গতকাল আমি আমার ছেলেকে নিয়ে লাইব্রেরি তে গল্পের বই কিনতে গিয়েছিলাম……
ছেলে একটার পর একটা গল্পের বই সিলেক্ট করে মোটামুটি একটা স্তুপ করে ফেলল এবং দোকানদারকেও হয়রান করে ফেলল বই খুঁজে বের করাতে করাতে …
আমি পাশ থেকে দাড়িয়ে দেখছিলাম পুরো সময়টা … ।
পুরোটা লাইব্রেরি কেবলই পাঠ্য পুস্তকে ভরা……তার আবার বেশির ভাগটাই বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই।
গল্পের বই খুব কম……
দিনলিপিঃ দোবার টেক
প্রতিবেশী গ্রেস পাওয়ারসের বাড়িতে ডিনার শেষে পোর্সেলিনের রেকাবীতে যে মিষ্টান্নটি এলো তার নাম সেক্স ইন আ প্যান!
হোয়াট? এটি কি তোমার দেয়া নাম নাকি, গ্রেস?
আমরা পূর্বের রক্ষণশীল মানুষ; আমাদের খাবারদাবারে এখনো পরিবার পরিজনবর্গ আসেন বটে; কিন্তু সেক্স টেক্স নৈব নৈব চ! মামুর হালিম, বউ খুদ, বড় বাপের পোলায় খায় এসব নাম চলতে পারে কিন্তু ডেভিলড এগ, হাশ পাপি, ডাচ বেবি প্যান কেক,
বিস্তারিত»জীবনের কবিতা এক জোড়া অথবা এক জোড়া জীবনের কবিতা
~ চাই খুব অথচ যাই না ~
জীবনের ট্রেনটাকে ধরি, ছুঁই, চড়ি না।
চড়লেই যদি সে টেনে নেয় কোনো গন্তব্যে !
যাওয়ার শখটাই এতো বেশী
যাত্রা শেষ হোক কিছুতেই চাই না।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
~ এমনতরো নীল নয় স্বপ্নীল ~
জীবন এমনতরো কেন হয় !
যাপনের ছাই চাপা তূষ
জ্বলে জ্বলে কেন শুধু এঁকে যায় ক্ষয় !
|| ভ্যাট নিয়ে নাগরিক ভাটায় আগুন ~ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা খাতে ভ্যাট নিয়ে করমচার কড়চা ||
খুব ছোটোবেলায় যখন বাসার সবাই মিলে বাংলা সিনেমা দেখা একটা নিখাদ বিনোদন ছিলো। সেই রকম একটা সময়ে কোনো এক সিনেমায় দেখেছিলাম কমেডি ক্যারেকটারটি (খুব সম্ভবত খান জয়নুল) রান্নার বই দেখে রান্না করছে। কিন্তু মাঝে কিঞ্চিত বিঘ্ন ঘটায় বইটির পাতা উলটে যায়। তারপর মাছ রান্নায় দুধ, চিনি, এমন সব উপকরনের নাম পাঠ করে তার সবই দিতে থাকে সে রান্নার হাঁড়িতে। হল ভর্তি মানুষের হাসিতে দম আঁটকে মরার দশা।
বিস্তারিত»বুড়িঘাট ঝুড়ি থেকে এইসব দৃশ্য
বুনো মেঘ উড়ে যায় পাহাড়ের আড়ালে
দুর্নাম বেড়ে যায় লুকোচুরি চাঁদনীর
মশারীর খাঁচা খুলে দরোজায় দাড়ালে
তন্দ্রায় দুই চোখ বুঁজে যেন আধ নীড়।
শেষ রাতে ভাঙে ঘুম, চাঁপাফুল উঠোনে
কার্পেট দুর্বা ও ঘাসদল মাড়িয়ে
ধীর পায়ে হেটে হেটে শিউলিকে মুঠো নেয়
তারপর পাহাড়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে–
চাঁদ ডাকে আয় আয়, অদ্ভুত উজ্জ্বল
এ্যালুমিনিয়াম মাখা চমকিত ধুধু মাঠ
যতদূর চোখ যায় থৈ থৈ ভরা জল
কাপ্তাই কোলে সেই স্মৃতিময় বুড়িঘাট!
