[সবাইকে অনুরোধ – এই লেখাটাকে কেউ যেন খুব একটা সিরিয়াস লেখা মনে করে নিও না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের অভিজ্ঞতা খুব কম সময় একই হয়। ফলে সবার নিজের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। আমাকে যেন কেউ আবার কখনও দায়ী করে ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দিও না।]
৪০ বছর আগে আজকের এই দিনে (৮ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১) মমতাজকে বিয়ে করেছিলাম আমি। এতগুলি বছর পার হয়ে গেছে – তবু মনে হয় সেই দিনটির সব ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পারি। বয়েস বেড়েছে দেহের, কিন্তু মনের বয়েসটা যেন অনেকটা আগের মতই রয়ে গেছে। আমার অনেক বন্ধুরা ইতিমধ্যে মুখে লম্বা সাদা দাড়ি, হাতে তসবী আর মাথায় টুপি দিয়ে কেমন যেন অচেনা হয়ে গেছে। আগে যাদের তুই বলে সম্মোধন করে যা তা বলে ঠাট্টা করতাম, এখন তাদেরকে দেখে আমার চাচাদের কথা আগে মনে হয়। মুখ থেকে ‘চাচা, আপনি কেমন আছেন’ বেরিয়ে আসতে চায়।
বেশ অনেক বছর আগেই আমার চুলগুলো সাদা হওয়া আরম্ভ করেছিল। আমি সেই ভাবেই রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতাজের ইচ্ছা মত শেষ পর্যন্ত কাল রং করতে অনেকটা বাধ্য হলাম। সেটাই পরে অভ্যাস হয়ে গেল। মমতাজের সব চুলও নিশ্চয় এত দিনে সব সাদা হয়ে গেছে। কিন্তু ছোট করে কাটা চুলে বিভিন্ন শেডের কাল/ সোনালী কাল রং-এর প্রভাবে সঠিক ভাবে জানিনা তার চুলের রং। দু’জনেই দু’জনের এই চেহারাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমেরিকায় আসার পরে প্রায় ৩০ পাউন্ড ওজন বেড়েছে আমার, তবে তার ওজন আগের মতই রয়ে গেছে। এত বছর পরেও আগের মত তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।
প্রথমে আমাকে বিয়ে করতে চায়নি মমতাজ। যে কোন ক্যাডেট কলেজের ছেলের মত তাতে বরং আমার ইচ্ছা আরও বেড়ে গেছে। এটা অনেকটা চ্যালেঞ্জকে জয় করার ইচ্ছা। খেলাধুলায়, পড়াশুনায় আমরা যেমন সব সময় পাল্লা দিয়ে চলতাম একে অপরের সাথে – এটাও যেন তেমনি একটি জয় করার জিনিস ছিল।
তারসাথে প্রথম সাক্ষাৎকার হয়েছিল ১৯৬৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আমার বন্ধু আজাদের বাড়ীতে। তারিখটা মনে রাখার কারণ হচ্ছে ওই দিনই আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর রেজাল্ট বের হয়েছিল। আজাদের বাড়ীতে যেয়ে দেখি কয়েকজন বাচ্চা ছেলে-মেয়ে বাড়ীর সামনের ঘরে বসে ক্যারাম খেলছে।
প্রশ্ন করলাম – আজাদ কোথায়?
বাচ্চাদের মধ্য থেকে একটা মেয়ে উত্তর দিল – বড় ভাইতো বাসায় নেই।
– কখন ফিরবে জানো?
– বলে যায়নি।
ঠিক করলাম আর একটু বসে দেখি। আজাদ আমার তেমন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল না তাই তার বাড়ীর অন্যদের তেমন চিনতাম না। সময় কাটাবার জন্যে মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করলাম – খুকি তুমি কোন ক্লাশে পড়?
ভেবেছিলাম হয়তো বা ফাইভ-সিক্সে পড়ে। খেলা না থামিয়েই উত্তর দিলো – আমি এবার বি, এ, পাস করেছি।
বুঝলাম ফাজিল মেয়ে, আমার সাথে ঠাট্টা করছে। আর কোন কথা না বলে উঠবো বলে ঠিক করতেই আজাদ এসে হাজির হল। আমাকে দেখে খুশী হল খুব। বন্ধুদের মধ্যে আমি বেশ জনপ্রিয় ছিলাম তখন। মনের মধ্যে বিরক্ত ভাবটা পুষে না রেখে বলেই ফেললাম আজাদকে – এই মেয়েটা কে রে – বেশ অভদ্র।
– ও হচ্ছে পিংকু, আমার এক কাজিন। টাঙ্গাইল থেকে এসেছে। কেন কি করেছে সে?
– আর বলিস না। জিজ্ঞাসা করলাম ‘খুকি, কোন ক্লাশে পড়’, বলে দিল বি এ পাশ।
– আরে পিংকুতো বি এ পাশ করেছে এই বছর।
– তুমিও ঠাট্টা করছো আমার সাথে?
– আরে না। সত্যি সে বি এ পাশ। শুধু তাই না, সে নতুন চাকরী পেয়েছে পি আই এ-তে এয়ার-হোষ্টেস হিসাবে।
পিংকুর দিকে তাকিয়ে বললো – এই তোমার সার্টিফিকেট নিয়ে এসে সাইফকে দেখাও তো।
সত্যি সত্যি মেয়েটা সার্টিফিকেট আনতে গেল। এবার আমার অপ্রস্তুত হবার পালা। মমতাজের সাথে আমার প্রথম দেখা এভাবেই।
বিগত ৪০ বছরে অনেক উত্থান-পতন পার হয়েছি আমরা। বিয়ের মাত্র এক মাস পরেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম। চোখের সামনে মানুষকে গুলি খেয়ে মরতে দেখেছি। নিজেও মৃত্যুর হাত থেকে শেষ মুহূর্তে ছাড়া পেয়ে ফিরেছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে, আবার চোখের সামনে দুর্ভিক্ষে মানুষকে মরতে দেখেছি। ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের প্রথম সন্তানকে হারিয়েছি। তারপর ঢাকার ক্লিনিকের গাফলতির কারনে এক মাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী হয়েছে। জীবনের সুখের দিনে এবং দুঃখের জীবনে সব সময় মমতাজকে পাশে পেয়েছি। এই সৌভাগ্য কয় জনের জীবনে হয়। তার কাছে চির কৃতজ্ঞ আমি এই জন্যে।
তবে বউ হিসাবে মমতাজের তুলনা হয়না। তাকে যেমন ছেড়ে থাকতে পারিনা, তেমনি তার সাথে থাকাও খুব একটা সহজ ব্যাপার না। নিজে যেমন পারফেক্টশনিষ্ট, তেমনি আমার কোন কাজে পান-থেকে-চুন-খসলে রক্ষে নেই। আমার বন্ধুদের আমি ঠাট্টা করে বলি – বাংলাদেশের দুই মহিলা আর আমার বাড়ীর আর একটা – এই তিন মহিলার পাল্লায় পড়ে আমার জীবনটা পানিপানি হয়ে গেল। তারা হাসে, বলে ‘তুই কি মনে করিস তুই একা?’ কে জানে? নিজের জীবন সামলিয়েই পারিনা, অন্যদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে লাভ কি?
