প্রলাপঃ১১ শূন্যতা ও নির্ভার

তুমি নেই তাই আমি ভালো আছি
আরো কাছাকাছি তুলো মেঘেদের ঘেষাঘেষি গা
ঘাম মেখে নেওয়া ফিরিয়ে দিতে কেউ নেই আর
তুমি নেই তাই করি চিৎকার
ভীষণ খুশিতে তিনফুট লাফ,বৃষ্টির দলে এলোমেলো নাচ
শহরের সব সাদা মেয়েদের চেয়ে চেয়ে দেখি ইচ্ছেমতন
সুযোগ পেলেই রিক্সা আরোহী বড় আপুদের চোখ টিপে দেই
বুক টিপে দেই লোকাল বাসের ব্যস্ত সুযোগে
যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি-বিবেচনাহীন অর্থছাড়া
শ্রাবণের শেষ বাদল ধারায়
ভিজি না এখন;ঘরের ভেতরে কাঁথামুড়ি দিয়ে
প্রবল অলস,ল্যাপটপ খুলে সাদা রমণীর অঙ্ক দেখি
শিল্পের কলঙ্ক দেখি

তুমি নেই তাই রাত হলে কোন ব্যস্ততা নেই
সুযোগ পেলেই
নেটে চ্যাটে বসি খুব সুইট সুইট ছোট আপিদের
সুযোগ পেলেই
খাতা খুলে গুনি দুই তিন তিন-চার দুই এক
তুমি নেই তাই জুতোর ভেতরে জেগেছে পেরেক
দুপুর রোদের এলোমেলো হেটে,কাগজ অফিস
প্রেসের দোকান,সম্পাদকের রাগী ফ্যন্টাসি-মরে গেছে সব।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৬

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ

(এই পর্বে আমি একটা গ্রাম আর সেখানকার যুদ্ধকালীন অবস্থা তুলে ধরেছি। সানা ভাইয়ের ‘স্মৃতির ঝাঁপি’র একটা পর্ব থেকে আমি সেই গ্রামের চিত্র পাই। তারপর উপন্যাসের মানুষগুলোকে সেই গ্রামটাতে নিয়ে যাই। সানা ভাইকে এখানে আর ফরম্যাল ধন্যবাদ দিলাম না)

ছয়

‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’ হিরণ ভাই জিজ্ঞেস করলো।

বিস্তারিত»

সাময়িক পোষ্ট: সহযোগিতা চাই

দিন দিন যে দুনিয়াটা কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বোঝা দায়।দুনিয়া না বলে বাংলাদেশ বলে আরও সংক্ষিপ্ত করে ফেলি ব্যপারটা।আগে শুনতাম চাকরি করতে মামা-চাচা লাগে এখন কোথায় ইন্টার্ন করতে গেলেও লাগে।
আমার যারা শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আর স্নেহের ছোট ভাই আছেন তাদের একটা ব্যাপারে আমার সাহায্যের খুব দরকার এবং আশা করি আমি নিরাশ হবনা।
এবার সব খুলে বলি আমার বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক (IR) অনার্স শেষ বর্ষ।তার কারিকুলামের অংশ হিসেবে তিন মাসের ইন্টার্ন করতে হবে।সে অনেক চেষ্টা করে আমার দারস্থ হয়েছিল আর আমি অনেক চেষ্টা করে আপনাদের দারস্থ হলাম।আমার বোনকে আমাদের দেশীয় বা আর্ন্তজাতিক NGO এর থেকে ইন্টার্ন করতে হবে।

বিস্তারিত»

ভূমিকম্প : আমরা কী করতে পারি

[কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়ে গেল ভূমিকম্প। যদিও এতে তেমন কোন দৃশ্যমান ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তবুও মনে হয় সময় এসেছে আমাদের চিন্তা ভাব অনা করার। এই ভূমিকম্পের বেশ কয়েকদিন আগে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম বাংলাদেশের ভূমিকম্প বিষয়ক ঝুকিঁর ব্যাপারে। গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার এখানে অনুবাদটা তুলে দিলাম। অনুবাদটি করে দেওয়ার জন্য কয়েকজন বন্ধুকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিছুটা সংক্ষেপিত।]

