অন্য সুর

অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!

সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।

ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩

এর কিছুদিন পর আমার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আব্বা সেই পূরণকৃ্ত ফরমটার উপর আঠা দিয়ে সেঁটে দিয়ে ফরমটা আমাকে পড়তে দিলেন। তখনই প্রথম ক্যাডেট কলেজ কথাটার সাথে পরিচিত হ’লাম। আগে ক্যাডেট কলেজ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না. পূরণকৃ্ত ভর্তি ফরমটা পড়ে বুঝলাম, এটা আমার স্কুলের চেয়েও উন্নত মানের কোন প্রতিষ্ঠান হবে। তবে উন্নত নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ভেবে পুলকিত হবার চেয়ে আমার ভালো লাগার পুরনো স্কুলটিকে ছেড়ে যাবার বেদনাই আমাকে বেশী আচ্ছন্ন করে রাখলো।

বিস্তারিত»

গ তি ও গ ম ন

~ এ ক ~

খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে দু’পাশের গাছ, পাখি, নদী ও সবুজ। পথের দু’পাশের সময়ের স্মৃতিবহ সুবিশাল বৃক্ষরাজির শাখা-প্রশাখা চূড়োরা মিলেমিশে তৈরী করেছে যেন অবিরাম সবুজের এক অন্তহীন সম্ভাষণ তোরণ। দুর্বিনীত এই ছুটে চলার মাঝে অপসৃয়মান সবুজের ফাঁক গলে তীরের ফলার মতোন ধেয়ে আসছে অসংখ্য আলোর রেখা। অবিরাম সবুজ এই তোরণের সুদূর সীমান্তে অত্যুজ্জ্বল আলোর বন্যায় অপেক্ষমান বিদায়ী সূর্য। যেনো বসিয়েছে এক সোনালী স্বাগত সভা।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ নিশিরাতে কে গান শোনাতো

যে চোখ দিয়ে তোমার আঁধার রাতে জোনাক পোকাদের উৎসব দেখো সেই চোখ দুটো দেখতে বড় ইচ্ছে করে, অধরা! দুপুরের রোদের ঝিলিক কমে আসতেই রংবাহারী প্রজাপতিদের উড়ে ঘুরে বেড়ানোর বাহানা দেখি আমার কাঁচের জানালায়!

লালচে খয়েরী আর বাদামী নীলের পাখনা মেলে তারা উড়ে বেড়ায় পাতায়, ডালে আর ফুলের রেনুতে। বাগানের কোণে ফুটে থাকা ক্রিসেনথিমামের শোভা দেখতে দেখতে দূরদ্বীপবাসিনীর একজোড়া চোখ ভাসে আমার চোখের আয়নায়।

বিস্তারিত»

তুমি রবে নীরবে

[এই ব্লগে আমার বয়সে বড় অনেক আপু ও ভাইয়ারা আছেন সবাইকে আগেই গল্পের বিষয় বস্তুর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।গল্পের উপস্থাপন ও ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চ সাবধনতা অবলম্বন করেছি তার পরও কোন বাহুল্যের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আর একটি কথা আমি চিটাগং এর ছেলে না তাই আঞ্চলিক ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ভুল হলে,সংশোধন করতে সাহায্য কামান করছি।]
রেডী হই লন………কথাটা বলেই মোবাইলে কল জুড়ে দিল।আমার চতু্র্দিক কেমন জানি অন্ধকার হয়ে আসছে,মাথা ঝিমঝিম করছে।

বিস্তারিত»

তোমার চোখ

চঞ্চলা চপলা তুমি কখনো ছিলেনা,
সেও ছিলনা কোন ডানপিটে ডাকু।
তোমার টানা চোখ দুটোকে কখনো
ডাগর আঁখি বলে তার ভ্রম হয়নি।
পটলচেরা চোখও ভাবেনি কখনো।
তারপরও তার খুব, খুবই প্রিয় ছিল,
তোমার ঐ কাজল টানা চোখ দুটো।
সন্তরণপ্রিয় ডুবুরীর মত অবলীলায়
সে তোমার চোখের গহীনে কি যেন
খুঁজে বেড়াতো, ডুবসাঁতার দিয়ে
যখন তখন। আর ভাবতো,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২

তখন সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের প্রদ্গান শিক্ষক ছিলেন জনাব বজলে কাদের। বেশভূষায় তিনি অত্যন্ত পরিপাটি ছিলেন। দূর থেকে দেখা, তাই এর চেয়ে বেশী আর কিছু মনে নেই, তবে এটুকু বুঝতাম যে স্কুলে এবং স্কুলের বাইরেও তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। খুবই রাশভারী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী স্যার বাংলা পড়াতেন, হোম ওয়ার্ক এর ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস ছিলেন। পরে শুনেছি তিনি খিলগাঁও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

