একটু হাইসেন কিন্তু (সবার পিলিজ লাগে)…

১। ডিউটি মাস্টার বাচ্চি খান স্যার। কোন এক অদ্ভুৎ কারণে গেমসের পরে টি ব্রেক এর বাঁশি পড়ার সময় হাউসের বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। আমার জনৈক বন্ধু গেমস না করার কারণে গোসলের ঝামেলা ছাড়াই নামাজের পোষাক পরে নিচ্ছিল। কেডস ও মোজা খোলার পরে হাফ শার্ট খুলে ফেললো। পরনে তখন হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি। এই অবস্থায় পাজামা না পরে আগে পাঞ্জাবী পরে ফেললো। ঠিক তখনই বাচ্চি খান স্যার রুমের পাশ দিয়ে হেটে যাবার সময় জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে আঁতকে চীৎকার করে উঠলেন,

বিস্তারিত»

উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই,

বিস্তারিত»

ফুটবল এবং আমি…

এহসান ভাই এর বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ব্লগ এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে ব্যালট পেপার এ কাজী সালাউদ্দিন এর নাম দেখে খুবই পুলকিত হলাম। সেই সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। কাজী সালাউদ্দিন ছিলো আমার chieldhood hero. না, তার খেলা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু আবাহনীর ফ্যান হবার কারনে সে আমার হিরোতে পরিণত হয়। ঠিক যেমন পেলে ব্রাজিলের সমর্থকদের কাছে greatest footballer of all time( হয়ত তার কোন খেলা না দেখেই!!!)।

বিস্তারিত»

কৈশোর ৪

সব ভালো জিনিশেরই বোধহয় একটা শেষ থাকে। আমাদের জীবন আবার এতোই অদ্ভুত- অনেক কিছুই শেষ হয়েও শেষ হয় না। এই গল্পের শেষটুকু আমি এখনও কাউকে বলি নাই। এই লেখাটাও আগে শেষ করি নাই। এখন কেন জানি মনে হচ্ছে শেষ করতে হবে। সব কথা ফুরুলে নির্বাক বসে থাকা নির্জন বাতিঘরের কাছে আর কোনও কথা জমা থাকবে না। সেভাবে নির্ভার হওয়াটাও জরুরি মনে হচ্ছে এখন।

৫ই জুন মেসেজটা পেয়েছিলামঃ “যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়,

বিস্তারিত»

ফুটবলঃ বক্সিং ডে ফিকচার

ইউরোপের সব দেশেই ফুটবলে শীতকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোণো গ্যাপ নাই। বরং ফেস্টিভ্যাল টাইমে খেলা আরও বেশী থাকে । ২৬ শে ডিসেম্বর বক্সিং ডে তে সব দলই মাঠে নামছে। আমি শুধু বড় দল গুলো নিয়ে লিখছি।

Stoke v Man Utd (1845 BST)

এই মূহুর্তে স্টোক বেশ কিছু ইঞ্জুরীতে ভুগছে, কিন্তু নিজ মাঠে ওরা সবসময়ই শক্তিশালী। রেলিগেশন দল হলেও এ বছর নিজের মাঠে হেরেছে মাত্র দুবার।

বিস্তারিত»

আমার হুজুর হওয়ার কাহিনী!!!! (৫ মিনিট)

লাস্ট টার্মে কলেজে পৌছেই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে! কোন ধরনের নিয়ম বহির্ভুত কাজে যোগ দিব না! প্রপার ক্যাডেট বলতে যা বোঝায়,তাই হব! ঠিক করলাম নামাজ পড়তে হবে! পরদিন ফজর থেকে শুরু করলাম নামাজ পড়া। জুনিয়রকে বলে দিয়েছি রিভেল দিতে,ক্লাস সেভেন এইট নামাজ পড়ে,তাদের থেকে হুজুর দেখেই একটাকে বললাম “ফজরের নামজে জামাতের আগে ডাক দিবা”! জুনিয়রটাও মহাউৎসাহে ডাক দেয় প্রতিদিন! প্রথম দুদিন আমারও চরম ঊৎসাহ!

