রাখাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

লেখাটা পড়ে আমি নিজের চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। এ তুলনায় আমি-আমরা কতো ভাগ্যবান (!!) ছিলাম। লেখাটা একজন প্রাক্তন ক্যাডেটকে নিয়ে। তার জীবনের কাহিনী, কল্পনাকেও হার মানায়। আমরা এবিসি রেডিওতে তার ওপর এরকম একটা প্রতিবেদন কাল প্রচার করবো আশা করি। নিচের লেখাটা যখন ছাপা হয় তার পরে সম্প্রতি এই মানুষটির জীবনে একটা পরিবর্তন এসেছে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নেরর দায়িত্ব নিচ্ছেন কাল বা পরশু। সে কারণে মূল লেখার সঙ্গে আমার শিরোনামের পার্থক্য।

বিস্তারিত»

সহি খোয়াবনামা

[ভূমিকাঃ তারেক-এর লেখাটা পড়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে মনে পড়ে গেলো। চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা — মাত্র এই দুটো উপন্যাসের জনক তিনি। অথচ তাতেই চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। ছোটগল্প মোট ক’টা লিখেছেন জানিনা, আর সেটা নিয়ে খানিকটা তো জানলাম তারেক আর মাওলা ব্রাদার্স এর কল্যাণে।

আজকের লেখাটি লিখেছিলাম ‘৯৭ এর জানুয়ারিতে, ৪ তারিখ ইলিয়াস মারা যাবার পর। অস্থি-র ক্যানসার হয়েছিলো। কলকাতায় এসে চিকিৎসা করিয়ে আক্রান্ত পা-টি ছাড়া তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়,

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ৩ (শেষ)

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১ , ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২

সিঁড়ি দিয়ে উঠে প্রথমেই দৃষ্টি আটকে যায় কালের ধূলোয় জীর্ণ এক এলিভেটরে। একটা টানা দড়ি এর একেবারে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত চলে গেছে আর ভেতরে একটা হুইল চেয়ার রাখা । বোঝাই যাচ্ছে হুইল চেয়ার ফ্রাঙ্কলিনের ব্যবহারের জন্য ছিল, কিন্তু টানা দড়ি? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি বিশালদেহী ফ্রাঙ্কলিনের শরীরের সচল ঊর্ধ্বাংশের শক্তি এই এলিভেটরসহ নিজেকে টেনে তোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল!

বিস্তারিত»

রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যান চাই…..আমি আমার ব্যান চাই……

১) অনেকদিন ধরেই নিজেরে ফাটাফাটি ক্রিকেটার ভাবে ইন্ডিয়ার রাহুল দ্রাবিড়। আর, ওরই বা কি দোষ…বেচারা তো আসলেই অতীব ভালো ক্রিকেট খেলে।
টেকনিকে প্রবলেম নেই…টাইমিংটাও ঠিক আছে…ভালো রানও আসতাছে ব্যাটে…সবই ঠিক!!!!!!!!!!!
তাহলে তারপরেও আমি কেন ওর ব্যান চাই?????????????????//
আমি ওর ব্যান চাই…এই কারণে…যে,
যেদিন রাহুল দ্রাবিড় ভালো খেলে…, সেদিন ওর দলের আরেকজন খুবই ভালো খেলে।
যেদিন বেচারা বেশী ভালো খেলে…, সেদিন ওর দলের আরেকজন অসাধারণ খেলে!!!

বিস্তারিত»

মন ভালো নেই…..

অনেকদিন ধরেই আসলে মনটা ভালো নেই।
এখনো মানসিকভাবে ঠিক আছি…এইটা বউকে বোঝানোর জন্যে সিসিবি-তে আসি……বউ-য়ের গালি শুরু-র ঠিক আগেই চলে যাই (মনে মনে হয়তো বা চলে আসার জন্যে বউয়ের গালিটা আসার অপেক্ষাতেও থাকি…)
………এভাবেই চলছিলো।
গত কয়েকদিন ধরে সিসিবি-র আবহাওয়াটা-ও খুব একটা Smooth ছিলো না বলেই মনে হয়…
কিছুই ভালো লাগছিলো না।
তবে এখন আমার ভালো লাগছে…বেশ ভাল লাগছে।
কারণঃ
১) আমার ছেলে তার জীবনের লক্ষ্য বদলেছে……তার এই প্রায় সাড়ে চার বছর জীবনে সে আজ পর্যন্ত রিক্সাওয়ালা,

