আজ সারারাত ভ’রে
অঝোর ধারায় বরষণ হবে ধরনী শীতল করে
শ্রাবণের ধারা সেঁচে
হাসবো-খেলবো-গান গেয়ে যাবো-আমরা বেড়াবো নেচে
“উইন্ডোজ ১০” ডাউনলোড এবং ইন্সটল করুন “উইন্ডোজ আপডেট” ছাড়াই
গত ২৯ই জুলাই উইন্ডোজ তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম “উইন্ডোজ ১০” নিয়ে এসেছে বাজারে। কিন্তু এবারে দেখা গেছে কিছুটা ভিন্নতা। অন্যবারের মত এবার সিডি কিংবা ডিভিডি কেনার প্রয়োজন হয়নাই, যাদের উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ আছে তারা ফ্রি আপডেট করতে পারবেন। কিন্তু যেহুতু এটা অনলাইনে দিচ্ছে সে কারণে সবাই একসাথে এই সুযোগ পাচ্ছেননা। সবার আপডেট সহজ করার জন্য স্লট অনুযায়ী এ সুযোগ কেউ কেউ পাচ্ছেন এবং কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন নিজেদের স্লটের জন্য।
বিস্তারিত»ফর্ম নামা
A ফর্ম আর B ফর্ম, প্রতিটা ক্লাসেই দুটো করে ছিল। “ফর্ম” শব্দটার সাথে পরিচয় কলেজে গিয়ে, তার আগে তো ক-শাখা, খ-শাখা এই টাইপের জিনিষ ছিল। আমাদের ৫৯৯ থেকে ৬২৩ পর্যন্ত A ফর্ম আর ৬২৪ থেকে ৬৪৮ পর্যন্ত B ফর্ম। সবার জন্যই আলাদা ডেস্ক চেয়ার। দারুন ব্যবস্থা, সবকিছু অবাক হয়ে দেখছি, শিখছি আর মনে রাখার চেষ্টা করছি।
প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকার পরে একটু ভয়ে ভয়ে একটা চেয়ারে গিয়ে বসলাম,
বিস্তারিত»~ মরণ সাধার ধ্যানে ~
দমকা হাওয়া হঠাৎ এসেই
জানালা পেরিয়ে কাগজ উড়িয়ে,
করলো যতনে টেবিলে জমানো
কথার অযুত বাহানা গুলোকে সাফ্ ।
বেহায়া আলোক মুখটা লুকিয়ে
সন্ ধি ভাঙার সুযোগ মিলতে
সহসা সকল আঁধার উড়িয়ে
পুরোটা ঘরেই জাগিয়ে তুললো রাত ।
আষাঢ় শ্রাবণ মাসেরা কিযেনো
কুটিল গোপন ফন্ দি ফিকিরে
মরিয়া মেতেছে, যেনোবা কবির
ভাবনা তাড়ানো মহিমা মাখানো কাজ ।
বছর কুড়ি পরে
আবার বছর কুড়ি পরে
মেঘের মতন শহরে
আমাদের দেখা হলে
মনে রেখো
কফিমগ কিংবা রক্তে
চিনির সঙ্গত পরিমাপ নিয়ে
কথা বলা যেতে পারে
ভিজে ভিজে পথ
এবং ছাতার মিছিলে
মিছেমিছি তাকাবার নাম করে
আমাদের বুড়ো দু’চোখ
পরস্পর ফাঁকি দেবার কথা ভেবে’
‘কী লাভ!’ বলে হেসে দেবে
তারপর ক’ইঞ্চি কাছে’
এই হাত ওই আঙুল
সোনাঠোঁট রূপোলি চুল;
মুখোশের মুখ্য বৈশিষ্ট্য
তার ভেতরে অচেনা কেউ একজন বসবাস করে
মাঝে মাঝে আয়নায় তার মুখ দেখে সে, তার মুখ ফুঁড়ে
আবার হঠাৎই হারিয়ে যায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
থেকে থেকে মনে পড়ে ফকির লালন এরকম
কিছু একটা বলেছিল, তোমার ঘরে বাস করে কারা
ও মন জানো না। সে জানে না অজানা কেউ তার
ঘরে কীভাবে এলো তাকে চেনে না সে, বাড়ছে
এখন সদাভয় সদাসন্ত্রস্ততা ও তটস্থ সংশয়!
সেই বায়বীয় হস্তলিপির কথা
হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।
চারিদিকে ঔৎসুক্যের অভাব ছিলনা, সবারই
জিজ্ঞাসা, কি লিখি? সহাস্যে এক কথাই বলতাম,
ঐকিক নিয়মের এক কঠিন সমাধান খুঁজছিলাম!
কথাটা সবাই বিশ্বাস করতো, কেবল তুমি ছাড়া!
এর পর জীবনে অনেক নাম এসেছে আর গেছে,
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ৬
(Mr. M W Pitt, the first Principal of Momenshahi Cadet College – আমার জীবনে দেখা প্রথম ইংরেজ, যার সামনাসামনি বসে জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। তাঁর হাসিমুখ আমার কিশোর মনে সেদিন স্থায়ীভাবে খচিত হয়ে গিয়েছিলো, সে স্মৃতি আজও সমুজ্জ্বল, আপন আলোকে দীপ্যমান। ফটো ক্রেডিটঃ মাহবুব শহীদ ভাই, ক্যাডেট নং ৩)
দু’দিন বিশ্রাম নেয়ার পর ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম।
বিস্তারিত»~ নও যদি তুমি হৃদযন্ত্রের শল্যবিদ ~
মোহন হাসির মন্ত্র
চোখের তারায়,
নিপূণ বক্র ওষ্ঠ
আতস পোড়ায় ।
বুকের সকল মাদল,
আবেগ কথার
আগুন, শিরায় শিরায়
মরন ডাকার ।
রহস্যের মন্ত্রণায়
সাগর জল নীলে
বলো, যন্ত্রণার দ্যোতনায়
আঁচড় কেনো দিলে !
