দুঃখ পেতে কেমন লাগে?
দুঃখ আমার নাই,
সুযোগ পেলে দুঃখীজনের
দুঃখ বেচে খাই।
গাড়ি বাড়ি আছে আমার
আছে হালের ফ্যাশন
দুঃখ বেচার দোকানদারী
আমার লেটেস্ট প্যাশন।
পান্তা ইলিশ বড়ই মজা
হালের সাথে যায়,
নুন আর ঝালে সারাবছর
কেমন করে খায়?
বিস্তারিত»দুঃখ পেতে কেমন লাগে?
দুঃখ আমার নাই,
সুযোগ পেলে দুঃখীজনের
দুঃখ বেচে খাই।
গাড়ি বাড়ি আছে আমার
আছে হালের ফ্যাশন
দুঃখ বেচার দোকানদারী
আমার লেটেস্ট প্যাশন।
পান্তা ইলিশ বড়ই মজা
হালের সাথে যায়,
নুন আর ঝালে সারাবছর
কেমন করে খায়?
বিস্তারিত»মুস্তাফিজ,
তুমি আজ যে কীর্তি করে দেখালে তা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর কেউ করে দেখায় নি! অভিষিক্ত হবার ম্যাচসহ পরপর দুই ম্যাচে সর্বমোট ১১ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভেটোরির রেকর্ড তুমি ভেঙ্গে দিয়েছ! তারচেয়েও বড় কথা তুমি ভেঙ্গেছ টিম ইন্ডিয়ার মেকি আভিজাত্য এবং দাম্ভিকতার দেয়াল! আজ থেকে ভারতের প্রতিটি ব্যাটসম্যান (এবং অন্যান্যরা) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কথা বলার আগে সসম্মানে কথা না বলুক, অন্ততঃ অবজ্ঞা করার সাহস পাবে না!
অন্তর্জালের সর্বত্র বাংলার বাঘদের ভাতরবধের কাহিনীতে সয়লাব, কিন্তু সিসিবিতে কিছু নেই!
দেশ-বিদেশের তাবৎ বাঙ্গাল উৎসবে মাতোয়ারা, কিন্তু সিসিবিতে কোন কিছু নেই!!!
সবাইরে কি রোজায় ধরেছে?
বিস্তারিত»এক আমেরিকান বন্ধুর কাছ থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড সেনহেইজার হেডফোন টা কানে লাগিয়ে কাউচে বসে গেলাম। ল্যাপটপে অর্ণব এর রবীন্দ্রসঙ্গীত এর প্লে-লিস্ট টা ছেড়ে দিলাম। কম করে হলে একটা ঘন্টা আর গান সিলেকশন করতে হবেনা। একটানা চলতে থাকুক। পারফেক্ট আবহাওয়া। বসে আছি আমার স্পন্সর ফ্যামিলির বাসার বেজমেন্টে।রাত প্রায় ১০ টার মতন। সন্ধ্যাই ঠিক মতন হলো ঘন্টাখানেক আগে। সূর্য টা ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই আকাশ কালো করে মেঘরা জড় হচ্ছিল।
বিস্তারিত»আমি তো তোমার নই, হারাইনি তোমাতে,
হারিয়ে যাইনি, যদিও চাই নিঃশেষ হতে
দ্বিপ্রহরে জ্বালিয়ে রাখা মোমের মত,
সাগরে বিলীন হওয়া স্নোফ্লেক উদ্ভিদের মত।
তুমি আমায় ভালোবাসো, তাই আমি এখনো
তোমাতে দেখি এক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস অনুপম।
তথাপি আমিতো আমিই, হারাতে যে চায়,
আলোর মাঝে আলো যেভাবে হারিয়ে যায়।
আহ, আমাকে ডুবিয়ে দাও প্রেমের গভীরে,
আমার চেতনাগুলো নিভিয়ে দাও তিমিরে,
তোমার কবিতাগুলো,
কোন মোহিনী নারীর নাকে বসে থাকা
অমূল্য হীরক কণার ন্যায় প্রতিভাত হয়।
ঝলসে ওঠা দ্যূতি হঠাৎ হঠাৎ বিচ্ছুরিত হয়,
আবার কখনো ছেয়ে যায়, ম্লান পেলবতায়।
তোমার কবিতাগুলো,
পড়ে ফেলার পরেও আমার অগভীর কর্ণকুহরে
দিকভ্রান্ত পাগলিনীর ন্যায় অবলীলায় কথা বলে,
কখনো তা অর্থহীন মনে হয়, কখনো বাঙময়।
কিভাবে ওসব লেখা হয়, তা এক অজানা বিস্ময়।
আমার কৃষ্ণকায় নির্ঘুম রাতগুলোতে জালালুদ্দিন রুমি এলেন খানিক আলোর দিশা হয়ে। প্রভাতের ঝরে পড়া শিউলির মত সবার অলক্ষে নিজের অসামান্য সুর আর সুরভিটুকু বিলিয়ে রুমি আমার ঠাকুরের মতই বলতে চাইলেন, তোমারে দাও আশা পুরাও তুমি এসো কাছে। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন বেনে জ্যোৎস্নার আলো আমায় ভাসিয়ে নেবার বদলে নিমজ্জিত করেছে অপার অন্ধকারে। কাঁচের জানালার ফোঁকর গলে যে এক টুকরো আকাশ আমার ঘরে ঢুকে পড়তো তার সাথেই আমার নিত্যদিনের যোগাযোগ ছিল শুধু।
বিস্তারিত»বেগুনি না খেলে কি রোজা সহীহ হবে না, নাকি? আমার যতদূর মনে পড়ে গত রমজানে আমাদের বাসায় বেগুন কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কাচাবাজারে গিয়ে যখন দেখতাম কেউ কোন দোকানদারের সাথে তুমুল দরদাম করছে/করছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে বোঝাতাম, বেগুনের দাম বেশি, আপাতত কেনা বন্ধ রাখেন, দাম এমনিতেই পড়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে আমাকে পাগল মনে করে তাকাত। আবার অনেকে মনে হয় কনভিন্সডও হতো। এটা ছিল একান্তই আমার এবং আমার পরিবারের নিরব সমাজিক আন্দোলন।
বিস্তারিত»তুমি আমি মিলে কত না হৈ হুল্লোরে আর
কতনা আয়োজন করে সাজালাম এ জীবন!
