স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলার শিক্ষক জনাব সাইফুল ইসলামের হাত ধরে আধুনিক বাংলা কবিতার সাথে আমার প্রথম সখ্যতা। দুর্বোধ্যতার কন্টকমুকুট শোভিত হয়ে, রক্ত-ঝরানো পথ হেঁটে আধুনিক বাংলা কবিতা শতদল মেলেছে তখন। আমার কিশোর বুদ্ধি ও মনন তখনও সেই মদিরা পানের জন্য ঠিক পরিপক্ব হয়ে উঠেনি। অথচ সীমাহীন আগ্রহ ও এক ধরণের মোহন ঘোরের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই। কলেজ লাইব্রেরীর নীরব কিউবিকলে গোপন প্রেমপত্রের মতো করে চুপিসারে উল্টে যাই সুধীন কিম্বা বিষ্ণু দে।

বিস্তারিত»

গর্ব করার মত একটা লেখা শেয়ার করছি……

সিসিবির সকলের সাথে একটা দারুন লিঙ্ক শেয়ার করার লোভটা সামলাতে পারলাম না।

ঘটনা জানতে সংযোজিত লিঙ্কে গুতা দিন।

আমাদের মাসরুফ হোসেন!

বিস্তারিত»

চলমান সময়টাকে জানতে হলে ……..

আমার লেখার কিছু নেই। যশমান লিখিয়ে+বলিয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের চলমান সময়টাকে তৈরী করছেন, তা’ রেকর্ড করে রাখার জন্য প্রথম আলো থেকে একটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করে নিলাম আমার ব্লগে………

সময়ের চিহ্ন

বিস্তারিত»

বিদায় ভোকাবুলারি মাস্টার

কেবল ক্লাশ সেভেনে কলেজে ঢুকলাম।।  ছোট ছোট চুলে প্রায় টাক মাথায় ক্লাশে বসে আছি।। দিনটা মনে নাই। তবে সেটা ছিল ফিফথ পিরিয়ড।  খাটো মতন সাদা চুলের এক স্যারের প্রবেশ ক্লাশে।  সবাই চুপ।।  ফর্ম শান করান হল।  সব স্যার বলত ” seat easy” কিন্তু ইনি বললেন কিছুটা অন্যরকম ” seat to facile ”  আমরা কোন কিছু না বুঝে আগের মতই থাকলাম। স্যার ব্যাপার টা বুঝে বোর্ডে বড় বড় করে লিখলেন FACILE.

বিস্তারিত»

বিদায় ক্রিকেটের কন্ঠস্বর

আমার টেলিভিশনে ক্রিকেট দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল বিটিভির সাপ্তাহিক আয়োজন স্পোর্টস প্রোগ্রামে চ্যানেল নাইনের ক্রিকেট হাইলাইটস প্রোগ্রাম। যেটার উপস্থাপনা করতেন সাদা চুলের এক নাম না জানা ভদ্রলোক। একটা সময় পর্যন্ত কোমল কন্ঠের সাদা চুলওয়ালা ঐ ভদ্রলোকই ছিল আমার কাছে ‘ফেস অফ ক্রিকেট’, ‘ভয়েস অফ ক্রিকেট’।

এরপর ক্যাবল টিভির কল্যানে প্রচুর ক্রিকেট দেখা শুরু হলো, সেই সাথে পরিচিত হলাম প্রচুর কমেন্টেটর এর সাথে কিন্তু কেউই সেই সাদা চুলের মানুষটি যার নাম তত দিনে জেনেছি ‘রিচি বেনো’

বিস্তারিত»

১৯৭১ বাঙলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ

০১।
১৯৬৯ এর গন অভ্যুথ্বানের এই শিশুটি (টোকাই বা পথশিশু) একটি মিছিলের সর্বাগ্রে । ছবি রশিদ তালুকদার – অটোগ্রাফ এবিপি

child-1561

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ আলো’র বাড়ি যাবো

পশ্চিমে জন্মালে মিলি আপার নিজের টিভি শো থাকতো, একটা দুটো ম্যাগাজিন থাকতো ওপরাহ উইনফ্রির মতো, বাড়ীর পেছনে অর্গানিক ভেজি গার্ডেন থাকতো আর প্রতি বৃহস্পতিবার রেড বেল পেপার আর ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঝুড়ি হাতে ফটো শুট করতেন তার ফেইসবুক ফ্যানদের জন্য! কিন্তু আপা পূর্বে জন্মেছেন যেখানে রান্নাবান্না করে ঠিক জাতে ওঠা যায়না, আর মনি কাঞ্চনের কথা নাইবা বললাম এখানে!

