আমাদের কলেজ়ে ১টা common term ছিল- ‘Most বেয়াদব জুনিয়র’। প্রত্যেক ক্লাসেরই কিছু ক্যাডেট এর ভাগ্যে somehow এই tag নাজিল হত। ক্লাস সেভেনে আসতে না আসতেই কিভাবে কিভাবে জানি ১দিন আমারও ভাগ্যে এই খেতাব জুটে গেল।
2nd টার্মের ঘটনা। একদিন আমরা form এ বসে গানের কলি খেলছিলাম। B form এর শেষ ৪টা ডেস্কে বসতাম আমি, পলেন, জিনিয়া আর সোনিয়া। তখনকার ১টা famous গান ছিল ‘o maria o maria…’ আমার কাছে ‘ও’ আসতেই তাই গলা ছেড়ে গাওয়া start করলাম ‘o maria o maria…’ সাথে বাকিরাও সুর ধরলো। হঠাৎ সিনিয়র ব্লকের দিকে তাকায় দেখি মারিয়া আপা (ক্লাস 12) পানি খেতে আসছেন ব্লকে। ওনাকে দেখে কি যে মাথায় আসলো জানিনা…গলা আরো ডাবল বাড়িয়ে গাইতে থাকলাম ‘o maria o maria…’ শব্দের speed আর power যে এত বেশি হতে পারে তা আমাদের জানা ছিলনা। ২ মিনিট পরে ক্লাস এ যেন বাজ পরল। মারিয়া আপা ক্লাস এর সামনে এসে দাড়িয়েছেন!!! জিজ্ঞেস করলেন ফর্ম লিডার কে? তার পরের ঘটনা গুলো ঘটল খুব দ্রুত। আমাদের লাস্ট ডেস্কের ৪জনকে rest time এ সদাচার হাউসে দেখা করতে বলা হল। Most বেয়াদব জুনিয়র এর খেতাব পলেনের ভাগ্যেও ছিল। তাই আমাদের ২ জন কে থাকতে বলে বাকিদের পাঠিয়ে দেয়া হল। আমার জন্য পলেন খামাখা punishment খাবে এটা চিন্তা করে ক্লাস ১২ কে বললাম যে আমারই ভুল হয়েছে। মারিয়া আপা জিজ্ঞেস করলেন ‘তুমি ই তাইলে আমার দিকে আঙ্গুল তুলে গান গাছছিলে?’ আমি কখন আঙ্গুল তুলে গান গেলাম জানিনা, কিন্তু এই অপরাধে আমার শাস্তি হল ভয়াবহ! prayer time আমাকে সত্য হাউসের হাউস মাস্টার হাশেম সার এর কাছে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে গিয়ে টের পেলাম আমার খবর খারাপ আছে! মারিয়া আপা officially আমার নাম এ complain করেছেন আর সেটা এখন কলেজ পর্যায়ে চলে গেছে! ক্লাস7 এ বেশ নরম ছিলাম বলে চোখের সব পানি ১সাথে বের করে ফেললাম তাও যদি একটু রক্ষা হয়। পরের কাহিনী আর কি বলব, punishment চললো আরো কয়েকদিন। আর সুন্দর মত আমার ফাইলে ১টা red mark পরে গেল!!
এভাবেই আমি হয়ে গেলাম ‘Most বেয়াদব জুনিয়র’…
হাহাহাহাহা....নাইস 🙂
"ও মারিয়া" এই গানটা "দিল হি দিল মে"এর না? সোনালি বেন্দ্রের কথা মনে পইড়া গেল......হুসসসসসস(দীর্ঘশ্বাস)
আহ্!! তুমি মহান... :salute:
(অফ দ্য টপিক)
আমরা ব্যাকবেঞ্চাররা একবার শিশ বাজাচ্ছিলাম ফর্মে। এমন সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সদ্য যোগদান করা তরুনী এবং কচি নাহিদা সুলতানা ম্যাডাম। উনি ভাবলেন ওনারে টিজ করা হচ্ছে। সাথে সাথে কমপ্লেইন জানাইলেন তার স্বামী হুজুরে কেবলা রাশেদ স্যারকে। স্যার সবাইরে ডেকে নিয়ে গেলেন বায়লোজি ল্যাবে। রেডি করলেন তার জেহাদি তলোয়ার (বেত)...শুধু আমাদের পিছনের কয়েকজনের জন্য পুরা ফর্মের মাইর খেতে হবে বলেও আমরা স্বীকার যাই নাই। কি দরকার একাএকা মাইর খাওয়ার। B-)
স্যারকে অবশ্য বলছিলাম আপনার কচি বউকে না আমরা আমাদের নাজমুলকে টিজ করার জন্য এই কাজ করছি। ওর টিজ নাম আবার হাবিলদার কিনা 😛 ...কোন কিছুতেই অবশ্য কিছু হয়নাই। দুনিয়াবি এই খারাপ কর্মের জন্য আমাদের যেন আখিরাতে জবাব দেওয়ার ভেজালে না পড়তে হয় সেই ব্যবস্থা স্যার নিজেই করে দিছিলেন।
😉
মারিয়া আপার কামটা পছন্দ হইলো না, এতো সামান্য কারণে ক্যাডেটদের নেমেসিস অথরিটির কাছে ফাঁসায়া দেয়া উচিৎ হয় নাই।
ব্যাপারটা এত সিরিয়াস হবার কারন হল মারিয়া আপা ভাবসিলো ওনাকে tease করার জন্য আমরা গান গাইসিলাম। তার উপর ক্লাস 7 এর সিনিয়র ব্লকের দিকে তাকানো নিষেধ ছিল!!আর আমরা তো গানও গাইয়া ফেলসিলাম!
