সময়টা কাটাচ্ছেন সেখানে বিশ্বের সব মিডিয়া ওৎ পেতে বসে আছে, কার আগে কে এই দুঃসংবাদটা প্রচার করবে! প্রিয় মাদিবার জন্য তার দেশের মানুষ প্রার্থনা করছে। হয়তো কোনো ‘অলৌকিক’ কিছুর অপেক্ষা করছে তারা।
বিস্তারিত»মা তোমাকে খুব মিস করি
মা এর সাথে খুব বেশী সময় কাটাতে পারি নি। এক কি দেড় বছর। এ সময়ের মাঝেই মা আমার মা হয়ে উঠেন। আমার মা আমাদের তাহমিদের আম্মু আমাদের রকিমুন্নেসা ম্যাডাম।
ক্লাস ইলেভেনে হঠাৎই একদিন শুনলাম মা আসছেন আমাদের কলেজে। মা ভূগোলের শিক্ষিকা। আমিও ছিলাম হিউম্যানিটিজ গ্রুপে সেই সুবাদে কলেজে মার প্রথম দিনেই তার সাথে আমার সাক্ষাৎ। ডিপার্টমেন্টে গিয়ে মা কে সালাম দিলাম। বললাম “এতোদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম।
বিস্তারিত»একজন অখ্যাত মহানায়কের নীরব প্রস্থান
প্রায় তিন বছর পর আজ সিসিবিতে লিখতে বসলাম। কিছু পারিপার্শ্বিক কারনে এবং কিছুটা ব্যক্তিগত কারনে ইচ্ছাকৃতভাবেই সিসিবি থেকে দূরে ছিলাম। আজ আর সেসব কারন ঘাটতে যাবনা। একটি বিশেষ কারনে আমার এই প্রত্যাবর্তন। যারা সিসিবিতে নতুন তাদের আমি অনুরোধ করব ১০/১৫ মিনিট সময় নিয়ে আমার আগের এই পোষ্টটিতে একটু ঘুরে আসার জন্য। এখানে ক্লিক করুনঃ একজন অখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার গল্প। আশা করি লিংকটি পড়ে এসেছেন।
বিস্তারিত»আমার সুকুমার পরিচয়
রামগরুড়ের ছানা, হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে-
হাসব না-না,না-না…..
ছোটবেলায় মায়ের মুখে শুনতাম, আর হয়ত না বুঝেই খিলখিল করে হেসে উঠতাম। জানতাম ও না যে মা আমাকে কোন বিশাল এক সমুদ্র পাড়ের নুড়ি পাথরের স্বাদ দিচ্ছেন, গন্ধ দিচ্ছেন, ছোঁয়া দিচ্ছেন । নিজেকেই মনে হত একটা রামগরুড়ের ছানা 🙂 । আপনাকে চিনতে পারিনি তখন, ক্ষমা করবেন ।
কি বিচিত্র সুন্দর সৃষ্টির পসরা যে আপনি সাজিয়ে রেখে গেছেন তা বুঝতে একটু দেরীই হয়েছে বোধহয়।
টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সায়েদ ভাই এর টুশকি সিসিবিতে একটা ক্যাটাগরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন উনাকে হারিকেন, মোমবাতি, হ্যাজাকবাতি কিছু দিয়েই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের সবারই ছয় বছরের ক্যাডেট জীবন টুশকিতে টুশকিময়। তাই কিছু টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ নিজ দায়িত্বে পড়িবেন!
১। এক স্যার এর টিজ নেম ছিল “ট্যাপা”। স্যার এই নাম শুনলে খুব ক্ষেপে যেতেন। তো এক দিন এই নাম শোনার পরঃ “ওই…
বিস্তারিত»প্রিয় কবিতা বা কয়েকটি সন্ধ্যা’র দখলঃ ‘রাহুর প্রেম’-রফিক আজাদ
ভাবছো তোমায় ভুলে যাচ্ছি,ভুলতে পারা
সহজ নাকি?যদিও তোমার ইচ্ছাটা কি তাও তো জানিঃ
নিষ্কৃতি চাও,অন্য কারো কাছে যাতে পারমানেন্টলি
থাকতে পারো-বারে বারে “ভুলে যেও’’-এই কথাটা
ব’লে দেয়া!তোমার কি মত,তুমিই বলোঃ
ভোলা কি যায়?নাকি কেহ ভুলতে পারে-
ভুলে যাওয়ার কথা আজকে এতো করে ভাবছো কেন,
তোমায় কেন ভাবতে হচ্ছে এই এতোদিন গভীর খেলায়
মগ্ন থেকে-আজকে কেন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে-
‘ভুলতে হবে’?এই এতোদিন পরে আমি এতোটা পথ
হেটে এসে আবার যে কোন চুলোয় যাবো,নতুন সে কোন
খানকি মাগীর দিকে আমি হাত বাড়াবো বলতে পারো?
হূ আহমেদ এবং রোযার কিছু কায়দা কানুন
বাংলাদেশ এবং দেশে বিদেশে থাকা বাঙালিরা (পূর্ব বঙ্গের)এখন ভুগছে হুমায়ুন আহমেদিয় জ্বরে। আলাদা করে পুর্ব বঙ্গ বলার কারণ কলকাতার ওঁরা নাকি হুমায়ুনের শোকে পাথর হননি। কি আর করা বাংলাদেশের বাঙালিরা এর উপযুক্ত জবাব চায়। ইন্টারনেট (বিষেশত ফেসবুক) ও পত্রিকাগুলো খুললেই পাওয়া যাচ্ছে এসব খবর। কেনো আমি এভাবে ভাবছি?! আমিও তো কয়েকখান স্ট্যাটাস শেয়ার করে দিলেই পারি; কি অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে বাঙলা সাহিত্যের, হুমায়ুন কতো উচু মাপের লেখক ছিলেন,
বিস্তারিত»