আমার এই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে যদি এই প্রজন্মের তোমরা কেউ আমাকে আজ প্রশ্ন করো বা জানতে চাও যে কি কি করা উচিৎ বিবাহিত জীবন সুখের ও শান্তিময় (happy and peaceful) করার জন্যে, তা হলে তাদের কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন হবে, সুখের সজ্ঞা কি?
মুক্তি যুদ্ধের সময় যখন চট্টগ্রামের প্রত্যান্ত এক গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছি – তখন আমার এক মাত্র প্রার্থনা ছিল যেন আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারি। সত্যি সত্যি আর কিছু চাইনি তখন। এমন কি বাকি জীবন এই গ্রাম্য পরিবেশে কাটাতে আপত্তি ছিল না, তার বিনিময়ে যদি স্বাধীনতা আসে। অথচ স্বাধীন দেশে কত তাড়াতাড়ি সব কিছু ভুলে গেলাম আমরা। এই হল মানুষের চরিত্র। আমরা যত পাই, তত বেশী চাই।
হয়তো তোমরা এখন কেউ কাউকে ভীষনভাবে ভালবাসছো, ভাবছো তাকে পেলেই তোমার জীবনে আর কিছু অপূর্ণতা থাকবে না। কথাটা যেমন মিথ্যা না, তেমনি আবার পুরা সত্য না। মুশকিল হচ্ছে ‘ভালবাসা’-র মানেটা নিয়ে। ভালবাসার ইংরেজী প্রতিশব্দ “love” নিয়ে যদি গুগল সার্চ করো তবে দেখবে আড়াই বিলিয়নের বেশী হিট হয়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক চালু হওয়া বাংলা গুগলেও ‘ভালবাসা’ সার্চ করলে আড়াই লাখের বেশী হিট দেখা যাবে। যে একটা শব্দের এত প্রকার বহিপ্রকাশ তার কি শুধু একটা মানে হতে পারে?
ইংরেজীতে একটা শব্দ আছে যাকে বলে ‘passion’, যার প্রকৃত সঠিক বাংলা কি হবে তা আমার জানা নেই। এই প্যাশন শব্দটার সাথে দৈহিক সম্পর্কের একটা বড় যোগাযোগ রয়েছে। এটাকেও আমরা ভালবাসা মনে করি। পৃথিবীতে যে কত কাব্য আর মহাকাব্য রচিত হয়েছে এই ভালবাসা নিয়ে – ভাবলে অবাক হতে হয়। আরও অবাক হই যখন দেখি বিজ্ঞানীদের মতে ‘ভালবাসা’ আসলে মস্তিস্কে এক বিশেষ বিশেষ কেমিক্যালের সংমিশ্রনের ফলাফলের বহিঃপ্রকাশ।
২৪ বছর বয়েসে যে কেমিক্যালের প্রভাবে আমি প্রায় পাগলের মত মমতাজের প্রেমে অধীর হয়ে অপেক্ষা করতাম, তার সামান্য কয়েক লাইনের চিঠি পেয়ে পোষ্টম্যানকে জড়িয়ে ধরে চুমা খেতে চাইতাম, তাকে এক ঝলক দেখার জন্যে সারা রাত জেগে ট্রেনে চেপে সিলেট থেকে ঢাকা এসে আবার তখনি ফিরতি ট্রেনে চাপতাম, আধা-ঘন্টার ফ্লাইটে তার সামান্য একটু সহযোগী হবার জন্যে একই প্লেনে যেয়ে আবার ফিরতাম, তাকে কথা দিয়েছিলাম তাকে কখনও ছেড়ে যাবোনা, তাই মুক্তিযুদ্ধের ডাকে তাকে ছেড়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারিনি – সেই কেমিক্যাল আজ ৪০ বছর পর অনেক অনুপস্থিত। তার মানে কি আমার ভালবাসা কমে গেছে? না, তা মোটেও নয়। আজও তার জন্যে আমার জীবন দিতে কুন্ঠা প্রকাশ করবো না। কিন্তু এটা অন্য এক ভালবাসা। এটা ‘কমিটমেন্ট’-এর ভালবাসা। ভালবাসার এই পরিবর্তন যদি তোমাদের মানতে কষ্ট হয়, তবে পশ্চিমা জগতের মত তোমাদের বিবাহীত জীবনও হয়তো ক্ষণস্থায়ী হতে আরম্ভ করবে। আমেরিকাতে এখন শতকরা ৫০%-এর বেশী বিয়ে সামান্য কয়েক বছর পরেই বিচ্ছেদে পরিনত হয়।
এখন আমি কয়েকটি ‘কন্ট্রোভার্সিয়াল’ কথা বলবো। অনেকেরই পছন্দ হবে না, এবং আমিই যে সঠিক সেটাও আমি জোর দিয়ে বলতে পারিনা। তবে কথাগুলি চিন্তা করে দেখতে পারো।
১) ভালবাসার বিয়ের চাইতে বাবা-মার ঠিক করা বিয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশী। যদি বাবা-মার ঠিক করা পাত্র/পাত্রীর সাথে বিয়ের আগে একটু প্রেম করতে পারো, তা হলে আরও ভাল। মনে আর ক্ষোভ থাকবে না।
২) মেয়েদের আর ছেলেদের চিন্তা প্রবাহ এবং তার বহিঃপ্রকাশ ভিন্ন।
৩) ছেলেরা জেনে রাখো – তোমরা হয়তো খুবই ব্রিলিয়ান্ট এবং পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারো, তবে আসলে মেয়েদের বুদ্ধি বেশী।
৪) মেয়েরা যখন কোন সমস্যার কথা বলে, তখন অধিকাংশ সময় তারা ছেলেদের কাছ থেকে কোন সমাধানের আশায় বলে না – ফলে লাফ দিয়ে উঠে সমাধান দিতে যেও না, বরং ভাল শ্রোতা হতে শেখো।
৫) স্ত্রীর কাছে সব সময় সত্য বলা ভাল। তবে বেশী কথা না বলা আরও ভাল।
৬) সুখের জন্যে অর্থের প্রয়োজন আছে, তবে বেশী অর্থ আবার অনার্থ ডেকে আনতে পারে।
৭) অনেক মেয়েরা ভালবাসার আতিশয্যে তার প্রিয় জনকে একান্ত করে পাবার আশায় ছেলের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে নিয়ে আসে। এটার সুদূর প্রয়াসী খারাপ ফলাফল হতে পারে। একটু কষ্ট হলেও মানিয়ে নিও।
৮) সন্তান হবার পর ভালবাসার সজ্ঞা আবার বদলে যায়। মেনে নিতে শেখো।
৯) ক্যাডেট কলেজে ‘মিলিটারী ইতিহাস ও বিজ্ঞান’-এর সাথে সাথে ‘সংসার যুদ্ধে টিকে থাকার উপায়’-এর উপর কোর্স থাকলে সবার উপকার হতো।
১০) ভাগ্যের উপর সব কিছু ছেড়ে দিতে শেখো। সুখ ও শান্তি এভাবেই আসবে।
‘তোমাদের সবার সংসার সুখের হোক’, এই কামনা করি।
পরথম :gulli2:
"ছেলেরা জেনে রাখো – তোমরা হয়তো খুবই ব্রিলিয়ান্ট এবং পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারো, তবে আসলে মেয়েদের বুদ্ধি বেশী।" =)) =))
বিশাল ‘কন্ট্রোভার্সিয়াল’ !
