১
সেপারেশন এংজাইটি বলে একটা কথা আছে যার সহজীকরণ বাংলা দাড়ায় ছেড়ে যাবার ভয়। পাঁচ ছয় মাসের বাচ্চারা যখন বুঝতে পারে তার মা আর সে আসলে ভিন্ন সত্তা তখন মা তার থেকে দূরে সরে গেলে সে ভীত হয়ে পড়ে। অথচ সেই বাচ্চাই একসময় মায়ের কোল ছেড়ে প্রেয়সীর হাত ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। বয়োসন্ধির আগ-পিছু হঠাত সে আবিষ্কার করে তার ‘আমিময়’ সত্ত্বাকে। সে আসলে পৃথিবীতে একা। এই ভয়ংকর সত্যটাকে ধামাচাপা দিতেই কিনা জানি না সে নিজের মানসপটে এক ছায়াবিম্ব গড়ে তোলে। ‘আমি’র পাশাপাশি তাকেও অস্তিত্বময় ভাস্কর্যে গড়ে তুলতে চায়। পথে চলতে চলতে হঠাত হঠাত কাউকে দেখে সেই ছায়াবিম্বের অদৃশ্য রেখাবলী ফুটে উঠতে থাকে। মনের অজান্তে বলে উঠি – হ্যা এইতো সে।
বয়োসন্ধি থেকে বিয়ে করার আগ পর্যন্ত স্বাপ্নিক প্রেম আমাদের সার্বক্ষনিক সঙ্গি। কারু কম, কারু বেশি। কারু সুপ্ত, কারু বা প্রকাশিত। কারু কারু স্বাপ্নিক প্রেম বাস্তবে ধরা দিলেও, অধিকাংশের অপেক্ষার প্রহর কখনো যেন ফুরোতেই চায় না। স্বপ্ন অধরা বলেই তো তা এতো সুন্দর, অনুভূতিময়। জ্বালায়, পোড়ায়, কষ্ট দেয়, ডোবায়, ভাসায়, ভাল লাগায়, ভালবাসায়। রোস্ট খেতে চাইলাম আর অমনি মুরগী উড়ে উড়ে এসে আমার সামনের প্লেটে রোস্ট হয়ে যাবে তবে সে রোস্টে আমার রুচি হবে না। আলাদিনের দৈত্যকে এইজন্য আমার এতোটুকুও ভালো লাগে না।
বড় হয়ে গেলে আর ছোটবেলার মতো করে ফড়িংএর পেছনে ছোটা যায় না। তখন নতুন খেলা শুরু হয়। স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেওয়া। আজ বরং প্রেম, ভালবাসার স্বপ্ন আর বাস্তব প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করি।
২
তখন পর্যন্তই তো একজনকে মানুষ বলা যাবে যতক্ষন পর্যন্ত তার দেহ আর মন সময় সময় তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ছে। পেটের ক্ষুধা কিভাবে মেটাতে হয় তা আমরা জানি, কিন্তু মনের তৃষ্ণা? আমাদের মন অদেখা ছায়াসঙ্গির জন্য কেন এতো মাতাল হয়ে উঠে? মানুষ হয়েছি বলে এরকম হাজারও মানবিক অনুভূতির টানাপোড়েনই কী আমাদের অদৃষ্ট,কপালের ফের?
আমরা নিজেরাও জানি না ঠিক কখন আমরা প্রথম প্রেমে পড়ি। যখন পড়ি তখন সেই চোখ, সেই অবয়ব বার বার দেখতে চাই। কখনো খোলা চোখে, কখনো বন্ধ চোখে। এই প্রেমগুলো জন্মে কিভাবে?
বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বলে সেরোটোনিন আর ডোপোমাইন হরমোনের প্রভাবে আমরা প্রেমে পড়ি। সেরোটোনিনের সর্বোচ্চ প্রভাব দুই বছর। অর্থাৎ আজ যার জন্য পাগলপ্রায়, আত্মহত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করবো না – শেষ পর্যন্ত সুস্থ মস্তিস্কে বেঁচে থাকলে দুই বছর পরে অতীতের কথা ভেবে নিজেকে বোকা মনে হবে। সবার দেহে এই হরমোনগুলোর প্রভাব এক নয়। তাই কেউ বার বার প্রেমে পড়ে, আর কেউ অতো সহজে প্রেমে পড়ে না।
আচ্ছা ক্ষিধে লাগলে কী আমরা বলি যে পুষ্টিগুলো রক্তে মিশে গিয়ে বজ্যগুলো বৃহদান্ত্রে সরে গিয়ে পাকস্থলী খালি হয়ে গেছে? তবে প্রেমের কথা বলতে গিয়ে কেন এতো হরমোন হরমোন করা?
