রাজীবের ব্যক্তিগত কিছু ভাবনার বিপরীতে আমার ব্যক্তিগত মতামত

রাজীবের লেখার আমি ভক্ত। সময় পেলে আমি কখনোই রাজীবের লেখা মিস করিনা। রাজীবের এই লেখাটি আমি বেক্সকা গ্রুপ মেইলে পড়েছি। পরবর্তীতে দেখলাম এটা সিসিবি’তে ও দেয়া হয়েছে। লেখাটির একটা বিশেষ অংশ আমাকে কষ্ট দিয়েছে বলেই লেখা পড়া বাদ দিয়ে কি-বোর্ডে আঙ্গুল চালালাম। বেক্সকা গ্রুপ মেইলেও আমি একটি রিপ্লাই দিয়েছি। সেটিকেই একটু সাজিয়ে গুছিয়ে এখানেও লিখছি।

সেনাবাহিনী কে নিয়ে দুই চারটা চরম নেগেটিভ কমেন্ট করে লাইম লাইটে চলে আসা এখন পুরনো স্টাইলে পরিণত হয়েছে (দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেননা,

বিস্তারিত»

ব্যাক্তিগত ভাবনা

কয়েকদিন আগে একটা প্রশ্ন মনে আসলো।
আমি কি ঈশ্বর বিশ্বাসী?
আল্লাহ্‌, খোদা, ভগবান, গড, যিহোভা, প্রকৃতি যে নামেই ডাকিনা কেন, আমি এক ঈশ্বর দিয়ে সবই বুঝাচ্ছি।
উত্তর পেলাম, হাঁ।
কোরআন, হাদিস, তাফসীর বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ যে বিশ্বাস আমাকে এনে দিতে পারেনি; এমনকি ডারউইন সাহেব ও যেখানে আমাকে বান্দরবাদী করতে পারেনাই; খুব ছোট একটা প্রশ্ন এবং তার উত্তর আমাকে আলোয় নিয়ে এসেছে।

বিস্তারিত»

পারি না ; তাও চেষ্টা নেই

আমার কিছু নতুন ছবি । ঠিক নতুন বলা ভুল হবে । ব্লগে দেয়া হয়নি । এগুলি গত ফেব্রুয়ারীর এক্সিবিশনে ছিল ।

বিস্তারিত»

একজন আপু ২

সন্ধানীর সেই আপুকে দেখাই হল আমার আপু ব্যবসার কাল। সেই চোখ । তার দুচোখে অপার বিস্ময়। যা দেখে যা শুনে তাতেই সে অবাক হয়।  দুঃসংবাদ জানালো এক বন্ধু।আপুটা নাকি আমাদের মেডিকেল এর না।ভারাক্রান্ত মন নিয়া রুম এ চলে গেলাম। পরদিন সন্ধানীতে গিয়ে দেখি আবারও সেই আপু।ব্যাপার কি? এক ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম,ভাইয়া বলল আরে ওত আমাদের মেডিকেল এই পরে। তোমাদের ২বছর সিনিয়র।আমাকে আর পায়কে? মনের আনন্দে আপুর পিছনে লেগে রইলাম।

বিস্তারিত»

ছবিব্লগঃ আনাড়ির HDR

ব্লগে আমার পোস্টের সংখ্যা মাশাল্লাহ কম না। খেলাধূলা আর দিনলিপির নামে খাচ্ছি-দাচ্ছি, ঘুরে বেড়াচ্ছি টাইপের বকর বকর করেই এসব পোস্টের পাতা ভরেছি। এতদিন পরে ভাবলাম একটু বৈচিত্র আনা দরকার, তাই এই ছবিব্লগ।

প্রথমেই বলে নেই আমার ফটোগ্রাফি এই ব্লগের মূল উদ্দেশ্য না, আর এখানের সব ছবি আমার নিজের তোলাও নয়। (মূল ফটোগ্রাফারের নাম ও অনুমতি সাপেক্ষেই ব্যবহার করছি)

ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার আগ্রহ এখন পর্যন্ত ফেইসবুক,

