[বিশেষ কারনে লেখাটি একা না পড়ে ১৮ জনের বেশি (18+!!) পড়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হল, কেউ লেখা পড়ে অফেন্ডেড হলে নিজ দায়িত্বে হবেন…কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না...]
কিছু কিছু নন-ক্যাডেট মানুষ আছে যাদের দেখে নিজের অজান্তেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়…আহা! এই মানুষটা যদি ক্যাডেট কলেজের আলো-বাতাস-খাবার পেত- তা হলে না জানি কি আইটেম হত…!! পংটামি যে ক্যাডেটদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এই জিনিসটা তাঁদেরকে দেখে বোঝা যায়…
আজ সেই রকম এক কিংবদন্তীর কথা বলব…তিনি আমার জুয়েল ভাই, বয়সে আমার চেয়ে বছর তিনেকের বড়। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আমাদের আত্মার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। আমার বড় ভাই (জুলহাস-জেসিসি,১৯৮৮-৯৪) বুয়েটে থাকাকালীন সময়ে জুয়েল ভাইএর সাথে আমার পরিচয়…সখ্যতা গড়ে উঠতে বেশি দেরি হল না…খুব দ্রুতই ও হয়ে গেল আমার ‘খালার পেটের আপন ভাই’!!! স্বভাব-চরিত্র এবং ক্যাডেটদের সাথে বেশি মেলামেশার কারনে অনেকেই ওকে ক্যাডেট ভাবত…ছিল তিতুমীর হলে, শুরুর দিকের কিছুদিন বাদে মোটামুটি পুরো বুয়েট জীবনই ছিল ২০৪ নম্বর রুমে। যে কেউ ২০৪ নম্বর রুমে যাবার আগে কিছুক্ষণ হলেও চিন্তা করে নিত…শারীরিক সুবিধার কারনে (উচ্চতা প্রায় ছয়ফুট, এবং ওজন ৮৫+ কেজি) কাউকেই ও তোয়াক্কা করত না…এমন কি স্যাররাও জুয়েল ভাইকে সমঝে চলত!! আজ সবার সাথে ওর কিছু ঘটনা শেয়ার করছি…
১. এক জুনিয়র জুয়েল ভাইয়ের কাছে কি এক উপকার পেয়ে খুব খুশি হয়ে গেল…একটু পরপরই জুয়েল ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে জানাতে প্রায় ফেনা তুলে ফেলার মতন অবস্থা!! বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে ওর জবাব, ‘তুই তো ভালোই বিনয় করতে পারিস দেখি…এক্কেবারে ‘অমায়িক চো*’!!!’ এই ঘটনার পর পরিচিত আর কাউকে বিনয় নিয়ে ওর সাথে বাড়াবাড়ি করতে দেখিনি…
২. বুয়েটে একটা গ্রুপ আছে, যারা সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন রুমে রুমে গিয়ে নানান ‘ছবক’ দিয়ে বেড়ায়…কিন্তু ওদেরকে কখনো ২০৪ নম্বর রুমে যেতে না দেখে জুয়েল ভাইকে কারন জিজ্ঞাসা করতেই জানলাম, প্রথম দিকে যখন ওরা রুমে আসত- রুমে ঢোকার সাথে সাথে জুয়েল ভাই পিসিতে ‘বিশেষ ধরনের’ মুভি চালু করত!!! দু’ এক বারের পর ঐ গ্রুপ আর ২০৪ রুমমুখো হয় নি…
৩. এবারের ঘটনাও ঐ বিশেষ গ্রুপের একজনকে নিয়ে…একবার ওদের একজন ক্যান্টিনে কলা খাচ্ছে দেখে জুয়েল ভাইএর সাধুবাদ,
-‘কিরে ব্যাটা কলা খাচ্ছিস??? সাবাস!!’
-‘জ্বি জুয়েল ভাই, আমি নিয়মিত খাই…শরীরের জন্য খুব উপকারী!!!’
– ‘ঠিক! বেশি করে খা! তোর ‘গুড্স’ অনেক গাঢ় হবে…পরিমানেও বাড়বে!!!’