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
পাবন,
বুদ্ধির রকম ভেদের ভিন্ন ভিন্ন সজ্ঞা থাকতে পারে। তুমি যদি বুদ্ধিমান হও তবে বুঝে নাও কোন বুদ্ধির কথা এখানে বলার চেষ্টা করেছি।
এক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হবার পর কথা বলা বন্ধ রয়েছে। পরের দিন খুব সকালে প্লেন ধরতে হবে স্বামীর এক স্থানে যাবার জন্যে। সাধারনত সব সময় স্ত্রী সকালে ওঠে। তাই স্বামী একটা কাগজের চিরকুটে স্ত্রীর মাথার কাছে লিখে রাখলো -'ভোর ৬টা বাজলে আমাকে ডেকে দিও, প্লেন ধরতে হবে।'
পরের দিন ঘুম ভেংগে দেখে স্ত্রী তাকে ডাকেনি এবং অনেক বেলা হয়ে গেছে। রাগে কিছু বলতে যাচ্ছিল তখন চোখে পরলো তার বালিসের পাশে রাখা আর এক চিরকুটে স্ত্রী লিখে রেখেছে -' ৬টা বেজেছে, ঘুম থেকে ওঠো।'
আচ্ছা, বিবাহিত জীবনের ব্যাপারে উপদেশ সম্বলিত পোস্টগুলো আলাদাভাবে ট্যাগ করা যায় না। যেন টাইমমত সহজেই পাওয়া যায়?
যদিও এখনই কাজে লাগছে না, কথাগুলি বড়ই গুরুত্বপূর্ণ।
গুলশান,
অত তাড়াহুড়ার কি আছে। অনেক সময় পাবে। তাছাড়া ঠেকে শেখার এক আলাদা আনন্দ, মিস করবে কেন?
তীব্র সহমত।
মনে রাখার এবং পালন করার চেষ্টা থাকবে সবসময়।
ভাইয়া দারুন উপভোগ্য লেখা।
একটানে পড়ে গেলাম।
মন্তব্যের ভাষা নেই আমার।
:boss: :boss: :boss:
দারুন প্রেমের লেখা। :dreamy:
আপনাদের জীবন আরো সুখের হোক।
সকালে অফিসে এসেই লেখাটা পড়লাম।
লেখাটা পড়ার পরে মনে হচ্ছে দিনটা বেশ ভাল যাবে।
আগাম শুভ বিবাহ-বার্ষিকী। :guitar:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আহমদ,
অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছার জন্যে। তোমাদের যুগল জীবন সুখের হোক এই কামনা করি। (সম্পাদিত)
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অফ টপিকঃ 'সম্পা' তো দেখি সাইফ ভাইয়াকেও 'দিত' ... =))
কি দিত? 😛 😛
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আহমদ,
হা...হা...হা... :)) :))
ক্যাডেট কলেজের ছেলে...মাথায়তো খালি এ সবই ঘোরে তাই না?
🙂 😀 :shy:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
অভিনন্দন ভাইয়া ও ভাবীকে।
অঃটঃ ৩ নং পয়েন্টে ২০০% সহমত।
মেলিতা,
ইঞ্জিনিয়ারের মুখে ২০০% মানে কি সত্যি ২০০%? কে জানে, হতেও পারে। মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার, তার উপর রিলাইবিলিটির উপর 'মাস্টার' বুদ্ধিতো কম কম না। তাই না?
শুভ বিবাহবার্ষিকী ভাইয়া ।বরাবরের মতোই দারুণ লেখা । আপনার শেষ সাজেশনটা সবচেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া ,
জিনাত,
ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেবে ঠিক আছে - তবে তোমার বুদ্ধি ও সৌন্দর্য দরকার মত ব্যবহার করবে।
সাইফ শহীদ ভাই,
বিবাহ বার্ষিকীর অগ্রিম শুভেচ্ছা
কন্ট্রোভার্সিয়াল কথা গুলোয় ১০ এ ১২ দিয়ে আমার সমর্থন জানিয়ে গেলাম ... 😀
লেখার কিছু অংশে প্রচন্ড ভাবে আবেগ তাড়িত হলাম
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর,
১২ নম্বর কোথায় পেলে ভাই? নাকি ১০-এ ১২ -> যে ভাবে লিখেছো।
বুঝতেই পারছো, আমারতো অত বুদ্ধি নেই।
অনেক ধন্যবাদ তোমাদের দু'জনকে। (সম্পাদিত)
শুভ বিবাহবার্ষিকী ভাইয়া।উপদেশগুলো অনেক দামি।মনে গেঁথে রাখলাম।পুরো লেখায় আমার সসবচেয়ে পছন্দের লাইন
ইয়ে ভাইয়া,আমিও টাঙ্গাইল থেকে এসেছি।আপনাকে আর ভাবিকে অনেক আপন মনে হচ্ছে কেন জানি 😀
ইমরান,
শুনে খুশি হলাম যে তোমার দেশ টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইলের কোন জায়গায়?
গতকাল ঢাকাতে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল, সে টাঙ্গাইল গিয়েছিল - বললো গাড়ীতে ঢাকা ফিরতে নাকি ৬ ঘন্টা লেগে গেছে। টাঙ্গাইল কি ঢাকা থেকে রাগ করে দূরে সড়ে যাচ্ছে?
