আলো এবং অন্ধকারের উপাখ্যান

আমার আকাশ থেকে আলো করে চুরি

সাজাও নক্ষত্ররাজি তোমার আকাশে,

এটা ঠিক শোভনীয় নয়

এটা নয় মানবিক।

 

তবু ক্ষমা করে দিলাম,

একটু আলোই তো করেছ চুরি

আমার দশ দিগন্তের অন্ধকারে

কেউ বসাতে পারোনি ভাগ।

 

ঊষা থেকে গোধূলি পর্যন্ত

অবাধ আলোর মিছিল থেকেই

নিয়ে নেব আলোর ভাঁড়ার,

বিস্তারিত»

কী হবে?

সূর্যটা শেষমেষ
সাগরের তরল বুকেই ডুবে যায়!
আগুনের ফুলকিগুলো
শেষমেষ ছাই হয়ে জলে মিশে যায়।

কী হবে কাঠিন্য দিয়ে,
তারল্যের বুকেই যদি লিখা থাকে
শেষ ঠিকানাটা।
সব কিছু দ্রবীভূত হয়,
যদি রসায়নটা ভালো করে জানা থাকে।

দিগন্তে যে সূর্যটা হারিয়ে যায়,
ভূঁই ফুঁড়ে সে আবার বের হয় পরদিন।
আবার আলো জ্বালে, উত্তাপ ছড়ায়,

বিস্তারিত»

পজিটিভিটি

নিজেকে একেবারে মেলে ধরতে পারি না
আর কারো কাছে, শুধুমাত্র তুমি ছাড়া।
আমার জীবনের সকল অর্জনগুলোর সার-সংক্ষেপটাকে
সামেশন করে যখন কারো কাছে নিবেদন করতে যাই,
কি করে যেন ফলাফলের আগে
একটা মাইনাস চিহ্ন বসে যায়।
তোমার কাছেই শুধু পজিটিভ মূল্য পায়
আমার সকল অকিঞ্চিৎকর নিবেদন।

ঢাকা
০৬ মে ২০১৫কাছেই
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ স্যাডেল ইয়োর ড্রিমস বিফোর ইউ রাইড ‘এম

দেশে যাতায়াতের জন্য এমিরেটস এয়ারলাইন্স আমাদের পছন্দের। ওদের প্লেনে উঠলেই দেশ দেশ একটা ভাব চলে আসে। তারা অনলাইনে এমিরেটসের মুভি লিস্টের পাত্তা লাগায়, সামনের দিকে সিটের বুকিং দেয় সাথে সাথেই। বাড়ির বাইরে পা দেয়া মাত্র আমার খাই খাই একটা ফিলিং শুরু হয়ে যায় সব সময়। যাত্রায় ভোজন নাস্তি’ কথাটি আমি খুব মানি। ভারী খাবার খাইনা বটে কিন্তু সামান্য বাদাম বা প্রেটসেলস অথবা আধা কাপ কমলার জুসে বেশ চলে যায়।

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা : এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি

এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি – ১
———————–
সৈয়দ শামসুল হক

বারান্দায় বসে আছি আমরা। রাত ১১-৩০।
ছাইদান রাখো না ঘরে, তাই পিরীচ
দিয়েছিলে। ছাই উড়ছে মৃত জোনাকির মতো ।
লোকে যা জানে না, মেলে ধরছি প্রণয়ের ক্ষত;
যেন তুমি চিকিৎসক জোছ্‌নার ক্লিনিকে আজ, তোমার সমুখে।
থামের অন্ধকারে, হাতের চাঁদনামা চিবুকে
কি সাবধানে ধারণ করে আছো মমতা
যা তোমার।

বিস্তারিত»