বিস্তারিত»

নাটক প্রতিযোগিতা : তোমরাই

আইসিসি ফুটবল কম্পিটিশন ১৯৯৭ এর প্রস্তুতি পর্ব। অনেকটা সময় ছিল বলে তখনও মূল দল নির্বাচন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্যাপে আমরা বুট শিনগার্ড ইস্যু করে টুকটাক প্রাকটিস শুরু করেছি। কোন এক শুক্রবার সকালে ঘন্টা দুয়েক খেলাধুলা করে হাউসে আসতেই শুনি হাউস মাস্টার আর জনাদু্ই হাউস টিউটর মিলে আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির তফছড়া করছেন। ১৯৯২ এর পর থেকে এই পর্যন্ত কোন আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে নাটকের জন্য সিএডি’র মতোন যে সাজ সাজ রব পড়ে যাওয়ার কথা তার বিন্দুমাত্র উপস্থিত নেই।

বিস্তারিত»

একজন গল্প বহনকারী মানুষের গল্প

তোয়ালে ছেড়ে দীপ্র যখন আন্ডারওয়্যার পড়ল তখন ঘড়িত ন’টা বেজে তিন। সদ্য সে গোসল সেরে বেরিয়েছে। এখনও চুল ভেজা।
তার আন্ডারওয়্যারটির রং কালো। অনকে বাছাই করে আলমিরায় অপেক্ষাকৃত কম ময়লা এটাকেই পেল সে। বেকারদের পরিচ্ছন্ন থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
এই যে তার কালো আন্ডারওয়্যারটি তার জীবনের সাথে যুক্ত হয়েছে সেটা কিন্তু বেশি দিন আগে নয়। একমাস হতে এখনও তিন দিন বাকী। টিউশানী থেকে ফিরছিল সে।

বিস্তারিত»

ছবি ব্লগ – জল্লাদখানা বধ্যভূমি, মিরপুর

১৯৭১ সালে গণহত্যার মহোৎসবে মেতে ওঠা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনি, তাদের দোসর বিহারীরা এবং কুখ্যাত এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের নৃশংসতার ছাপ ছড়িয়ে আছে আমাদের সারাদেশ জুড়েই। সেইসময়কার মিরপুর বিহারী অধ্যুষিত এবং কিছুটা নির্জন এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানে ব্যাপক হারে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে সেই সময়ের জল্লাদরা। মিরপুরেরই একগাদা বধ্যভূমির একটি এই জল্লাদখানা বধ্যভূমি। ৭১ এ ওয়াসার পরিত্যক্ত একটি পাম্প হাউসে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় যার দুটি কূপের একটিতে খন্ডিত মস্তক এবং অন্যটিতে বাকি দেহাংশ ফেলা হত।

বিস্তারিত»

সোমবার সন্ধ্যা আর আমার নিজস্ব ভাবনা

১৪-১৫ মাস ধরে ব্লগের সঙ্গে আমার পরিচয়। সম্ভবত গত জুনে সিসিবিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে এমন ঘণিষ্টতা যে একদিন সিসিবিতে না ঢুকে থাকতে পারি না। একরকম অ্যাডিক্ট যাকে বলে (শওকত মাসুমকেও এই গল্প বলেই ভুলিয়েছি)। আজকাল তো প্রায় প্রতিদিনই মন্তব্যও করি। বাকি দুটো ব্লগে চোখ বুলালেও এখন সহজে লগইন করি না।

অসাধারণ সব ছেলেপিলেরা এখানে। নাম ধরে ধরে বলতে পারি এদের লেখা,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প – ১

