{নীচের আইটেম সম্পর্কে আগে থেকে আগ্রহ থাকলেও ফেসবুকে কামরুল ভাইয়ের লিঙ্ক ধরেই খোঁচাখুচি করেই এত কিছুর খোঁজ পেলাম। তাই ওনাকেই এই পোস্টটা উৎসর্গ করলাম। (সেই সাথে এরকম একজন সেলিব্রেটি ব্লগারের নাম লাগিয়ে আমার ব্লগের হিট কাউন্ট একটু বাড়িয়ে নেবার চেষ্টা)}
মারিও বালোতেল্লি। ২০ বছর বয়সী ইটালিইয়ান ফুটবল খেলোয়ার। কিছুদিন আগে জিতেছে ফিফার ‘গোল্ডেন বয়’ পুরষ্কার, বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুন খেলোয়ার ( অনূর্ধ ২১) হিসেবে। এ মৌসুমের শুরুতে প্রায় ২৪ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে ইন্টার মিলান থেকে যোগ দিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে। বর্তমানে সে ব্রিটিশ ফুটবল মিডিয়ার হট কেকে পরিনত হয়েছে। তবে তা তার ফুটবল মাঠের কোন ক্যারিশমার কারনে নয়, মাইক্রোফোনের সামনে কারিশমার জন্য। একের পর এক মোরিনহো স্টাইল বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। মোরিনহোর সাথে অবশ্য তার সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না, যার কারনেই তার ইন্টার ছাড়া। যাই হোক, এই পোলার (কামরুল ভাইয়ের ভাষায় আইটেম) কিছু যুগান্তকারী ডায়লগ সবার সাথে শেয়ার করার জন্যই এই ইন্ট্রো দিলাম। এবার দেখি ও কি বলে…
গোন্ডেন বয় পুরষ্কারের ভোটাভুটিতে ২য় সেরা জ্যাক উইলশেয়ার সম্পর্কে বালোতেল্লির অভিমত, “What’s his name? Wil … ? No, I don’t know him, but the next time I play against Arsenal I will keep a close eye on him, Perhaps I can show him the Golden Boy trophy and remind him that I won it.”
আগের বছরগুলোতে এই পুরষ্কার জেতা মেসি, ফ্যাব্রিগাস, রুনি, ভ্যান ডার ভার্ট সহ অনান্যদের সম্পর্কে বালোতেল্লির মূল্যায়ন, “There’s only one that is a little stronger than me: Messi. All the others are behind me.”
আর পুরষ্কার জয়ের পরে তার অনুভূতি, “I am delighted to receive the award, but who should have won it but me?”
প্রাক্তন গুরু মোরিনহো সম্পর্কে বালোতেল্লির মতামত, “Mourinho is the best coach in the world, but as a man he still needs to learn manners and respect,”
ইংলিশ মিডিয়া বালোতেল্লির প্রাক্তন প্রেমিকা সোফিকে ধোকা দিয়ে তারই এক বান্ধবীর সাথে একই ফ্লাটে নিশিযাপনের কাহিনি প্রকাশ করলে তার জবাব দেয় বেলোত্তি এভাবে, “All I can say about Sophie is that I saw her once and she started bombarding me with messages, while one of her friends was far more interesting to me.”
আর ইংলিশ মিডিয়া… “However, England is far ahead of the rest in terms of stadia and far behind in terms of its media. The newspapers are just trash.
ম্যানচেস্টার সিটির এট্যাক তার মতে এখন বিশ্বের সেরা, “Our attack of Balotelli-Tevez-Dzeko is the best in the world, We are the strongest. Better even than Barcelona and Real Madrid.”
আর মেসি’র ব্যালান ডি’অর জেতা সম্পর্কে তার অভিমত, “I don’t believe Leo Messi deserved the Ballon d’Or, as it should’ve gone to Wesley Sneijder.”
এসবের পাশাপাশি তার আরো বেশ কিছু চমকপ্রদ ইতিহাস রয়েছে, মেয়েদের জেলের গেট ভেঙ্গে বেআইনি ভাবে ঢোকার চেষ্টা, ইন্টার মিলানের খেলোয়ার থাকা অবস্থায় চিরশত্রু এসি মিলানের জার্সি পরে টিভি শোতে হাজির হওয়া, লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ওকে নিয়ে শেষ করবো বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক, জনাব কামরুল হাসানের করা একটা ভবিষ্যত বানী দিয়ে, “এই পোলা একটা… আইটেম হবে কয়দিন পর।”
তবে বালোতেল্লির কথাবাত্রা যত উলটো পালটাই মনে হোক না কেন, একটা ব্যাপারে আমি ১০০% একমত, সেটা হলো এবারের ব্যালান ডি’অরের দাবিদার মেসি, জাভি বা ইনিয়েস্তা নয়, আসল দাবিদার হলো স্নাইডার।
ওস্তাদতো দেখি এরিক কাঁতোয়া্র লাইনে আগাইতেছে।
আইটেম মারিনহোরে কিন্তু ভালই চিনছে। (সম্পাদিত)
মরিনহোকে আসলেই ঠিক ভাবে চিনছে, কিন্তু পোলা নিজেরেই এখন চিনতে পারে নাই মনে হয় 🙂
তবে কাঁতোয়ার পুরা আলাদা লেভেলে আছে, দর্শকরে ফ্লাইং কিক মারার আগে ঐ লেভেলে পৌছানো টাফ ব্যাপার 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ছবিটা কিন্তু ব্যাপক হইছে। আর এভারেজে ভাল ফুটবলারদের মাথায় ঘিলু একটু কমই থাকে, সুন্দরী মেয়েদের মত। পেলে, ম্যারাডোনা থেকে হালের রোনাল্ডো, সবডিই।
মেসি মনে হয় ব্যতিক্রম, অনেক সলিড। মেসি, জাভি, এরা চেক এন্ড ব্যালান্স করতে জানে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বেলোত্তির চেহারা মুবারক দেখানোর জন্য গুগলে ছবি সার্চ দিছিলাম, সব বাদ দিয়া এইটাই দারুন পছন্দ হলো 😛 আর ভাল ফুটবলারদের মাথার ঘিলুর ব্যাপারে আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এভারেজে ভাল ফুটবলারদের মাথায় ঘিলু একটু কমই থাকে
বল নিয়ে গুতাগুতি করতে করতে মনে হয় নীচের দিকে নেমে যায়...
