প্রথম ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়েছিল গত জুন মাসে। কোনো এক মধ্যরাতে Into the wild মুভিটা দেখে বিমোহিত হয়ে গেছিলাম। অন্য কোন মুভি দেখে আমি এতোটা প্রভাবিত হয়েছিলাম কিনা মনে পরে না.. মুভির নায়ক জীবনের প্রতি ব্রীতশ্রদ্ধ হয়ে একদম কপর্দকহীন অবস্থায় বেড়িয়ে পরে আমেরিকার পথে পথে.. ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ফেসিনেটিং মনে হয়েছিল। এতই বেশি রকম ভাবে যে , বিষয়টা একদম মাথায় খুটি গেড়ে বসেছিল। অবশ্যই সব কিছু ছেড়ে ফুড়ে একেবারে পথে বেড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না.. বাস্তব আর চলচ্চিত্র এর পর্দার মাঝে অনেক ফারাক। তবুও এই অচেনা দেশটা ঘুরে ফিরে দেখার একটা সুপ্ত ইচ্ছে তখন থেকেই মনের মাঝে পুষে রাখলাম । এরপর দু এক মাস পরের ঘটনা। ফেসবুক আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে বন্ধু শাফকাত একদিন বলে উঠল যে আমাদের একটা রোড ট্রিপে বের হওয়া উচিত। ওর আবার একটা হিমুর উপন্যাস পড়ে চাঁদ দেখার খায়েশ হয়েছে। তাই বেড়িয়ে পড়তে চায় রাস্তায়। আর বলে রাখা ভালো যে আমাদের বলতে ও বুঝিয়েছে , আমি, শাফকাত আর রাফি। তিন প্রাক্তন মির্জাপুরিয়ান ৪২ তম ব্যাচ। যাই হোক, কিছু না ভেবেই দুম করে আমরা ঠিক করে ফেললাম যে এই ডিসেম্বরেই আমরা টেক্সাস থেকে শুরু করবো আমাদের ট্রিপ। কোথায় যাবো, কি করবো কিছুই জানিনা। শুধু একটা জিনিস আমরা জানি যে আমাদের বেড়িয়ে পড়তে হবে রাস্তায়।
দিন যেতে থাকলো। পড়াশুনা ও বিভিন্ন কাজে এ বিষয়ে আর তেমন কোনো কথা বার্তা হলো না। আস্তে আস্তে সেমিস্টার ও শেষ হয়ে এল। পরীক্ষা শেষ করে পরদিন ই আমি এনাপোলিস থেকে উড়াল দিয়ে চলে এলাম ডালাস আর্লিংটনে আর শাফকাত ওর গাড়ি নিয়ে চলে এল আটলান্টা থেকে। রাফির ডালাসের বাসায় শাফকাত ওর গাড়ি রেখে আসলো। ১৮ তারিখ রাত টা আমরা কাটালাম রাফির এপার্টমেন্ট এই.. ওর ক্যাম্পাসের ভেতরেই। সন্ধ্যার পর একটু ঘুরে ঘুরে দেখলাম ক্যাম্পাসটা। এরপর গেলাম ডাওনটাউন এ । শাফকাত ইচ্ছে হলো স্টেক খাওয়ার। তো এক স্টেকহাউজে ঢুকে পেট পুজো সারা হলো। এরপর গাড়ি নিয়ে কিচ্ছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর ফিরে এলাম এপার্টমেন্ট এ । রাত টা কাটিয়ে সকালে রেডি হয়ে গেলাম আমাদের আসল ট্রিপের জন্য। গাড়িতে জিনিসপত্র লোড করে চড়ে বসলাম। এর আগে ওয়াফল হাউজে গিয়ে একটা মারদাঙ্গা রকমের ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। এরপর শুরু হলো আমাদের যাত্রা। আপাতত গন্তব্য মেক্সিকো সীমান্তের নিকটবর্তী শহর এল পাসো। আর্লিংটন থেকে প্রায় ৫০০ মাইল দূরে। বেশ লম্বা ড্রাইভ। হাইওয়ে তে উঠেই চারপাশ দেখা শুরু করলাম। এই সেই টিপিকাল টেক্সাস ! রাস্তার দু পাশে বিশাল এলাকা। নেই কোন লোকবসতি। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে অদ্ভুত এক ধরণের অনুভূতি জাগে মনে। কিছু দূর যাওয়ার পর ই টের পেলাম যে একটা পুলিশের গাড়ি আমাদের ফলো করছে। ছ্যাত করে উঠলো আত্মা ! হায় , হায় ! শুরুতেই বিপত্তি ! যাই হোক, গাড়ি থামালাম আমরা। স্পিড লিমিট অতিক্রম করার জন্য একটা লিখিত ওয়ার্নিং খেলাম। বলতে গেলে অল্পের উপরই ফাড়া কেটে গেল। এরপর আবার শুরু হলো যাত্রা। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছিল রাস্তার চারপাশের দৃশ্য। এরমাঝে হুট করে হাজির হলো এই রংধনু।