বিস্তারিত»

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া…

হায়দার হোসেনের এই গানটা আমাদের অব্যক্ত অনেক কথাই বলে ফেলল….আমরা কিছুই বলতে পারলাম না, শোকের ভয়াবহতা আমাদের পাথর করে ফেলেছে। নির্বাক নিস্তব্ধ হয়ে দেখে যাই ভিডিও ফুটেজ কিংবা স্বজনহারাদের স্থিরচিত্রগুলো। আমাদের বুকের লাল রক্ত শুধু বর্ণহীন অশ্রু হয়ে চোখ দিয়ে নিঃসৃত হয়ে চলে, কেউ বোঝে না এই যন্ত্রনাময় রক্তক্ষরনের রুপান্তরের নেপথ্য….

তবে আমি সারাজীবন এই যন্ত্রনা পেতে চাই। এই যন্ত্রনার রয়েছে এক অমিত শক্তি,

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১

হেনরী ওয়ালেস ভিসিটর’স সেন্টারের লবি যেখান থেকে আমাদের গাইডেড ট্যূরের সূচনা সেখানে মেঝের মোজাইকে আঁকা Pictorial Map এ পুরো স্প্রিংউড এস্টেটটিকে এক পলকে দেখা যায়। এস্টেটের পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে অবিরাম বয়ে চলেছে হাডসন নদী। তবে শীতকালে প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বরফ জমে থির হয়ে থাকে। হাডসনস্নাত এই এবং তদ্‌সংলগ্ন এলাকাটি হাডসন ভ্যালী নামেই সমধিক পরিচিত। পূর্বমুখী মিউসিয়াম,লাইব্রেরী আর বাড়ির অবস্হান পশ্চিম তীরের বেশ কাছাকাছিতে।

বিস্তারিত»

নির্বাক আমি…(ভুলব আমি কেমন করে)

ভুলব আমি কেমন করে (ইউ টিউব লিন্ক)

ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত

ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ধ্বস আর ব্যাংকিং সিস্টেমের ব্যর্থতা জন্ম দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার এবং এর প্রভাব এখন সারা বিশ্বজুড়ে। এ পরিস্থিতির সাথে পুঁজিবাদী মার্কিনীদের পরিচয় নতুন নয়, বিগত শতাব্দীতে সীমিত ও বড় পরিসরে অনেকবারই এর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৩০ সালের গোড়া থেকে প্রায় এক দশক স্হায়ী হওয়া গ্রেট ডিপ্রেসন (The Great Depression). বর্তমান সময়ের এই অর্থনৈতিক মন্দাকে মিডিয়া এবং প্রশাসন গ্রেট ডিপ্রেসনের সাথে তুলনা করছে মাঝে মধ্যেই।

বিস্তারিত»

তানভীর বন্দনা

সিসিবি’র এক অনন্য প্রতিভাধর সদস্য তানভীর ভাই। :-B কুমিল্লার বিখ্যাত ১৫তম ব্যাচের (৯৪-০০) একজন স্বনামধন্য এক্স-ক্যাডেট, এরপর বুয়েটেও। পড়াশুনায় তার আগে কেউ ছিলনা কখনোই। বোর্ডের উভয় পরীক্ষায় স্ট্যান্ড, গোমতীর এসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট, বর্তমানে জিপিতে। :boss:

আমার বড় সৌভাগ্য ছিল তার সাথে একই সময়ে একই কলেজে একই হাউসে থাকার। :guitar: বোধকরি ক্লাস এইটে উঠতেই ওনি আমার নজর কেড়ে নেন, কিন্তু সিনিয়রতো, কেবল দূর থেকে তাকে ফলো করি আমি,

বিস্তারিত»

তিন মুঠো মাটির সাথে সমস্ত হৃদয়…

তিন মুঠো মাটি, তিন রাউন্ড ভলি ফায়ার, বিউগলের অন্তিম সুর আর মরণোত্তর সালাম। ব্যাস, এভাবেই মেজর জেনারেল রফিক, লেঃ কর্নেল মঞ্জুর, লেঃ কর্নেল শহীদ আর কর্নেল গুলজারকে আজ শুইয়ে দিয়ে আসলাম চিরনিদ্রায়। কত সহজ!