আইটেমটারে পছন্দ হইসে 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মরিনহো বড় বড় কথা যেমন বলে,বড় বড় কিছু ট্রফিও তেমন জিতেছে।বালোতেল্লি তো এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই পারে নাই,ম্যান সিটির সব ম্যাচেও তো সে নিয়মিত না,আমার মনে হয় না যে সে বেশি দুর যেতে পারবে।
রিয়াল মাদ্রিদ সাপুটার 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
নামটা বোধহয় 'বালোতেল্লি'। টেলিভিশনে ভাষ্যকাররা ওরকমই উচ্চারণ করে শুনেছি।
ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস যা-ই বলিস খেলাধুলায় এখন 'কারেক্টার' অনেক কমে গেছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে সমান মজা দিতে পারার মতো স্পোর্টসম্যান এখন খুব কম। বালোতেল্লি কিন্তু নিখাদ 'কারেক্টার'। ক্ষ্যাপা সব কাজ কারবার করে, উল্টাপাল্টা কথা বলে প্রায়ই আবার মাঠেও পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ না। সব মিলিয়ে এই ধরণের স্পোর্টসম্যান আছে বলেই আমরা খেলা দেখে, খেলা নিয়ে কথা বলে এতো মজা পাই। বালোতেল্লির মত 'কারেক্টার' তাই দরকার আছে। দিন দিন সে এরিক কাতোঁয়া হয়ে উঠুক, কিংবা তাকেও ছাড়িয়ে ম্যারাডোনার মত হোক, তাহলেই তো মজা।
এই ছেলের জীবন কাহিনীও খুব ইন্টারেস্টিং কিন্তু। ছোটবেলায় সম্ভবত পাকস্থলীতে গুরুতর কিছু হয়েছিল। বাঁচার কথা ছিল না। চিকিৎসার খরচ ছিল না, বাবা-মা তাই তাকে দত্তক দিয়ে দিলেন অন্য এক পরিবারের কাছে। তারা তাকে পেলে পুষে বড় করে তুললেন। বড় হয়ে আসল বাবা-মা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন, কিন্তু ছোটবেলায় কেন দত্তক দিয়ে দেয়া হল এই অভিমানে বালোতেল্লি নিজেই তখন আর ফিরে যায়নি। তবে ইন্টার মিলানে থাকার সময় নিজের ম্যাচের টিকিট ঠিকই পাঠাতো আসল বাবা-মা কে। ইন্টারেস্টিং।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আরও শুনছি, ইন্টারের গেটে নাকি আসল বাবা-মা দেখা করতে গেলে সে দেখা করে না। ফেরৎ পাঠায় দেয়।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কথা সত্য। পোলা নিজে স্বীকার করছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
নাম টা সংশোধন করে দিলাম।
আসলে এখন সব কিছুর মধ্যে প্রফেশনালিজম চলে আসছে, এ জন্যই মনে হয় এসব ক্যারেক্টারেরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। মাঠের বাইরে কিভাবে 'ইমেজ' মেনইটেইন করতে হবে সে ব্যাপারে সবাই খুব সচেতন। আর ম্যানেজারেরাও এইসব ক্যারেক্টারদের খুব একটা ভাল ভাবেও নেয় না।
বালোতেল্লি মাঠের বাইরে ( ভিতরে আপাতত দরকার নাই 😛 ) আরো বড় ক্যারেক্টার হয়ে উঠুক...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লেখাটা ভালো লাগসে। আমি প্রায়ই সিসিবি এসে পড়ে যাই। আজকেই কেনো যেন মন্তব্য করতে ইচ্ছা হইলো।
সুহান
লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল সুহান, ধন্যবাদ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আরো কীর্তি জানতে মন চায় এই আইটেম
এর :dreamy:
এইটা ত পুরাই মাল।এইরকম মালের দরকার আছে।দুনিয়াডা বড় পাইন্সা হইয়ে গেছে। :goragori:
মল্লিক ভাইয়ের মত আমারো ধারনা ছিল সুন্দরীদের ঘিলু কম থাকে।কিন্তু ইদানিং আবার গবেষকরা বাইর করছে সুন্দরী-হ্যান্ডসাম মেয়েছেলেদের বুদ্ধি বেশি থাকে।কথা সেইটা না-বায়োলজিকালি এডাল্ট
ছেলেদের ঘিলু-১৩৬১ গ্রাম
মেয়েদের ঘিলু-১২২৮ গ্রাম :-B
কারো যদি অন্য প্রজাতির ব্যাপারে আগ্রহ থাকে তাইলে নিজ দায়িত্বে--
http://pubpages.unh.edu/~jel/brainIQ.html
:dreamy:
কি বিচিত্র এই সেলুকাস!
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!