ভাইয়া,আমার বাসা ঠিক শহরের কোল ঘেঁষে।ঠিকই শুনেছেন,হয়ত আধুনিক,যান্ত্রিক ঢাকা আমাদের ছোট শহরটিকে আর আগের মত আপন ভাবে না,গেঁয়ো ভাইকে লোক লজ্জার কারণেই হয়ত দিন দিন দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।অনেক শুভকামনা আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
......আরেক টাঙ্গাইলা হাজির। 😀
......বুঝতেই পারছেন, আমার প্রিয় লাইন কোনটা। 🙂
আব্দুল্লাহ,
ভাইয়ের চাইতে যেন শালার সংখ্যা বেড়ে না যায় - সেদিকেও নজর রাখতে চাই।
বিবাহিত জীবনের চল্লিশটি বছর, ওরেব্বাবা, 😕
একটা ব্যাপার মিলেছে, আমিও আমার বন্ধুর বোনকে বিয়ে করেছি, কাজিন-কুজিন না অবশ্য, ডাইরেক্ট বোন 😀 তবে নো "ইটিশ-পিটিশ।"
২, ৩, ৪, ৫ এ সহমত, আর ৮ তে হালকা দ্বিমত পোষন করলাম।
ভাইয়া সবশেষে, আপনার সংসারও সুখের থাকুক, এই কামনায় ;)) (সম্পাদিত)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ,
আগেই বলেছি এটা নিছক একটা রম্য রচনার মত। প্রত্যেকের কেস ভিন্ন। বিয়ের আগে যখন 'ইটিশ-পিটিশ' করোনি, তখন বরং বিয়ের পরে চিন্তাহীন ভাবে 'ইটিশ-পিটিশ' করে যাও।
সন্তান হবার পরে, আগে যেমন স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সব চাইতে বেশী ভালবাসতো, এখন তারা দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসবে এবং সন্তান দখল করবে প্রথম স্থান। এসব কিছুই প্রকৃতির দান।
ধন্যবাদ তোমাকে এই শুভ কামনার জন্যে।
শুভ বিবাহ বার্ষিকী সাইফ ভাই। সুখে এবং আনন্দে থাকুন।
আপনার ১ নম্বর পয়েন্টটাতে হাল্কা দ্বিমত পোষন করছি। বিয়ের আগে, নিজেদের পছন্দ বা অভিভাবকদের পছন্দ, যাই হোক না কেনো, বিয়ের অনুষ্ঠানটা পার করলেই তারা দুজনেই নতুন আরেকটা জীবনে পা দিচ্ছে। যারা আগের জীবন এবং পরের জীবনের পার্থক্য করতে পারবে না, নিজেদের মধ্যে পরিচয়ের মাধ্যম যাই হোক না কেনো, তুলনামুলকভাবে তাদের অনেক বেশী ঠেকা খেতে হবে।
মইনুল,
খুব সঠিক কথা, কিন্তু এটা মানতে না পারার কারনেই অধিকাংশ সমস্যার সৃষ্টি। ভাল থাক তোমরা।
শুভ বিবাহবার্ষিকী ভাইয়া...... 🙂
চল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতা বলে কথা..... বেঠিক হওয়ার সম্ভাবনা কম......
আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া আরেকটা অসাধারণ লেখার জন্য..... 🙂
অনেক ধন্যবাদ, মিশেল।
দারুণ সাইফ ভাই। ৪০ বছর হলে আমিও এরকম একটা লিখবো।
অনেক অনেক শুভকামনা।
শওকত,
তোমার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। শুভেচ্ছা তোমাদের সবাইকে।
আলীম,
এটা বুঝবার বা বোঝাবার ক্ষমতা থাকলেতো মহা-পুরুষ হয়ে যেতাম। যেটা মনে চায়, সেটাই কর - আপাততঃ এর চাইতে সিরিয়াস আর কি হতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ।
খুব খুব ভালো লাগলো লেখাটা! আর শেষের পয়েন্টগুলো পড়লেই মনে হচ্ছে খুব জরুরি। বোকা বলে বুঝতেছি বোকা থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 🙂
শুভেচ্ছা নিবেন, শহীদ ভাই!
আন্দালিব,
এটাই হচ্ছে আসল চালাক মানুষের কথা।
আপনাদের ৫ম দশক দারুন হোক। :party:
গুরুর শিক্ষা... :boss:
তাসনিম,
আরও দশ বছর এই কষ্ট করে যেতে হবে?
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
জীবনকে উপভোগ করে যাও বেশী চিন্তা না করে।
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
জিতু,
তোমার অভিজ্ঞতা কিছু শেয়ার করো - সবাই শিখুক।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।
:thumbup: :clap:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
৩ নাম্বারে আমার ডাউট আছে। সাংসারিক কাজে মেয়েরা বেশি বুদ্ধিমান এইটা ঠিক আছে। তবে এর বাইরে গেলে আমি বোধ হয় একটু সাম্প্রদায়িক হব।
রায়েদ,
মজা পেলাম তোমার কথায়। এ পর্যন্ত ক'টা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে? সময় আসুক তখন নিজেই বুঝবে কে কত চালাক।
কোথায় যেন মিল খুঁজে পাই। :dreamy: 😛
শুভ বিবাহ বার্ষিকী সাইফ ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা।
সাইফ ভাই, আপনার ১ নম্বর পয়েন্টটাতে দ্বিমত নেই তবে একটু মন্তব্য করছি।
আমার পরিচিতদের মধ্যে যারা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছে তারা সবাই মোটামুটি ভালই আছে।
কিন্তু, বাবা-মার ঠিক করা বিয়ের মধ্যে ৩টি বিয়ে ভেঙে যেতে দেখেছি। ১টি, আমার চেয়ে অনেক বড় এক কাজিন এর ক্ষেত্রে, তখন আমি বেশ ছোট।
আর ২টি, আমার চেয়ে বছর দুয়েক বড়, খুবই প্রিয় ২জন সিনিয়র ভাইয়ের ক্ষেত্রে এবং খুবই সাম্প্রতিক।
এদের ১জন এক্স ক্যাডেট। অপরজন নন্ ক্যাডেট হলেও তার বন্ধুদের বড় অংশই এক্স ক্যাডেট বলে তার মানসিকতাও অনেকটা ক্যাডেটদের মত। ২জনই খুবই ডায়নামিক এবং বড় মনের মানুষ।