কয়েকদিন ধরে শুধু খারাপ খারাপ খবর পাচ্ছি। অমুক বন্ধু ছ্যাকা খেয়ে পাগল হয়ে গেছে, সারাদিন উলটা পালটা জিনিস খেয়ে পড়ে থাকে, বাসায় গ্যাঞ্জাম করে, তো অমুক কাজিন ফোন করে শুধু ঘ্যানঘ্যান করে যে বাসায় জেনে ফেলেছে,এখন সে আত্মহত্যা করে ফেলবে না মানলে। কয়েকজনের আবার পারিবারিক সমস্যা, বাবা মার মধ্যে সমস্যা, সেটাকে একটা ইস্যু করে সারাদিন বিষন্ন হয়ে বসে থাকে আর সন্ধ্যা হলেই শুকনো-ভেজা খোঁজার দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।

বিস্তারিত»

ব্লগাড্ডাঃ- একটু, একটু…

১…

ডিসেম্বরে শীত পড়ে। দিন ছোট হয় আর রাতগুলো ইলাস্টিকের মতো বাড়তেই থাকে। ঠান্ডা ঠান্ডা বড় বড় শীতের রাতে প্রাপ্তবয়স্ক বিয়াইত্যা মানুষদের মনে পড়ে যায় তাদের খাটটা যেন এক ফুটবল মাঠ। সেখানে বল আছে- কিন্তু প্রতিপক্ষ নাই। এই দুঃখেই মনে হয় শীতকালে বিয়ে- শাদীর ধুম পড়ে যায়। ফরেনাররাও এই সময়ে চট করে দেশে চলে আসেন- পট করে একটা বিয়ে যদি হয়ে যায় এই সম্ভাবনায়।

বিস্তারিত»

আজ মন খারাপের দিনে

আজ সকালে তুহিন ভাইয়ের পোষ্ট দেখার পর থেকেই কলেজ জীবনের সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতিটা খুব বেশি মনে পড়ছিল। অশ্রূ ভেজা দুটো চোখের সামনে আমার অসহায়ত্বের ছবি বারবার ভেসে উঠছিলো। সেই জমাট বাধা কষ্টের প্রলাপ বকেই আজ সিসিবিতে আমার ব্লগিং ইনিংসের শুরু হলো।
আমি ছিলাম বদর হাউসে আর আশিক হুনাইনে। যে কোন গেমসেই ওর মারাত্নক ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অন্য কলেজের অনেকেই ওকে চিনতো।

বিস্তারিত»

যে প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই…!!!

১৬.১২.২০০৮

– ‘মা, ও মা…!!’ -আহ্‌লাদে গদগদ হয়ে মা’কে ডাকলাম!
– ‘কি বলবি বল… ‘
– ‘আজ এই বিশেষ দিনে তোমাকে কিছু একটা উপহার দিতে খুব ইচ্ছা করছে…’
– ‘কি দিতে চাস?’
– ‘উম্‌…তোমাকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চাই…’
– ‘যা ভাগ! লাগবে না…’
– ‘তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সহনীয় মুদ্রাস্ফীতি, সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি…একটা কার্যকরী জনগণের বাজেট?’

বিস্তারিত»

বাছারা, সুখে থাক আজীবন

বহু দিন পরে অদ্য সকাল দশ ঘটিকার দিকে সচলে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। আগে এই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল আমার, যদিও নানা কারনে সম্পর্ক টিকিয়া রাখিতে পারি নাই। তবে আমার আত্নীয় স্বজনের মধ্যে অনেকেই উক্ত বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করে বিধায় আমিও মাঝে মাঝে একটু উকি মারিতে যাই। তাহাদের তরকারিতে মাঝে মাঝেই ঝালের পরিমান বেশি হইলেও খাইতে মন্দ লাগে না। যাই হোক, খাইতে খাইতে তাহাদের দুই নম্বর আইটেমে গিয়া আমার পিত্তিটা একেবারেই জ্বলিয়া উঠিল।

বিস্তারিত»