কলেজে রোজা

ক্লাশ সেভেনের বাচ্চা তখন।কলেজই ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। দুপুরে ক্লাশ লিডার জিজ্ঞাসা করল শবে বরাতে রোজা রাখব কি না!!! ক্যাডেট কলেজে রোজা!!! ক্যামনে কি??
বুকে দম নিয়ে মুন্না ভাই কে জিজ্ঞাসা করতে যাব যে ওইদিনের শিডিউল কি তার আগেই মুন্না ভাই নিজে থেকে বলল,
– মজা আছে বুজছ!! রোজা রাখলে সারাদিন ঘুমাবা।
আমার চোখ দুটা বড় বড় হয়ে গেল। কন্ঠে অনেক বিস্ময়।।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ রেলগাড়ির গান

প্রতিবার দেশে গেলে আমার বাবা তারার জন্য একজন মাষ্টারমশাই নিযুক্ত করেছেন গান শেখাতে। পঁচিশ তিরিশের দীর্ঘকায় শ্যামবর্ণ একটি ছেলে সপ্তাহে তিনদিন আসতেন তালিম দিতে। একদিন বাবা বললেন তারা একা গাইবে কেনো, মাগো? তুমিও বসে যাও হারমোনিয়াম নিয়ে। অনুশীলনের অভাবে কন্ঠে লালিত্যের ঘাটতি থাকলেও পিতা জানেন তার কন্যার বুকে সুরের নিত্য আনাগোনা! ডো-রে-মি-ফা ভুলে যাবার বহু বছর পর আবারও সারগামে ডুব দিলাম বাবার মন রাখতে।

গৌতম নামের মাষ্টারমশাই এর সাথে আমাদের মা মেয়ের খুব ভাব হয়ে গেল।

বিস্তারিত»

প্রলাপ – ১৪

সে-কথাগুলো কেবলি ভাসতে থাকে।
আকাশের এক টুকরো ফাঁকে
কি করে এঁটে যায়
মস্ত জীবনের সবগুলো ছবি
হার্ড ডিস্ক, যত নেগেটিভ
মামুলি সব লোনাজল,
কথা অনর্গল

তাকে প্রলাপ বলে ভুল করে
ছুঁড়ে ফেলে
হাত মুখ মুছে নিয়ে
জীবনে জীবন ঘষে
আগুন জ্বালাবার মিছে
প্রয়াস নিয়ে
যখন ফুলে ফুলে
দুলে দুলে উঠছে
সব-পেয়েছি-র হাওয়া,

বিস্তারিত»

আশা নিরাশা

কালি কলম সবই ছিল,
সাদা কাগজ, তাও তো ছিল,
চিঠিও লেখার ইচ্ছে ছিল, কেবল…
লিখবো যাকে, সে ছিল না!

উথাল পাতাল ইচ্ছে ছিল,
কাব্য করার সাধ্য ছিল,
চোখেও গভীর স্বপ্ন ছিল, শুধু…
স্বপ্নদেবীর খোঁজ ছিল না!

দু’চার চরণ পদ্য লিখে,
কেটে দিতাম পর নিমেষে,
কি হতো আর ওসব রেখে, যখন…
পদ্য পড়ার কেউ ছিল না!

বিস্তারিত»

দৃষ্টিতে বৃষ্টি

রুটিন বাঁধা জীবন, সেতো বন্দীত্বেরই নামান্তর!
এপারেতে দৃষ্টি উদাস, ওপারেতে মুক্ত আকাশ,
অসীম পানে দৃষ্টি রাখি,
ভেতর থেকে বাহির দেখি,
বৃষ্টিভেজা বৃক্ষ দেখি,
কালো কাকের চক্ষু দেখি।
মাথায় ছিল সংখ্যা যত,
হঠাৎ দেখি সংকুচিত,
শূন্য ছাড়া নেই কিছু আর,
এপার ওপার ভাবতে গিয়েই ঘটছে কত ভাবান্তর!