মজার ব্যাপার হল ফাইলের রেড মার্ক নিয়েই JP, CP সবই হয়ে গেসিলাম।so it didnt matter actually! 😛
:thumbup:
ক্লাস সেভেনে থাকতে ফর্মে বইস্যা গান??? 🙁 🙁
ছি রায়হান, রোজার দিনে কেন যে শীষ বাজাও। তবে এটা ঠিক ম্যাডামের দিকে তাকালেই সে ভাবত তাকে টিজ করা হচ্ছে।
ম্যাডাম DM থাকলে রাশেদ স্যার ডায়নিংহলের বাইরে হাটাহাটি করত। আর রাশেদ স্যার ভূগোল ক্লাসে ধর্মক্লাস নিত। তারা এখন কোথায় জান নাকি?
কই আছে তা তো জানি না। তবে একটা ঘটনা জানি। সেইটা হলো ম্যাডাম সিলেটে থাকাকালীন সময়ে সেইখানকার এডজুটেন্ট ম্যাডামের উপর ক্রাশ খাইছিল। সারাদিন নাকি ফিজিক্স ডিপার্মেন্টে টেবিলের উপর বসে থাকতো। আর ম্যাডামরে লং ড্রাইভে যাওয়ার অনুরোধ করতো। বুজুর্গ রাশেদ স্যার এই বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পাইছিলেন সেইটা আর জানা হয়নাই। 🙁
ছি ছি বিবাহিতা মহিলার দিকে নজর?তোগো এডজুট্যান্ট তো খুব এ লুইচ্চা ছিল...তাই তো কই তোর এই অবস্থা কেন... 😀
abar jigay. amar nijer samne tar department e....
jai hok latest khobor uni naki ekhon ar borkha poren na :clap:
কেডা কৈসে বোরকা পরে না? বোরকা ঠিকই পরে, তয় ম্যাডাম এর স্বাভাব আগের মতই আছে।খালি লাগায় দেয়| আর মাশাল্লা! স্যার ও আমাদের এস সি সি বাসীদের জান্নাতএ নেয়ার জোইন্নে সদা তৎপর| জালায়া মারলো.......... 🙁 রাশেদ স্যার এখন ক্যাডেট কোরবআনিতে ব্যস্ত। :duel:
\"why does the weasel go pop? does it matter?
if life is enjoyable, does it have to make sense?\"
এইখানে কিছু বলা বোধহয় ঠিক না।
এখনো কলেজে আছি কিনা!!!!!
আমার কাহিনী আরো প্যাথেটিক......ভাবলেই এখনো চোখে জল আসে!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আপা আপ্ নাকে আই সি সি এল এম এ দেখসিলাম সি সি আর এ। এখন ও মনে আছে 😡
তুমি তো দেখতিসি ১টা মোস্ট বেয়াদব জুনিয়র! সিনিয়র আপাকে এরকম ১টা হার্ট-টাইপ smiley দিলা!হ্যান্ডস ডাউন করায় রাখা উচিৎ! ;))
তার মানে ইয়ার মেট কেউ দিলে ক্ষতি নাই.... 😡
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আপাতত ক্ষতি নাই...তবে শারেক দেখলে তোর কি হবে তা বলতে পারছিনা!
ওই আমার আরেকটা ব্লগ আপডেট হয়না কেন?সংরক্ষন করলাম তো।
জিহাদ ভেজাল করিস না। কখন কি হয়ে যায়। 😕
x-( অই পোলাপাইন,অর্চি আপু কইলাম গাছ ভাবি x-( আর শারেক আমার বড়ই আদরের জুনিয়র(আহারে বেচারারে ছুডুকালে অনেক পাঙ্গাইছিলাম।বাঁদরামি করলে ল্যাজা কাইটা দিমু কইলাম)
শারেক দেখলে তোর কি হবে তা বলতে পারছিনা!
