উৎসবে পার্বণে দেশ থেকে উপহার পাঠানো বন্ধ হয়েছে বহুদিন। আধা জন্ম দেশের বাইরে থাকলে যা হয় আরকি। আমরা হচ্ছি প্রায় ভুলে যাওয়া প্রিয়মুখ যাদের না পারা যায় ভুলতে আবার মনে রাখাটাও বেশ কষ্টকর বৈকি। বহু বছর পূজার ঢাক বাজবার আগেই হাতে পৌঁছে গেছে পূজা সংখ্যা সানন্দা অথবা দেশ বা আনন্দবাজার! হারকিপ্টে হরির মতো একটু একটু করে পড়তাম প্রতিদিন, পাছে ফুরিয়ে না যায়! আমাদের নীচতলাতে তিনটে হিন্দু পরিবার থাকতো,
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রেসিপি – ১২
হেডফোন কানে লাগাতেই রাহাত ফতেহ আলী। আ!
উড়নে লাগা কিঁউ
মন বাওলা রে
আয়া কাঁহা সে
ইয়ে হোসলা রে
ও রে পিয়াআআ
হায়য়য়, ও রে পিয়াআআ
পৃ-কে মেসেঞ্জারে লিঙ্কটা পাঠিয়ে দিয়ে চোখ বুঁজে বৃষ্টি শুনি। জানলার বন্ধ কাঁচে কী আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আর কেঁদে কেঁদে ভেসে যাচ্ছে সেই ভোররাত থেকে। নির্ঘুম একটা রাত পার করে দিলাম পৃ-র সঙ্গে ঝগড়া করে করে।
বিস্তারিত»বাস্তব আমি বনাম ভার্চুয়াল আমি!
বাস্তব জীবনে আমি প্রচণ্ড অসামাজিক। আত্মীয়তা বা সামাজিকতা রক্ষার ধারে-কাছেও যাই না আমি। আমার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের অন্যতম অভিযোগ আমি ফোন করি না কেন!
অসামাজিক হবার পাশাপাশি আমি মোটামুটি রগচটা, একগুঁয়েও আছি। হঠাৎ করে রেগে উঠি এবং খুব দ্রত বন্ধুদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমার বন্ধুর সংখ্যাও অনেক কম, ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা ছাড়া ভার্সিটির গুটিগুতকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। চাকুরি জীবনেও বন্ধু বেড়েছে খুব কম।
বিস্তারিত»ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা সেই মেয়ে
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা এক মেয়ে
প্লে গ্রুপে পড়তো যখন প্রিপারেটরী স্কুলে,
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনেটুনে রেডী করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে পানি,
তাইনা দেখে বাকী সবাই করতো কানাকানি।
ঐটুকু এক মেয়ে, তার মনেও কত মায়া,
সাথীর চোখের অশ্রু তাকে করতো অসহায়া।
পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে মুছাতো চোখের জল
তার নরম কথায় ছিঁচকাঁদুনে মনে পেতো বল।
জন্মে ও মৃত্যুতে বেদনা
শিশু জন্মের বেদনার কথা প্রসূতি জানে,
বুনোফুল ফোটানোর ব্যথা বনভূমি জানে।
পিয়ানোর মূর্ছনার ব্যথা বেটোফেন জানে।
কবিতার বেদনার কথা শুধু কবিই জানে।
হলুদ পাতা ঝরার ব্যথা মালিনী বোঝে,
পরিত্যক্ত পিয়ানো তার বাদক খোঁজে।
তটিনীর যে স্রোতধারা মরুতে হারায়,
উৎস গিরি বারে বারে তার পানে চায়
বেদনা ছাড়া সৃষ্টি হয় না,
বেদনা ছাড়া ধ্বংস হয় না।
একটি ঘাসফুল গাছের আত্মকাহিনী
কখন কিভাবে এবং কোথায় আমার জন্ম হয়েছে ঠিক বলতে পারব না তবে যখন থেকে পৃথিবীর আলোবাতাস বুঝতে শিখেছি তখন থেকে দেখছি আমি এক লম্বা করিডোরের এক রুমের সামনে এক টবের মধ্যে অবস্থান করছি। সামনের রুমের নাম্বারটা দেখা যায়। ৩২৯ নাম্বার রুম। আশেপাশে যারা চলাচল করে তাদের থেকে শুনেছি এটা হচ্ছে ওমর ফারুক হাউজ, কলেজের নাম রংপুর ক্যাডেট কলেজ। আর আমি যে করিডোরে আছি এটা হচ্ছে সিনিয়র ব্লক।
বিস্তারিত»দুঃখবিলাস
দুঃখ পেতে কেমন লাগে?
দুঃখ আমার নাই,
সুযোগ পেলে দুঃখীজনের
দুঃখ বেচে খাই।
গাড়ি বাড়ি আছে আমার
আছে হালের ফ্যাশন
দুঃখ বেচার দোকানদারী
আমার লেটেস্ট প্যাশন।
পান্তা ইলিশ বড়ই মজা
হালের সাথে যায়,
নুন আর ঝালে সারাবছর
কেমন করে খায়?
বিস্তারিত»মুস্তাফিজের কাছে খোলা চিঠি!
মুস্তাফিজ,
তুমি আজ যে কীর্তি করে দেখালে তা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর কেউ করে দেখায় নি! অভিষিক্ত হবার ম্যাচসহ পরপর দুই ম্যাচে সর্বমোট ১১ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভেটোরির রেকর্ড তুমি ভেঙ্গে দিয়েছ! তারচেয়েও বড় কথা তুমি ভেঙ্গেছ টিম ইন্ডিয়ার মেকি আভিজাত্য এবং দাম্ভিকতার দেয়াল! আজ থেকে ভারতের প্রতিটি ব্যাটসম্যান (এবং অন্যান্যরা) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কথা বলার আগে সসম্মানে কথা না বলুক, অন্ততঃ অবজ্ঞা করার সাহস পাবে না!