বিস্তারিত»

কামব্যাক পোস্ট

এইখানে সামার মানে আনন্দ আনন্দ আর আনন্দ। সবাই ক্যালেন্ডারের পাতা দেখে জামা কাপড়ের দৈর্ঘ্য কমায় আর কাজ কর্ম শিকেয় তুলে বেড়াতে বের হয়ে যায়। সবচেয়ে মজা হয় সকালের দিকে পার্কে বা মাঠে গেলে। ডে-কেয়ার সেন্টারের আন্ডাবাচ্চাগুলোকে একটার পর একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে একসাথে শিকলের মতো করে নিয়ে ঘুরতে বের হয় প্রায়ই। কি বিচিত্র তাদের কান্ডকীর্তি তা না দেখলে বলে বুঝানো আমার কর্ম না। আমি আর তৌফিক একসাথে বের হলে এদের দেখি আর হাসি,

বিস্তারিত»

যদি কিছু মনে না করেন

বাজার থেকে বিস্কুট কিনে আনলাম। প্যাকেট করা। প্যাকেট খুলে দারুন মজাদার ফ্রেশ বিস্কুট খুলে খাওয়া শুরু করলাম। প্যাকেট করা কেন? কারন না করলে “ফ্রেশ থাকবে” না, নস্ট হয়ে যাবে।

বাসা থেকে বের হবার আগে ল্যাপটপটা ব্যাগে রেখে আসি। বাইরে নিয়ে গেলেও ব্যাগেই রাখি। কারণ? কারন ময়লা ধূলো পড়তে পারে। এত টাকার জিনিষ “ময়লায় নষ্ট” হতে দেওয়া যায় না।

বাজার থেকে আপনি মোবাইল কিনে আনুন।

বিস্তারিত»

প্রিয় জন্মভূমি যশোর

একটা সময় যখন যশোর শহরে প্রায় অনেকেই আমাকে অন্তত নামে চিনতো। আমাকে না চিনলেও আমার বাবার নামে চিনে ফেলতো।

– খোকা, কোন বাড়ীর ছেলে তুমি?

বাড়ীর নাম বলতেই বলে উঠতো – ওহ, তুমি শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে। উনি আমার হেড মাস্টার ছিলেন। স্যার কেমন আছেন।

কিন্তু এটাতো ৫০ বছরের আগের কথা। এখন আর কেউ চিনবে না আমাকে।

বিস্তারিত»

একজন আপু ১

হঠাৎ করে সন্ধানীতে গিয়ে চমকে গেছিলাম। ডেস্কের সামনে হাতলওয়ালা চেয়ারটিতে সুন্দরী এক আপু বসে আছে  যাকে আমি চিনিনা ।কি  আ‌শ্চর্য্য ঘটনা ।আপনারা মনে করতে পারেন  এতে আশ্চর্য্য হবার কি আছে ? একজন সুন্দরী আপুকে আমি নাই চিনতে পারি।কিন্তু আমাদের ৮জনের গ্রুপ টির কাহিনী শুনলে আপনি বুঝবেন এটি আশ্চর্য্য হবার মত ঘটনা বটে। আমরা মেডিকেল এ ৮জন বন্ধু ছিলাম। ১ম এই বলে রাখি ছাত্র হিসেবে আমরা ছিলাম যারপরনাই ব্রিলিয়ান্ট।আমাদের ১৫৫ জনের ক্লাস টিতে আমাদের মত ব্রিলিয়ান্ট কেউ ছিলনা ।১ম পরীক্ষা ছিল anatomyএর  superior extrimity ।

বিস্তারিত»

আমি ক্ষমা চাচ্ছি ।

আমরা এমন কেন? কেন সবসময় চারপাশে এগুলা দেখি আর চুপ করে থাকি? এখানে কে নিরাপদ? আমার মা? আমার বোন?আমার মেয়ে? আমার প্রেমিকা? আমার স্ত্রী? কে? বারবার আমাদের শুনতে হয় , দেখতে হয় এ সব নির্যাতনের ঘটনা? রাস্তার বখাটে থেকে শুরু করে শিক্ষক কারও কাছ থেকেই কি মেয়েরা রেহাই পাবে না?আমাদের আদিম প্রবৃত্তি গুলোকে কখনই  কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবনা? পরিমলের মত লোকেরা সবসময় বেঁচে যাবে।প্রতিদিন যখন আমাদের বাসার মেয়েরা বাইরে যায়,

