ধারাবাহিক উপন্যাস – ৩

পর্ব – শুরু থেকে তিন

তিন

সময়টা ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশে বসন্তকালে সাধারণত কোন বৃষ্টি পরে না। আকাশ থাকে খুব পরিষ্কার। কিন্তু সে বছর মার্চ মাস থেকেই থমথম কালো মেঘেরা গমগম শুরু করে দিল। জলবায়ুতে আকস্মিক কোন পরিবর্তন হয়নি। সেদিনের আকাশও ছিল পরিষ্কার। তবে রাজনৈতিক আকাশ কালো মেঘে গম্ভীর। যে কোন মুহূর্তে দুর্যোগ নামতে পারে। চারদিকে ঘনঘটার পূর্বাভাস। প্রথমে বড়রা এ মফস্বল শহরে বসে ততটা বিপদ আঁচ করতে পারেনি।

বিস্তারিত»

উটের বিরিয়ানী এবং উট পালকের জন্মদিন…

বন্ধু সাকিব মাহফুজ। উট পালক সাকিব মাহফুজ। আমার এই বন্ধু উট পালন করে স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। তার উট সংক্রান্ত গল্পটা একটু বলা দরকার।

কলেজে আমরা তখন ক্লাস টেনে। আমাদের ব্যাচের পক্ষ থেকে আমাদের ব্যাচ টি শার্ট বানানো হবে। আমরা তখন পাতি পোলা পান। ব্যবসা ভাল বুঝিনা। সাকিব মাহফুজ আমাদের দিকপাল হয়ে দেখা দিল। আমরা টি শার্টের যাবতীয় দায়িত্ব মাহফুজকে দিয়ে নির্ভার হলাম।

বিস্তারিত»

?

খবরটা

বিস্তারিত»

ভালোবাসি……জনম জনম

কি আশ্চর্য!! বাসে উঠেই আমি ভিমড়ী খেয়ে গেলাম। আজ সিট খালি দেখা যাচ্ছে। যাই হোক, সাত-পাঁচ না ভেবে বসে পড়লাম মাঝামাঝি একটা সিটে। কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে ব্যস্ত শহর দেখতে দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কি অদ্ভুত, কোথাও ব্যস্ততার লক্ষন মাত্র নেই। খেয়াল করে দেখলাম, রাজলক্ষ্মী থেকে বনানী পর্যন্ত চলে এসেছি কিন্তু কোথাও যানজট এ বাস আটকা পড়েনি!! যোগাযোগ মন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হওয়াকে মনে মনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধুয়া বিহনে -৫

মৃত্যুর পরের জীবন কিংবা পুনর্জন্ম, কোনোটাতেই আমার বিশ্বাস নেই। থাকলে খারাপ হত না। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে আরো একবার জন্মানোর।
নাহ, এই আমি হয়ে নয়। পলাশ হয়ে। আমার বন্ধু সাদিকুর রহমান খান পলাশ!

ছোটবেলায় আমি অনেক কিছু হতে চেয়েছি। ঝালমুড়িওলা, ঘুড়ির দোকানদার, মিঠুন চক্রবর্তী, ফেলুদা আরো কত কী। এখন আর সব মনে নেই। বড় হয়ে আমার মনে হল আসলে এসব কিছু না, আমি পলাশের মত হতে চাই।

বিস্তারিত»

অ্যাবস্ট্রাকশান ঝামেলা

“অ্যাবস্ট্রাক্ট” কথাটি শুনলে আমার বেশ কয়েকটি অ্যাবস্ট্রাক্ট-এর কথা মাথায় আসে। এর মধ্যে প্রথমটা হল- পেপারের অ্যাবস্ট্রাক্ট। ভেঙে বললে, বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যেসব গবেষণা পত্র(reserch paper) লেখা হয়, সেগুলোর প্রথমে একটা প্যারা থাকে। যার নাম অ্যাবস্ট্রাক্ট। তো কী থাকে এই অ্যাবস্ট্রাক্ট-এ? সোজা কথায় পেপারটার সার-সংক্ষেপ। পুরো পেপার লেখার পর এর সার-সংক্ষেপ হিসেবে প্রথম প্যারাটি লেখা হয়। এতে ঐ পেপারের বিষয়বস্তু, পটভূমি, ক্ষেত্র ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে একটা ধারণা দেওয়া থাকে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ২

(বানান ভুল ধরিয়ে দিলে কৃতার্থ হব।)

পর্ব- শুরু থেকে দুই

দুই

খুব সাধারণ পরিবারে অসাধারণভাবে জন্ম আমার। সাধারণ বলার কারণ আমার বাবা মফস্বল শহরের সরকারী ব্যাংকের একজন কেরানী। নাম মোহাম্মদ করিম। তিন নম্বর সন্তান হওয়ার সময় উনার স্ত্রী শেলী প্রায় মরনাপন্ন হয়ে পড়েন। ভাগ্যিস ঢাকা শহরে করিম সাহেবের একজন স্বচ্ছল আত্মীয় থাকতেন। সেই আত্মীয় আবার খানিকটা হোমড়া-চোমড়া ধরনের। শেলীকে উনি দ্রুত হলিফ্যামেলি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন।

বিস্তারিত»

হারানো দশক

আজ সকাল থেকে নাইন-ইলেভেনের এক দশক পূর্তির দিনটিকে কেন্দ্র করে সিবিসির (কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) এফএম নাইনটি ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ রেডিও শুনতে শুনতে কেমন যেন বিষণ্ণতা ভর করলো। কোন কিছুই লেখার ঠিক ইচ্ছে ছিল না এসময়ে। তবু কেন যেন সকাল থেকে রেডিও শুনে এবং অন্তর্জালে কয়েকটি লেখা পড়ে দুটি সাক্ষাৎকার নির্ভর রচনা অনুবাদ করতে আগ্রহ জাগলো। আমাদের দেশে নিঃসন্দেহে দিনটি এভাবে মিডিয়ায়ে এসময়ে এতো বেশি আসছে না যেমনভাবে দিনটি উত্তর আমেরিকায় একটি বিশেষ জাতীয় দিবস পালন হয়ে আসছে গত এক দশক ধরে।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ।(নয়)