বাংলার বাঘদের ভারত-বধ নিয়ে কোন সাড়া নেই?!!!
অন্তর্জালের সর্বত্র বাংলার বাঘদের ভাতরবধের কাহিনীতে সয়লাব, কিন্তু সিসিবিতে কিছু নেই!
দেশ-বিদেশের তাবৎ বাঙ্গাল উৎসবে মাতোয়ারা, কিন্তু সিসিবিতে কোন কিছু নেই!!!
সবাইরে কি রোজায় ধরেছে?
বিস্তারিত»আলস্যে ভিজেছে মন, বৃষ্টিতে আর কি আসে যায় !
এক আমেরিকান বন্ধুর কাছ থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড সেনহেইজার হেডফোন টা কানে লাগিয়ে কাউচে বসে গেলাম। ল্যাপটপে অর্ণব এর রবীন্দ্রসঙ্গীত এর প্লে-লিস্ট টা ছেড়ে দিলাম। কম করে হলে একটা ঘন্টা আর গান সিলেকশন করতে হবেনা। একটানা চলতে থাকুক। পারফেক্ট আবহাওয়া। বসে আছি আমার স্পন্সর ফ্যামিলির বাসার বেজমেন্টে।রাত প্রায় ১০ টার মতন। সন্ধ্যাই ঠিক মতন হলো ঘন্টাখানেক আগে। সূর্য টা ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই আকাশ কালো করে মেঘরা জড় হচ্ছিল।
বিস্তারিত»আমি তোমার নই (অনুবাদ কবিতা)
আমি তো তোমার নই, হারাইনি তোমাতে,
হারিয়ে যাইনি, যদিও চাই নিঃশেষ হতে
দ্বিপ্রহরে জ্বালিয়ে রাখা মোমের মত,
সাগরে বিলীন হওয়া স্নোফ্লেক উদ্ভিদের মত।
তুমি আমায় ভালোবাসো, তাই আমি এখনো
তোমাতে দেখি এক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস অনুপম।
তথাপি আমিতো আমিই, হারাতে যে চায়,
আলোর মাঝে আলো যেভাবে হারিয়ে যায়।
আহ, আমাকে ডুবিয়ে দাও প্রেমের গভীরে,
আমার চেতনাগুলো নিভিয়ে দাও তিমিরে,
তোমার কবিতাগুলো
তোমার কবিতাগুলো,
কোন মোহিনী নারীর নাকে বসে থাকা
অমূল্য হীরক কণার ন্যায় প্রতিভাত হয়।
ঝলসে ওঠা দ্যূতি হঠাৎ হঠাৎ বিচ্ছুরিত হয়,
আবার কখনো ছেয়ে যায়, ম্লান পেলবতায়।
তোমার কবিতাগুলো,
পড়ে ফেলার পরেও আমার অগভীর কর্ণকুহরে
দিকভ্রান্ত পাগলিনীর ন্যায় অবলীলায় কথা বলে,
কখনো তা অর্থহীন মনে হয়, কখনো বাঙময়।
কিভাবে ওসব লেখা হয়, তা এক অজানা বিস্ময়।
আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে
আমার কৃষ্ণকায় নির্ঘুম রাতগুলোতে জালালুদ্দিন রুমি এলেন খানিক আলোর দিশা হয়ে। প্রভাতের ঝরে পড়া শিউলির মত সবার অলক্ষে নিজের অসামান্য সুর আর সুরভিটুকু বিলিয়ে রুমি আমার ঠাকুরের মতই বলতে চাইলেন, তোমারে দাও আশা পুরাও তুমি এসো কাছে। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন বেনে জ্যোৎস্নার আলো আমায় ভাসিয়ে নেবার বদলে নিমজ্জিত করেছে অপার অন্ধকারে। কাঁচের জানালার ফোঁকর গলে যে এক টুকরো আকাশ আমার ঘরে ঢুকে পড়তো তার সাথেই আমার নিত্যদিনের যোগাযোগ ছিল শুধু।
বিস্তারিত»“যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে!”
বেগুনি না খেলে কি রোজা সহীহ হবে না, নাকি? আমার যতদূর মনে পড়ে গত রমজানে আমাদের বাসায় বেগুন কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কাচাবাজারে গিয়ে যখন দেখতাম কেউ কোন দোকানদারের সাথে তুমুল দরদাম করছে/করছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে বোঝাতাম, বেগুনের দাম বেশি, আপাতত কেনা বন্ধ রাখেন, দাম এমনিতেই পড়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে আমাকে পাগল মনে করে তাকাত। আবার অনেকে মনে হয় কনভিন্সডও হতো। এটা ছিল একান্তই আমার এবং আমার পরিবারের নিরব সমাজিক আন্দোলন।
বিস্তারিত»অন্য আয়োজন
তুমি আমি মিলে কত না হৈ হুল্লোরে আর
কতনা আয়োজন করে সাজালাম এ জীবন!
তুমি আমি মিলে…
তুমি আমি মিলে যেদিন ‘আমরা’ হয়ে গেলাম,
কতনা সহজে ভুলে গেলাম,
একদিন আমরা তো শুধু আমিই ছিলাম।
তুমি আমি মিলে একসাথে কত দৌড়ঝাঁপ করে
একসাথে হাঁপিয়েও উঠলাম,
হৃদস্পন্দন একটু থিতু হতেই আবার দৌড়ালাম!
তুমি আমি মিলে ঘাটে বাটে থেমে তুলে নিলাম
জীবনের কত না সোনালী সঞ্চয়,