এক্স ক্যাডেট ভাইয়ের ডিভোর্স হয় গত বছর। ভাবীর সাথে ভাইয়ের ভুল বুঝাবুঝির পিছনে অর্থবিত্তের বিষয় এবং ২ পক্ষের শ্বশুড়বাড়ীর কোন ছাড় না দেয়ার মানসিকতা বড় ভূমিকা পালন করেছিল।
নন্ ক্যাডেট ভাইয়ের ব্যাপারটা আরো করুণ। ভাবী সবসময় মাস্তি করতে পছন্দ করত এবং নিজের মতো করে ভাইয়াকে নিয়ন্ত্রন করতে চাইত। ভাইয়ার সমস্ত বন্ধুদের কাছ থেকে যোগাযোগ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। একটা মেয়ে কতখানি crazy হলে, নিজের খেয়ালখুশী মতো চলার জন্য নিজের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে তা আমার বোধগম্য নয়। ভাইয়া তার সমস্যা সমাধানের জন্য শ্বশুড়বাড়ী তো নয়ই, কারো কাছ থেকেই জোরালো কোন সাপোর্ট পায়নি। অবশেষে গত ৩দিন আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
আমার ধারনা বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই এরকম দেখা যায় যে, নিজের পছন্দে বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হলে আত্মীয়রা বলে 'এবার ঠেলা বুঝ!'। আর যদি আত্মীয়দের পছন্দে বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হয়, তখন তারা দায়িত্ব নেয় না। বরং বলে, 'কপালে ছিল। কি আর করা, মেনে নাও'।
সরি ভাইয়া, অনেক লম্বা হয়ে গেল।
সবশেষে, আবারো আপনাদেরকে শুভকামনা।
হায়দার,
অনেক ধন্যবাদ এই আলোচনার জন্যে। আসলে আমি আরও বেশী করে এই ধরনের ইনপুট আশা করছি। জ্ঞানের বিকল্প নেই।
শুভেছা রইল।
ভাই এর কথা ঠিক but আমি মনে হয় বাপ মায়ের ''ইমোশানাল আত্ত্যাচার'' থেইকা বাইচা যামু ......... :awesome:
আম্মারে কইসি ৫'৭''+সায়েন্স ...... এর নিচে আমি রাজি না ...... :gulti:
আম্মা :bash:
তাইলে আমার ক্ষেত্রে Responsibility কার ......... !
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
একটা মজার কৌতুক মনে পড়ল। শেয়ার করি,
কোথায় যেন পড়েছিলাম, এক্সপার্ট ওপিনিয়ন, প্রেমের ক্ষেত্রে, " ছেলে যখন প্রেম করে, তখন ভাবে বিয়ের পরে প্রেমিকা বদলাবে না, এ রকমই থাকবে, কিন্তু তারা বদলে যায়, আর মেয়ে যখন প্রেম করে, তখন ভাবে, বিয়ের পরে প্রেমিক বদলে যাবে, কিন্তু তারা বদলায় না।"
আমার কাছে অবশ্য মনে হয়েছে, সংসার সুখের ব্যাপারে প্রেম বড় কোন ফ্যাক্টর না, কারন বিয়ের আগের জীবনের সংগে এর পরের জীবনের কোন মিলই নেই, "টোটাল ডিফারেন্ট বল গেম।" মইনুল অবশ্য এটা আগেই বলে ফেলেছে।
আর কি রকম সঙ্গী/সঙ্গিনী চাই, সে ব্যাপারে আমি একটা হইপোথিসিস বিলাই সবাইকে, প্রত্যেকে মানুষের অবশ্যই একটা এক্সপেক্টেশন থাকে, আমি বলি, এর মধ্যে ২০% মিলবে, ৩০% ভাগ এডজাস্ট করতে হবে, আর বাকী ৫০% ভাগ ভুলে যেতে হবে। "স্যাক্রিফাইফ করা" যাকে বলে আরকি।
আর একটা মজার কথা বলি, আগে কখনো দেখিনি, এখন দেখছি, একটা চ্যানেলে "ব্যাচেলর" বলে একটা সিরিজ দেখায়, এখন দেখাচ্ছে "লন্ডন কলিং" বলে একটা পর্ব, ৬' ৪" এক ব্রিটিশ ছেলের জন্য ২৫ জন আমেরিকান "হট গার্ল" কম্পিটিশনে নেমেছে। এন্ড দে আর অলমোস্ট কিলিং দেমসেলভস টু আর্ন দ্য ব্যাচেলর। সবাই বেশ সিরিয়াস। বিশাল ফানি ব্যাপার। কেমন জানি আদিম যুগের কথা মনে হচ্ছে, সুপুরুষ ছেলেকে পাবার জন্য মারামারি করছে কিছু নারী। "প্যাপিলনে" পড়ে ছিলাম, পালাতে পালাতে এক পর্যায়ে এ রকম এক জাতির খপ্পরে গিয়ে পড়েছিলেন "প্যাপিলন।" একজন নারী তাকে দখল করে রেখেছিল।
যতদূর জানি, "প্যাপিলন" একটা সত্য ঘটনা।
সত্যি আজব মানুষে ভর্তি দুনিয়া। কিংবা হয়ত আমার ভাবনাই আজব, কে জানে 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাই রে ভাই .............
আমিও “প্যাপিলন” পড়সি ............ :frontroll:
আমিতো বেশী কিসু চাই নাই ......... :((
খালি ৫’৭”+সায়েন্স ......... :awesome:
[বাকিটা আম্মার আমার ছেম ছেম ......... :gulli2: :guitar: :duel: ]
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
ফয়েজ,
মাই গড! এত কিছু বোঝো তোমরা...
পবন,
মনে হচ্ছে "৫’৭”+সায়েন্স" - এই স্পেসিফিকেশনের মেয়ে আগে থেকে তৈরী হয়ে আছে।
তাও কথা ......... 🙁
না থাকলে তো :bash: .........
but, আমি already পায়া গেসি .......... :awesome:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
আমার ধারনা বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই এরকম দেখা যায় যে, নিজের পছন্দে বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হলে আত্মীয়রা বলে ‘এবার ঠেলা বুঝ!’। আর যদি আত্মীয়দের পছন্দে বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হয়, তখন তারা দায়িত্ব নেয় না। বরং বলে, ‘কপালে ছিল। কি আর করা, মেনে নাও’।
কোটি কোটি সহমত...
মাস্ফু, এত্তদিন পরে! ভাল আছিস?
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
অভিনন্দন সাইফ ভাই ও ভাবী। হাফ সেঞ্চুরির আর মাত্র এক দশক বাকি। উদযাপনের উদ্যোগ এখনি নেওয়া শুরু করা যায়!
