ঠাকুর এ পৃথিবীর বায়ু গ্রহণ করেছিলেন আশি বছর। দিয়ে গেছেন তার চেয়ে অনেক, অনেক বেশি। জন্মেছিলেন কলকাতার সবচাইতে সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ঐশ্বর্য কম দেখেননি, ছেলেবেলা থেকেই দেখেছেন চারপাশে জাঁকজমকের আধিক্য। বিলাত ভ্রমণ করে আসা জমিদারপুত্র রবীন্দ্রনাথ হয়ে থাকাই তার জন্য অনেক সহজ ছিল। কিন্তু সে পথ তাকে টানেনি। টেনেছে তাকে নানা রকমের প্রশ্ন; টেনেছে তাকে জীবন।
সেই আশি বছরে ঠাকুর প্রেম খুঁজেছেন, প্রেমের কারণ খুঁজেছেন, স্বরূপ খুঁজেছেন। ঠাকুর আবেগ খুঁজেছেন, সুখ-দুঃখ, স্নেহ-মায়া, হাসি-কান্না, বন্দিত্ব-মুক্তি, গর্ব-অপরাধবোধ-হীনমন্যতা সকল আবেগকেই যেন তিনি পূর্ণতা দান করেছেন। ঠাকুর ভালোবাসতেন মানবকে, কখনোই ছেড়ে যেতে চাননি তাদের। ভালোবাসতেন প্রকৃতিকে, এ ধরণীকে, সমগ্র সত্ত্বাকে। তিনি ঈশ্বরকে খুঁজেছেন, তাঁকে ছুঁতে চেয়েছেন, পেতে চেয়েছেন। কিন্তু সবশেষে ঠাকুরও মানুষ, তিনিও বিদায় নিলেন, এ প্রকৃতির মাঝে, তার প্রেম এর মাঝে। “দোঁহার মাঝে দোঁহার অবসান” হল।
আজ তার জন্মের শত বছর পর আমরা প্রেমকে খুঁজি ঠাকুরের মাঝে, আবেগকে খুঁজি ঠাকুরের মাঝে, ঈশ্বরকেও খুঁজি ঠাকুরের মাঝে। যেন ঠাকুর প্রেম খুঁজতে গিয়ে নিজেই প্রেম হয়েছেন, আবেগের অন্যরূপ আজ ঠাকুর, অনেকের কাছে অনেকরূপে আজ ঠাকুরই ঈশ্বর।
তাই ঠাকুর, তোমার জন্মদিনে তোমায় প্রণাম করে ছোট করব না। শুধু বলব যেখানেই থাকো এ অধমের জন্য প্রার্থনা করো।বড় বেশি সস্তা আমি, শূন্য জ্ঞান আমার, তোমায় ছুঁতে না পারি ঠাকুর, অন্তত তোমায় এ মনে যেন নিতে পারি। সবশেষে, আবোলতাবোল বকা এ চোর আবারো তোমার একটি লাইন চুরি করে তোমার কাছে আর্জি করছে –
তোমারে দাও, আশা পুরাও, তুমি এসো কাছে
আমার ক্ষমতা থাকলে আবার নোবেল দিতাম।
উনি না আসলে বাংগালী কিভাবে যে মনের ভাব প্রকাশ করত তাই অবাক হয়ে ভাবি।
একবার পেয়েই উনি যে বিরক্ত ছিলেন আরো পাবার কথা বললে তো x-( x-( x-(
😀
বাহ! ভাল লিখেছো। আরেকটু লিখতে 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর হয়েছে 🙂
🙂
মোহাইমেন ভাই আপনি কেন কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট ছিলেন না, এ ব্যাপারে কলেজ কৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন রইল...
পাম্প কি কম দিলাম ......... কিছু তো দিলোনা
সাধু সাধু।
খুব ভালো লাগলো অয়ন।
আপনার প্রশংসা পাওয়া মানে অনেক কিছু ভাই , অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার!
ধন্যবাদ
এই প্রথম একটা পোলা দেখলাম যে রবিন ভাইরে পছন্দ করে... 😛
=))