উদ্ধৃতি ভুল হয়া গেসে 🙁
বইলা দাও..তুমি বইলা দাও.... 😉
সিনিয়র আপাদের দিতে হয় এরম স্মাইলি.. ;;)
Murad u should die now
:gulli: :gulli: :gulli: :gulli:
অর্চি,
ছবিতে দেখা যাচ্ছে তুমি কলেজ প্রিফেক্ট। মোস্ট বেয়াদব জুনিয়র হয়ে রেড ইঙ্ক খাবার পরেও তোমার এই অর্জন সাধারন কিছুনা......।
চলো, মারিয়া আপুকে ক্ষমা করে দাও...। মনে কষ্ট রাখতে নেই।
তবে তোমাদের সাহসের প্রশংসা করতে হয়...। ক্লাশ সেভেনে ফর্ম এ বসে গান...!!!!! ওরে বাবা...।।
🙁 আমি অর্চি রে দেইখা ওর মত পার্ট নেওনের লাইগগা তিনতারা মার্কা ছবি দিলাম একবার কুত্তা দিয়াও জিগাইলেন না 🙁
অফ টপিক-কুত্তা দিয়াও না জিগানো নসুর একটা টার্ম।এর মানে হইলো দুই পয়সা দিয়াও বেল না দেওয়া 🙁
Most বেয়াদব জুনিয়রে দেখা করতে কইসে সদাচার হাউসে :clap: :)) :clap:
ক্লাস সেভেনে আমি ডেস্কে বইসা গান গাইতাম না....পানিসমেন্ট খাই গুংগাইতাম :((
অরে অর্চি সোনা গুটুল পুটুল তুমি আসছ? তোমারে দেখে আনন্দ হইতেসে। লিখা জোশ হইসে, তুই আরও ছাড়তে থাক, তোর পানিশমেন্টের স্টক তো কম না। 😀 মুমুটারে আনতে পারস না? সারাদিন মেসেঞ্জারে বইসা থাকে? ব্লগে আসতে পারে না? x-(
কাম সারছে রে... ডরাইছি।
যাক আমাদের ব্লগে আরো একজন CP পাওয়া গেলো...
লেখা ভালো হয়েছে...
এইবার মনে হয় ডিসিপ্লিন ভাল থাকব 😛
=))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:clap: =))
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
x-( কনইক্কা!
ব্লগে স্বাগতম(লেখক হিসেবে)।
ধইন্যবাইদ সবাইরে 😀
গান্ধা type এর সিনিয়ার । :gulli: ১২ এর ক্যাডেট :chup: ; ৭ এর ক্যাডেট এর নামে রিপোর্ট !!!!!!!!!!! :bash:
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
তোমাদের টক মিস্টি খুনসুটি খুব এনজয় করতেছি :party:
ওয়েল ডান। চালায়া যাও 😛
Life is Mad.
আপনের কি ডায়বেটিস আছে নাকি? আপনিও আইসা পড়েন।
মুরাদ জুনিয়র ছাইড়া এখন সিনিয়র x-(
অনেক মজা পেলাম । ভুলেই গেসিলাম এই কাহিনি । কেবল তো শুরু পানিসমেন্ট আর ফল্ট জগতের!! :grr:
জোস তো আপা.........
আপনি এখন থাকেন না ব্লগ এ?
মজা পাইসি।। :)) :)) :))
ব্লগে আসার সময় হয়না, আজকে প্রায় ৬ মাস পর আসলাম! 🙁
আমিও মজা পাই এসব ঘটনা মনে করে...আহ কি সুন্দর ছিল দিনগুলা... :dreamy:
অর্চি আপু ,গত পরশু ইফতারে শারেকের সাথে দেখা হইছে।বান্দরটা দেখি দাড়িগোঁফ রেখে একাকার অবস্থা।কানে ধরে ক্লিন শেভ করায় দিতে পারোনা আপু?
মাসরুফ ভাইয়া, শারেকের দাড়িগোঁফ এর কথা আর বলেননা, জ়ে.এম.বি রাও দেখে ভয়ে পালায় যাবে! মাঝে মাঝে তো দাড়ির জঙ্গলে মুখই দেখা জায়না। :bash: একমাত্র অস্ট্রেলিয়াতে আসলেই নাকি ক্লিনশেভ করবে! ~x(
:pira:
ফিফটি টা করে যাই 😀 😀