স্বপ্নের প্রেম বাস্তবে ধরা দেয় কী করে? ধরা যাক আমার সেই চৌদ্দ পনের বছর বয়সে একদিন বারান্দা থেকে সবুজকে যেতে দেখলাম এবং মুগ্ধ হলাম। সাথে সাথে কিছু বুঝে উঠার আগে প্রেমে পড়ে গেলাম। তার মানে শুধু ‘দর্শন’ একটা ইন্দ্রীয়ই প্রেমে ফেলার জন্য যথেষ্ট? এর আগে টেলিভিশনের পর্দায় আমির খানকে দেখে আরো মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাহলে তখন কেন আরো প্রেমে পড়লাম না? উত্তরটা হলো আমি জানি শেষোক্ত ব্যক্তিটি আমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার মানে দাড়াচ্ছে দেখে মুগ্ধ হলে যখন ভেতরের লজিক আমাকে গ্রীন সিগন্যাল দিচ্ছে তখন আমি প্রেমে পড়ি যাচ্ছি বা রক্তে সেরোটোনিন মিশে যাচ্ছে। আরেকটা লক্ষনীয় বিষয় এই যে মানুষভেদে লজিক সিস্টেমটাও কাজ করে ভিন্নভাবে। কেউ কেউ জীবনের অন্যবিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেবার কারণে প্রেম ব্যাপারটাকে অন্যসময়ের জন্য তুলে রাখে। আবার অনেকেই এমন পাগলপাড়া হয়ে যাই যে প্রেমটা করতে না পারলে রীতিমতো ক্ষেপে উঠি, এমনকি নিজের জীবন পর্যন্তও দিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করি না। এর পুরোটাই নির্ভর করে আমাদের লজিক সিস্টেমটা কিভাবে কাজ করে।
আমাদের প্রকৃতিলদ্ধ জেনোম আর পরিবেশ থেকে আহরিত মূল্যবোধ এই লজিক সিস্টেমের দুটো প্রধান পিলার। পরে মেঝে, ছাদ আর দেয়াল গড়তে টুকটাক আর অনেক কিছু যোগ হয়। আমরা কী গান শুনছি, কি সিনেমা দেখছি, কি বই পড়ছি, বন্ধু-বান্ধব, আড্ডা, আশেপাশের মানুষগুলোর জীবন, বাস্তবতা, রূঢ়তা, সহজলভ্যতা, অহমবোধ – এরকম নানা কিছুর প্রভাব আমাদের লজিক সেন্সটা গড়ে তুলতে কাজ করে। প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়েই পাড়ার মাস্তান ছেলেটা মেয়েটার উপর ঝাপিয়ে পড়ছে। সিরিয়াস মোটা চশমাধারী পড়ুয়া ছেলেটা তার অনুভূতিটুকুকে হজম করে ফেলছে। কিম্বা ভাবুক ভাবুক স্বভাবের ভদ্র ছেলেটা খাতার পর খাতা কবিতা লিখে ভরে ফেলছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। কোন মেয়ে আগ-পিছ না ভেবে ষোল বছর বয়সেই প্রেমিকের হাত ধরে তার স্বপ্ন-ফড়িং ধরতে বেড়িয়ে পড়ে। কোন মেয়ে মধ্য তিরিশেও সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে একা রয়ে যায়। কারুবা ভাললাগাগুলো বড্ড বেশি দোদুল্যমান। কেউ তো প্রেমিককে না পেয়ে অবলীলায় জীবন দিয়ে দেয়। কেন দেয়? রোমিও-জুলিয়েট যদি দুবছর একসাথে থাকার সুযোগ পেতো তবে কী শেক্সপিয়ার তাদের প্রেমের বলী করতে পারতেন? বাস্তবতার শামুক-খোলস মধ্যে ফিকশনের নির্যাস জট বেঁধে অমর সাহিত্যের মুক্তো সৃষ্টি করে।
৩
আমাদের দেশে বিয়েটাকে আমরা দুইভাবে ব্যাখ্যা করি। এক ঘটকালির বিয়ে আরেক ভালবাসার বিয়ে। এর বাইরেও আরেকদল আছে তাদেরকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এই মুহূর্তে কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। ব্যাপারটা কিছুটা মডারেট মুসলিমের মতো। না গোঁড়া আস্তিক, না গোঁড়া নাস্তিক। মাঝামাঝি ধরনের একটা কিছু। অতি টনমনে লজিক সিস্টেমের কারণে প্রেমে পড়া সত্ত্বেও প্রেম করতে পারছে না আবার ঘটকালির বিয়েও পছন্দ নয়। তারা কী করবে? পশ্চিমে এ ধরনের মানুষজন নিজেরা একটার পর একটা ব্লাইন্ড ডেট করে। অর্থাৎ অনলাইন বা কোন মাধ্যমে সম্ভাবনাময় কারু সন্ধান পেলে একসাথে বসে কিছুক্ষন কথাবার্তা বলে দেখে। পছন্দ হলে এগোয়। আরো পছন্দ হলে লিভ টুগেদার শুরু করে। তারপর ইচ্ছে হলে বেলতলায় গেলো নয়তো দুজন দুটো পথ বেছে নিলো। সামাজিক বাস্তবতায় আমাদের দেশে তো এটা সম্ভব নয়। এক দেশে যা স্বাভাবিক আরেক দেশে তা ডিজুসামী। ডিজুসামী করতে গেলে শেকড় ছাড়া হয়ে যেতে হয়। তখন একজন হয়ে পড়ে না ঘরকা না ঘাটকা। যৌবন অনেক উদ্দামময়। দুঃখের বিষয় তা খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী নয়। তাই চারপাশের বাস্তবতা বুঝে যৌবনকে খরচ করতে হয় অনেক সাবধানে। দুঃখের বিষয় সময় থাকতে আমরা অনেকেই বিষয়টা বুঝি না। আর কোন পন্থাই তো নিশ্চিত গ্যারান্টি দিতে পারে না। তবে কি সব ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিবো?