একটা যুদ্ধে সব সময় শুধু দুঃখ, কষ্ট, মৃত্যুর ই হাতছানি থাকবে তা কিন্তু নয়, তার মধ্যেই নতুন জন্ম , হাঁসি, আনন্দ সবেরই মিশেল ছিল।বিশ্ব বিখ্যাত ওয়ার মুভি “সান ফ্লাওয়ার” এর কানের দুল খেয়ে ফেলার মত হাসির ঘটনা ও আছে প্রচুর !

দুই একটা এর মাঝে উল্লেখ না করলে আমার পাঠক দের প্রতি অবিচার করা হবে।

গেরিলা সম্মুখ ‘এঙ্কাউন্টার’ চলছে । দুই পক্ষই গুলির খৈ ফুটাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১

অথবা একটি ঢিশুম ঢিশুম উপন্যাস (যারা প্রেম পছন্দ করে না তাদের জন্য)

পর্ব – একদম গোড়া থেকে

এক

সেই কবে ছোট্টবেলায় পড়েছিলাম সিন্ধাবাদের রোমাঞ্ছকর ভ্রমনের কাহিনী। এর মধ্যে চলে গেছে চল্লিশ বছর। আজকাল সিন্ধাবাদের কথা প্রায়ই মনে হয়। মনে হয় তার কাঁধে ভর করে থাকা সেই বুড়োর কথা। হয়তো কমবেশি সবাই অদৃশ্য এক বুড়ো কাঁধে নিয়ে এক একটা জীবন পার করে দেয়।

বিস্তারিত»

নির্বাণ ও বিজ্ঞান

বৌদ্ধ ধর্মমতে জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সকল বন্ধন থেকে মুক্তি। এটাকে নির্বাণ বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে নির্বাণ শব্দটির অর্থ নিভে যাওয়া। তা হলে নির্বাণ কি জীবন বিমুখ কোন দর্শন? সক্রিয় সামাজিক জীবন ত্যাগ করে সন্যাস গ্রহণ করা? সন্যাসই যদি মোক্ষ হয় তা হলে পার্থিব জীবনের অর্থ কি? ভোগবাদ বনাম ভাববাদ- এর মূল দ্বন্দটি কোথায়? প্রথমেই স্বীকার করে নেই, বিষয়টি খুবই গভীর এবং আমি এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ নই।

বিস্তারিত»

এক টেরোরিস্টের জন্ম

ভূমিকা

প্রায় তিন বছর আগে একটি খবর ও কয়েকটি ছবিতে দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছিল। পাইলট বিহীন ‘ড্রোন’ বিমানের বোমা বর্ষনে আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত শাহ ওয়ালীকোট নামের এক স্থানে এক বিয়ে বাড়িতে অন্তত ১০ জন মহিলা, ২৩ জন শিশু এবং ৪ জন পুরুষ মারা গেছে এবং আরো ৩০ জন আহত হয়ে মত্যুর সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। আহতদের মধ্যে বিয়ের কনেও এক জন। সুন্দর চেহারা ঝলসে গেছে বোমার বিস্ফোরনের আগুনে।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ।(আট)

সম্ভবত তিনটা প্রধান কারনে তল্পি গুটিয়ে আবার গ্রাম ছেড়ে শহর মুখো হতে হোল।

প্রথম এবং প্রধান মনস্তাতিক সমস্যা : ভেসে আসা লাশের সংখ্যা ! প্রতি দিন ইসামতির মৃদু ঢেউএ ভেসে আসতে লাগলো অনেক হতভাগ্য মানুষ । ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বরের  ঘূর্ণি ঝড়ের মৃত সভ্যতা ভোলা- চর ফ্যশান এর সংবাদ পত্রের সেই ‘লাশ আর লাশের’  ছবি গুলিরই যেন বাস্তব উপস্থাপনা হয়ে উঠল নানা বাড়ীর এই মধুর আনন্দের ঝাঁপিয়ে পরে গোসল করা নদীটি !

বিস্তারিত»

হতচ্ছাড়া রেল !

হতচ্ছাড়া রেলটাই নাকি বাংলাদেশের সকল সমস্যার মূল কারণ। ওর তো আর কোন সময় জ্ঞান নেই। রাত বিরাতে বাড়ির পাশ দিয়ে হুশশ করে চলে যায় আর গভীর রাতে কর্তার ঘুম ভাঙলে মেজাজ থাকে গরম, তখন কর্তা-কর্ত্রী দুজনে একটু বেশী কাছে আসেন আর সেই সাথে ফি বছর নতুন অতিথির আগমন। বেড়ে যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা। চারিদিকে কেবল মানুষ আর মানুষ! কেবল এই কারণে রেলের উপর সরকারের যত রাগ।

বিস্তারিত»

রাজাকার

স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।

-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
-অবশ্যই, কারণ তাদের কোন আদর্শ ছিল না; দশজনের কথা ভাবার আগে তারা নিজেদের কথা ভেবেছে; নিজের স্বার্থ আদায়ের ক্ষেত্রে তারা হিংস্রতার নিম্নতর স্তরে পর্যন্ত গিয়েছে; সম্পদ লুট করেছে; সাধারণ মানুষ হত্যা এমন কি ধর্ষণ করতেও বাঁধেনি তাদের।

বিস্তারিত»