দিনলিপিঃ পাশ্চাত্যের জীবন প্রাচ্যের যাপন

আ বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা কতবার যে দেখেছি! নোবেল বিজয়ী গনিতজ্ঞ জন ন্যাশের জীবন অবলম্বনে বানানো এই মুভিটি আমার অল টাইম ফেভারিট। এখনো কানে বাজে এলিশিয়া (মিসেস ন্যাশ) বলছেন, গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?

নোবেল পাওয়ার বহু আগে থেকেই জন ন্যাশ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়মুখ ছিলেন। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে তিনি যেচে পড়ে কারো সাথে কথা বলতেন না বটে,

বিস্তারিত»

বিমান বাজি!

কলেজ ডাইনিং হলে নিয়মিতই আমাদের বেশ কিছু অখাদ্য পরিবেশন করা হত। খোয়া ঝামা পিঁয়াজু, দাঁতের চিহ্ন রেখে আসা বিস্কুট,মাথা ধরা কেক,খাজা,গজাসহ নানান কিসিমের অখাদ্য। সেই সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারের সবজি। তার মধ্যে বিখ্যাত ছিল বিমান রায় বাজি! সিলেটি বংশোদ্ভুত এই তুখোড় পরিসংখ্যানবিদ একদা আমাদের মেস ওআইসি নিযুক্ত হলেন। তারপর ডিনারে ডাইনিং হলে ঢুকতেই তাকে দেখতাম অদ্ভুত ম্যাচিং এর জামাকাপড় গায়ে একেবারে মাঝবরাবর দন্ডায়মান,যাকে বলে রেডি ফর টেক অফ।

বিস্তারিত»

খাঁচার পাখি গায় কেন গান জানি (অনুবাদ কবিতা)

বাতাসের পিঠে লাফিয়ে উঠে মুক্ত পাখি,
ডুব দিয়ে যায় নীচের দিকে যেথায় এসে
শেষ হয়ে যায় স্রোতের নাচন, আর তখন
পাখনা মেলায় কমলা রঙের রোদ্দুরে,
দুঃসাহসে আকাশটাকেই দাবী করে।

কিন্তু সরু খাঁচায় বন্দী আছে যে পাখিটা,
সে হেঁটে বেড়ায় চুপি চুপি। ক্রোধের বেড়া
পার হয়ে তার দৃষ্টি কদাচ বাইরে বেরোয়।
তার ডানা জোড়া এঁটে দেয়া, পা দুটোও
বাঁধা থাকায়,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১১

প্রথম “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”। নামটা সবার জন্য “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন” হলেও, আসলে প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপাল আর এডজুট্যান্ট, এই তিনজন মিলে ভাগাভাগি করে তিন হাউসে ইন্সপেকশনে যেতেন। শুক্রবারে কলেজে এসে রোববারেই এই কঠোর “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”এর সম্মুখীন হলাম এমসিসির কোলে আসা আমরা এই ৫৬ জন সদ্যজাত শিশু। অনেকের অনেক রকম পরামর্শ শুনে মাঝে মাঝে আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। একদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম যে কাপড় চোপড়, জুতো স্যান্ডেল, বই পত্র সবই নতুন।

বিস্তারিত»

কিজন্য আমি “বন্ধুবৃত্ত” নাটকের সাথে সংশ্লিষ্টতা পরিত্যাগ করেছি

আসসালামু আলাইকুম। আমাকে বোধহয় কমবেশি অনেকেই চেনেন। আমি সালেহ তিয়াস নামেই বেশি পরিচিত, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছি।

গত বছর আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে একটা টিভি নাটক বের করি। এই নাটকে আমার ভূমিকা ছিল অতি নগন্য, কাহিনীর কিছু অংশ লিখেছি, স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ লিখেছি, এবং নিরুপায় হয়ে এক অংশে অভিনয়ও করতে হয়েছে। এই নাটকে আমাদের পুরো ব্যাচ থেকে অনেকে অভিনয় করেছিল।

বিস্তারিত»

চুম্বন! চুম্বন!!

বোনের আদেশ, “মজার কিছু লিখে ফেলো তো? কমেন্ট করে ভাসিয়ে দেই!”