বুকের ব্যাকুল কথাটার
খাঁচায় মরন,
হৃদয় গভীর ক্ষতটার
তীব্র ক্ষরণ,
চেয়েছো বলে কী ওড়ালে
মোহিনী আঁচল !
দিনলিপিঃ ক্রিসমাস ইন জুলাই
ঈদ অবশেষে
আমাদের ব্যক্তিগত শোক সন্তাপের সাথে ঈদের কিছু যোগাযোগ থাকার কারণে বহু বছর বাড়িতে ঈদ উদযাপন করা হয় নাই। তারাকে হয়তো জিজ্ঞেস করেছি, ঈদে কি খাবে, ভূতো? সে ছোট্ট করে বলেছে, চিরিওস উইথ হোল মিল্ক, মা! কন্যারত্নের কথায় হাসলেও আমি তার পছন্দের সব খাবার রান্না করি ঈদে। ব্যাংক থেকে কড়কড়ে ডলারের নোট এনে রাখি ঈদি দেবো বলে কিন্তু ঈদে লোকজন ডেকে আমাদের আহারবিহার করা হয় নাই অনেকদিন।
~ অচেনা শহরের পথে হারাবার রথে ~
প্রাগ থেকে পায়ে হেঁটে যেতে চাই
ভিয়েনা কিংবা ভেনিস,
নিকারাগুয়ার মেঠো পথ
থেকে উগান্ডা-কাম্পালা,
সেন্টপিটার্সবার্গ শহর
ঘুরে রিগা অথবা মিনস্ক !
গন্ডোলায় চড়বার শখ
টানেনি আমাকে তেমন ।
শুধু এক অচেনা শহর
ঘুরে, পথে পথে, খুব শখ ছিলো,
হারাবো দিব্যি আমাকে ।
লস এঞ্জেলেস কিংবা
লাস ভেগাসের নিয়ন রাত,
ঘুমকাতুরে বিরহে ফেলে
ডেনভার কলোরাডো ওহাইও,
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ৪
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১ (ভূমিকা ও মাত্রাবৃত্তের আলোচনা)
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ২ (মাত্রাবৃত্তের উদাহরণ)
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ৩ (স্বরবৃত্তের আলোচনা)
অক্ষরবৃত্ত
অক্ষরবৃত্ত বাংলা কবিতার বনেদী ছন্দ। এর মাত্রা গুনবার নিয়মটা হলো,
- মুক্তদল (ওপেন সিলেবল) সবসময় পাবে ১ মাত্রা।
- শব্দের শুরুতে কিম্বা মধ্যে থাকলে রুদ্ধদল (ক্লোজড সিলেবল) পাবে ১ মাত্রা, শব্দের শেষে থাকলে ২ মাত্রা।
নুসরাত ফতেহ আলি শুনে শুনে
“উনকি নজরোঁ নে কুছ এয়সা জাদু কিয়া
লুট গয়ে হাম তো পেহলি মোলাকাত মেঁ”
আপনাকে শুনে শুনে সারাদিন
প্রণয়ের বাঁধ ভেঙে
গলগল শরাবে
হেডফোন ল্যাপটপ যথেচ্ছ ভেসে যায়
বেহেড কলম ফুঁড়ে ও জি
কেবলি আঁসু ঝরে হায়,
বিরহের মতো মধু
একা হারমোনিয়ম আ হা
তেরছা দেখে প্রেম, ভাঙে
আড়মোড়া শুধু
https://www.youtube.com/watch?v=NWbRHZiqNLE
বিস্তারিত»খারাপ ছাত্রদের কথা
অষ্টম শ্রেনীর একজন ‘খারাপ ছাত্রের’ কথা ক’দিন ধরে খুব পীড়া দিচ্ছে। ইংলিশ স্কুলে পড়ে। পড়াশোনা করে না। পড়ুয়া নয়। সে কখনো’ই ছিল না।
সে কারনেই কখনো’ই ভালো নম্বর পায় না। এবং সেজন্যেই তার শিক্ষকরা তাকে পছন্দ করেন না। শুধু তাই নয়, তার প্রসঙ্গ এলেই চোখ-নাখ-মুখ কুঁচকিয়ে ফেলেন। তাকে খারাপ ছেলে বলেন; তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন। অনেক খারাপ ব্যাবহার।
তাদেরই মধ্যে একজন শিক্ষক এই ছেলেটির পিছে লেগে থাকতেন।
মেঘবালিকা

আমি তাকে আকাশ দিতে চেয়েছিলাম,
সে চাইলো শুধু এক টুকরো মেঘ।
তারপর মেঘেরই আড়ালে লুকিয়ে পড়লো,
চোখেরই সামনে মেঘে মেঘে ভেসে গেলো।
এর পরে আর তার দেখা পাইনি….
মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেলো,
সাঁঝের মায়াও ধীরে নেমে এলো,
পাখীরা যখন নীড়ে ফিরে আসে ধীরে ধীরে,
তখনো আমি খুঁজে ফিরি মেঘবালিকাকে,