দেশে ফেরার গল্প – তিন

দেশে ফেরার গল্প – দুই

ট.
অনেকদিন পর দেশের সকালবেলার নিরেট আলো চোখে এসে লাগলে যে কি ভাল লাগে তা বলে বোঝাবার না। সকাল ব্যাপারটাই আসলে খুব স্নিগ্ধ। কেমন মোলায়েম পেলব আলো, নতুনদিনে জেগেওঠা মানুষজন, শহরের ব্যস্ত হয়ে ওঠার প্রস্তুতি – সব মিলে বেশ একটা আয়োজন। এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাচ্ছি। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে প্রথম চোখে পড়লো এয়ারপোর্টের মুখেই বেরিয়ে হজ্জ্ব ক্যাম্প-এয়ারপোর্ট এবং এয়ারপোর্ট-উত্তরা সড়কের সংযোগে যেখানে লালনের ভাষ্কর্য হবার কথা ছিল সেখানে কেমন যেন বাইন মাছের মতো পেঁচানো পেঁচানো একটি স্থাপত্য।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ!(পাচ)

১৫০০০ ফিট উপর থেকে সবুজ শ্যামল দেশটা কে কত সুন্দর লাগছে। ছোট ছোট ম্যাচ বক্স এর মত ঘর বাড়ি ,পুকুর।এর চেয়েও ছোট মানুষ। পিঁপড়া থেকেও ছোট ।এত উপর থেকে দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। তাদের এই জমিনএ এই তাণ্ডব, এত হানা-হানি।আল্লাহ্‌ তালা নিশ্চয় উপর থেকে অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করছেন ও হাসছেন।ভাবনাটা সাংঘাতিক।ছোটদের এরকম ভাবতে নেই ।শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

সবুজ পোশাক, সবুজ টুপি পরা বিমান বালা এবার ভালো ব্যাবহার করেই ‘কে,রাহমান’

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ বদলাবেই

আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ!(চার)

কোরবানীগঞ্জ-খাতুনগঞ্জ ।চট্টগ্রামের, তথা দেশের আমদানি-রফতানি ব্যবসার তৎকালীন প্রান কেন্দ্র ।’জলিল-হাকিম ম্যানসনের’ চার তলায় বাবার অফিসের একাংশ পরিষ্কার করে মহাসুখে নতুন সংসার গুছিয়েছেন মা। চারিদিকে  উর্দু-গুজরাটি-বোম্বাইয়াদের ভিড় । হাসি খুশী ভদ্র সুন্দর ব্যবহার । মূলতঃ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়।

মজার ব্যপার হল, দেশকে ধ্রুত আবার স্বাভাবিক অবস্তায় ফিরিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর পাকিস্তানী ‘হুকুমত’ এইসব এলাকাকে এড়িয়ে চলছিলো । যাতে পূর্ণোদ্দমে অর্থনীতি আবার সচল হয়।

কিন্তু জেলখানার মানুষের আবার স্বাভাবিক জীবন ?

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ!(তিন)

‘৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনা এত ব্যাপক, এতো বিশাল যে চাক্ষুষ সাক্ষী প্রতিটি বাঙ্গালী নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখলে দশ বিশ খণ্ডের বই হয়ে যাবে। তাই ভাবছি, শুধু সেই সব ঘটনা লিখবো, যেগুলি কিশোর মনে সবচেয়ে বেশী ছাপ ফেলছিল।

কালুরঘাট শাহ সাহেবের বাড়ীতে বেশ আছি। শহরের বাইরে, এদিকের মানুষের ভাবখানা , আমরাতো জিতেই গেছি। ওদের এখন এদেশ থেকে লেজ তূলে পালাতে যতক্ষণ বাকি! কিন্তু এর মধ্যে শুরু হলো ”

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ!(দুই)

আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছিলাম এক মহা বিস্ফোরণ এর দিকে। এগিয়ে আসছিলো ২৫ শে মার্চ, পশ্চিম পাকিস্তানী দের সেই মহা পরিকল্পনার রাত!