আগের দিনে পালকি পাঠিয়ে নাইওরী নিতো গ্রামের বাড়ি আর এখন কেউ ভালবাসলে নিজেই ঘন্টাখানিক ড্রাইভ করে এসে চ্যাংদোলা করে সাথে নিয়ে যান।

বিস্তারিত»

মকবুল স্যার বাঁচবেন, আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে

ফেসবুকে Reza Shawon ভাইয়ের লেখা পড়ে আমারো একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

ক্লাস ৯ অথবা ১০ এর কথা। আমাদের B ফর্মে সেদিন ছিল ভূগোল ক্লাস। আমরা মোটামুটি সবাই বিরক্ত এই ক্লাস নিয়ে। কারণ, ভূগোল অনেক মুখস্ত টাইপের পড়া। কোন দেশ কোথায়, কোন অঞ্চলে আম গাছ, আর কোথায় বাঁশ গাছ বেশি পাওয়া যায়, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা। আফ্রিকাতে “রকি” মাউন্টেন, নাকি “কিলিমাঞ্জারো” এই নিয়ে আমাদের কেন এত মাথাব্যথা করতে হবে তা বুঝতাম না।

বিস্তারিত»

আন্সারুল্লা বাংলা টিমের জন্য সহানুভূতি

( আমার জীবনের সবচেয়ে অশ্লীল লেখা। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। গালাগালি যত খুশি দিবেন দেন, আর কোপাইতে মঞ্চাইলে ডাইরেক্ট হালাহ পন্থায় জবাই দিয়া দিয়েন, কোপাকুপি এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। শুঞ্ছি হালাহ পন্থায় জবাই করা প্রানী সুজা বেস্তে যায়! আমার আবার হুর নিয়া মাস্তি করনের অনেক শখ! আর কিছু বানান ভুল ইচ্ছাকৃত)

অভিজিৎদাকে যখন কোপানো হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে আমি খুব বেশী দুরে না, যদিও তার কিছুই আমি তখনো জানিনা।

বিস্তারিত»

শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ

ধুয়ে মুছে তৈরি হয়েছে তলোয়ার
সেজেগুজে গুঁজে গেছে কোমরে —
চারপায়ে তখন খুরের ধ্বনি,
মোবাইল বেজে উঠেছে
দিক আর নির্দেশ নিয়ে;
কীবোর্ডে অগুনতি ফলোয়ার
চাপাতি-কোপ দেবার জন্যে
নিয়ে নিচ্ছে দম

কেবল বইমেলার ধুলো পেয়েছিল টের
সেকেন্ড আগে ঢের
ওদের পা জড়িয়ে ছিল
ইনিয়ে বিনিয়ে
চেয়েছিল
আরেকটু দেরি হোক
কুশলাদি আর অটোগ্রাফ চেয়ে
আরো আসুক লোক
আরেকটু আটকে থাক
অভিজিৎ আর বন্যা

অথচ ধুলোর চেয়ে বেশি কে জানে
তা তো হবার না

এমন কি বইগুলো সব
পাতায় পাতায় অস্থির খসখস
বারংবার,

বিস্তারিত»

জে সুইস অভিজিৎ-আমিই অভিজিৎ

গতকাল দুপুরে ভরপেট খেলাম। খেতে খেতে খাবারের কিছু ছবিও পোষ্ট করলাম। ফেসবুকে ঢুকে দেখি প্রিয় লেখক/ব্লগার অভিজিৎ রায় বিডি নিউজে তার একটা লেখা দিয়েছেন “কেনো কোন কিছু থাকার বদলে কিছু আছে” শিরোনামে। খেতে খেতেই কিছু অংশ পড়লাম। লেখাটিতে লাইক দিলাম। খেয়ে দেয়ে একটা ভাতঘুম টাইপ দিলাম (যদিও ভাত ছিলো না মেনুতে)।