কিন্তু এই চার শহীদ কি জানতে পারলেন, যে এই তিন মুঠো মাটি আর সালামের সাথে আমরা আমাদের সমস্ত ভালবাসা, শ্রদ্ধা, অশ্রু আর হৃদয়টাও দিয়ে দিলাম?

বিস্তারিত»

ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায়

একুশ নিয়ে ছোট ভাইরা নানারকম পোস্ট দিয়েছে। কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা স্মৃতিচারণের পোস্ট তাই আর নয়। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি এবিসি রেডিওতে অমর সূরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায় সকাল ৯টা, ১১টা এবং বেলা ২টার খবরের পর প্রচারিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১১টার খবরের পর এটি আবারো প্রচার হবে।

কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে সেটা শুনেছোও।

বিস্তারিত»

“ভ্রান্তি” – মিফতাহ, হ্যাটস অফ!!

হেলো এক্স-ক্যাডেটস (স্পেশালী জেসিসিয়ানস),

মিফতাহ [২০০০-২০০৬]-এর একটি অসাধারণ সুন্দর গান বেরিয়েছে FUAD FT. KONA এলবাম-এ, ট্র্যাকটার নাম ‘ভ্রান্তি’। ওটার ২ টা ভার্সন আছে এলবামটায় (আরো একটা গান আছে ওর সুরে “অবুঝ প্রশ্ন” ওটা অবশ্য কণার গাওয়া)। আপনারা এলবামটি কিনবেন এবং গানটা শুনবেন; খুবই ফ্যান্টাস্টিক!!

আমরা এরকম ট্যালেন্ট আরো আশা করছি আমাদের মাঝ থেকে।

বিস্তারিত»

রবি ভাই ও অন্যান্য

রবি ভাইকে আমি চিনি বড় সংকটের সময়। আমার পকেটে তখন টাকা নেই। বাবার কথা না শোনার কারণে বাড়ি থেকে টাকা বন্ধ। মাও তার গোপনে জমানো টাকা দিতে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অপরাধ- নিজের টাকা কামানোর মুরোদ নেই অথচ বাপের টাকায় সিগারেট খাই। অবিচার আর কি।

একদিন ভুল করে ছোট ভাইকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। দুপুরে কি কি যেন খাওয়ারও বায়না করেছিল। কিন্তু ভারি বিস্ময়ের সাথে ও লক্ষ্য করল দুপুরে আমার কাছে খাওয়ার টাকা থাকে না কিন্তু সিগারেট খাই গন্ডায় গন্ডায়।

বিস্তারিত»

আমি আবারও কিছু বলিতে পারিলামনা-৭ (শেষ পর্ব)

[যেভাবেই হোক, এই লেখাটা চালিয়েই যাবো ঠিক করেছিলাম…কিন্তু বিশেষ কারণে…শেষ করাই লাগলো!!!]
কেসঃ ২৩
প্রত্যেক ক্যাডেটের মাঝেই একটা দ্বৈতসত্ত্বা বাস করে।
নিজেকে দিয়ে আমি ব্যাপারটা পুরোপুরি উপলব্ধি করি…
প্রতিটা ক্যাডেটই একই সাথে…casual & serious; অলস আবার শেষ রাইতে ঠিকই বাড়ি দিয়া পইড়া ফেলায়…; চরম ইনফরমাল আবার একইসাথে ফরমালিটির বিশাল বস!!!!!
সে কারণেই আমি মোটামুটি শিওর ছিলাম…এই ব্লগ-এর এডু কিংবা মডু…অন্ততঃ সিনিয়র মোস্ট ভাই প্রেজেন্ট (সানাউল্লাহ ভাই)…আমার সবগুলি লেখা পড়বেন…এবং তেমন লেখা হলে আমার জন্যে বিশাল ধরণের ঝাড়ি অপেক্ষমান…

বিস্তারিত»