অডিও ব্লগঃ রেলগাড়ির গান

প্রতিবার দেশে গেলে আমার বাবা তারার জন্য একজন মাষ্টারমশাই নিযুক্ত করেছেন গান শেখাতে। পঁচিশ তিরিশের দীর্ঘকায় শ্যামবর্ণ একটি ছেলে সপ্তাহে তিনদিন আসতেন তালিম দিতে। একদিন বাবা বললেন তারা একা গাইবে কেনো, মাগো? তুমিও বসে যাও হারমোনিয়াম নিয়ে। অনুশীলনের অভাবে কন্ঠে লালিত্যের ঘাটতি থাকলেও পিতা জানেন তার কন্যার বুকে সুরের নিত্য আনাগোনা! ডো-রে-মি-ফা ভুলে যাবার বহু বছর পর আবারও সারগামে ডুব দিলাম বাবার মন রাখতে।

গৌতম নামের মাষ্টারমশাই এর সাথে আমাদের মা মেয়ের খুব ভাব হয়ে গেল।

বিস্তারিত»

প্রলাপ – ১৪

সে-কথাগুলো কেবলি ভাসতে থাকে।
আকাশের এক টুকরো ফাঁকে
কি করে এঁটে যায়
মস্ত জীবনের সবগুলো ছবি
হার্ড ডিস্ক, যত নেগেটিভ
মামুলি সব লোনাজল,
কথা অনর্গল

তাকে প্রলাপ বলে ভুল করে
ছুঁড়ে ফেলে
হাত মুখ মুছে নিয়ে
জীবনে জীবন ঘষে
আগুন জ্বালাবার মিছে
প্রয়াস নিয়ে
যখন ফুলে ফুলে
দুলে দুলে উঠছে
সব-পেয়েছি-র হাওয়া,

বিস্তারিত»

আশা নিরাশা

কালি কলম সবই ছিল,
সাদা কাগজ, তাও তো ছিল,
চিঠিও লেখার ইচ্ছে ছিল, কেবল…
লিখবো যাকে, সে ছিল না!

উথাল পাতাল ইচ্ছে ছিল,
কাব্য করার সাধ্য ছিল,
চোখেও গভীর স্বপ্ন ছিল, শুধু…
স্বপ্নদেবীর খোঁজ ছিল না!

দু’চার চরণ পদ্য লিখে,
কেটে দিতাম পর নিমেষে,
কি হতো আর ওসব রেখে, যখন…
পদ্য পড়ার কেউ ছিল না!

বিস্তারিত»

দৃষ্টিতে বৃষ্টি

রুটিন বাঁধা জীবন, সেতো বন্দীত্বেরই নামান্তর!
এপারেতে দৃষ্টি উদাস, ওপারেতে মুক্ত আকাশ,
অসীম পানে দৃষ্টি রাখি,
ভেতর থেকে বাহির দেখি,
বৃষ্টিভেজা বৃক্ষ দেখি,
কালো কাকের চক্ষু দেখি।
মাথায় ছিল সংখ্যা যত,
হঠাৎ দেখি সংকুচিত,
শূন্য ছাড়া নেই কিছু আর,
এপার ওপার ভাবতে গিয়েই ঘটছে কত ভাবান্তর!

তৃষ্ণা যখন মনের ভেতর, দৃষ্টি যখন তেপান্তর,
তখন দেখি দালান ভেজে,

বিস্তারিত»

মিরাজ

সাদামাটা একখানা ফতুয়ার সাথে নিভাঁজ খাকিতে
দীপ্ত মুখখানি! কালো চশমার অন্তরালে গভীর চোখের
শুদ্ধতা আর সারল্য শিশুকেও পরাভূত করে।
রূপালী হাতঘড়িতে জ্যৈষ্ঠের ধূসরাভ সন্ধ্যা।
স্মিত হাসিতে করতলখানি বাড়িয়ে বললেন,
হ্যালো, জেটা! দেখা হলো অবশেষে! গালে গাল উষ্ণ সম্ভাষন।
তর্জনী আর বৃদ্ধাংগুলে ক্ষুদ্রকায় বৃত্ত এঁকে বললেন,
এইটুকু মোটে পৃথিবী তাতেই আধা জন্ম পার হয়ে মিললো দেখা তোমার!
লালচে কমলা মাসট্যাঙে কলাপাতা সবুজ মন
কিশোরের মুগ্ধতার বিনিময়ে বালিকার প্রগলভ হাসি।