জন্ম আর মৃত্যুর ক্ষেত্রটি ছাড়া আমি নিজে খুব একটা ভাগ্যে বিশ্বাসী নই। কেন জানি মনে হয় আমার ভেতরকার স্বপ্নগুলো আমার ভবিষত নির্ধারণ করে দেয়। আমি কী চাই সেটা বুঝতে হলো আগে আমার নিজেকে চিনতে হবে। আর সমস্যা তো থাকবেই। কোন না কোন সমস্যা। পৃথিবীতে সমস্যার কী শেষ আছে। এই যে আমি ক্লাস সেভেনে আমার আব্বাকে হারিয়েছি। আম্মাও বেশ অসুস্থ ছিলেন। জ্ঞান হবার পর থেকে এমন কোন স্মৃতি মনে পরে না যেখানে আব্বা বা আম্মা দুজনকে আমি একসাথে সুস্থ দেখেছি। তারপর গত বছর ডাক্তার বললো আমার ছেলের এডিএইচডি আছে। তাকে ঔষুধ খেয়ে এটা দূর করতে হবে। আমি ঠিক করলাম ওষুধ দিবো না। ছেলের সাথে থেকে যতটুকু কিছু করতে পারি আগে ততটুকুই করে দেখি। একটার পর একটা সমস্যা জীবনে আসবে। আসতে থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। এটাই বাস্তব। সমস্যা আমাদের সমস্যা নয়। সমস্যাকে আমরা কিভাবে নিচ্ছি, ভাবছি এবং এর সমাধানের চেষ্টা করছি সেটাই আমার ভেতরের মানুষটাকে বুঝতে সাহায্য করে। সমস্যা সুখের অন্তরায় নয়। অজ্ঞতা সুখের প্রধান শত্রু।
সিন্ডারেলা আর ডালিমকুমার পড়িয়ে পড়িয়ে আমাদের মেয়েদের মাথা ধোলাই করা হয় যে কোন রাজপুত্র এসে আমাদের সুখী করবে। এটা একটা অজ্ঞতা। আমার মনের ভেতরের জানালাটা আমি যত বড় করছি ততই মনে হচ্ছে একমাত্র আমিই পারি আমাকে সুখী করতে। আর আমি যখন সুখী হবো তখন তার তরঙ্গ আমার আশেপাশের মানুষকেও দোলায়িত করবে। সংক্রামক জীবাণুই শুধু একমাত্র প্রভাব বিস্তার করে না, অনুভূতিগুলোও করে। যত সমস্যাই থাক অন্তত এতটুকু নির্ধারণের ক্ষমতা এখন পর্যন্ত আমার আছে যে আমি আমার চারপাশে কী অনুভূতির তরঙ্গ বিচ্ছুরিত করতে পারবো। ঠিক যেমনি করে ভাবি উপন্যাসের শেষটা বিয়োগাত্মক করবো না মিলনাত্নক করবো।
৪
ভাববাদী কথা ছেড়ে আপাতত একজন অবিবাহিত মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনসাথীকে দেখার চেষ্টা করি।
অন্তর্জালের কল্যানে বাংলাদেশেও আজকাল ছেলে মেয়ে একজন আরেকজনের সাথে পরিচয়ের সুযোগ পাচ্ছে। তবে এই সম্পর্কগুলোকে আমার কাছে ‘হাতের কাছে ভরা কলস তৃষ্ণা মেটেনা’ এর মতো বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে অনেক অনলাইন ঘটকের পেশা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ আছে। শুনেছি এর মধ্যে নাকি অনেক ই-ঘটক তৈরী হয়ে গেছে। এই সুবিধাটাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়? পছন্দের ছেলে সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু সাজিয়ে তালিকা করি। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা গেলো যে ঠিক তার বিপরীত কারু সাথে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে। সমমনা কাউকে বিয়ে করে বরং পদে পদে ঠোক্কর। এর উল্টোটাও হতে পারে। কথা হলো কিভাবে বুঝবো কার সাথে আমার ভালো যাবে?