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (পাঁচ)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮ 

ক্লাস সেভেন এর সময় টা মনে হয় সৌর বছর নয়। নেপচুন এর মত ৬০,১৯০ দিনে বছর অথবা প্লুটোর মত ৯০,৬১৩.৩০ দিনে বছর। আমাদের কিছুতেই দিন কাটে না । আর পানিশমেন্ট কোন ব্যাপারই নয়। নাক দিয়ে রক্ত ঝরলে বা লজ্জাবতী কাঁটায় পীঠ লালচে জখম হলে হসপিটাল এ একবার ঘুরে আসি, আধা ঘণ্টা… …-এক ঘণ্টার রেস্ট পাই। আবার যেই লাউ সেই কদু ।কুছ পরোয়া নেই ।আর উর্দু বাৎ ও ওস্তাদ দের কল্যাণে শিখেছি প্রচুর।

বিস্তারিত»

সৃষ্টিকর্তার সাথে কিছুক্ষণ!!!

স্বপ্ন ছিল সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা করবো!!!
কল্পনায় দেখা হলো… …

“তুমি আমার সাথে দেখা করতে চাও?
জিজ্ঞাসা করলেন তিনি।

-যদি আপনার সময় হয়

তিনি হাসলেন।
-“আমার সময় অনন্ত তো তুমি কী জানতে চাও?

-মানুষের কোন দিকটা আপনাকে অবাক করে?

-“এই যে তারা শৈশব নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ে
খৃব তাড়াতাড়ি বড় হতে চায়
অতঃপর..

বিস্তারিত»

হাশেম মামা

প্রায় ২ বছর পর নানা বাড়ি তে গেলাম। তাও আবার মাত্র ৪ ঘন্টার জন্য। গ্রাম আসলে আগের মত নেই। বাড়ি ঘর সব পাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বোধহয় দেখা যায়, এমনই মনে হল। ঘুরলাম ফিরলাম আর দেখলাম।
চলে আসার আগে আগে হঠাত হাশেম মামাকে দেখলাম। হাশেম মামা একজন কৃষক, সব সময় আমার নানা বাড়িতে আসতেন। আমরা যখনই নানা বাড়ি যেতাম উনি এক বার হলেও আমাদের সাথে দেখা করতে আসতেন।

বিস্তারিত»

আমাদের কি IDENTITY CRISIS চলছে ?

আমরা একটা ভয়াবহ ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছি। আমি কে, এই প্রজন্মের কাছে একটা বড় প্রশ্ন বোধক চিহ্ন ? আমাদের সময়টা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কাল বলে, আমরা গরীব, হতোছিন্ন পোশাকে, হাড় জির-জিরে উদাম শরীর নিয়েও পৃথিবীর কাছে বলতে লজ্জা পেতাম না ” আমরা বাংলাদেশী “, ঠিক তেমনি কাওকে কখনো বলতে দ্বিধা করিনি , “আমি ফৌজিয়ান বা আমি…… একজন এক্স ক্যাডেট”। অধুনা কিছু পোস্ট দেখে শুধু আঁতকে নয় শিউরে উঠি।

বিস্তারিত»

প্রেম : ৬ দশক পর

প্রেম : ৬ দশক পর

ভেবে নাও ।
আজ থেকে প্রায় ৬ দশক পর – আয়নায় তুমি ।
সাদা শাড়ি , সাদা চুল , চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা ,
কুঁচকানো চামড়া , ঘোলাটে দৃষ্টি –

আজ থেকে প্রায় ৬ দশক পরে , কোন এক বিকেলে –
দাঁড়িয়ে আছো তুমি ব্যালকনির রেলিং ধরে ,
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তখনও ।

বিস্তারিত»