সারা দিন লগ-ইন থেকেছি, এক ফাঁকে পড়েও ফেলেছি; কিন্তু মন্তব্য করার সময় আসলেই পাইনি। অফিসের একগাদা কাজ একেবারেই অন্য কোনো কিছুর জন্য সময় দিচ্ছে না। অল্প সময়ের ব্যবধানে আপনার দুটো মেইলও পেয়েছি। গুছিয়ে জবাব দেবো। আর নিজের সাড়ে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আপনার অভিজ্ঞতা মিলিয়ে মন্তব্য করবো!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু,
তোমার ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে লেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। এবিসি রেডিও শুনতে পেয়ে ভাল লাগছে। আমি হয়তো বর্তমান বাংলাদেশের তরুন সমাজের সঠিক চিত্র জানিনা। তোমার লেখার প্রত্যাসায় থাকবো।
শুভেচ্ছা রইল তোমাদের সুখী যুগল জীবনের জন্যে।
আপনার সাথে দ্বিমত করার অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি, আর অভিজ্ঞতা হলে মনে হয় দ্বিমত করার বিষয় কিছু থাকবে না।
আপনার প্রতিটা লেখাই সিসিবিকে সমৃদ্ধ করে।
মান্নান,
ধন্যবাদ তোমাকে। সত্যি বলতে কি, পিছন ফিরে যখন তাকাই তখন বুঝি কত কম জ্ঞান ছিল আমার। আজকাল তোমরা সবাই যতটা জানো এবং বোঝো তার অর্ধেক বোঝার ক্ষমতা ছিল না আমার। তোমাদের এখনকার মতো যদি তখন আমার জ্ঞান থাকতো তবে বিয়ের সময় কিছুই নেবো না বলার চাইতে হয়তো খুঁজতাম বড় লোকের এক মাত্র সন্তান মেয়েকে। এই বুড়ো বয়েসে তা হলে কাজ করে খেতে হতো না। বুঝলেতো কি বলতে চাচ্ছি?
ওহ, আর একটা কথা - খামোখা সুন্দরী মেয়ের পিছে না ছুটে, গুনী মেয়ের পিছে নজর দাও। তোমার সুন্দরী বউ হলে তোমার চাইতে তোমার বন্ধুদের বরং বেশী লাভ।
উপরের লেখাটা 'ঠাট্টা' করে লেখা - ভুল বুঝো না।
চমৎকার পোস্ট 🙂
অনেক কিছু শিখলাম 😀
সামিয়া,
তোমাকে আর একবার ধন্যবাদ সুন্দরে সুন্দর দু'টো ব্যানার তৈরী করার জন্যে।
তাই কি? কি শিখলে?
🙂 আর লজ্জা দিয়েন না সাইফ ভাই।
নির্ভরশীলতাটা শুনতে বানোয়াট লাগলেও এটা যে কত বড় জিনিস তা আসলে নিজের মাকে দেখে বুঝি। আমার বাবা মারা যাবার পর, ৩৮ বছরের সংসারটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাঁর নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা মনোবল কিংবা কোন কিছুতে জোর খাটানো...এসবই শেষ হয়ে গেছে। কর্মজিবী না হলে বোধকরি তিনি ঘর থেকে বের হওয়াও বন্ধ করে দিতেন। এমন না যে তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন, কিংবা ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আক্রান্ত, তাঁর আসলে ইচ্ছাই মরে গেছে। এই সবই এক অস্বাভাবিক শুন্যতার ফল। এটাকেই নির্ভরশীলতা বলে কিনা আমি জানিনা, তবে জীবনে অনেক দিন একসাথে কাটানোর ফলে একটা কিছু যে জন্মে যায়, সে সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত।
সামিয়া,
দুঃখিত, জানতাম না তোমার বাবা মারা গেছেন। তোমার মাকে আমার স্রদ্ধা রইল - কর্মজিবী হয়ে সংসারের হাল ধরার জন্যে। 'শুন্যতা বোধের' মধ্যে থেকেও কাজ করে যাওয়া চাট্টি খানি কথা না। তুমি এবং তোমার অন্য ভাই-বোন (যদি থাকে) হয়তো তার এই শুন্যতা কিছুটা পূরন করার চেষ্টা করতে পার।
ভাল থাকো।
:clap: :clap:
ভাইয়া, কিছু বলার নাই, শুধু বলবো, আরো একটা অসাধারন লেখা। :salute:
অনেক ধন্যবাদ, মামুন।
মেয়েদের মাথায় বুদ্ধি বেশি এটার সাথে দ্বিমত পোষন করব না। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, তারা তাদের এই "বেশি" বুদ্ধি নিয়েই এমন কিছু কাজ করে যেগুলো শুধরাবার কোনো উপায় কারোর জানা নেই।
আমার বাবা-মা এর সংসারও প্রায় ৩৭/৩৮ বছর হয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে এক ধরনের নির্ভরশীলতার জন্ম হয়েছে...আমার ধারনা এটাও ভালবাসার আরেকটি রূপ... :-B
যাই হোক, আপনাদের বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা... :party:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ,
হ্যাঁ, তোমার ধারনা ঠিক। কখনো কি চিন্তা কর যে তোমার বাবা-মায়ের, তুমি ও তোমার ভাই-বোনদেরকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার কারনে তাদের মধ্যের ভালবাসা আরও গভীর হতে পারে?
অন্য ভাবে একই ব্যাপারটা দেখ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি একই বিষয়ে আগ্রহ থাকে, অর্থাৎ দু'জনেই যদি একই ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ কর, একই লেখকের বই পড়তে পছন্দ করে, একই ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করে, একই জায়গায় বেড়াতে যেতে চায়, ইত্যাদি - তবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই মিল বেশী থাকবে, মিল-মহব্বতও বেশী হবার সম্ভাবনা। এটাকেও আমরা ভালবাসা বলবো।
শুভ বিবাহ বার্ষিকী সাইফ ভাই।
লেখাটা খুবই ভালো লাগল। প্রিয়তে নিলাম।
অনেক ধন্যবাদ, মেহেদী।
"৯) ক্যাডেট কলেজে ‘মিলিটারী ইতিহাস ও বিজ্ঞান’-এর সাথে সাথে ‘সংসার যুদ্ধে টিকে থাকার উপায়’-এর উপর কোর্স থাকলে সবার উপকার হতো।" =)) =))
এই পয়েন্ট এর উপর গুরুত্ত দেয়া উচিত 😛 😛
ইউসুফ (ভবিষ্যতের? yusuf2092),
আমার আক্ষেপ হয় নিচের বইটা কেন আগে হাতে আসেনি... John Gray-এর লেখা মূলত পশ্চিমাদের জন্যে - Men are from Mars, Women are from Venus
বাংলাদেশের উপযোগী এমন কিছু অচিরেই আশা করবো... তোমরা কেউ লিখে ফেলবে নিশ্চয়।
চল্লিশ বছর সাইফ ভাই!কন্কি ! বিশাল অভিনন্দন !