আমার নিজের ক্ষেত্রে বলবো কোন ছেলে যদি আমাকে কেমন রাঁধতে পারি বা কেমন ধর্ম-কর্ম করি এসব বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতো তাহলে হয়তো আমি তাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারতাম না। অনেকের ক্ষেত্রে এটা একটা বিবেচ্য বিষয়। যেই মেয়ে নিজে খুব রক্ষণশীল ধার্মিক, সে হয়তো নিজেও তার মতো একজন ছেলে খুঁজবে। আবার মনে মনে ছেলেরা কমবেশি খুব পারফেক্ট সুন্দরী মেয়েকে বউ হিসেবে কল্পনা করে এটা স্বাভাবিক। পারলে সবাই ক্যাটরিনা কাইফকে বিয়ে করে। এখন একজন ছেলে কিভাবে আরেকজনের কাছে তার পছন্দদের প্রকাশ ঘটাবে সেটা দিয়ে তার ব্যক্তিত্ব পরিমাপ করা যায়। আমি হয়তো ছেলেটার সেই ব্যক্তিত্বকে বেশি অনুধাবন করার চেষ্টা করবো। একেকজনের তালিকা একেক রকম। এইসব বিষয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর এতো সহজ নয়।
ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েলের একটা বই ব্লিংক পড়েছিলাম। সেখানে এই বিষয়টা নিয়ে কিছু আলোচনা আছে। নীচে সেটা উল্লেখ করছি।
আমেরিকাতে এখন স্পিড ডেটিং খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। ব্যাপারটা এরকম যে দু ডজন ছেলেমেয়ের দল থাকবে। বারজন ছেলে, বারজন মেয়ে। প্রতিটা ছেলে প্রতিটা মেয়ের সাথে ছয় মিনিট কথা বলার সুযোগ পাবে। প্রত্যেকের বিপরীতে একটা নাম্বার থাকবে। একটা করে সেই নাম্বারের ফর্মটা সবার হাতে থাকবে। ধরা যাক মিলা আর রাসেল এই গ্রুপের দুজন সদস্য। মিলা রাসেলকে পছন্দ করলে মিলা তখন রাসেলের নাম্বারের ঘরে একটা টিক চিহ্ন দিবে। আবার রাসেল মিলাকে পছন্দ করলে মিলার নাম্বারের ঘরে টিক চিহ্ন দিবে। এভাবে চব্বিশজনের একে অপরকে টিক চিহ্ন দেওয়ার ভিত্তিতে যতগুলো জোরা পাওয়া যাবে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সে জোরাগুলোকে একে অন্যের ইমেইলের ঠিকানা দেওয়া হবে। পরে তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করবে। এক্ষেত্রে তাতক্ষনিক পছন্দ হুয়াকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর কোন গভীর বিশ্লেষনের মধ্যে দিয়ে যায় না। অর্থাৎ এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে না যে আমি কেন একে পছন্দ করছি।
লেখক তার বইতে আমাদের অবচেতন মন কিভাবে কাজ করে তা বিশ্লেষনের জন্য স্পিড ডেটিংএ পরিচয় হওয়া মেরি আর জনের কেস স্টাডি করেছেন।
স্পিড ডেটিংএর আগে মেরি একটা ফর্মে লিখলো যে সুদর্শন আর রসিক মানুষকে তার পছন্দ। কিন্তু দেখা গেলো বাস্তব ক্ষেত্রে সে একটু দায়িত্বশীল এবং বুদ্ধিমান জনকে তার পছন্দ হচ্ছে। মেরিকে যখন এর কারণ ব্যাখা করতে বলা হলো তখন মেরি চিন্তা করে দেখলো যে আসলে এ গুনগুলোও তাকে মুগ্ধ করে। এখন পরের দিন জিজ্ঞেস করলে মেরি ঠিকই বলবে যে দায়িত্বশীল আর বুদ্ধিমান ছেলেদের সে পছন্দ করে। কিন্তু এক মাস পরে ঠিকই আবার বলবে যে সে সুদর্শন আর রসিক ছেলে পছন্দ করে। ছয় মাস পর মেরি ভুলেই যাবে যে সে দায়িত্বশীল আর বুদ্ধিমান ছেলের প্রতিও আকর্ষিত হয়। এখন কথা হলো কোনটা সত্যি – আমাদের চিন্তাভাবনা না আমাদের কাজ? কোন অংশটা আমাদের আসল সত্ত্বার প্রতিনিধিত্ব করে?