এরপরও ঐ ছেলেটা কলা খেত কিনা- জানি না…
৪. প্রতি শুক্রবার আমাদের শিডিউল ছিল নিউমার্কেটে যাওয়া…সন্ধ্যা হবার সাথে সাথেই জুয়েল ভাই আমাকে তাগাদা দিত,
-‘দাদা, তাড়াতাড়ি কর…এই সপ্তাহের স্ট্যাটাস দেখে আসি…’
নিউমার্কেটে ঘন্টা দেড়-দুই থেকে আমরা সপ্তাহের হালচাল বোঝার চেষ্টা করতাম…ফেরার পথে আমরা হিসেব করতাম পয়সা উসুল হল কিনা, বা এই সপ্তাহে কি ফ্যাশন চলছে…কোন সপ্তাহে থাকত ‘ডলা’ বা ‘রোলার’ ফ্যাশন…আবার কোন সপ্তাহে থাকত ‘ভারী’ বা ‘রোজী’ (যারা অমিতাভ বচ্চন-সঞ্জয় দত্ত-লাকী আলি’র হিন্দী ছবি ‘কাঁটে’ দেখেছেন- তারা বুঝবেন!) ফ্যাশন!!!
নাহ্, আর বেশি কিছু লেখা যাবে না…এডু আমারে ব্যান করার আগে নিজেই অফ হয়ে যাই!!!
সবাইকে ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা!!!
=)) =)) =))
জুয়েল মামা দেখি আপনার মতই একটা জিনিস। :khekz: :khekz: :khekz:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
😮 😮 😮 😮 😮 😮 😮 😮
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
মুই আমনের উপর মাইন্ড খাইসি......... 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
কেন বে??? 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ওক কি!!!! :awesome: :awesome: :awesome:
ভাই অপনারেও ঈদের শুভেচ্ছা। :party:
IUT এর পোলাপাইনও এই কাম করে মাঝে মাঝে।
তুইও ত করস...সব সময় :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
এখন আর করা যায় না, কারণ আমাগো পুলাপাইন ই ছবক দিয়া ব্যাড়ায় আর সাথে জুনিয়র হুজুর রা থাকে। :(( :(( :((
প্রেস্টিজ পুরা পাংচার।
পুরাই পাংখা ডায়লগ। অতি সইত্য কতা।
বিনয়ের অবতারদের নতুন একটা নাম পাওয়া গেল ...
(কাচের টুকরা ডাইলগের পর থিকা কিন্তু তুইও ওই লিষ্টে আছস)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
😛 😛 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ছি তাইফুর ভাই এইগুলা কি কন-জুনায়েদ ভাই হইল রাস্তার ধারে পইড়া থাকা কাঁচের টুকরা,সূর্যের আলো পড়লে ঝিকমিক(মতান্তরে ঝিকিঝিকি পমপম)কইরা উঠেন 😛 😛
এই জন্যেই তো জুনা ‘অমায়িক চো*’!!!’ :khekz:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ভাগ্যিস জুয়েল ভাই জানে না যে আমার প্রিয় ফল "কলা" 😛 😉 !!
বসরে :salute: ।
Life is Mad.
আমি ঢাবির ছিলাম। ঢাকায় বাসা থাকলেও অনেক সময় ঢাবির এসএম হল আর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে দারুণ সময় কাটিয়েছি। শেরেবাংলার রুম নম্বরও ছিল সম্ভবত ২০৪। আমি নিশ্চিত না।
তো তখনও এসএম হলে হুজুররা দাওয়াত দিতে আসতো। আমাদের পিসি ছিল না, তবে তাস ছিল। হুজুরদের আমরা শর্ত দিয়েছিলাম তিন তাসে আমাদের সঙ্গে 'মোনাজাতে' x-( x-( বসতে হবে তাহলে আমরা চিল্লায় যাবো। এরপর আর তাদের দেখা পাইনি। :bash: :bash:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
=))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😛
জুয়েল ভাই এবং উনার মত যারা আছেন তাদের সবাইকে আমার :salute:
জুনায়েদ, তুমি দিনদিন আমাদের মুগ্ধ করেই যাচ্ছ!
:thumbup: :thumbup: :thumbup: