সাইফুল স্যার ও আমার ২য় পোস্ট

সিসিবি তে এটা আমার ২য় লেখা। প্রথম ব্লগ এর অসাধারণ(!) সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজকের লেখার জন্ম। আজও আপাতত ১ টা ঘটনা দিচ্ছি।

**ক্লাস টেন এ তখন। ১৪ নং রুমে থাকি। করিডোর এর সাইডে জানালার পাশেই আমার বেড। গেমস এর পর এসেই ড্রেস চেঞ্জ না করেই সদ্য পাওয়া মাসুদ রানা সিরিজের “নীল ছবি” নিয়ে বসলাম। করিডোর দিয়ে যাচ্ছিলেন হাউজ ডিউটি মাস্টার সাইফুল ইসলাম(ইতিহাস) স্যার।তিনি আমার পড়ালেখা সম্পর্কে ভালই খোঁজ খবর রাখতেন!হঠাৎ কোন পূর্বাভাস ছাড়া রুমে ঢুকেই বললেন,”জাবীর,তুমি তো এত পড়ালেখা সচরাচর করো না!”

বিস্তারিত»

অন্য রকম ক্যাডেট কলেজ-৮ (শেষ পর্ব)

আগের পর্বগুলো: প্রথম | দ্বিতীয় | তৃতীয় | চতুর্থ | পঞ্চম | ষষ্ঠ | সপ্তম

রায়হান ভাইয়ের মুখে ফ্রন্টরোল দেয়ার আদেশ শুনে প্রথমে অবাকই হয়েছিল মহিব। মনে মনে ভাবছিল রায়হান ভাই তো খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। কোনদিনও কোন জুনিয়রকে পানিশমেন্ট দেয়নি উনি। তাহলে আজ কেন এমন ব্যবহার করছে? তাই প্রথমে কি করবে বুঝতে পারছিলনা।

বিস্তারিত»

আফসোস রিটার্নস্‌…

– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’

সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…

বিস্তারিত»

ফ্রেমবিষয়ক রচনাখণ্ডঃ পুরোনো জন্ম এবং নতুন মৃত্যু

প্রথম খণ্ড

গাড়ীটা চলছিল অনেক জোরে। জানালা খোলা। আমি অনেকদিন চুল কাটাইনি। তুমুল বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল বারবার। আমি ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম না। আমার চোখ ঢেকে যাচ্ছিল ঝাপ্টায়, বার বার!

আমরা দুই ভাই এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শাঁ শাঁ করে ছুটে যাচ্ছি। ড্রাইভিং সীটে আমার খালাতো ভাই। বিস্রস্ত মুখে একগাল খোঁচা খোঁচা দাড়ি। বিপজ্জনকভাবে কয়েকটা গাড়িকে এদিক ওদিক করে পাশ কাটালো।

বিস্তারিত»

আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হবো

শেষ পর্যন্ত সিদ্বান্তটা নিয়েই ফেললাম। লাবলু ভাই হয়তো শুনেই আমাকে ঘৃনা করা শুরু করবেন। বলবেন, ‘ছেলেটাকে এতো পছন্দ করতাম ও কিনা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করলো?’ রাগ করে হয়তো কথা বলা বন্ধ করে দেবেন আমার সাথে। দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু যাবে আসবে না। আমি আমার সিদ্বান্তে অটল থাকবো।

ফয়েজ ভাই শুনে হয়তো বলবেন, আমার বৃত্ত ভাঙ্গার গানটা তবে বৃথা গেলো।

বিস্তারিত»

একটু শুনবেন, প্লিজ…

আপনার এলাকার সবচে’ যোগ্য ও গুনী লোককে ভোট দিন। সে যে দলেরই হোক

জ্বি জ্বি!! আমি জানি, আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কোন দলের কথা বলছি। আর যাদের মাথা একটু মোটা আছে, তাদের জন্যই বোল্ড করা। আরে ভাই চামচ নিয়ে কমোডের দিকে যাচ্ছেন কেন?? না না! আমি ওসব খাইনা। যুদ্ধাপরাধীদের পরিবর্তে নেড়ি কুত্তাকে ভোট দিবেন? তা কী করে হয়? একটু ভাবুন প্লিজ!!

যুদ্ধ তো আমরা করি নাই ভাই।

বিস্তারিত»

আহসান ভাই ও আমার প্রথম ব্লগ

সিসিবি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। প্রায় নিয়মিত ব্লগগুলো দেখা হলেও সাধারণত কি লিখব কি লিখব করে লিখা হয় না।আজ আপাতত ১ টা ঘটনা দিয়েই শুরু করি।

**তখন ক্লাস এইটের শেষ টার্ম। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাইজের ১১ নং রুমে থাকি। রুমে সাৱির ভাই,মুশফিক ভাই এর কল্যাণে গিটার ও ড্রামস শেখার হাতেখরি। রাতদিন (দুখিঃত..কোয়াইট আওয়ার,গেমসের পর,রাতে থার্ড প্রেপের পর..) চলত আমার মিউজিসিয়ান হওয়ার অক্লান্ত সাধনা।

বিস্তারিত»

সালাম তোমায় বন্ধু…(জীবনের গল্প)

বাবা-মা আর দুই বোন যখন রাতুল (ছদ্মনাম) এর সাথে প্রথমদিন ক্যাডেট কলেজে এসেছিল, তখন সবাই এই পরিবারের সদস্যদের সুখী মুখ দেখে তৃপ্ত ছিলেন। আর হবেই বা না কেন? এরকম ছোট নির্ঝঞ্জাট পরিবারের বড় ছেলেটি আজ ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলো। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর কেটে যাবে। এরপরে সংসারের বিদ্যমান এই সুখ আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে। বোন দুটির ভালো বিয়ে হবে, নিজে বিয়ে করবে। বাবা হয়তো চাকুরী থেকে অবসর নিবেন।

বিস্তারিত»

পরিচিতি

আমি সাদামাটা একজন ক্যাডেট ছিলাম। কলেজ এ এ্যাপুলেট এ ১ দাগ দিয়া শুরু করছি আর ৬ দাগ নিয়া বের হইছি। সেহেতু বুঝতেই পারছেন !!!!
আমি মোটামুটি একজন Juiceless(রস হীন) মানুষ। ফান বুঝতাম খুব কষ্ট করে, কেউ বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম। আর ফান এর এখন যতটুকু বুঝি তার কৃতিত্ব / অবদান বলতে গেলে আমার এক সিনিয়র এবং এক বন্ধু , না না দুই বন্ধু‘কে দিতে হবে।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

টুশকি ২০

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২১]

১. জনৈক অফিসার নতুন বিয়ে করে যেই না এক জুনিয়র অফিসারের সাথে ভাবীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প – ২

জীবনের গল্প – [ ১ ]

    জর্জ

আমার খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যে জর্জ একজন। সবসময় হসি খুশী থাকে, দেখলে বোঝার উপায় নেই কতবড় ভার তার বুকের উপড় চেপে বসে আছে। ওকে যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই ভাবতাম এই ছেলেটার মত হাসি খুশী আর মাস্তিবাজ যদি হতে পারতাম তাহলে কত মজাই না হত। কখনওই ভাবি নি ওর মনের মধ্যে কত কষ্ট লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»

কলিকালের দিনলিপি

আমার এই মুহুর্তে এই ব্লগটা লেখার কথা ছিলোনা। লিখতে চেয়েছিলাম খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে। যে আমার উষ্ণ অনুভূতিগুলোর খুব কাছাকাছি থাকে সবসময়। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি আমি তাকে কতটা ভালবাসি। কিন্তু তা’ আর হলো কই। আমার সব ব্যাপার কিংবা ভাবনাগুলোই অনেকটা এরকম। প্রথমে ভাবি এক কিন্তু পরে হয়ে যায় অন্য কিছু। অনেকটা সিসিবির অনেক পোস্টের মত। হয়তো লেখা হয় সিরিয়াস কিছু ভেবে আর শেষ হয় মাস্ফু ভাইয়ের “আমিও কেক খাপো”তে গিয়ে।

বিস্তারিত»

গল্পঃ স্মৃতিভ্রষ্টতার উল্টোযাত্রা

এটাই প্রারম্ভের অন্ত অথবা অন্তিমের আরম্ভঃ এরকম ঘোষণায় সচকিত হয় রোমকূপ। সামনে জীবন নাই, আশা নাই, সুর নাই, নারী নাই। নেশা নাই, কবিতা নাই, তোমার দুচোখ নাই। তার থেকেও তীব্রশরীর, স্তন আর নাভিমূল নাই, তোমার মধুকূপী বাহু নাই, রীডসুলভ আঙুল নাই। প্রথাগত শূন্যতার চাইতেও বেশি কিছু, অনেক কিছু জীবন ছাড়িয়ে যার ছায়া পড়তে পারে, আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। সংখ্যারেখার প্রমাণবিন্দু হারিয়ে গেলে খুব বিপন্ন লাগে।

বিস্তারিত»

আচার ০১০: পরবাসীর রোজনামচা

গত বছর সেইন্ট জন’স-এ বরফ পড়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। আমার প্রথম শীত ছিল সেটা কানাডায়, আর প্রথম বরফ দেখা তো বটেই। বরফ পড়া তিন রকম দেখেছি- ফ্লারিজ, ব্লিজার্ড আর ফ্রোজেন রেইন। ফ্লারিজ হলো সবচেয়ে স্বপ্নীল তুষারপাত, আকাশ থেকে পেঁজা তুলার মতো বরফ পড়ে। দেখতে ভালোই লাগে। তাপমাত্রাও থাকে সহনশীল পর্যায়ে, শূন্যের দু’এক ডিগ্রী নিচে। বরফ পড়ার এই দৃশ্যটা মাথায় ছিল আগে থেকেই। বাসায় পুরোনো বইয়ের গাদা থেকে একটা বই পেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»