ইউসুফ ঝকক (‘৮৩-‘৮৯)

সিসিবি তে উনি, যতদূর জানি, এডজুটেন্ট হিসাবে পরিচিত। ব্লগ এডজুটেন্ট না, ‘Adjutant’ এডজুটেন্ট। গতকাল খবর পেলাম তাঁকে ঢাকা সি.এম.এইচ এ ভর্তি করা হয়েছে। ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাক-এর শিকার। এখন ICU তে আছেন।
সিসিবি’র সকল সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি – দোয়া/আরোগ্যকামনা করবেন। আমার ছোটমামা হন, মাত্র ৪০। ছোটমামীও বছরখানেক আগে এ্যাজমাতে মারা যান। এমন ঘটনা খুবই unexpected…

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১০

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত
নয়-আট
দশ

খবরটা আমিই প্রথম শুনলাম।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো দেশবিদেশে (অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট)

প্রথমে ভেবেছিলাম প্রিয় সিসিবির গেট টুগেদার নিয়ে লিখব। পরে মনে হল ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ নিয়ে লিখি। সময়টা বড়ই কঠিন। অন্ধের যেমন হাতি দর্শন আমার তেমনি অর্থনীতি বয়ান। দেশে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই ক্রেডিটের অর্থনীতির একটা কোর্স করেছিলাম। ব্যাস, এই বিষয়টাতে আমার প্রথাগত পুঁথি গেলা এই পর্যন্তই। তাই আমার অর্থনীতি বয়ান হবে অনেকটাই এরকম –
’হাতি দেখতে কেমন?’
’খসখসে।’

প্রথমেই আমেরিকার অর্থনীতির কথা বলি।

বিস্তারিত»

অসমাপ্ত সমাপ্তি

কাল থেকে আবার ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হবে।আমি আবার ওদের ক্লাস টীচার।সকাল সাতটায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত থাকতে বলেছেন।বুঝতে পারছিনা কী হবে।আমি মানুষ হিসেবে বেশ এলোমেলো স্বভাবের।এতগুলো বাচ্চাকে একসাথে কন্ট্রোল করতে পারবো কিনা জানিনা।কিন্তু চাকুরীর প্রয়োজনে করতেই হবে।ঢাকা শহরে বর্তমানে চাকরীর খুব আকাল।এছাড়া ব্যাচেলরদের কেউ বাড়ি ভাড়াও দিতে চায়না।সেক্ষেত্রে এই চাকুরীটার একটা সুবিধা আছে।স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই রুমের একটা বাসাও ঠিক করে দিয়েছে।মোটামুটি আরামের চাকরী।প্রতি মাসে বেতনের এক অংশ চলে যায় মৌরীর শখ পুরন করতে।যদিও মৌরী আমার কাছে নেই আজ দশ বছর।তারপরেও ওর শখটা যত্ন করে আমি টিকিয়ে রেখেছি।খুব অদ্ভুত স্বভাবের ছিল মেয়েটা।

বিস্তারিত»

“মানিক বন্দোপাধ্যায় ও তার গল্প লেখার গল্প” -১ম পর্ব

ইদানীং কোন লেখকের লেখা পড়তে যতটানা আগ্রহ বোধ করি তার চাইতে কেন জানি বেশি আগ্রহ জাগে ঐ লেখকের নিজের সম্বন্ধে, সেই সাথে তার লেখা সমূহের পেছনের ইতিহাস সম্বন্ধে, যা বেশির ভাগ সময় আমাদের কাছে অজানাই থেকে যায়। কল্পজগতের নাটকের চাইতে লেখকের নিজের জীবন যে ভাবনা তা আমার কাছে অনেক অনেক বেশি নাটকীয় মনে হয়। সেই সব অজানা কাহিনী যতই একের পর এক পাপঁড়ি মেলে ধরে ততই বিস্মিত হই।

বিস্তারিত»

মাই এ্যাডজুটেন্টস

এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি প্রথম শুনি বড় ভাই এবং আব্বা কথা বলার সময় ৮৭ কিংবা ৮৮ সালের দিকে। সেই এ্যাডজুটেন্টের নাম ছিল মেজর কীর্তন রঞ্জন চাকমা। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট ছিলেন। আমার ভাই তাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনিও আমার ভাইকে খুব স্নেহ করতেন। আমার আব্বাও কীর্তন রঞ্জন চাকমাকে মানুষ হিসাবে পছন্দ করতেন, সেটি অকোপটে বলতেন। বলতেন, চাকমারা মানুষ ভাল। আমার এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি শুনতেই কেমন একটু শিহরণ জাগতো।

বিস্তারিত»

বিনির্মাণ

মাঝে মাঝে কোলাহল মুখ ফিরিয়ে নেয় জলের প্রবাহের মতো শব্দের ঢেউ এলোমেলো যত্রতত্র হঠাৎ খুলে যায় স্রোতমুখ তার অন্যদিকে কোন অন্য মানুষের দিকে

কোলাহলে পিঠ রেখে অন্ধকার দেখি
গাঢ় বিশুদ্ধ অন্ধকার জ্বলছে মেরুদণ্ডহীন
লতানো গাছের মতো নমনীয়, নতজানু
জড়িয়ে আছে বিদ্যুল্লতা
একা একা তীব্র মৌন

নেই আপত্তি নেই অভিযোগ
নেই পুরানো হিসাব মেটানোর দায়

একটা ফ্ল্যাট স্যান্ডের পরে ফটফট করতে করতে পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে উঠে দেখি হাতুড়ি এবং লোহা দিয়ে দুইজনে দেয়াল ভাঙছে।

বিস্তারিত»

একজন কলেজ আউটের গল্প

অনেক দিন হাসিনা।একটা সময় ছিল যখন হাসির অর্থ ছিল অনেক।ইদানিং জোকস শুনলেও বিরক্ত লাগে।ক্যাডেট থাকা অবস্থায় বেশ হাসি খুশী ছিলাম।কারনে অকারনে হাসতাম।একবার স্যার নিউটনের গতি সূত্র পড়াচ্ছেন।আমি পেছন থেকে হাসতেছি।স্যার বললেন ‘হাসছো ক্যানো?
আমি জবাব দিলাম ‘স্যার ভাবতেছি নিউটন যদি নারিকেল গাছের নিচে বসে থাকতেন আর মাথায় যদি নারিকেল পড়ত তাহলে কি হত?স্যারের উত্তর দেয়ার আগেই আমার জনৈক ক্লাসমেট উত্তর দিল ‘দোস্ত তাহলে লস অফ ইমোশন তৈরি হত.

বিস্তারিত»

বই সমালোচনাঃ The Good Muslim

বই সমালোচনা: দ্যা গুড মুসলিম

কিছুদিন আগে তাহমিমা আনামের দ্যা গুড মুসলিম বইটি পড়লাম। প্রায় তিনশ পৃষ্ঠার বই। বইটি পড়ার সময় প্রথমেই যে বিষয়টি মুগ্ধ করে তা হল ইংরেজি ভাষার সাথে লেখকের একাত্মবোধ। লেখার ক্ষেত্রটিতে লেখকের স্বচ্ছন্দতা পরবর্তীতে পাঠকের পড়ার ক্ষেত্রটিকেও সহজ করে দেয়। তাহমিমা আনামের প্রথম বই ‘এ গোল্ডেন এজ’ আমার পড়া হয়নি। এটি দ্য গুড মুসলিমের আগের পর্ব। তবে প্রথম বইটি না পড়লেও পরেরটি বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি।

বিস্তারিত»

মিস্টি আসলে কতো মিস্টি!!

এক. ‘চিনি’ দারুণ মিস্টি শব্দ। বুঝের বয়স থেকেই চিনি বা মিস্টি খেতে পছন্দ করেছি। মা গল্প করেন, ভালোবাসতাম বলে শিশু বয়সে বাবা প্রায়ই অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার জন্য মিস্টি নিয়ে আসতেন। আমি নাকি ছোট ভাইবোনদের তুলনায় একটু বেশি ‘সুযোগ-সুবিধা’ পেয়েছিলাম! স্মৃতিতে ভাসে গুড়ো দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কতো খেয়েছি। এই কদিন আগেও ফ্রিজ খুলে প্যাকেট থেকে তুলে নিয়ে মুখে চালান করেছি কতো মিস্টি।

বিস্তারিত»

সিরিয়াস একটা কথা!

বেশ অনেক দিন ধরেই সিসিবি’র নীরব পাঠক।জায়গাটা এখন এতই আপন হয়ে গেছে যে মন ভাল লাগলেও এখানে আসি,খারাপ লাগলেও এখানে আসি।দেশ,বিদেশে কোন আলোচিত ঘটনা ঘটলে অপেক্ষা করি সিসিবি’র কেউ কখন এই বিষয়ে কিছু লিখবে।শুধু লেখাই না,মন্তব্যগুলোও অনেক মনযোগ দিয়ে পড়ি।মাঝে মাঝেই লিখতে মন চায়,কিন্তু সাহস হয় না কখনো।আজকে অনেক সাহস করে কিছু একটা লিখেই ফেল্লাম।লেখাতে অনেক ভুল আছে জানি।ভাইয়া এবং আপুরা সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন বলে আশা করছি।

বিস্তারিত»

মাঠে এবং মাঠের বাইরে

ক।
এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে কেন জানি খুব একটা আশাবাদী ছিলাম না, যদিও সাধারনত আমি খুবই আশাবাদি ধরনের সমর্থক। (এক যুগের বেশি সময় ধরে আর্সেনালকে সাপোর্ট করা বলে কথা)। কিন্তু আমাদের টাইগারেরা যখন টি২০ সিরিজে ওদেরকে হোয়াইট ওয়াশ করলো (হোক না এক ম্যাচের সিরিজ) তখন ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠলাম। কিন্তু সে আশায় যথারীতি গুড়ে বালি। এখন শেষ ওয়ানডে বাকি মান সম্মান বাঁচানোর জন্য।

বিস্তারিত»

কি দেখেছি,কি দেখছি …

তখন সবে এইটে উঠেছি। h.s.c এর আপারা সব পরীক্ষা শেষে farewell নিয়ে চলে যাচ্ছে। যাবার সময় স্যার-ম্যাডামদের সালাম, জুনিয়রদের সাথে গণ হ্যান্ডশেক, জুনিয়র-ক্লাসমেটদের সাথে জড়াজড়ি,কান্নাকাটি, সে কি অবস্থা!! আমি অবাক তাকিয়ে দেখি আর ভাবি,’আদিখ্যেতা! কাঁদতে হবে কেন এত! এক্স-ক্যাডেট হয়ে চলে যাচ্ছে,কী মজা। আর আমার সামনে আরো পাঁচ বছর কারাবাস! বন্ধুদের বলি,”হুহ্,আমি একটুও কাঁদবোনা দেখিস। বের হয়ে মনেই রাখবোনা কলেজকে। ক্লাসমেট ছাড়া আর কারো সাথেই যোগাযোগ রাখবোনা।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৮, ৯

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত

আট

বাঙালি এই প্রথম তাদের জন্য একটা স্বাধীন ভূখণ্ড পেল।

বিস্তারিত»

৩৬ দিনের দেশ-৩

কুতুব দেখেই আমার কেন যেন ধারণা হয়ে গেছিল সম্রাটেরা বঙ্গ দেশকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাইতেন না, তাঁদের নজর ছিল হিমালয়ের কাছাকাছি দিল্লী, রাজস্থান-এসব অঞ্চলে। ভারত ট্যুরের বাকি দিনগুলোতে এ ধারণা আরও পাকাপোক্ত হয়েছিল। সত্য বলতে কি, ভারতের পুরাকীর্তি দেখলে বাংলাদেশের লালবাগের কেল্লা, কি বগুড়ার মহাস্থানগড় সবই কেমন যেন মলিন মলিন লাগে। স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে ভারতীয় উপমহাদেশের মূলধারার স্থাপত্য আসলে পুরোটুকুই প্রায় ভারতের ভাগে পরেছে।

বিস্তারিত»