বড়ই জটিল প্রশ্ন। এর কোন সরাসরি উত্তর দেওয়া নাই। তবে আমি যেটা বুঝলাম তা হলো আমাদের অবচেতন মনের পছন্দের কোন সীমানা নেই।
অতএব ভুল মানুষ বলে কিছু নেই। যা নেই তা হলো অবচেতন মনের রুদ্ধ প্রকোষ্ঠ খুলবার চাবি।
সবার সুন্দর ভবিষত কামনা করে আজ এই পর্যন্তই।
২-১০-১১
সারা লেখা পড়তে পড়তে ভাবতেসিলাম, এত্তগুলা লাইন...কোনটা রেখে কোনটা কোট করব...শেষে এসে একদম কাৎ হয়ে গেলাম আপা, আগেরগুলা ফেলে এইটাই খালি কোট করি...
আপনার লেখা গুলো এত বাস্তব হয় কেমন করে?? সিন্ডারেলা আর ডালিমকুমারের উপমার সাথে পুরোপুরি একমত। বাঙ্গালীর হাসির গল্প বলে একটা বই আছে জসিমউদ্দিনের, সেটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, আমাদের ফোক গল্পগুলো আরও বেশি বেশি মেয়েবান্ধব নয়।
আর ছেলেদের এই সুন্দরী প্রবণতার অর্থ আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না। এক বন্ধুর সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড আছে, আরেক বন্ধু সেটা দেখে বলল...'আরে, ও তো জিতে গেলো'...আমি ড্যাবড্যাব করে তাকায় থাকলাম।
আরেক বন্ধু সিরাম সুন্দরী একজনকে পছন্দ করে ঘুরে ঘুরে তার মন জয় করেছে, এখন যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। এই ঘটনাগুলা আমাকে খুবই অবাক করে, শুধুমাত্র দেখে কেমন করে একজন মানুষের সম্পর্ক হতে পারে??
বাংলাদেশের মেয়েদের এবং অতি অবশ্যই ছেলেদের মাথার ডিকশনারী থেকে মেয়ে শব্দটা বাদ দিতে হবে। সবাইকে লাঠির বাড়ি লাগায়ে কাজ করাতে হবে। নাইলে এদেশে মায়েদের বাপেদের উন্নতি অসম্ভব।
চমৎকার বলেছো সামিয়া ......
কেউ আসলে গভীরে যেতে চায় না, আসলে এটা খুব আজব একটা ব্যাপার।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
ছেলেদের সুন্দরী খোঁজার এই প্রবনতা লুকায় আছে জিনেটিক্সের ভিতর। ন্যাট জিওর একটা প্রোগ্রাম আছে, দেখে নিও.........পরিস্কার হয়ে যাবে...শুধু শুধু দোষ দিও না, আর ঘটনা কিন্তু সবসময় একই হয়না। অনেকের কাছেই মনের মানুষকে ক্লিওপেট্রা মনে হয়...মানে প্রিয় মানুষের ভুল ধরা পরে না আরকি।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
আরিফ - ছেলেরা তার মনের মানুষকে কারো সাথে ্তুলনা করছে না, ক্লিউপেট্রা মনে করছে - মেয়েরা তো এমনই চাই।
আর জিনেটিক্সের কথা বললে তো 'জোর যার মুল্লুক তার' এ কথাও মানতে হয়। প্রিমেটিভ জিনেটিক্স কতোটা সভ্যতা ভব্যতা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হলো তার প্রকাশ পায় আচরণে। অনেকেই মোটাতাজা কোরবানীর গরু কিনে আশাপাশের লো্ককে দেখিয়ে মজা পায়। আমরা মেয়েরা নিজেদের কোরবানীর গরুর আসনে দেখতে চাইনা।
কথাটা ঠিক তোমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা নয়। তোমার সুন্দর সাইন্টিফিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
জিনেটিক্সের সাথে যদি ইভল্যুশনের কথা ধরেন, সব সময় কিন্তু এক কথা বলা যায় না।
যাক এসব ক্যাচাল।
আমাদের বেসিক চিন্তাধারারই পরিবর্তন করতে হবে আসলে,
আর একটা জিনিষ জানেন কি? কঠিন সময়ের মুখোমুখি না হলে আসলে আমরা কাউকে চিনতে পারি না......নিজেকেও না।(কথা টা বোধহয় অসংলগ্ন হয়ে গেল)।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
জিনেটিক্সের সাথে ইভল্যুশন আসবে। এজন্যই বলছি প্রিমিটিভ জিনেটিক্সের থেকে আমরা অনেক ইভল্যুশানারী জিন দেখতে চাই যেখানে গরু খোঁজা আর মেয়ে খোঁজার পার্থক্য থাকবে। অর্থাত এখনও অনেক ইভল্যুয়েশন বাকী।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সামিয়া - মেয়ে শব্দটা দিয়ে তুমি নিশ্চয় মেয়েলী মনোভাব বোঝাচ্ছো। এই মনোভাবের মধ্যে দুর্বল, ন্যাকা, কুটকচালী, পরনির্ভরশীলতা অনেক কিছু পড়ে। এটা আসলেই ঝেটিয়ে ফেলতে হবে। তবে আমাদের ফেমিনিটি নিয়ে আমরা গর্ব করে মাথা উঁচু করে থাকতে পারি। আমাদের ছেলে হওয়ার দরকার নেই, আমরা শুধু খুব ভালোমানুষ হতে চাই। প্রকৃতিগতভাবে না চাইতেই আমরা মা।
আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি একটা ছেলে কেমন বিয়ে করতে চায় এটা দিয়েই অনেকখানি তার ভবিষত নির্ধারণ হয়ে যায়। বিবাহিত ছেলেরা এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ছেলে মেয়ে সবার জন্যই ভালো হয়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ইংরেজীতে একটা কথা বলে জানেন তো, বেটার হাফ...কিন্তু বেশির ভাগ লোকেই কেন যেন এটায় বিশ্বাস করে না। ইংরেজীতে আরেকটা কথা আছে...এটা সবার জন্যই প্রযোজ্য, being strong is not getting strong, it is believing in self to be strong. প্রত্যেক মানুষই যে নিজের পরিচয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ তা লোকজন বোঝে না, বুঝতে চায়ও না।
আপু, শেষের কথাটা বুঝলাম না, একটু ব্যাখ্যা করে বলুন(অবশ্য আমি উত্তরদাতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করিনি এখনো 😀 )
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
এটার মানে তো বুঝলাম না বা অন্যকথায় বলতে গেলে এভাবে ভাবলে আলোচনা হবে কী করে? সিসিবিয়ান ভাই বেরাদাররা কেন জানি আমার স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা দেখলে এড়িয়ে যায়। অথচ আমি খুব আলোচনা করার মুডে থাকি।
যাইহোক যেটা বলতে চাচ্ছিলাম এই আধুনিক সভ্যতায় দেখা যাচ্ছে মানুষের জীবনযাপন, গতিপ্রকৃতি, আচরণ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত আচরণ অনেকটাই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল দ্বারা পরিচালিত। স্বভাব বা আচরণ বদলানোর জন্য এখন আর মিলিয়ন বছরের বিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করার দরকার পড়ে(!) না। ঊনবিংশ শতাব্দির দিকে তাকাও, তখন বলতে গেলে পু্রুষদের যুগ। পূর্ব-পশ্চিম সবখানেই নারীরা অন্তরীণ। বিংশ শতাব্দি বলতে পারো নারীদের মানুষ হওয়ার যুগের সূচনা। নারীরা লেখাপড়া শিখেছে, ঘরে বাইরে পূর্ন অংশগ্রহন শুরু করেছে, তাদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিয়েছে। একই সাথে দেখো সভ্যতাও এক লাফে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ শতাব্দিতে দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। একদিক দিয়ে তা নারীদের জন্য শাপে বর হিসেবে কাজ করেছে। পু্রুষ কমে যাওয়াতে বাধ্য হয়ে নারীরা ঘরের বাইরে এসেছে এবং নিজেদের প্রমানিত করেছে। কিন্তু এখন আবার কেমন জানি উল্টো স্রোত বইতে শুরু করছে। এখনকার সমাজ খুব মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বর্ডার অদৃশ্য হয়ে গেছে। মিডিয়া নারীদের খুব সুন্দর হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। ছেলেরাও সে তালে নেচে উঠছে। চিন্তাভাবনার ইভুল্যুশনটা এখন আর জিনেটিক্স নিয়ন্ত্রন করছে না। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল আমাদের চাওয়া-পাওয়া আরেক কথায় মননশীলতাকে নিয়ন্ত্রন করছে। বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি মেয়েরা স্কার্ট, কিমোনো ছেড়ে প্যান্ট, শার্ট, বয়কার্ট চু্ল বা ছেলে না ভোলানো ড্রেসের চল শুরু করেছিলো। এখন মিডিয়া খুব ব্রেন ওয়াশ করছে মেয়েদের ছেলে ভোলানো ড্রেসে ফেরত যাওয়ার জন্য। আর একদল কী করবে বুঝতে না পেরে আবার ঊনবিংশ শতাব্দির পথে হাটছে। তাই সমাজে প্রান্তিকতা খুব বেড়ে যাচ্ছে। বিকিনি আর বোরখা দুটোই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আরে না না আপু, অইটার মানে হচ্ছে যে আমি এখনো বিবাহিতদের দল ভারি করিনি আরকি......আপ্নি বলেছেন বিবাহিত ছেলেদের উত্তর দেয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন, বিকিনি আর বোরখা দুইটাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
আমার একটা কথা মনে হয়, জানি না ঠিক কি না...
আমরা এখন অনেক কিছু জানি, শিখি.........কিন্তু আসলে বেশির ভাগই কিন্তু কেমন যেন অশিক্ষিতের মতই ব্যাবহার করে...আমিও অনেক সময়.