বিস্তারিত»

পিঙ্ক ফ্লয়েড এর দেয়াল : একখানা মুভি

গানের ব্যাপারে নিজেকে আমি সর্বভুক বলেই দাবি করি.. তবুও কেউ যখন ফেভারিট আর্টিস্ট বা ব্যান্ড এর ব্যাপারে তখন আমি চোখ বন্ধ করে বলে দেই Pink Floyd এর কথা। পিঙ্ক ফ্লয়েড ইজ পিঙ্ক ফ্লয়েড। পিঙ্ক ফ্লয়েড এর নাম প্রথম শুনি পত্র পত্রিকায় আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড এর ইন্টারভিউএ । তখন আমি স্কুলে পড়ি আরকি। সাংবাদিকরা যখন আমাদের দেশের বিভিন্ন আর্টিস্ট দের জিজ্ঞেস করে যে দেশের বাইরে তাদের ফেভারিট ব্যান্ড কি তখন সবাই কয়েকটা ব্যান্ড এর নাম বলে..

বিস্তারিত»

মিসিং ইউ : আনন্দ শঙ্কর

জলভারাতুর
বিষণ্ণ থোকা থোকা মেঘ দেখে
তোমাকে মনে প’ড়ে গেলো,
আনন্দ শংকর!
বিরহের যথার্থ সুর বেঁধেছিলে বলে
আজ সারা দুপুর
‘মিসিং ইউ’ শুনে
হৃদয় পোড়ে,
মেঘেদের মতন
সমস্ত আকাশে
বিচ্ছেদের স্বরলিপি ওড়ে… …

————————-
ফেসবুক। ১৬ মে ‘১৫

বিস্তারিত»

শৃঙ্খলিত আকাশ

আমার দুরন্ত আকাশ

বাঁধা পড়ে গেছে সময়ের ফ্রেমে,

নীল শেকলে বন্দী আমার

শুভ্র মেঘের ডানা।

 

এখানে তারারাও জ্বলে নেভে

সময় মেপে মেপে,

বিষণ্ণ চোখে চেয়ে থাকে

এক ফালি চাঁদ।

 

কখনও কখনও এখানে ওড়ে

এক ঝাঁক পাখি,

কিংবা গোটাকয় রঙ্গিন ঘুড়ি

আমি চেয়ে থাকি,

বিস্তারিত»

মেয়ে, আজ তোমায় বলবনা কিছু

মেয়ে আজ তোমায় আমি কিছুই বলবনা,
শুধু আসর খালি হয়ে গেলে,
শেষ মোমবাতিটাও যখন নিভে যাবে,
আমি একাকী ওই চাঁদটার সাথে জেগে থাকবো।
তুমি ক্লান্ত হয়ে তোমার বালিশে মাথা রেখো।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ ইয়ার্ডলি অথবা চিনিটুশের শৈশব

এক

আমার আশেপাশে দেশী দোকানপাট কিছুই নেই কিন্তু ভারতীয় সব আছে। সুরে সুরে ইংরেজী বলা গুজরাটি, তামিল আর কর্ণাটকের লোকজন আছে চারপাশে প্রচুর। বিশাল আকারের প্যাটেল প্লাজায় কী নেই তাই ভাবি! বারোয়ারী মুদি দোকান থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, চটকদার শাড়ীর দোকান, স্বর্ণকার অথবা টিউটোরিয়াল সবই আছে।

