তাড়াহুড়ো

তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে,
চোখের কাজল লেপ্টে ফেল,
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে,
ভুল করে পড়ে ফেল নীল চুড়ি।
অথবা তোমার টিপ পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ করে,
সরে যায় কপাল থেকে।
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি,
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী।

আচ্ছা,
তখন কেমন লাগে বলবে?
যখন তুমি আমার কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে,

বিস্তারিত»

সাতটি তিলের তিমির

তিলের অধিক তিমির হয় না বুঝি!

তেরো নদী
সাত সমুদ্র খুঁজি
বরিশালের কবি শেষে
আকাশের ওপারে
আকাশ পেয়ে গেলে
ট্রে হাতে মেয়েটি
গ্রীন টি হয়ে আসে

অঘ্রানের আলতো বিকেল
সহসা অন্ধকার হলে
সাতটি তিলের
নিবিড় আশ্বাসে,
‘বরং নিজেই তুমি
আঁকোনাকো একটি তিল’!
সুজাতা হতবাক।
ভেতরে পালিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে

বিস্তারিত»

আমার শহরে…

রীতিমতন কাকভেজা হয়ে গেছি, পেছন থেকে মামা তাড়া দিচ্ছিল তাড়াতাড়ি ঢুকে যেতে ঘরে, তবু দরজার সামনে পৌঁছে আনমনে দাঁড়িয়ে গেলাম হঠাৎ।
বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে অবিরল, মাথা মৃদু ঝাঁকিয়ে খানিকটা বৃষ্টি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি আমি, কিছু ক্লান্তিও ঝরে পড়ে সাথে। কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে অবশেষে বাসার দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ি ভেতরে, বহুবার দেখা সিনেমার ছবিদের মতন পরিচিত ঘরদোর সব।
ডান হাতের ভারি ব্যাগটা বাহুল্যের মত জড়িয়ে ছিল যেন এতক্ষণ,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি ভেজার দিন

আমার খুব বৃষ্টি ভেজার শখ। ঝুম বৃষ্টিতে দাঁড়ালে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো কেমন যেন আশীর্বাদের মত গায়ে এসে পড়ে। শেষ কবে বৃষ্টি ভিজেছিলাম মনে নেই, তবে সংসদ ভবন চত্বরে সেই ভেজার পরে ভীষণ জ্বর হয়েছিল আমার। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। ডাক্তাররা নানান রকমের পরীক্ষা করে কিছুই ধরতে পারেননি, পূর্বে ম্যালেরিয়ার ইতিহাস থাকায় পুনরায় মুঠো মুঠো জেসোকুইন গিলতে হয়েছিল।

আজ সকালবেলায় ঝুম বৃষ্টি, আজ অফিসও নেই।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৯

10933813_10152545555877623_7983992424556605231_n
My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)

যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।

বিস্তারিত»

ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল

ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।

পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।

বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!

ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

পুষ্পাকাহিনী

“১৯৭১ সালে আমাদের কলেজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এইখানে তারা বিভিন্ন বন্দীদের আটক করে রাখত। অনেক মেয়েদের উপর নির্যাতন চালানো হতো। এমন একজন মেয়ের নাম ছিল পুষ্পা। সে একদিন পালাতে গিয়েছিল কিন্তু পাকিস্তানিরা তাকে দেখে ফেলে। সে দৌড়াতে দৌড়াতে পানির ট্যাংকির উপরে উঠে। মিলিটারিরা তার পিছে ধাওয়া করে। ট্যাংকির উপরে উঠার পরে সে আর পালানোর রাস্তা না দেখে ট্যাংকি থেকে লাফ দেয়। মিলিটারিরা নীচে এসে দেখে রক্ত আছে,

বিস্তারিত»

ইডি মানে এক্সট্রা ড্রিল

ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনে সাধারণত কেউ এক্সট্রা ড্রিল খায় না। তবুও আমাদের মঈনুল আর সাজেদ যখন এক্সকারশনে গিয়ে কোকের বোতল ঝাঁকিয়ে কোক ছিটানোর অপরাধে ক্লাস সেভেনেই ইডি’র স্বাদ গ্রহণ করল, আমাদের কেউ কেউ ওদের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাঁকাত আর ভাবত আহারে, ছেলে দুইটার কত কষ্ট হল। কেউ কেউ ভাবত, ক্লাস সেভেনেই ইডি?!! এরা নষ্ট হয়ে গেছে। এরাই একসময় ব্যাচের মান সম্মান ডুবাবে। কলেজের ডিসিপ্লিন নষ্ট করবে।

বিস্তারিত»

পাঠ-প্রতিক্রিয়া : গাং শালিখ

কিছু তার দেখি আভা, কিছু পাই অনুমানে, কিছু তার বুঝি না বা।

রবি ঠাকুরের এই উক্তিটি কবিতার বেলায় ঠিক ঠিক খেটে যায়। একসময় ভাবতাম, কবিরা কেন কবিতার পরতে পরতে এমন করে রহস্য বুনে যান? এ কেমন প্রগলভতা? তবে কি ইচ্ছে করেই তাঁরা অমন করেন?