বিবাহিত জীবনের চল্লিশ বছর পর অনুভূতি কেমন হয় সেইটার অভিজ্ঞতা নাই তবে একটা জোকস জানি।
A man inserted an ‘ad’ in the classifieds : ” Wife wanted”. Next day, he received a hundred letters. They all said the same thing “You can have mine.” 😛
বন্য,
আমার 'আসল বয়স' কিন্তু এখনো দু'ই কুড়ি হয়নি।
শুভ বিবাহ বার্ষিকী।
ব্লগের বাসিন্দাদের জন্য খুবই দরকারী পোস্ট।
#১ - আপনি হয়তো আপনার সময়ের প্রেক্ষিতে কথাটা বলেছেন। এখন অবস্থা অনেক বদলে গেছে। আমি কয়েকটা বিয়ের কথা জানি যে বিয়ে হবার পর পর ভেংগে গেছে। কারণ ্মেয়েগুলো বাবাকে বলতে পারেনি বা রাজি করাতে পারেনি কিন্তু বিয়ের রাতে তার স্বামীকে বলেছে যে অন্য সম্পর্কের কথা এবং বিয়েতে অরাজী থাকার কথা। এখন যোগাযোগের সুযোগ বেড়েছে। সামান্য সম্পর্কও অসামান্য হয়ে উঠে অন্যছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে। এখন বিয়ের আগে কথাবার্তা মাস্ট।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেসপেক্ট জিনিষটা খুব গুরুত্বপূর্ন। এটা তো অর্জন করে নিতে হয়। এটার কোন শর্ট কার্ট পদ্ধতি আছে কিনা জানা নেই।
এটা ঠিক বাচ্চা হবার পর মেয়েদের কাছে বাচ্চাই প্রাধান্য পায়। সম্পর্কও অন্যমাত্রা নেয়। আমার মনে হয় বাচ্চারা যখন খুব ছোট - তাদের সার্বক্ষনিক সময় দিতে হচ্ছে, নিজেদের জন্য কোন সময় নেই - তখন সম্পর্কটা খুব টান টান থাকে। গত তিন দশক ধরে একটা ছোট বাচ্চাকে দেখাশোনা করেও যখন আপনি নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এরকম টক-ঝাল-মিষ্টি বিশ্লেষণ করতে পারছেন সেজন্য অনেক অনেক সাধুবাদ এবং শ্রদ্ধা। আপনাদের ভ্রমনটা তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন। আমার যখন কোন কঠিন মুহূর্ত আসবে তখন এটা মনে করে সাহস সঞ্ছয় করবো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তা,
তোমার 'কিন্নরকন্ঠী নদী' পড়ে বুঝেছিলাম মানুষের মনের গভীরে অবগাহন করতে পছন্দ তোমার।
"এখন অবস্থা অনেক বদলে গেছে" - সেটা অনুধাবন করতে পারি। আমি যখন ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিলাম, সেই বছর ১২টি বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় আমেরিকান-বাংলাদেশী পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে। তার মধ্যে নাকি ১০টি এক বছরের বেশী টিকতে পারেনি। আমি অনেক সময় ভাবি, এদের কি জোড়াতালি দিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখলে ভাল হতো, না কি ভেঙ্গে ফেলে আবার নতুন করে শুরু করে ভালই করেছে এরা।
বাবা-মায়ের পছন্দ বলতে আমি 'Arrange Marriage' বলতে চেয়েছি, অনেকটা আগের দিনে হিন্দু পরিবারে যেমন জাতি-গোত্র, ঠিকুজী, ইত্যাদি মিলিয়ে বিয়ে ঠিক করা হতো। আজকালকার অনেক ইন্টারনেট ম্যাচিং সার্ভিসে অনেকটা এভাবেই সঠিক ম্যাচ বের করার চেষ্টা করা হয়। এই সফট-ওয়ারগুলি ভবিষ্যতে আরও কার্যকর হবে আশা করি।
তোমার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। এবার আমি আশা করবো, তুমি মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ ব্যপারে একটা লেখা দেবে।
শুভেচ্ছা রইল তোমার ও নির্ঝরের প্রতি।
ভাই, প্রথমেই শুভেচ্ছা, আপনি শাস্ত্রমতে বিবাহিত জীবন এগিয়ে নিতে পারছেন পরিবর্তনগুলোকে সাথে নিয়ে | আমি ব্লগে নতুন, বাড়ি টাঙ্গাইল, জীবিকা সাগরে , আপনার লেখা ভালো লাগে, এই লেখাটা খুব মজার আর বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে আমার কাছে | প্রতিটা দাম্পত্য জীবনই খুব অদ্ভুত ভাবে মিল আর গরমিলের খেলা মনে হয় | আরো লিখবেন |
শাহ আলম,
ধন্যাবাদ তোমার মন্তবের জন্যে। আচ্ছা, এটা কি ঠিক যে টাঙ্গাইলের মেয়েদের মেজাজ একটু বেশী?
এবার তাহলে তোমার বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা শুরু করো।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটা লেখকা উপহার দেয়ার জন্য 🙂
নাজমুল,
তুমিতো এখনো বিয়ে করনি, তাই না? এই লেখাটা পড়ে জানিও - তুমি কি এখনও স্বাভাবিক আছো, নাকি পাগল হবার পথে?
ভাইয়া আমি খালি প্রেম এ পড়ি করতে পারিনা 🙁
মটর সাইকেলে চড়ার সময় যেমন মাথায় হেলমেট পরতে হয়, তেমনি আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন কোরো। 'প্রেমে পড়ে' অনেকেই প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে জীবনে।
"ক্যাডেট কলেজে ‘মিলিটারী ইতিহাস ও বিজ্ঞান’-এর সাথে সাথে ‘সংসার যুদ্ধে টিকে থাকার উপায়’-এর উপর কোর্স থাকলে সবার উপকার হতো।" :pira: :pira: :pira:
জুনায়েদ
জুনায়েদ,
তোমার তো যুদ্ধ এখনো শুরু হয়নি। নিজে থেকে প্রস্তুত হতে শুরু করো।
:hatsoff: :boss:
শুভ বিবাহ বার্ষিকী। বিবাহিত জীবন সুখের হউক।
অনেক ধন্যবাদ, নঈম।
খুব ভালো লাগল।
আমার তীব্র বিবাহভীতি আছে। কখনো সময় হলে সে ব্যাপারে কিছু বুদ্ধি দেবেন।
বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা রইল। 🙂
তৃষিয়া,
ধন্যবাদ তোমার খুব ভাল লাগার জন্যে।
'নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়া ভাল, অন্যের বুদ্ধিতে রাজা হবার চাইতে' - এটা শুনেছো নিশ্চয়। তবে একটা কথা বলতে পারি - যে সিদ্ধান্তই নাও না কেন, হয়তো কখনো মনে হতে পারে, ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আসলে পৃথিবীতে 'স্টাটিক' কিছুই নেই।
সুখী হওয়াটা অনেকটা তোমার নিজের উপর নির্ভর করবে।
'বিবাহভীতি' পশ্চিমা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আরও অনেক বেশী। তাই তারা বিয়ে করার আগে অনেক সময় একসাথে থাকে। তবে তাতে যে খুব একটা উপকার হয় তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না। ছোট একটা নমুনা নিচের গল্পে -
নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়া ভাল, অন্যের বুদ্ধিতে রাজা হবার চাইতে’ – এটা শুনেছো নিশ্চয়। তবে একটা কথা বলতে পারি – যে সিদ্ধান্তই নাও না কেন, হয়তো কখনো মনে হতে পারে, ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আসলে পৃথিবীতে ‘স্টাটিক’ কিছুই নেই।
অনেক ধন্যবাদ,সাইফ ভাই।আমি নিজে আপাতত একটা বড় রকমের ঝামেলার মধ্যে আছি এই ব্যাপারটা নিয়ে-অনেকটা শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।আপনার এই লেখাটা খুব উপকারে আসবে আমার।
এনি টেনশন?