জীবনের জার্নাল – ১২
এমসিসিতে রোজাঃ
এমসিসিতে প্রথম রোজাটা পেয়েছিলাম মাঘের শীতে। যেদিন আকাশে প্রথম রোজার বাঁকা চাঁদটি ওঠার কথা, আমরা সবাই সেদিন হাউসের ছাদে উঠেছিলাম তাকে স্বাগত জানাতে, আর আশ্বস্ত হতে। কিন্তু আমরা তার দেখা পাইনি। পরে রাতে খবরে শুনেছিলাম রাওয়ালপিন্ডির কোথাও চাঁদ দেখা গেছে, তাই পরদিন থেকে রোজা শুরু, অর্থাৎ ঐ রাতেরই শেষরাত থেকে সেহেরী খেতে হবে। কলেজে যাবার আগেও বাসায় রোযার মাসে রোযা রাখতাম, তবে তখনো সম্ভবতঃ পুরো মাসব্যাপী রোযা রাখা হয়নি।
দ্বিখন্ডিতা
অনামিকা স্বেচ্ছায় দ্বিখন্ডিতা হয়ে যায়।
এক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখায়,
আরেক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখে।
এক খন্ড হয়ে যায় যাপিত জীবন,
অপরখন্ড থেকে যায় অশ্রুর কারণ।
ঢাকা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
নেই-ই তো
অথচ চুম্বন নামে কোন দেশ নেই
যেখানে পরিখাঘেরা দুর্গ
আর অনুগত সৈন্যদল নিয়ে
শত্রুঠোঁটের আক্রমণ রুখে দিয়ে
বিজয়নিশান ওড়াতে পারো পতপত,
শান্তির কপোত উড়িয়েও
সন্ধিপ্রস্তাব ছিঁড়ে ফেলতে পারো
কপট হেলায়
ছিলোই না অমন কোন দেশ,
নইলে এ অবেলায়
জনহীন করিডোরে
প্রতিরোধ নেই;
একাকী ঠোঁটে
প্রতিকারবিহীন
কেন মুছে চলো
লালিমার একগুচ্ছ রেশ!
সিসিবি’র সকলকে দাওয়াত
গতমাসে কাতারের রাজধানী দোহায় এসেছি, সপরিবারে।
সিসিবি’র সকলকে দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা+খাওয়া সহ সামান্য ঘোরাঘুরির আয়োজনও করা যাবে 🙂
(ব্লগে রাজনীতি ট্যাগ যোগ করে দিলাম। কারণ, আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে আড্ডা হবে। আর সেই আড্ডায় রাজনীতিও থাকবে, থাকবেই। রাজনীতি ছাড়া বাঙালির আড্ডা হয় নাকি?)
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ পাশ্চাত্যের জীবন প্রাচ্যের যাপন
আ বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা কতবার যে দেখেছি! নোবেল বিজয়ী গনিতজ্ঞ জন ন্যাশের জীবন অবলম্বনে বানানো এই মুভিটি আমার অল টাইম ফেভারিট। এখনো কানে বাজে এলিশিয়া (মিসেস ন্যাশ) বলছেন, গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?
নোবেল পাওয়ার বহু আগে থেকেই জন ন্যাশ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়মুখ ছিলেন। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে তিনি যেচে পড়ে কারো সাথে কথা বলতেন না বটে,
বিস্তারিত»বিমান বাজি!