মানে যেটা বলতে চাচ্ছি, অনেক পড়ালেখা করেও আমাদের মানসিক বৃদ্ধি হচ্ছে না।
আর গত শতাব্দীর টেকনোলজিকাল অ্যাডভান্সমেন্টের সময় আমরা বেশ লাফ দিয়ে এগিয়েছি, কিন্তু মানসিক পরিপক্কতা আগায়নি...সেটা বোরখাই হোক বা বিকিনি।
আপনার সাথে আলোচনায় আগ্রহী।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
সহমত আপা। আমি নিজেই এর বাস্তব উদাহরন।
ঠিকআছে আপা, নিজের কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
আমি বর্তমানে জাপানে প্রায় ১১ বছর ধরে আছি। বিয়ে করেছি ৪ বছর হলো এবং আমাদের একটি মেয়ে আছে। S.S.C., H.S.C, ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর বুয়েট ভার্সিটির ভর্তি পরিক্ষা, এমনকি জাপানে আসার পর প্রথম কয়েক বছর আমার রেজাল্ট খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু, এরপর থেকেই অবস্হার দ্রুত পরিবর্তন হওয়া শুরু করে।
নিজেকে হঠাত্ পাস ফেল নিয়ে টানাটানি অবস্হায় আবিস্কার করি। এর পিছনে নিজের গাফিলতি এবং অপরিনামদর্শিতাই মুলত দায়ী, এছাড়াও কিছু পারিবারিক ঝামেলা ছিল। নিজের স্বপ্নগুলো ফিকে তো হলই, পড়াশুনার প্রতি আগ্রহটাই নষ্ট হয়ে যাওয়া শুরু করল। ঐ সময়কার বাস্তবতা মোটেও মেনে নিতে পারছিলাম না কিন্তু কিছু করতেও পারছিলাম না। কারণ, ততদিনে ধীরে ধীরে নিজের আবেগ এর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি।
ওরকম অবস্থায় আরো ২টি বিষয় উপলব্ধি করলাম।
১, আমি আসলে খুবই নিঃসঙ্গ এবং আমার একার পক্ষে উঠে দাঁড়ানো অসম্ভব। আমার দ্রুত একজন সঙ্গী দরকার।
২, আমি মানসিক ভাবে মোটেও দৃঢ় নই। এতদিনে যা অর্জন করেছি, সেগুলোর পিছনে কিছুটা সৌভাগ্য এবং অধ্যবসায় কাজ করেছে। কিন্তু, কোনো কঠিন অবস্থায় একবার ব্যর্থ হলে ভেঙ্গে পড়ি।
সৌভাগ্যক্রমে ঐরকম সময়েই আমার বউ এর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে বিয়ে পর্যন্ত ঘটনাগুলো এখানে বলছিনা। তবে পরিচয়ের পরে কথাবার্তা বলে বুঝতে পারলাম, আমার যে ধরনের পার্টনার দরকার তার সব বৈশিষ্ট্যই ওর মধ্যে বিদ্যমান। যে বিষয়গুলো আমাকে প্রভাবিত করেছে তা হলো,
১, আমার মধ্যে যে গুণগুলোর অভাব ঠিক সেগুলোই ওর মধ্যে আছে। যেমন, পারফেকশনিস্ট, কঠোর সময়ানুবর্তিতা, ইত্যাদি।
২, দায়িত্বসচেতনতা। আমার ধারনা ছিল, আধুনিক বাঙ্গালী মেয়েরা নিজের সংসারকে একান্ত নিজের করে পাবার জন্য শ্বশুড়বাড়ীর প্রতি একটু উদাসিন হয়। কিন্তু, ওর ব্যাপারটা আলাদা। ও যেকোন ব্যাপারেই নিজের দায়িত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন।
বিয়ের প্রপোজালের সময় আমার মানসিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আমার পরিবার সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলেছিলাম। আমার এখনোও মনে হয়, আমার ঐ অবস্থায় কোনো মেয়েই আমাকে বিয়ে করতে রাজী হত না। কিন্তু, আমাকে অবাক করে দিয়ে ও রাজী হয়েছিল। বিয়ের পরে ওর উত্সাহ এবং ঠেলা-গুতো খেয়ে আমি আবার নতুন করে উঠে দাঁড়ানো শুরু করেছি। আমার জীবনে যতগুলো টার্নিং পয়েন্ট আছে, তার মধ্যে নিঃসন্দেহে আমার বউ একটি।
বিয়ের সময় আমি কি চাই শুধু সেটাই আমার মনে ছিল, কিন্তু ও কি আশা করে সেটা মাথায় ছিল না। এটা করা আমার উচিত হয়নি। মাঝে মাঝে মনে হয়, ওকে পেয়ে আমি জিতে গেছি, কিন্তু ও আমাকে পেয়ে ঠকে গেল কিনা। যাহোক, সংসার সুখী করার জন্য নিচের বিষয়গুলো প্রয়োজন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
১, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ। এটা এম্নিতেই পাওয়া যায়না, অর্জন করে নিতে হয়।
২, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ত্যাগ করার মানসিকতা।
৩, পারস্পরিক চাহিদা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা পূরণে সচেষ্ট হওয়া।
উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও, সাইফ ভাইয়ের ‘৪০ বছরের অভিজ্ঞতা’র মতামতগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সরি আপা, মতামতটা অনেক লম্বা হয়ে গেল।
অফ টপিক, আমার হিসেব যদি ভুল না হয়, আপনাদের ব্যাচে জেরিন আপা ছিলেন। উনার আরো ২ বোন একইসময় মগকক তে ছিলেন। আমি উনার কাছে ইংরেজী পড়েছি। অনেক দিন তার সাথে আমার যোগাযোগ নেই। যদি, তার সাথে আপনার যোগাযোগ থাকে, তাহলে আমার শুভেচ্ছা জানিয়েন।
হুমম, ভাইয়া
আমি এখনো ওই রাস্তায় পা দেই নাই, তাই বলতে পারছি না।
প্রেম ও করি না, তবে বয়সের যে নিঃসঙ্গতা, তা পুরোপুরিই অনুভব করি।
তবে চোখ কান তো বন্ধ থাকে না, ভাল উদাহরণ, খারাপ উদাহরণ সবি চোখে পড়ে।
আমাদের, অর্থাৎ ছেলেদের খুব বড় একটা সমস্যা (অনেক মেয়েদেরও, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা), পেহলি দর্শনধারি, পরে তার গুনবিচারি...