তৃষ্ণা যখন মনের ভেতর, দৃষ্টি যখন তেপান্তর,
তখন দেখি দালান ভেজে,

বিস্তারিত»

মিরাজ

সাদামাটা একখানা ফতুয়ার সাথে নিভাঁজ খাকিতে
দীপ্ত মুখখানি! কালো চশমার অন্তরালে গভীর চোখের
শুদ্ধতা আর সারল্য শিশুকেও পরাভূত করে।
রূপালী হাতঘড়িতে জ্যৈষ্ঠের ধূসরাভ সন্ধ্যা।
স্মিত হাসিতে করতলখানি বাড়িয়ে বললেন,
হ্যালো, জেটা! দেখা হলো অবশেষে! গালে গাল উষ্ণ সম্ভাষন।
তর্জনী আর বৃদ্ধাংগুলে ক্ষুদ্রকায় বৃত্ত এঁকে বললেন,
এইটুকু মোটে পৃথিবী তাতেই আধা জন্ম পার হয়ে মিললো দেখা তোমার!
লালচে কমলা মাসট্যাঙে কলাপাতা সবুজ মন
কিশোরের মুগ্ধতার বিনিময়ে বালিকার প্রগলভ হাসি।

বিস্তারিত»

পিঙ্ক ফ্লয়েড এর দেয়াল : একখানা মুভি

গানের ব্যাপারে নিজেকে আমি সর্বভুক বলেই দাবি করি.. তবুও কেউ যখন ফেভারিট আর্টিস্ট বা ব্যান্ড এর ব্যাপারে তখন আমি চোখ বন্ধ করে বলে দেই Pink Floyd এর কথা। পিঙ্ক ফ্লয়েড ইজ পিঙ্ক ফ্লয়েড। পিঙ্ক ফ্লয়েড এর নাম প্রথম শুনি পত্র পত্রিকায় আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড এর ইন্টারভিউএ । তখন আমি স্কুলে পড়ি আরকি। সাংবাদিকরা যখন আমাদের দেশের বিভিন্ন আর্টিস্ট দের জিজ্ঞেস করে যে দেশের বাইরে তাদের ফেভারিট ব্যান্ড কি তখন সবাই কয়েকটা ব্যান্ড এর নাম বলে..

বিস্তারিত»

মিসিং ইউ : আনন্দ শঙ্কর

জলভারাতুর
বিষণ্ণ থোকা থোকা মেঘ দেখে
তোমাকে মনে প’ড়ে গেলো,
আনন্দ শংকর!
বিরহের যথার্থ সুর বেঁধেছিলে বলে
আজ সারা দুপুর
‘মিসিং ইউ’ শুনে
হৃদয় পোড়ে,
মেঘেদের মতন
সমস্ত আকাশে
বিচ্ছেদের স্বরলিপি ওড়ে… …

————————-
ফেসবুক। ১৬ মে ‘১৫

বিস্তারিত»

শৃঙ্খলিত আকাশ

আমার দুরন্ত আকাশ

বাঁধা পড়ে গেছে সময়ের ফ্রেমে,

নীল শেকলে বন্দী আমার

শুভ্র মেঘের ডানা।

 

এখানে তারারাও জ্বলে নেভে

সময় মেপে মেপে,

বিষণ্ণ চোখে চেয়ে থাকে

এক ফালি চাঁদ।

 

কখনও কখনও এখানে ওড়ে

এক ঝাঁক পাখি,

কিংবা গোটাকয় রঙ্গিন ঘুড়ি

আমি চেয়ে থাকি,

বিস্তারিত»

মেয়ে, আজ তোমায় বলবনা কিছু

মেয়ে আজ তোমায় আমি কিছুই বলবনা,
শুধু আসর খালি হয়ে গেলে,
শেষ মোমবাতিটাও যখন নিভে যাবে,
আমি একাকী ওই চাঁদটার সাথে জেগে থাকবো।
তুমি ক্লান্ত হয়ে তোমার বালিশে মাথা রেখো।

বিস্তারিত»