এল পাসো তে যখন পৌছালাম তখন বাজে প্রায় রাত ৯ টা.. মোটেলের রুমে জিনিস পত্র রেখে বেড়িয়ে পরলাম ডিনার করতে। একদম মেক্সিকান সীমান্তের কাছের শহর.. রাস্তা থেকেই মেক্সিকোর নিকটবর্তী শহরের আলো দেখা যায়। সিদ্ধান্ত নিলাম আজ রাতে আমরা মেক্সিকান খাবারই খাবো। রাত বাজে প্রায় ১০ টা। সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে একটা রেস্টুরেন্ট খুঁজে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। রাতে মোটেলে ফিরে “প্রিজনার” মুভিটা দেখলাম। মোটেলের লবিতে দাড়িয়ে আলো ঝলমলে মেক্সিকো কে দেখা যায়। সেই দৃশ্য ও দেখলাম অনেকক্ষণ। এরপরই ঘুম।
সকালে আবার বেড়িয়ে পরলাম। এবারে যাত্রা আরো লম্বা। আজ রাতের মাঝে আমাদের পৌছাতে হবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে। প্রায় ১১/১২ ঘন্টার ড্রাইভ। শুরু হলো যাত্রা। নিউ মেক্সিকো তে ঢুকে পরলাম কিছুক্ষণের মাঝেই। রাস্তার দু ধারের দৃশ্য অনেকটা টেক্সাসের মতোই। সেলফোনের সিগন্যাল উঠা নামা শুরু করল। বোঝা যাচ্ছে যে আমরা ধীরে ধীরে দুর্গম এলাকার দিকে যাচ্ছি। নিউ মেক্সিকো মোটামুটি ছোট একটা অঙ্গরাজ্য।নিউ মেক্সিকো তে আবার বেশ কড়া চেকিং। একদম মেক্সিকান বর্ডারের কাছে , তাই ঐখানে আইডি ও ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র বেশ ভালোভাবে চেক করা হয়.. গাড়ি থামাতে হলো একটা চেকপোস্টে। এক অফিসার এসে আমাদের কাগজপত্র দেখতে চাইলেন। আবার মাথায় বাজ পরলো ! পাসপোর্ট ভিসা তো রেখে এসেছি সেই মেরিল্যান্ড এ.. আমার দেখাদেখি রাফিও আর্লিংটনে ওর কাগজপত্র রেখে এসেছে। যাই হোক, মিলিটারী আইডি টা সেই মুহুর্তে বেশ কাজে লাগলো। আমাদের আইডি ভেরিফাই করে , কিছু হালকা জোকস টক্স করে আমাদের আবার যাত্রা শুরু করার পারমিশন দেওয়া হলো.. ধীরে ধীরে নিউ মেক্সিকো পেড়িয়ে আমরা ঢুকে পরলাম এরিজনা তে। রাস্তার দু ধারের দৃশ্য ও ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করলো। মাটির রং হতে শুরু করলো লালচে রঙের। পাথুড়ে এলাকা। এখানেও নেই কোনো জনবসতি। মরুভূমির মতোই নির্জন। অনেক সময় ড্রাইভ করার পর একটা দুইটা ছোট শহর চোখে পরে। শহর গুলোর নামও বেশ মজার। একটা শহরের নাম এলিফেন্টস বাট… আরেকটা শহর এর নাম ছিল ট্রুথ ওর কনসিকুয়েন্স। বুঝলাম না এরা আর কোনো নাম কেন খুঁজে পেল না ! আরিজোনার মাঝ দিয়ে চলার সময় একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম। পেট্রিফাইড ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে যখন আমরা পৌছি, তখন হুট করে বৃষ্টি নামে.. সে এক তুমুল বৃষ্টি। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো গাড়ির সামনের কাঁচে একদম ক্লিয়ার ! এক ফোটা পানি পর্যন্ত নেই.. বাতাসের বেগ স্বাভাবিক। রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে ক্ষান্ত দিলাম। হু কেয়ারস? দিস ইজ এরিজোনা ! যাই হোক , আমরা পৌছে গেলাম ফ্ল্যাগস্টাফ শহরে। ওখানে পৌছে একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলাম গুগল করে.. হই হই করে ঢুকে পরলাম রেস্টুরেন্ট টায়। চিলি ল্যাম্ব আর দুই প্লেট বাসমতি চালের ভাত দিয়ে কঠিন একটা ডিনার করলাম। রাফি আর শাফকাত কে দেখেও মনে হলো খাওয়া দাওয়া একটু বেশি হয়ে গেছে। এরপর পাশের ওয়ালমার্টে ঢুকে কিছু ক্যাম্পিং এর জিনিসপত্র কিনে নিলাম। লক্ষ্য হলো রাত ১২ টার মাঝে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে পৌছে রাতটা খোলা আকাশের নিচে কাটানো। ওয়েদার রিপোর্ট দেখলাম। তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। রাস্তায় স্নো থাকার সম্ভাবনা আছে। রাস্তাটাও নাকি বেশ দুর্গম। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে দিলাম যাত্রা ! পরাজয়ে ডরে না বীর ! আমাদের লক্ষ্য একটাই, রাতের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখা। আবার চালু হলো ইঞ্জিন। রাস্তা টা ছিল অদ্ভুত। এই তীব্র শীতের রাতে সেই রাস্তায় আমরা আর কোনো কাক পক্ষীর দেখাও পেলাম না.. রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শেষ করে রাত ১২ টার দিকে পৌছে গেলাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পার্কে। এই রাতে গেটেও কেউ নেই.. ফ্রি ঢুকে পরলাম পার্কে। চলে গেলাম ভিজিটর সেন্টারে। আবিষ্কার করলাম কেউ নেই ওখানে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে। কোন পাগলেও মনে হয় এই শীতে ক্যাম্পিং করবে না ! কোনো একজন মানুষকেও খুঁজে পেলাম না কোথাও ! হুট করে মনে হলো এই মুহুর্তে হয়তো এই পুরো এলাকায় আমরা তিন জন বাদে আর কেউ নেই ! অদ্ভুত এক নীরবতা চারপাশে। পার্কিং করার একটা জায়গা পেয়ে গাড়িটা পার্ক করলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়া এই দুর্গম এলাকায় এই মধ্যরাতে গাড়ি নিয়ে আশ্রয় খোঁজার কোনো মানে নেই.. তারচেয়ে গাড়িতে রাত কাটানোই ভালো মনে হলো । গাড়ি পার্ক করে , পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতের কাপড় পরে আমরা বেড়িয়ে পরলাম রাতের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে। ইয়াভা পয়েন্ট নামক একটা জায়গায় গেলাম। দাড়ালাম একটা সুবিধাজনক স্থানে। চোখ মেলে তাকালাম সামনে। এই সেই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ! চাঁদের আলো তে ঝাপসা একটা অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তুমুল ঠান্ডা বাতাস। অদ্ভুত এক নীরবতা। নিজেদের কেন জানি ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল অনেক। এই অন্ধকারের মাঝেও বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম।
বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম ওখানে। আমাদের ঘোর কাটলো যখন আমরা টের পেলাম যে ঠান্ডায় আমাদের হাত-পা জমে প্রায় অনুভূতিহীন হয়ে গেছে। গাড়িতে ফিরে এলাম। বাইরে রাত কাটানো অসম্ভব। গাড়িতে ঢুকে তিন জন ই ঘুমানোর চেষ্টা চালালাম। কিছুক্ষণের মাঝেই বুঝতে পারলাম যে আমরা বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছি। বের হয়ে এলাম বাইরে। গাড়ির ছাদে চড়ে বসলাম। যে মুভি দেখে এই ট্রিপ এ বের হওয়া , সেই মুভির পোস্টারের অনুকরণ করে আমরা ফটোসেশন করলাম।
গাড়িতে চলে এলাম আবার। আমি সারারাত ঘুমাইনি। শেষ রাতের দিকে টের পেলাম যে আস্তে আস্তে আরো অনেক গাড়ি আমাদের চারপাশে পার্ক করা শুরু করেছে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে সূর্যোদয় দেখতে এসেছে বোধহয়। যাই হোক, একটু আলো ফোটার সাথে সাথে আমরাও বেড়িয়ে পরলাম। দু চোখ ভরে দেখলাম ভোরের আলোয় সামনের এই বিশাল বিস্ময়কে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে আমরা বিভিন্ন পয়েন্ট দেখতে বেড়িয়ে পরলাম। ততক্ষণে সূর্যের আলো পৌছাতে শুরু করেছে। সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য। বেলা ১০ টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করলাম। আরো কয়েকটা ছবিও তুললাম দিনের আলো তে.. সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য !
চলে আসার আগে দিয়ে আসলাম একটা ক্যাডেটিয় স্যালুট !
এরপর বেড়িয়ে পরলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দিয়ে একটু আয়েশ করে বসলাম। চোখ জুড়ে নির্ঘুম রাতের ক্লান্তির একটা রেশ.. তবুও সামনের কয়েকটা দিনের উত্তেজনা সব কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। রোদটা বড্ড জালাচ্ছে।সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে সিট টা একটু পিছিয়ে দিলাম..অনেক দিন পর বাংলা গান শোনা হচ্ছে। ফুল ভলিউম দিয়ে দিলাম। অর্থহীনের “রাতের ট্রেন” ! লিরিক টা আমরা তিন জনই মনে হয় একদম ভালোভাবে ফিল করছিলাম।আস্তে আস্তে চারপাশে পার্বত্য এলাকার উপস্থিতি টের পাওয়া শুরু করলাম। গাড়ি ছুটে চললো দূরের অজানা গন্তব্যে । সরি, ভুল বললাম। গন্তব্য টা ঠিক অজানা না.. আমাদের খুব ভালো করে জানা আছে যে নেক্সট আমরা কোথায় যাচ্ছি। গন্তব্য এবার , সিনসিটি ! লাস ভেগাস !!
বি দ্র : সমস্ত ছবি তুলেছেন গুণধর ফটোগ্রাফার বন্ধু রাফি আলম
১ম জায়গা দখল তারপরে পঠন!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
জায়গা দখল প্রতিযোগিতা আবার শুরু হইয়া গেল দেখা যায় 😀
হামিমের পোস্টে তুমি জায়গা মাইরা দেয়ার পর থেইকা সতর্ক হইলাম! :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নেক্সট পোস্ট যখন দিবো, তখন নিজেই আগে জায়গা দখল দিবো B-)
জায়গা দখল নিয়া কোন চুদুরবুদুর চইলতনা! x-(
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:pira: :pira: :pira:
::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute::
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
মানে ওয়ার্নিং রাফি খাইলো আর কি 😛 (সম্পাদিত)
সঙ্গে এক্স্ট্রা আরো দুইটা ওয়ার্নিং ছিল - (১) নাম্বারপ্লেট বাম্পারে না লাগিয়ে ড্যাশবোর্ডে রাখা ছিল, আর (২) পাঁচটা ব্রেক লাইটের মধ্যে একটা কাজ করতেসিল না।
আমারই কপাল। ~x(
(যদিও টিকেট খাই নাই!)