আজ তারার জন্য লিচু কিনতে চেরিয়ানে গেছি সকালবেলায়। চেরিয়ান সুপার মার্কেটটি আকারে বেশ বড়সড়, এতে সজনে ডাটা থেকে শুরু করে ফ্রোজেন ডালপুরি,

বিস্তারিত»

তস্করের হাতে চিঠিখানি

আকাশ থেকে অমনি
ঝরে পড়ে নীলখাম;

দ্যাখে তার ডাকনাম
এট ইমেইল ডট কম
লেখা আছে
সবগুলো গাছে —
সবুজ পাতার পরে
চারু চারু অক্ষরে

“হতচ্ছাড়া,
চুরি করেছিস,মনে নেই!
এখন কি
তোর কাছে গিয়ে
দিনের কথা পুরনো সেই
শুনে
মনের আমার
মন কেমন করে,
এখনো কি মেঘের মতন
অভিমান ঝরে,

বিস্তারিত»

ভালবাসার হলুদ ফুল

ঘনসবুজ পাতা আর উজ্জ্বল হলুদ ফুলের
পাতায় আর পাঁপড়িতে দেখি এক ভেনাসের মুখ।
ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখা যায় ধুসর আকাশ,
তা দেখে মনের আকাশে নেমে আসে হাল্কা অসুখ।

ফুলের সৌরভ ভেসে আসে বাতাসে বাতাসে,
মৌ মৌ করে মন আরো কিছু অচেনা সুবাসে।
ফুলের ঔজ্জ্বল্য মনটাকে করে দেয় বেজায় ভালো,
পরশে মেখে যায় ভালবাসার কিছু নরম আলো।

 

বিস্তারিত»

মোম ও তুমি

মোম গলে যায় অগ্নিশিখায়,
তুমি গলে যাও নরম কথায়।
ফোঁটায় ফোঁটায় মোমের ক্ষয়,
জানি, কিসে তোমার কষ্ট হয়।

তুমি মোমের মত গলে গলে
আমার বুকে আটকে গেলে!
ফোসকা পড়ার ভয় ছিলনা,
গরম তাপের জ্বালা ছিলনা।

আমার বুকে জ্বলছে মোম,
জ্বলতে থাকে সর্বক্ষণ,
সেই আলোতে চলছি পথ,
স্মরণে রেখে সব শপথ।

 

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ঘ)

শুক্রবারে ধানমন্ডিতে কাকার বাসায় যাবার সময় দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি মাথায় পড়েছিল। সেটা সহ্য হয়নি। দেশে আসার পর প্রথম রোগ বালাই কিংবা বলা চলে রোগ বালাইয়ের উপসর্গঃ হাল্কা জ্বর, গায়ে ব্যথা, মুখে অরুচি এইসব ধানাইপানাই। কিন্তু নিয়ম করে সন্ধ্যায় ও ভোররাতে জ্বরের আনাগোনা দেখে গতকাল গিয়েছিলাম ডাক্তারখানায়। টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড আমার খুব কাছের বন্ধু। ভাবলাম আবারো বাড়ি এলো কিনা?

এলাকার হাসপাতালের কাউন্টারের সামনে হেসে,

বিস্তারিত»

আর্ট এগজিবিশন : লেসনস এন্ড টিপস্‌

এই লিখাটা আদৌ লিখবো কি লিখবো না, তা নিয়ে নিজের সাথে ভালোই যুদ্ধ করে কাটালাম বেশ কয়েকটা সপ্তাহ।
কিসের যুদ্ধ? কেন যুদ্ধ??

না লিখার পক্ষে প্রধান নিয়ামক ছিল, মটিভেশনের অভাব।
– ডাইরেক্ট ইন-ডাইরেক্ট মিলিয়ে অলরেডি ৩টা ব্লগ লিখেছি এই এক ইভেন্ট নিয়ে। সেগুলোর ট্রাফিক ও কমেন্ট দিনে দিনে কমে এসেছে। বোঝা যাচ্ছে, পাঠকরা এই এক বিষয়ে বেশী কচলানো পছন্দ করছেন না।

বিস্তারিত»