চাইলেই কি আর মজার কিছু লিখা যায়?
তবুও ভাবলাম, “দেখি না একটা ট্রাই মেরে…”

যে কয়দিন থাইল্যান্ডে ছিলাম, অনেক কিছুই নিবিড় ভাবে পর্য্যবেক্ষন করেছি, যদি তা থেকে লিখার মত কোন কিছু খুঁজে পাই, এই ভেবে। কিন্তু “ভাগ্যটা ঘোলা জলের ঢোবা” খুজে যাও কিছু পাই, তা নিয়ে কি যে লিখা যায়,

বিস্তারিত»

সরি,বাবা

‘তুমি কি মানুষ? কি দায়িত্ব পালন করছ তুমি? যখন আমার পাশে তোমার সবচেয়ে বেশি দরকার , তখন তো তুমি আমার পাশে নাই। এই কসম করে কি বিয়ে করেছিলে?’

ফোনের ওপাশ থেকে আসা প্রচন্ড আক্রোশভরা কথাগুলো চুপ করে শুনলাম। কিছু বলার সুযোগ পচ্ছিলাম না। আমি জানি না কাল হাসরের ময়দানে যখন আমার গোনাহের পাল্লা ভারি হবে তখন আমি কেমন লজ্জিত হব বা তখন ঠিক কতটা বিবেকের দংশনে দংশিত হব,

বিস্তারিত»

প্রত্যাবর্তন

আবার দেখা হবে

সেই খোলা প্রান্তরে, পাগলা হাওয়ায়

উড়বে তোমার চুল,

তোমার শাড়ীর আঁচলে

ছেয়ে যাবে কাশবন।

সমগ্র শরীরে প্রজাপতি

উল্লসিত ঘাসফড়িঙ,

এসো আবার উল্টে দেই

সময়ের বালিঘড়ি।

বিস্তারিত»

তুমি যত্ন না নিলেই

তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু অযত্নে পড়ে থাকে,
চশমার কাচ ঘোলা হয়,
অশাষণে বেড়ে ওঠে নখ, মসৃণ গালে রাজত্ব করে অমসৃণ দাঁড়ি।
বড় হয় চুল- আরো কতো ভুল, আরো কত কি।
চিরুনি বসে থাকে অলস হয়ে,
লুকিং গ্লাসে দেখা হয় না নিজেকে।
ইস্ত্রী না করা শার্ট পড়ে বের হই যত্রতত্র।
তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু ক্যামোন জানি মনে হয়,

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

জীবন চাপ দিচ্ছে

একটি দিনলিপি সিরিজ চালাচ্ছিলাম। সেটার মাঝে বিভিন্ন স্বাদের মসলা দেয়ার চেষ্টা করতাম। সেটায় হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেললাম। এরমাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। এতকিছু ঘটেছে যে সেগুলো নিয়ে লিখতেও ইচ্ছা করছে না। পাছে লোকে কিছু বলে (কিংবা বলতে পারেন পাছে লোকে কোপ মারে?) বলতে বলতে কোপ নিয়ে কিছু মরবিড রসিকতা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। নাহ। সেটাও ঢোক হিসেবে গিলে ফেলি। তখন যদি আবার টিকটিকি পিছু নেয়?

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১০

আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

অর্থহীন

সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।

এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়িটির তীরে


সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল দিনলিপি

একঃ
বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনায় তারার প্রি-কে স্কুলের একটি গল্প মনে পড়ে গেল আজ!

প্রাচীন চীনে পরিবারের বড় সন্তানের নাম রাখা হতো খুব ঘটাপটা করে। প্রথমটির পরে একটা দুটো বাচ্চা হলে চং, মং, চিয়াং, মিয়ান কিছু একটা রাখলেই হলো কিন্তু বড়জন ভবিষ্যতে পরিবারের ত্রানকর্তার ভূমিকা পালন করবে তাই তার নামের গুরুত্ব অনেক। আমরা যেমন মোমেনা কে আদর করে মুমু বলি, হোসনে আরা কে হাসু অথবা ক্যাটরিনাকে ক্যাট বলি ওদের নিয়ম ছিল ভিন্ন।

বিস্তারিত»