সম্প্রতি জাপান, হাইতি এবং সুমাত্রার গুরুতর ভূমিকম্পগুলোর পর বিজ্ঞানীরা নজর দিয়েছেন এমন একটি দেশের দিকে,

বিস্তারিত»

২৩ টি ফৌজদারহাটীয় …

“চাপা মারা” আমাদের এই বাঙালি সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় একটা বিষয়। এটা কে কি ঠিক মিথ্যা বলা যায় কিনা সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু মিথ্যার খুবই ছোট ভাই কিংবা বোন হিসেবে এটা যে অপভ্রংশ হয়ে গেছে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। তবে পাপ হচ্ছে কি হচ্ছে না তার চেয়ে বড় ব্যাপার আমার মতে এই “চাপা মারা” ব্যাপারটার বাঙ্গালী সমাজে দরকার আছে। বাঙ্গালীরা ভুল মেনে নিতে পারেনা,

বিস্তারিত»

আমাদের দিন গুলি (ক্যাডেট লাইফ)

মনে পড়ে পড়া ভরা সেই পরীক্ষার রাত

অসমাপ্ত সিলেবাস এলোমেলো বই এর পাতায় অবাক দৃষ্টি পাত

কখন সময় খুঁজে ডিউটি মাস্টারকে ফাঁকি

কখনো ছাঁদে কখনো করিডোরে অনর্থক হাঁটাহাটি

কখনো আড্ডা মুখর গানে রাতের আকাশ হত ভারী

কখনো বিলাসী মন ক্যারিয়ার বিভোর স্বপ্ন আঁকতো তার ই

বিস্তারিত»

প্রত্যেকে আমরা নিজের তরে

বেশ কয়েকদিন আগে থেকে গল্পটা শুরু করেছিলাম। নাম বিভ্রাটে এগুতে পারিনি। প্রথম ভাবছিলাম ‘ প্রত্যেকে আমরা “পরের” তরে ‘ দিবো , কিন্তু পরবর্তীতে ভাবলাম তার চেয়ে নাম হোক ‘প্রতি জন আমরা “একজনের” তরে”। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত ” প্রত্যেকে আমরা “নিজের” তরে ” এবং এটাই আসলে সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য ! কেন এই স্বার্থ পর সিদ্ধান্ত ?

গল্প লিখা আমার দারা হয় না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।

বিস্তারিত»

গ্লোবালাইজড গোলামী

বিবেকঃ

স্বাগতম হে বন্ধু তোমায়,
গোলামীর এই ধরায়,
গোলাম তোমায় হতেই হবে,
নো ওয়ে,
টু এভয়েড। নো ওয়ে।
ভাবছো বকছি প্রলাপ,
কিংবা কাব্যচ্ছলে দাওয়াত।
ভাবতে পারো যা ইচ্ছা হয়,
কেননা-
তোমার ভাবনার নিয়ন্ত্রন
একান্তই তোমার।
আমি এতটুকুই শুধু পারি,
জানাতে সত্য, তাও দাবী।
আমার কাছে যা সত্য,
তোমার বেলায় তা,

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৪

পর্বঃ চার এবং পাঁচ

চার

এরপর কি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম? হবে হয়তো। জেগে উঠি ধরফরিয়ে। মনে হচ্ছে বাসার সামনে দিয়ে মিলিটারির জীপ যাচ্ছে। হয়তো দুঃস্বপ্নে দেখেছিলাম। টিকটিকি টিক টিক করে উঠলো। অন্ধকার ঘরে কেয়াকে ডিঙ্গিয়ে বিছানা ছেড়ে নেমে আসি। জানালায় কে যেন টর্চের আলো ফেললো। আবারো টিক টিক শব্দ। খুব মৃদু। শব্দটা ঘরের পেছন দিক থেকে আসছে। পাকঘরে চলে আসি। বুঝলাম টিকটিকির আওয়াজ নয়।