কলেজ ডাইনিং হলে নিয়মিতই আমাদের বেশ কিছু অখাদ্য পরিবেশন করা হত। খোয়া ঝামা পিঁয়াজু, দাঁতের চিহ্ন রেখে আসা বিস্কুট,মাথা ধরা কেক,খাজা,গজাসহ নানান কিসিমের অখাদ্য। সেই সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারের সবজি। তার মধ্যে বিখ্যাত ছিল বিমান রায় বাজি! সিলেটি বংশোদ্ভুত এই তুখোড় পরিসংখ্যানবিদ একদা আমাদের মেস ওআইসি নিযুক্ত হলেন। তারপর ডিনারে ডাইনিং হলে ঢুকতেই তাকে দেখতাম অদ্ভুত ম্যাচিং এর জামাকাপড় গায়ে একেবারে মাঝবরাবর দন্ডায়মান,যাকে বলে রেডি ফর টেক অফ।
বিস্তারিত»খাঁচার পাখি গায় কেন গান জানি (অনুবাদ কবিতা)
বাতাসের পিঠে লাফিয়ে উঠে মুক্ত পাখি,
ডুব দিয়ে যায় নীচের দিকে যেথায় এসে
শেষ হয়ে যায় স্রোতের নাচন, আর তখন
পাখনা মেলায় কমলা রঙের রোদ্দুরে,
দুঃসাহসে আকাশটাকেই দাবী করে।
কিন্তু সরু খাঁচায় বন্দী আছে যে পাখিটা,
সে হেঁটে বেড়ায় চুপি চুপি। ক্রোধের বেড়া
পার হয়ে তার দৃষ্টি কদাচ বাইরে বেরোয়।
তার ডানা জোড়া এঁটে দেয়া, পা দুটোও
বাঁধা থাকায়,
জীবনের জার্নাল – ১১
প্রথম “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”। নামটা সবার জন্য “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন” হলেও, আসলে প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপাল আর এডজুট্যান্ট, এই তিনজন মিলে ভাগাভাগি করে তিন হাউসে ইন্সপেকশনে যেতেন। শুক্রবারে কলেজে এসে রোববারেই এই কঠোর “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”এর সম্মুখীন হলাম এমসিসির কোলে আসা আমরা এই ৫৬ জন সদ্যজাত শিশু। অনেকের অনেক রকম পরামর্শ শুনে মাঝে মাঝে আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। একদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম যে কাপড় চোপড়, জুতো স্যান্ডেল, বই পত্র সবই নতুন।
বিস্তারিত»কিজন্য আমি “বন্ধুবৃত্ত” নাটকের সাথে সংশ্লিষ্টতা পরিত্যাগ করেছি
আসসালামু আলাইকুম। আমাকে বোধহয় কমবেশি অনেকেই চেনেন। আমি সালেহ তিয়াস নামেই বেশি পরিচিত, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছি।
গত বছর আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে একটা টিভি নাটক বের করি। এই নাটকে আমার ভূমিকা ছিল অতি নগন্য, কাহিনীর কিছু অংশ লিখেছি, স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ লিখেছি, এবং নিরুপায় হয়ে এক অংশে অভিনয়ও করতে হয়েছে। এই নাটকে আমাদের পুরো ব্যাচ থেকে অনেকে অভিনয় করেছিল।
বিস্তারিত»চুম্বন! চুম্বন!!
বোনের আদেশ, “মজার কিছু লিখে ফেলো তো? কমেন্ট করে ভাসিয়ে দেই!”
চাইলেই কি আর মজার কিছু লিখা যায়?
তবুও ভাবলাম, “দেখি না একটা ট্রাই মেরে…”
যে কয়দিন থাইল্যান্ডে ছিলাম, অনেক কিছুই নিবিড় ভাবে পর্য্যবেক্ষন করেছি, যদি তা থেকে লিখার মত কোন কিছু খুঁজে পাই, এই ভেবে। কিন্তু “ভাগ্যটা ঘোলা জলের ঢোবা” খুজে যাও কিছু পাই, তা নিয়ে কি যে লিখা যায়,
বিস্তারিত»