😛 😉
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আরাফাত।
"ছেলেরা জেনে রাখো – তোমরা হয়তো খুবই ব্রিলিয়ান্ট এবং পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারো, তবে আসলে মেয়েদের বুদ্ধি বেশী"
--ব্যাপক বলেছেন!
খালি লেখাটায় মন্তব্য দিতেই লহ ইন করলাম।
সত্যি অসাধারণ। :boss:
::salute:: শুভকামনা রইলো!
*লগ
রবিউল,
অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানীর বোকামীর অনেক গল্প আছে। অনেকে স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করেছে। তারা কি বোকা না বুদ্ধিমান?
মেয়েদের একটা 'ইন্টিউটিভ' (intutive) বুদ্ধি আছে। অনেক সময় খুব তাড়াতাড়ি তারা একটা সমাধানে আসতে পারে, যেটা ছেলেদের পক্ষে সহজে আসে না।
ভাইয়া এই কথাটা বুঝি নাই ৷ 🙁
সাকিব,
একটা জিনিস কি জানো - সত্যি যদি আজীবন প্রচন্ড ভালবাসা চাও, তবে একজনের মৃত্যু ছাড়া অন্য সহজ পন্থা নেই। রোমিও-জুলিয়েট, লাভ-স্টোরি, ক্লিওপেট্রা ও মার্ক এনটনি, ট্রিশটান ও ইসল্ডে, লাইলি-মজনু, পিরামুস ও থিসবি, সেলিম ও আনারকলি, শাহজাহান ও মমতাজ মহল, রানী ভিক্টোরিয়ায় ও প্রিন্স এলবার্ট, এনা ক্যারেনিনা, ইত্যাদি, ইত্যাদি সবই প্রচন্ড ভালবাসার এবং খুবই দুঃখের কাহিনী। ব্যাতিক্রম যে একেবারে নেই তা বলবো না। তবে প্রচন্ড প্রেম সাধারনত বিরহের গল্পে বেশী দেখা যায়।
তার চাইতে বরং সন্তান, শশুড়-শাশুরী, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে নিয়ে যে এক ভালবাসার গন্ডী গড়ে তোলা যায় তার স্থায়ীত্ব বেশী হবার সম্ভাবনা।
পড়ে খুব ভাল লাগল
শরফুদ্দিন
সাইফ ভাই, চরম সত্য কিছু কথা বলছেন।
চমৎকার পোষ্ট ভাই।
অনেক ধন্যবাদ পলাশ।
অনেক মেয়েরা ভালবাসার আতিশয্যে তার প্রিয় জনকে একান্ত করে পাবার আশায় ছেলের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে নিয়ে আসে। এটার সুদূর প্রয়াসী খারাপ ফলাফল হতে পারে। একটু কষ্ট হলেও মানিয়ে নিও।
আমার বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর চলছে ---- এখনও মানিয়ে চলছি ! 🙂
পারু,
আশা করবো তোমাদের (তুমি বললাম, আশা করি মনে কিছু করবে না) জীবনে দুঃখের চাইতে সুখের ভাগ বেশী হবে।
লেট করে ফেললাম, শুভ বিবাহ বার্ষিকী সাইফ ভাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আকাশ।
শুভ বিবাহ বার্ষিকী ভাইয়া। আশা করি অর্ধ-শতকের পোষ্টটাও সিসিবিতেই পড়বো আজ থেকে আরো দশ বছর পর।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:thumbup:
রকিব ও রায়েদ,
নিশ্চয় পড়বে - তবে তোমরা তোমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল রেখো এবং ইতিমধ্যে চোখের শক্তি যেন কমে না যায়।
[উপরের লেখাটা চার্চিলের এক মন্তব্য অনুসরনে লেখা। গল্পটা এরকম (সাল তারিখ ভুল হতে পারে) - চার্চিলের ৯০তম জন্মদিনে এক ফটোগ্রাফার তার ছবি তোলার পর বলেছিল - "আশা করবো আমার যেন আপনার শততম জন্মদিনেও ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়।"
চার্চলের উত্তর ছিল - "কেন না? ইয়ং ম্যান, তোমাকেতো ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী বলে মনে হচ্ছে। নিশ্চয় আরও দশ বছর বাচবে তুমি।"]
=))
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
জিহাদের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস খুব পছন্দ হয়েছিলো,বঙ্গানুবাদের স্বাধীনতা নিচ্ছি- এ পৃথিবীতে আসলে মেড ফর ইচ আদার বলে কিছু নেই,পুরোটাই হয় এ্যাডজাস্টমেন্ট নাহয় কমপ্রোমাইজ।যদি আমি কারো সাথে থাকতে চাই তাহলে সেটি হচ্ছে কমপ্রোমাইজ,যদি সে আমার সাথে থাকতে চায় তবে আমার জন্যে সেটি হচ্ছে এ্যাডজাস্টমেন্ট
মাশ-আল্লাহ, এত কিছু তোমরা এই বয়েসেই জান এবং বোঝো... আমার কেন এত কম বুদ্ধি হল... আগে যদি জানতাম... ফৌজদারহাটে আমাদের সময় নিশ্চয় ফাকি দিয়েছে শিখাতে... ভাবছি আমেরিকান স্টাইলে কিছু পয়সা ফেরত চাইবো কিনা।
মাসরুফ, আর কতদিন বাকী তোমার পুলিস অফিসার হতে?