আমি মনে করি, বার বার পাঠে প্রতিবার একটি কবিতার পুনর্জন্ম হয় প্রতি পাঠকের কল্পনায়। ভিন্ন রূপে, ভিন্ন আদলে।

বিস্তারিত»

১৬ বছর বয়সী নিজেকে লেখা চিঠিঃ পিট স্যাম্প্রাস

প্রিয় ১৬ বছর বয়সী পিট,
কয়েকদিনের মধ্যেই তুমি পেশাদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছ এবং আমি জানি-এটা নিয়ে তুমি অনেক রোমাঞ্চিত! নিজের সামর্থ্যের ব্যাপারে তুমি যথেষ্ট অবগত আছো বলে মনে মনে নিশ্চিত জানো যে-ঠিকমত পরিশ্রম করলে, খেলাটার প্রতি সৎ থাকলে সাফল্য তুমি পাবেই। বিশ্বাস কর, যতটা আশা করছ-তারচেয়ে অনেক আগেই তুমি সাফল্যের স্বাদ পাওয়া শুরু করবে! শুরুতে কিছুটা উত্থান-পতন থাকবে, তবে বছর দুয়েকের মধ্যে তুমি বিশ্বের প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে চলে আসবে এবং ইভান লেন্ডল,

বিস্তারিত»

~~ একটি অণূ ও একটি পরমাণু কবিতা ~~

~ হিজিবিজি ~

জীবনটা চাইলেই হতে পারতো
শ্লেট পেনসিল ।
চাইলেই …
চাইলেই …

চেয়েছি কি !

আঁকের ওপর আঁকে, এঁকে গেছি
যতোসব !
জীবন তো হিজিবিজি মন্তাজের
জোনাকী !
নাকি !

০৩ জুন ২০১৫ ~ বিকেল

~ মেঘরাত ~

ছিলো চাঁদ, পূর্ণিমাও ।
দৃষ্টিসখ্য পায়নি
শুধু চন্দ্রালোক !

বিস্তারিত»

ওয়ান্স আপন এ ট্রেজার্ড টাইম

Hamid Vi

 

 

 

 

 

 

শেখ আব্দুল হামিদ । ক্যাডেট নম্বর ১, ব্যাচ নম্বর ১। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জীবন্ত কিংবদন্তী। ক্যাডেট , কর্মচারী কিংবা শিক্ষক সবার মাঝেই সমান জনপ্রিয় তিনি। তবে ক্যাডেটদের মাঝে তাঁকে নিয়ে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। শাহী ভাই (১৭/৯৫২) ( লেঃ কঃ এ কে এম ইকবাল আজিম জি+ ) অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০১২ সালের ১৩ ই মার্চ আব্দুল হামিদ ভাইয়ের পার্সোনাল ফাইল হাতে পেয়ে স্টোরকীপারকে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

বিস্তারিত»

~ আগুনে অচ্ছুত সে, ভালোবাসায় ব্রাত্য ~

শহরের আগুন আজ আর
কিছুতেই দেবালয় ছোঁয় না।
মানুষকে যতোটা সে বাসে ভালো
দেবতাকে ঠিক ততোটা না।

দেবতার শাদা কিংবা নীল
রক্ত – দাহ্য ততোটা
নয়, যতোটুকু কামলার বা
শ্রমিকের, খেটে খাওয়া মানুষের,
নগন্য সাধারণ লাল
রক্ত হয়। অনায়াস বহ্নুতসবে
যারে সহজে পোড়ানো যায়।

স্বস্তা আবেগে কথার
খই ফোটায় যারা, সেই সব
বোকা সাধারণ কেরানী ও
কর্মী,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৮

সাত জুলাই সাতষট্টি, দিনটি ছিলো শুক্রবার, বাংলা ক্যালেন্ডার মোতাবেক ২৩শে আষাঢ়। তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিলো রোববারে, শুক্রবার ছিলো অর্ধদিবস, জুম্মার নামাযের জন্য বেলা ১২টায় অফিস আদালত ছুটি হয়ে যেতো। আমাকে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে রেখে আসার জন্য আব্বা ঐ দিনটা ছুটি নিয়েছিলেন। সকাল থেকেই আমর মনটা খুব খারাপ ছিলো। কলেজে যাবার দিন যতই ঘনিয়ে আসছিলো, বাসার সবাই আমার সাথে ততই সদয় আচরণ করা শুরু করেছিলো।

বিস্তারিত»

তুমি না এলে

তুমি না এলে চারপাশ কেমন নিষ্প্রভ মনে হয়,
তুমি চলে গেলে তারাগুলো সব উদাস হয়ে রয়।
তুমি না এলেও জীবন বয়ে চলে, বয়ে যায় সময়,
তবু মনে হয় বয়ে চলা যেন এ চলার নাম নয়।

(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।)

বিস্তারিত»