প্রেম

কোন কালে’
প্রেম নেবেনা বলে কি
তারা আক্ষেপ
নিয়ে জানলায়
দিয়েছিল টেপ
ভালো করে,
‘আলো ভরে
চাই না কিছু’
তারস্বরে
স্বরলিপি ধরে
প্রতিদিন
গেয়ে গেছে গান;
অথচ যেদিন এলো সে
অপরিচিত
চশমাপরা
গোবেচারা মুখোশে

দোঁহে
কি মোহে
পরিধেয় ভেবে
প্রেম পরে নেয়
প্রেম খুলে ফেলে
আর সব
দূ উ রে
সুদূরে ঠেলে

বিস্তারিত»

বৈ শা খী

~ এ ক ~

এই ঢলঢলে জামাটাকেই সব চাইতে প্রিয় মনে হয় ওর। গা জ্বালা করা গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক কোন জামা মেয়েটি আর কখনো পরেনি। জামাটার পিঠের দিকটা ঘাড়ের পাশাপাশি বড় বৃত্তে এগিয়ে কাঁধ পেরিয়ে প্রান্তের দিকে সরে এসেছে বেশ অনেকখানি। সামনের দিকে গলাটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকখানি বড়। ওর চেয়ে স্বাস্থ্যবতী, বড় সড় আর সুখী কোন একটা শরীরের জন্য কখনো তৈরী হয়েছিলো এটা।

বিস্তারিত»

(খোয়াবের দেশে নিরুদ্দেশ – স্বপ্নদ্রষ্টা )

স্বপ্নে কেন উকি দিলে অনেক ভোরের বেলা ?

নির্জনতা ভাঙ্গেনি ত’ – হয়নি শুরু মেলা |

কোথায় তুমি জানি না ত’ , জানি আছ যোজন দূরে ;

হয়ত তুমি বন্দী আজো আধার পাতালপুরে |

মোর হিয়াতে ব্যাথা যত শুষে নিলে তুমি,

অবাক আলোর শান্ত ভোরে বিদায় নিলে চুমি |

 

স্বপ্ন এখন টুটে গ্যাছে,

বিস্তারিত»

~ এক রকম জীবনের পোর্ট্রেট ~

হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র‌্যাকে।

হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।

হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু,

বিস্তারিত»

হাত ধরো

পথ চলতে চলতে যদি পিছলে পড়ি,
হাত ধরো, অন্ততঃ একটি হাত।
আবার উঠে দাঁড়াবো, ঘুরে দাঁড়াবো।

ভুল পথে যদি কখনো পা বাড়াই,
শুধু একটি হাত ঊঠিয়ে ইশারা করো,
নিমেষেই বুঝে নিব, ফিরে আসবো।

একান্তে যদি কখনো কিছু বলতে চাও,
আলতো করে শুধু হাতটি ধরো,
বুঝে নিব, বলার আগেই বুঝে নিব।

ঘুমের মাঝে যদি কোন বার্তা দিতে চাও,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল

জীবনের জার্নাল

প্রায় একষট্টি বছর আগে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়নের শেষ দিনে, রোববারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনীতে আমার জন্ম হয়। এমনিতেই ছোট দিন, তখন দিনেরও প্রায় শেষ, একটু আগেই আসরের নামাজীরা মাসজিদ থেকে ঘরে ফিরে গেছে। ক্লান্ত সূর্য্টা দিগন্তে রক্তিমাভা ছড়িয়ে অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, পাখিরা ঘরে ফেরার। এমনি এক সময়ে আমি দিনের শেষ আলোটুকু ধরার জন্যই যেন পৃ্থিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হ’লাম।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ দূর হতে আমি তারে সাধিব

– আহা! তবুও তো

– তবুও কি বলো?

– তবুও হাসলে তুমি! এই ভূখন্ডে দিনের আলোতেও খসে পড়লো কয়েক লক্ষ তারা

– ঠোঁটের কোণে ঝুলানো এই হাসি ছাড়া আমার কি আর আছে, বলো? তাই সুখেও হাসি, কষ্টেও

– কষ্টকে আড়াল করে রাখতে হয় মানুষের থেকে, অধরা! পাছে কেউ আহা উঁহু করে, অথবা উস্কে দেয় বারুদের মত, অনাহুত সহমর্মিতায় সেটি তো আর লাঘব হয় না।

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ৩ | শান দেই মুষ্ঠি ও মগজে

বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঞ্চাশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেন এমন একটা অন্তত পরিবার নাই । বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঁচিশ বছর ধরে নিরন্তর রাজনৈতিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি করেন এমন একটা পরিবার আছে । এর পেছনে কারণ এই দুই রাজনৈতিক দলের জন্ম ও এর বিকাশের ইতিহাসে উচ্চারিত । সেই প্রতিটি গ্রামের শেকড়ে প্রোথিত দল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ এবং ২০০১ এর নির্বাচনে কেন হারলো এবং একবার অতি শোচনীয় ভাবে হারলো ?

বিস্তারিত»