ওদের নাকি বাঙালীদের আর প্রয়োজন নাই। ওরা শুধু আমাদের ৫৫ হাজার বর্গ মাইল মাটি চায়, তাই ‘ অপারেশন সার্চ লাইট ‘ জ্বালিয়ে মেরে ফেলতে চায় আমাদের সবাইকে। মাটির সাথে গুঁড়িয়ে দিতে চায় ওরা আমাদের সকল ঘড়-বাড়ী, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ । এরই নাম নাকি ”

বিস্তারিত»

একটি ন্যাংটা হওয়ার গল্প ও কিছু কথা … …

১.
ঘটনার শুরু আমার ছোট বোনকে দিয়ে। হঠাৎ প্রসঙ্গক্রমে একদিন ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, বলো তো বাংলা ভাষা কবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়? ওর সহজ-সরল উত্তর: ১৯৫২। আমি একটু রেগে গিয়ে বললাম, এটাও ঠিকমত জানো না! এরপর ওর সাথে আরেকটু কথা বলে বুঝলাম, বিভিন্ন রচনা-বই আর Text বই পড়ে পড়ে “জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকা” – এই টাইপের রচনা লেখার জন্যে ভাষা আন্দোলন নিয়ে ওর যতটুকু জানা-শোনা তা-কে ২/৩ লাইনেই সাজিয়ে ফেলা যায়।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ।(এক)

(চল্লিশ বছরের পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি লিখতে চেষ্টা করেছি । তথ্যগত ভুল ভ্রান্তি হয়ে যেতেও পারে , তবে সঠিক ঘটনা পরম্পরা কৈশোর এর দৃষ্টিতে যা দেখেছি , সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছি।)

১৯৭১ সাল। সবে তখন ক্লাস ফাইভে উঠেছি।অবাক বিস্ময়ে চারিদিকে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি দেখি। কোনটা বুঝি , কোনটা বুঝিনা , কেন এমন হয় ??

বিস্তারিত»

তারেক মাসুদ এবং আমরা

জহির রায়হান, আলমগির কবীর, এবং তারেক মাসুদ আমাদের ফিল্মের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র; এদের তিনজনকেই আমরা অকালে হারিয়েছি । আবিশ্বাস্য হলেও সত্যি জহির রায়হানকে হত্যা করেছে আল-বদর/রাজাকার, তাও ১৬ই ডিসেম্বরের পরে, আর আলমগীর কবীর, এবং তারেক মাসুদ দুজনকেই হারাতে হল সড়ক দুর্ঘটনায়। তারেকের “মাটির ময়না” আমাদের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের চলচিত্র এবং উল্লেখ্য যে, মাটির ময়নার পুরটাই আমাদের মাটির রস সিঞ্চিত। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র,

বিস্তারিত»

পিচ্চির চোখে সিসিবি

অনেকদিন থেকেই ব্লগে আছি। আছি কিন্তু ব্লগ লেখি না, খালি কমেন্ট করি। ইদানিং তাও করি না। আসলে কিছুই ভাল লাগে না। কেমন যেন অদ্ভূত লাগে সবকিছু। তবে ব্লগ লেখি না তার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারণ আছে। লিখতে পারি না তাই লেখি না। আমার জীবনে কলেজ ম্যাগাজিন তো অনেক পরের কথা, কোনদিন মনে হয় মাসিক যে একটা পত্রিকা বের হত তাতেও মনে হয় লেখা প্রকাশ হয় নাই।

বিস্তারিত»

আহ্ হা রে তোমরা কি মিস্ করলা!!