বিস্তারিত»

ফিরে আসুন হুমায়ূন আহমেদ

ছোট বেলায় তখনকার সময়ের একমাত্র সম্বল বিটিভিতে দেখা ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে প্রথম সবচেয়ে পুরনো যে নাটকটি কথা মনে আছে সেটা হলো বহুব্রীহি, এর আগে প্রচারিত আরো দু একটা নাটকের নাম আর দু একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়লেও সেটা ঠিক স্মৃতির পর্যায়ে পড়ে না। যেমন সকাল সন্ধ্যা আর এইসব দিন রাত্রি, এর মধ্যে কোন একটার মূল চরিত্রে ছিল পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আর আফরোজা বানু, সেটার কিছু দৃশ্যের কথা মনে আছে।

বিস্তারিত»

একজন বাঁশীওয়ালা খুঁজে ফিরি

সভ্যতার আদিতে প্রকৃতির কোলেতে স্নিগ্ধ শুভ্রতারই বসবাস ছিল ! তখন এতটা দূষণ ছিলনা বাতাসে। তাইতো হৃৎপিন্ড এখন একটুতেই হাঁপিয়ে উঠে।
শুদ্ধতার মোহে তাড়িত হই আমি পথ থেকে পথে। সবার জীবনেই ছোট বড় দীর্ঘশ্বাস জমে যায়।
এ জন্যই হয়তো শব্দের ছলনায় সেইসব দীর্ঘশ্বাসগুলো আমরা একদম ভুলে থাকতে চাই।
জোর করে আঁকতে চাই শুধুই সুখছবি; তবুও এসে যায় ভায়োলিনের কান্না।
অভিমানে এক বুক আঁধার নিয়ে ছাইমাখা জীবনে উড়ে চলি –

বিস্তারিত»

আমাদের শিল্পসাহিত্যের গতিপ্রকৃতি – (দ্বিতীয় পর্ব)

প্রথম পর্ব


আচ্ছা আপনি কেন সাহিত্য পছন্দ করেন?
নাটক-সিনেমার প্রতিই বা আপনার এতো আগ্রহ কেন?
গান শুনেন কেন? কেন ফটোগ্রাফী, পেইন্টিংএর উপর আকর্ষন বোধ করেন?

উপরের প্রশ্নগুলো নারী, পুরুষ নির্দ্বিধায় কাউকে করলে প্রথমত তারা ঘাবড়ে যাবে। উত্তর পেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা হবে – ভালো লাগে, তাই। এই উত্তরটাই অনেকে নানান মোড়কে উপস্থাপন করবে। কেউ কেউ হয়তো নিজের ভেতর আরেকটু গভীরে অবগাহন করে বেশ উচ্চমাত্রার একটা উত্তর দিবে।

বিস্তারিত»

এলোমেলো মুভি ব্লগ-২

এবার চার দেশের চারটি মুভি। মুভিগুলো একটু কম পরিচিত, প্রথমটি বাদে বাকিগুলো সম্পর্কে কিছু না জেনেই দেখা শুরু করেছিলাম। আগের বারের মত এবারো বলে নিচ্ছি, মুভিগুলো নিয়ে হালকা আলাপ নিয়েই এই পোস্ট, কোন রিভিউ নয় স্রেফ দর্শক প্রতিক্রিয়া তবে হালকা স্পয়লার যুক্ত।

রণ (Rann)

অনেকদিন আগে সিসিবিতে এহসান ভাইয়ের এই ব্লগে রণ মুভিটার প্রিভিউ পড়েছিলাম। সেটা পড়ে দেখার জন্য আগ্রহ তৈরী হয়েছিল কিন্তু দেখা হয়ে ওঠেনি।

বিস্তারিত»