আমাদের ব্যাচের ছেলেপেলে এই তো কদিন আগে হোয়াটস এপে একটা গ্রুপ খুলেছে।

বিস্তারিত»

এ টি এম শামসুজ্জামান ও কয়েকটি প্রশ্ন

এটিএম শামসুজ্জামান এর জন্ম ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে। অভিনয়জীবন ৫৩ বছর। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার হিসাবে পরিচিত আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বা এ টি এম শামসুজ্জামান বা শুধুই এ টি এম। গ্রাম্য বদ মাতব্বর বা দুষ্ট কুচুটে চরিত্র হিসাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি অনেকটা মাইলফলক করে ফেলেছেন। উপরোক্ত চরিত্র মাথায় আসলেই প্রথমেই মনে আসে এ টি এমের কথা।

যদিও তিনি চলচ্চিত্রে ১ম কাজ করেন পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ১৯৬১ সালে। 

বিস্তারিত»

মহান বিজয়ের দিনে আমার মিশ্র অনুভুতি; প্রসঙ্গঃ ইসিএফ-এর প্রথম এক্সজিভিএল

ডিস্ক্লেইমারঃ আজ ঘন্টা দুয়েক আগে এই লেখাটা আমি ইসিএফ (এক্স-ক্যাডেটস ফোরাম)-এর ফেসবুক পেইজে দিয়েছিলাম। অনলাইনে আমার লেখালেখি কেবল সিসিবিতেই। এই প্রথম এমনটা হলো যে মনে কিছু মিশ্র অনুভুতি হয়েছে কিন্তু সিসিবিতে সেটা প্রকাশ করিনি। তাই লেখাটাকে প্রাসঙ্গিক ভাবে কিছুটা এডিট করে এখানে আবার পোস্ট দিলাম। তবে যেহেতু আজকেই ইসিএফ আয়োজিত প্রথম এক্সজিভিএল (এক্স গার্লস ক্যাডেটস ভলিবল লীগ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাই সঙ্গত কারনেই আমার অনুভুতি আমি ইসিএফ-এই প্রথম শেয়ার করেছিলাম।

বিস্তারিত»

সুলতানের স্কেচ বুক

sm-sultan-5

এস এম সুলতান বা লাল মিয়া আমাদের সমাজের আর দশজনের চোখে পাগল ছিলেন বলা যায়। মেয়েদের মতো শাড়ি পড়তেন, কখনো বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটতেন অজানায়, কখনো ঢাকার বুড়িগঙ্গার দিকে। ছোট চুলের কোন ছবি দেখি নি সুলতানের। হয়তো একই সাথে তিনি ছিলেন কৃষ্ণ আবার রাঁধা। স্যুট কোট, ক্যাডিলাক, পশ্চিমের আরাম-আয়েশ ছেড়ে অজ পাড়া গায়ে গিয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। সুলতান হয়তো পেরেছিলেন কারণ তিনি এই মাটিরই সন্তান ছিলেন।

বিস্তারিত»

আমাদের লাল মিয়া

এস এম সুলতান

S M Sultan - Self-portrait

(শিল্পীর আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি)

বাংলাপিডিয়ায় সুলতানের জীবনীর লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন:

” তাঁর কাছে অবয়বধর্মিতাই প্রধান। তিনি আধুনিক, বিমূর্ত শিল্পের চর্চা করেননি; তাঁর আধুনিকতা ছিলো জীবনের শাশ্বত বোধ ও শিকড়ের প্রতিষ্ঠা করা। তিনি ফর্মের নিরীক্ষাকে গুরুত্ব দেননি, দিয়েছেন মানুষের ভেতরের শক্তির উত্থানকে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঔপনিবেশিক সংগ্রামের নানা প্রকাশকে তিনি সময়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপন করেছেন।

বিস্তারিত»