তুমরা টেকছাছের রাস্তায় তাফাল্লিং করতাসিলা? কইলজা কয় সের?! :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
টেকছাছের ছাওয়াল তো টেকছাছেই তাফাল্লাই করবাম - আর কনে? :grr:
কথা অবিশ্যি সইত্য! 😐
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কইরা কিন্তু আমরা আসলে বেশ ভালোই ডরাইছিলাম 😛
তোমার প্রতি ট্রিপেই একটা কাবযাব লাইগাই থাকে। গতবার তো ল্যাংলিতে আটকাইসিলাম! আরেকটু হইলেই :gulli: :gulli: ভইরা দিত স্নাইপার মামারা! :brick:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নিউ ইয়র্ক সিটির এক পার্কে সানসেটের পর অবস্থান করায় ও সামারে পুলিশের খপ্পরের পরেছিলাম। বেশ কয়েকজন টিকিট ও খাইছিল। আমার সাথে আম্রিখান পুলিশ বাহিনীর কেন জানি বেশ ভালো সখ্যতা আছে... কেমনে কেমনে জানি আমার আশেপাশে এসে হাজির হয়ে যায় 😀
হেহেহেহেহে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাল লাগল ভাই। স্যালুট দেয়ার আগে মাথায় কিছু পড়লে নিয়মরক্ষা হত।
স্যালুট দিছি ব্যাটা এইটাই বেশি ! ঠান্ডায় পুরা জইমা যাইতেছিলাম 🙁
তুই লিখলে বিশাল সুবিধা। আমাদের আর ঝামেলা করা লাগলো না 😀
পথে পথে চলতে থাকুক, আমরাও সাথে চলতে থাকি :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পুরোনো পাপীদের কমেন্টে আমি ব্যাপক অনুপ্রাণিত বোধ করি 🙂
:clap:
ভালো থাকা অনেক সহজ।
:hatsoff:
চলতে থাকুক।
পাসপোর্ট ভিসা না নিয়ে বেরুনোটা বিশাল ভুল ছিলো।
চলবে আশা করি...
শিক্ষা হয়ে গেছে। নেক্সট টাইম নিয়ে বের হবো... 🙂
ছবিগুলো ভাল লাগলো, বর্ণনাও । রংধনুর ছবি তোলার শখ অনেক দিনের কিন্তু ভাল ক্যামেরা হাতে পাবার পর ও জিনিসটা আর দেখতেই পাইনা । 🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ মোস্তাফিজ ভাই 🙂
মিলিটারি আই ডি'র কাহিনিটা কি আসলে?
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
তেমন কিছু না ভাই। স্বজন প্রীতি আর কি। মাঝে পুলিশ অফিসার রা মিলিটারী আইডি দেখলে একটু স্বজন প্রীতি করে 😛
বেশ ভালো কাহিনী। চলতেই থাকুক। আমরা বাংলাদেশেরও গাও গেরামের মানুষ আম্রিকা দেখি 😛
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
😀
😕 আম্রিকা যাইতে মনো চায় :(( :((
😛
ঠিক মত ফড়াশুনা কইরতে হবে। তারফরেই আইসতে ফাইরবা! :chup:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আহ! আমেরিকা! দ্য বার্থপ্লেস অফ এইডস! 😀 😀
মজা পেয়েছি।
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
ভাই খালি এইডস এর কথা ইয়াদ করলেন :)) :))
তোদের তিনটাকে খুব হিংসা হচ্ছে 🙁 !মাথায় এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দু'টো ইচ্ছা- ইনটু দ্য ওয়াইল্ড দেখতে হবে... আর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যেতে হবে কোন এক পূর্ণিমা রাতে।
আপাতত ইনটু দা ওয়াইল্ড টা দেখে ফেল.. হাতে অনেক সময় নিয়ে রিলাক্সড হয়ে..
আর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ও হয়ে যাবে একদিন ইনশাল্লাহ 🙂
চলতে থাকুক নাফিস, তোমার লেখা পড়তে ভাল্লাগে :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অনেক ধন্যবাদ কাইয়ুম ভাই...
পার্ট ২ তে কি তাহলে সিনসিটি আসতেছে ? 😀
মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...
দেখা যাক আসতেও পারে , নাও আসতে পারে। হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস , স্টেইস ইন ভেগাস 😛
adventurous dost :thumbup:
"মরনের বীথিকায় জীবনের উচ্ছ্বাস,
জীবনের যাতনায় মৃত্যুর মাধুরী"
ধন্যবাদ দোস্ত 🙂
চমৎকার লেখা হয়েছে। তিন সুহৃদের আনন্দ ভ্রমণে এই লেখার মাধ্যমে অংশীদার হতে পেরে খুব ভালো লাগলো। দু'বছর আগে দু'মাস ধরে আমেরিকা বেড়িয়ে এসেছি। সে স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।
অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই!
আপনার সেই ভ্রমণের কাহিনী ও লিখে ফেলুন না একদিন ! পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