কেউ একটা সহজ কথা বুঝতে চায় না, আমাদের কাছে রূপের যে সঙ্গা...সেই স্ট্যান্ডার্ড শতকরা ভাবেই অনেক কম, কিন্তু গুন তো অসীম ও হতে পারে। আর আমি রাজকুমারী খুঁজছি, আমি কোথাকার রাজপুত্র?
আমার মনে হয়, মানুষকে যাচাই করার খুব ভাল একটা উপায় হচ্ছে কে কত কষ্ট পেয়ে বড় হয়েছ তা জানা। কারণ কষ্টের আগুনে পুড়েই একজন ব্যক্তি সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠে।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
ঠিকই বলেছ। আমার কাছেও তাই মনে হয়।
হায়দার - তোমার মন খুলে লেখা কমেন্টটা একটা আলাদা পোস্টের দাবী রাখে। বিশেষ করে তোমার জীবনসাথী সিলেকশনের সময় তুমি যে জিনিষগুলো ভেবেছো তা খুব পরিপক্ক মানসিকতার প্রমাণ।
আমাদের দেশের কালচারে সাধারণত খুব একটা মন খুলে কথা বলা হয় না। এতে সবাই আলাদা আলাদা ভাবে ঠেকে শিখে।
তোমার জীবনসাথীকে তোমার করা এই কমেন্টটা দেখিও। যেরকম সম্মানিত করে তাকে তুলে ধরলে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
@হায়দার, দোস্ত, ওয়াহিদা আপার আদেশ শিরোধার্য করে একটা পোস্ট দিয়ে ফেল। 🙂 🙂
separation anxiety ke bicched+ atongko .....bicchedatongko bola jay naki?
বিচ্ছেদাতংক লিখতে তিনটা শব্দের বদলে একটা শব্দ লেখা যায়। এরপর তোমার কাছে সুন্দর বাংলা চাইতে হবে। কিন্তু তোমার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য কোথায়?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু, আপনার বিশ্লেষণ খুব সুন্দর হয়েছে, পড়ে ভাল লাগল।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
আপু বরাবরের মতই দারুন লাগল :boss: :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পড়ছি............ 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
পড়লাম শান্তা আপা।
এই ডকুটা সেদিন দেখছিলাম। আপনার লেখা পড়ে এটার সাথে রিলেট করতে পারলাম। যাদের ইন্টারনেট স্পিড ভাল তারা দেখতে পারেন।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ডকুটা দেখতে পারছি না। একবার খুলে দেখলাম প্লে করার পর কিছু আসলো না। দ্বিতীয়বার চেষ্টা করিনি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমি লিংকে ক্লিক করলাম এবং ডকুটাতেই চলে গেল ঠিকমতো। লিংকটা এখানে কপি করে দিলাম: http://www.cbc.ca/video/#/Shows/1221254309/ID=1783959910
এবার দেখেন যে দেখতে পারেন কিনা।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আপা, স্পিড ডেটিং-এর চরিত্র দুইটার নাম কই পাইলেন? নাম দুইটা আমাদের সাথে মিলে গেছে :shy:
ব্যাপারটা পুরোই কাকতলীয়। মূল লেখায় কন নাম ছিল না। বাংলায় সেটা প্রকাশ করতে গিয়ে নামের দরকার পরছিল। তাতক্ষনিকভাবে এই দুটো নাম মাথায় এসেছিলো। আমি বেশ অবাক হলাম তোমাদের নামের সাথে মিল হওয়াতে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi