সরি,বাবা

‘তুমি কি মানুষ? কি দায়িত্ব পালন করছ তুমি? যখন আমার পাশে তোমার সবচেয়ে বেশি দরকার , তখন তো তুমি আমার পাশে নাই। এই কসম করে কি বিয়ে করেছিলে?’

ফোনের ওপাশ থেকে আসা প্রচন্ড আক্রোশভরা কথাগুলো চুপ করে শুনলাম। কিছু বলার সুযোগ পচ্ছিলাম না। আমি জানি না কাল হাসরের ময়দানে যখন আমার গোনাহের পাল্লা ভারি হবে তখন আমি কেমন লজ্জিত হব বা তখন ঠিক কতটা বিবেকের দংশনে দংশিত হব,

বিস্তারিত»

প্রত্যাবর্তন

আবার দেখা হবে

সেই খোলা প্রান্তরে, পাগলা হাওয়ায়

উড়বে তোমার চুল,

তোমার শাড়ীর আঁচলে

ছেয়ে যাবে কাশবন।

সমগ্র শরীরে প্রজাপতি

উল্লসিত ঘাসফড়িঙ,

এসো আবার উল্টে দেই

সময়ের বালিঘড়ি।

বিস্তারিত»

তুমি যত্ন না নিলেই

তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু অযত্নে পড়ে থাকে,
চশমার কাচ ঘোলা হয়,
অশাষণে বেড়ে ওঠে নখ, মসৃণ গালে রাজত্ব করে অমসৃণ দাঁড়ি।
বড় হয় চুল- আরো কতো ভুল, আরো কত কি।
চিরুনি বসে থাকে অলস হয়ে,
লুকিং গ্লাসে দেখা হয় না নিজেকে।
ইস্ত্রী না করা শার্ট পড়ে বের হই যত্রতত্র।
তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু ক্যামোন জানি মনে হয়,

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

জীবন চাপ দিচ্ছে

একটি দিনলিপি সিরিজ চালাচ্ছিলাম। সেটার মাঝে বিভিন্ন স্বাদের মসলা দেয়ার চেষ্টা করতাম। সেটায় হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেললাম। এরমাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। এতকিছু ঘটেছে যে সেগুলো নিয়ে লিখতেও ইচ্ছা করছে না। পাছে লোকে কিছু বলে (কিংবা বলতে পারেন পাছে লোকে কোপ মারে?) বলতে বলতে কোপ নিয়ে কিছু মরবিড রসিকতা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। নাহ। সেটাও ঢোক হিসেবে গিলে ফেলি। তখন যদি আবার টিকটিকি পিছু নেয়?

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১০

আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

অর্থহীন

সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।

এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়িটির তীরে


সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল দিনলিপি

একঃ
বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনায় তারার প্রি-কে স্কুলের একটি গল্প মনে পড়ে গেল আজ!

প্রাচীন চীনে পরিবারের বড় সন্তানের নাম রাখা হতো খুব ঘটাপটা করে। প্রথমটির পরে একটা দুটো বাচ্চা হলে চং, মং, চিয়াং, মিয়ান কিছু একটা রাখলেই হলো কিন্তু বড়জন ভবিষ্যতে পরিবারের ত্রানকর্তার ভূমিকা পালন করবে তাই তার নামের গুরুত্ব অনেক। আমরা যেমন মোমেনা কে আদর করে মুমু বলি, হোসনে আরা কে হাসু অথবা ক্যাটরিনাকে ক্যাট বলি ওদের নিয়ম ছিল ভিন্ন।

বিস্তারিত»

তাড়াহুড়ো

তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে,
চোখের কাজল লেপ্টে ফেল,
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে,
ভুল করে পড়ে ফেল নীল চুড়ি।
অথবা তোমার টিপ পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ করে,
সরে যায় কপাল থেকে।
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি,
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী।

আচ্ছা,
তখন কেমন লাগে বলবে?
যখন তুমি আমার কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে,

বিস্তারিত»

সাতটি তিলের তিমির

তিলের অধিক তিমির হয় না বুঝি!

তেরো নদী
সাত সমুদ্র খুঁজি
বরিশালের কবি শেষে
আকাশের ওপারে
আকাশ পেয়ে গেলে
ট্রে হাতে মেয়েটি
গ্রীন টি হয়ে আসে

অঘ্রানের আলতো বিকেল
সহসা অন্ধকার হলে
সাতটি তিলের
নিবিড় আশ্বাসে,
‘বরং নিজেই তুমি
আঁকোনাকো একটি তিল’!
সুজাতা হতবাক।
ভেতরে পালিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে

বিস্তারিত»

আমার শহরে…

রীতিমতন কাকভেজা হয়ে গেছি, পেছন থেকে মামা তাড়া দিচ্ছিল তাড়াতাড়ি ঢুকে যেতে ঘরে, তবু দরজার সামনে পৌঁছে আনমনে দাঁড়িয়ে গেলাম হঠাৎ।
বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে অবিরল, মাথা মৃদু ঝাঁকিয়ে খানিকটা বৃষ্টি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি আমি, কিছু ক্লান্তিও ঝরে পড়ে সাথে। কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে অবশেষে বাসার দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ি ভেতরে, বহুবার দেখা সিনেমার ছবিদের মতন পরিচিত ঘরদোর সব।
ডান হাতের ভারি ব্যাগটা বাহুল্যের মত জড়িয়ে ছিল যেন এতক্ষণ,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি ভেজার দিন

আমার খুব বৃষ্টি ভেজার শখ। ঝুম বৃষ্টিতে দাঁড়ালে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো কেমন যেন আশীর্বাদের মত গায়ে এসে পড়ে। শেষ কবে বৃষ্টি ভিজেছিলাম মনে নেই, তবে সংসদ ভবন চত্বরে সেই ভেজার পরে ভীষণ জ্বর হয়েছিল আমার। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। ডাক্তাররা নানান রকমের পরীক্ষা করে কিছুই ধরতে পারেননি, পূর্বে ম্যালেরিয়ার ইতিহাস থাকায় পুনরায় মুঠো মুঠো জেসোকুইন গিলতে হয়েছিল।

আজ সকালবেলায় ঝুম বৃষ্টি, আজ অফিসও নেই।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৯

10933813_10152545555877623_7983992424556605231_n
My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)

যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।

বিস্তারিত»

ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল

ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।

পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।

বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!

ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»