তুমি আমি মিলে…
তুমি আমি মিলে যেদিন ‘আমরা’ হয়ে গেলাম,
কতনা সহজে ভুলে গেলাম,
একদিন আমরা তো শুধু আমিই ছিলাম।
তুমি আমি মিলে একসাথে কত দৌড়ঝাঁপ করে
একসাথে হাঁপিয়েও উঠলাম,
হৃদস্পন্দন একটু থিতু হতেই আবার দৌড়ালাম!
তুমি আমি মিলে ঘাটে বাটে থেমে তুলে নিলাম
জীবনের কত না সোনালী সঞ্চয়,
চায়ের কাপের ধোঁয়াগুলো
শূন্যে মিলিয়ে যায়, তবে-
তারা আকাশ ছুঁতে পারেনা।
বাকরুদ্ধ মনের কষ্টগুলো
যদিও ঊর্ধ্বপানে ধায়, তবুও-
তারা আকাশ খুঁজে পায় না।
শুধু অবুঝ মনের স্বপ্নগুলো
ধোঁয়া হয়ে যায় অভ্র ফুঁড়ে,
কোন নিশীথ রাতের বৃষ্টিপাতে
আবার স্বপ্ন ফেরায় নয়ন জুড়ে।
ঢাকা
১৪ জুন ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আমার এ কবিতাটার ভাবানুসরণে “Dreams And Smoke”
বিস্তারিত»পাহাড়-সমুদ্র-সমতট। পাহাড় তো নয়, ঢেউ খেলানো ভূমির বাঁক যেনো ছন্দবদ্ধ তালে-লয়ে অবিরাম আছড়ে পড়ছে খোল-করতাল-মাদলে-বীণায় মনের গহীণ সন্তর্পে। সমতটের বিস্তৃতি অন্তর্গত ভাবনা-চিন্তা-চৈতন্যে ক্রমশ: বাড়িয়ে যেতে থাকে তার বিস্তার। আর সমুদ্র ! বিশালত্বে উদ্বেল সুপ্রসারিত দু’হাত মেলা মনের ক্যানভাসে, আঁকে ছবি অন্তহীন, ভেঙে দিয়ে গোপন সব প্রকোষ্ঠ। এই তিনের সাথে জুড়ি দেয়া অবারিত উদার আকাশ ত্রিবৈচিত্রের নিয়ত উন্মীলন সংগী। আর কি চাই !
একটি মানুষ।
বিস্তারিত»শুধুই উচ্চারিত শব্দে
‘ভালবাসি’ কে বলেছে কবে?
যতটুকু বলেছে মুখে
চোখদুটি বলেনি কি
শতগুণ বেশি?
শুধুই বৃষ্টিতে কি ভিজেছে এ তনু
হৃদয়ের ঝড়-জলে ভেজেনি কি কিছু?
মেঘ কেটে এই বুকে
জাগেনি কি নীলাকাশ?
বাজেনি কি মেঠো পথে নূপুরের ঝঙ্কার?
খোলাচুলে এই পথে যায়নি কি সেইজন?
বিস্তারিত»মায়ের দেয়া কল্কাপাড়ের শাড়ি পরবো নাকি কর্ণ স্টা্রচে ইস্তিরি করা কড়কড়ে সুতির একখানা টিউনিক পরবো ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। সিসিবির সরব ব্লগারদের প্রায় কাউকেই চিনিনা তাই দু’ চারজন নিরব পাঠককে কল করে বলি, চলে এসো ক্লাবে। জোরসে আড্ডা হবে সকাল সকাল! কিন্তু আজই কি কারণে যেন কারো কারো ব্যস্ততা খানিক বেশী। কারো হয়তো মায়ের খুড়তুতো দিদির মেয়ের পাকা দেখা আজই, কেউবা ঢাকার বাইরে মধুচন্দ্রিমায়।
বিস্তারিত»আমার ঘরের নিভৃত একটি কোণে
রয়েছে তোমার এক নিজস্ব ভূবন।
সেখানে কখনো প্রবেশ করিনি আমি।
তবে বাহির থেকে দেখেছি কি সুন্দর করে,
সাজিয়ে রেখেছো তোমার শখের পসরা
একটি আলমারীর ক্ষুদ্র পরিসরে, থরে থরে।
কতনা যতন করে রেখেছো সেখানে,
ছোট ছোট সব শখের পজেশনগুলো,
শাড়ীর পরতে পরতে, এভাঁজে ওভাঁজে,
গোপন কুঠুরির কোন গোপনতম স্থানে।
আর পরখ করে দেখ সেসব অমূল্য রতন
যখনি সময় পাও,
কথাগুলো কি করে
গান হয়ে যায়
কি করে কী-বোর্ডে
ওঠে সুর
তোমার মমতামেদুর
মেসেজ আসে —
উদ্ভাসিত ফেস, বুক
আনন্দ, মমতার
এমন শঙ্কর
দেখিনি আগে
ছিল কোথা
সুখের এ অসুখ!