আমার জয়েন করার খুউউউব ইচ্ছা ছিল ইফতার পার্টিতে। লাবলু কে ফোন করতে চাই ছিলাম,বা তোমাদের কাওকে। কারো নম্বর নাই। জে সি সি’র একজনকে চিনি, ফোন করলাম। বুদ্ধি দিল, ভাই ‘ইফতার পার্টি’র’ জন্য খামাখা  চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ৪০০০+৪০০০ টাকা খরচ করে আইবেন-যাবেন? রোজার কষ্ট , ক্ষিদার কষ্ট , প্লাস  যে দিনকাল খারাপ পরছে, ঐটা দিয়া বাপে-পুঁতের ঈদের পাঞ্জাবী হইয়া যাইবো। কথাটা মনে ধরল।
আমি আস্ লে অবশ্য তোমাদের অনেক লাভ হইত !!!

বিস্তারিত»

অবয়ব (ছবিব্লগ)-১

অনেক দিন ধরেই ব্লগ এ আছি | কিন্তু ভয়ে কখনও কিছু দিতে পারি নাই | তাই চিন্তা করে দেখলাম কিছু ছবি দিলেই ভাল |
আজকের subject portraits-
এইগুলা সব shakhari bazar এ তুলা






এখন সদর ঘাট-

এই গুলা রাজেন্দ্রপুর-


ইহা পহেলা বইশাখ in BUET-

ভাল লাগ্লে বইলেন|

NOTE- ব্লগ এ এইতা আমার পরথম post| তাই আগেই- :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: ::salute:: ::salute::

বিস্তারিত»

পেয়ে গেছি আমাদের মাস্ফুর ব্যাকআপ :-D :-P

যারা আজকের গেট টুগেদার মিস করেছেন তাদের জন্য বলছি, আমরা আমাদের মাস্ফুকে মিস করেছি :just: ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন আমাদের অজানা ছিলো যে অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টীমের মতন আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চটাও অনেক শক্তিশালী। আমাদের অতি প্রিয় ফয়েজ ভাই যতক্ষন ছিলেন আমদের আনন্দের মাত্রাটা কখনই কম ছিলোনা। তবে আমরা খুব চিন্তাগ্রস্ত “তেল গ্যাস রক্ষায়” উনার ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করা নিয়ে। (নাহ ছেলেপেলে খুউব বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে :frontroll: :frontroll: )।

বিস্তারিত»

ইসসিরে! কতদিন পর সিসিবি আড্ডা!

লাবলু ভাই গাড়ির ইঞ্জিন ইস্টার্ট দিতে দিতে কহিলেন, চলো বৎস, “খাদ্য দর্শন” নামক দোকানে চলো। আগে আগে পৌঁছাইয়া সবাইকে গ্রহণ করিতে হইবেক। আমি সামনের সীটে বসিতে বসিতে কহিলাম- জী আজ্ঞে।

তো ব্যাপারটার শুরু এইভাবেই।

ফুড ভিশনে পৌছে বুঝলাম ভীষণ রকমের আগেই পৌছে গেছি আমি আর লাবলু ভাই। আমাদের দেখা মাত্র বেশ ভালো রকমের স্বাস্থ্যের অধিকারী এক হাসিখুশি ছেলে তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে লম্বা মাপের সালাম দিলো।

বিস্তারিত»

ইসসিরে……সব্বাইরে কত্ত মিসাই…

সিসিবির যেকোন গেটটুগেদারেই একটা কথা অনবরত আমার মনে থাকে, সেটা হলো যারা উপস্থিত নাই তাদের কিরম লাগছে। সিসিবি ইতিহাসের প্রথম গেটটুগেদারটিতে আমি অনুপস্থিত ছিলাম, কি কারণ এখন মনে নেই, কিন্তু প্রত্যেকটা মুহুর্তে আমার হিংসা হচ্ছিল, ইসসিরে, আমারে ছাড়া ওরা কত্ত কত্ত মজা করে ফেললো…

আমি তাই মিস করি রকিব হারামজাদাটাকে, পোলাটা খাইতে কত্ত পছন্দ করে… মিস করি জ্ঞানী লাভবী ভাইকে, ঝাঁকড়া চুলের মানুষটা থাকলে জ্ঞানী জ্ঞানী কথা শুনা যেতো।

বিস্তারিত»