‘নিজের বাড়ির আলাদা একটা ঘ্রান আছে’-মনে মনে ভাবলেন আমানুল্লাহ্ চৌধুরী। কই,থাইল্যান্ডএ গত দুবছর যে এক বাসায় থাকলেন একবারও তো এই ঘ্রানটা পেলেন না…অবশ্য পাবেনই বা কি করে? ছিলেন পুরো দৌড়ের উপর। দেশে দূর্নীতি দমনের নামে যে ধর-পাঁকড় শুরু হল তা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে ঢাকা-দুবাই, এরপর দুবাই-লন্ডন সবার শেষে লন্ডন-ব্যাঙ্কক! থাইল্যান্ড গিয়েও কি শান্তি ছিল? দলীয় কোন্দল, বেইমানির ভয়, স্থানীয় পুলিশের ভয়- আরও কত কি!!!
বিস্তারিত»“প” নাকি “ফ”
১।
মিলন ষ্টাফ ক্যাডেট পার্খ কে বলতেন, আই ফার্থ……এদিক আয়
আর ক্যাডেট ফাত্তাহ কে বলতেন, আই পাত্তাহ… এদিক আয়
তো এই কথা শুনে ফাত্তাহ ভাই উনা কে জিজ্ঞাশা করলেন যে , ” ষ্টাফ,আপনি সবসময় প কে ফ বলেন কেন?”
মিলন ষ্টাফ এর সহজ উত্তর, “আমি তো “ফ” কে “ফ” ই বলি কিনতু সবাই “ফ” বুঝে…”
২।
পিকনিক এ যাবার সময় বাস এর ব্যাক বেঞ্চে বসে সবাই গান ধরলাম,
নিয়তির নির্মম প্রতিশোধ!!!
মোঃ হাসমত আলী মানুষ হিসাবে খুবই নিকৃষ্ট শ্রেণীর। লোভী, ধূর্ত, হীন মনের অধিকারী। বয়স পঁঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ বছর। স্ত্রী ও দুই কন্যা- আয়শা ও আম্বিয়াকে নিজ জেলা মাদারীপুর রেখে ম্যারিড ব্যাচেলর হিসাবে চাকুরি করছেন। কর্মজীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক। মানুষ যেমনই হোন না কেন, হিসাব তিনি খুব ভাল বোঝেন-এটা তার চরম শত্রুও মেনে নেবে।
বিস্তারিত»কবীর , তাহার টার্মএন্ড সুইট এবং কিছু প্রাসঙ্গিক কথন
যেহেতু কবির-এর টার্ম এন্ড সুইট সংক্রান্ত লেখা পড়েই এই ব্লগে আমার বাংলা লেখার হাতে খড়ি সুতরাং এই মজার (জুনিয়রদের জন্য সর্বনাশের) ব্যাপারে একটু কিছু না লিখলেই যে নয় |
১৯৯১ সালের কোন একদিন তৎকালীন ক্লাস ইলেভেনের কাছে আমরাও এমনটা খেয়েছিলুম আমাদের প্রথম সুইট – বলাইবাহুল্য মোটেও সুখকর ছিলনা সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা | জেসিসির পাঙ্গার ডিটেইলসে আর গেলাম না কোমল মতি ভাই বোনেরা কষ্ট পাইতে পারে | পাঙ্গা খাইতে খাইতে এক পর্যায়ে আমরা সকল ব্যাথা বেদনার উর্ধে চলে গেলাম ফ্রন্ট রোল বা ব্যাক রোল যেটাই দেই না কেন একবার দেয়া শুরু করলে অটোমেটিক হইতেই থাকে নিজের কিছুই করা লাগে না,
এলিয়াস স্যার এবং কিছু ঘটনা
প্রিয় ছোট ভাই মাশরুফ এবং কবীর এর পাম পট্টি খাইয়া প্রথম লিখা …ভুল ত্রুটি মার্জনীয় :
সময়কাল ১৯৯৭
এক বার আমি হাই টেবিলে বসেই সদ্য হাউস গারডেন থেকে তুলে আনা কাঁচা মরিচ এবং পেয়াজ সহযোগে হাত দিয়েই ডিনার শুরু করলাম | তো এলিয়াস স্যার আমার দিকে এগিয়ে আসছে দেখেও আমি না দেখার ভান করে গপ গপ করে গিলতে লাগলাম …… স্যার আমাকে বাপক গালিগালায করলেন এইভাবে
“ইয়াজীইইইইজ তুউউউমিইইইই কিইই আবার নতুন এইডাআআ কুন ধরনের বিদায়াতী শুরু করিলা …আল্লাহ দিলি তুমার হায়া লযযা শরম কি কুন দিন হবি নাআআ…হাই টেবিলি বসিয়া নিরলজ্জের মুতো হাত দিয়ে গিলতিসাও……
বিস্তারিত»ক্ষমা প্রার্থনা!!!
(আমার লেখা ‘টার্মেন্ড সুইট’ এ আজিজ ভাইএর মন্তব্য দেখে আমি চরম শরমিন্দা হয়ে গেলাম… :shy: আমি আসলে ‘টার্মেন্ড সুইট’ বিষয়টাকে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আবার পড়ে দেখলাম আমার লেখার মাধ্যমে কেমন করে জানি আমাদের তৎকালীন ইলেভেন ভাইদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়ে গেছে…প্রথম প্রথম ব্লগিং করছি তো, তাই লেখা ও ভাবনার মধ্যে কেমন গ্যাঁপ পড়ে গেছে…ভাষাগত মার্জনা এবং সর্বপরি তা প্রকাশের ত্রুটির কারনে আমি ব্লগের সবার কাছে এবং বিশেষ করে আমাদের ২৮তম ইনটেকের সকল ভাইএর কাছে ক্ষমা চাইছি…আমার এই লেখাটা ওনাদের সকলকে উদ্দেশ্য করে লেখা।
বিস্তারিত»রিক্সা পাথরায়…(রিক্সা রক্স!!!)
যানবাহনের মধ্যে রিক্সার কোন তুলনা নাই। বেনিয়ারা (সাদা চামড়া) যতই বলুক, ‘ও মাই গড, দ্যাট ইজ সো ইনহিউম্যান!!!’- রিক্সায় উঠে আয়েস করে সিগারেটে টান দিতে দিতে চলার সময় নিজেরে কেমন লর্ড লর্ড লাগে…আশপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে চলার জন্য রিক্সা এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দী…
ঝড়-বৃষ্টি হলে অবশ্য একটু ঝামেলা পোহাতে হয়, তারপরও রিক্সা ইজ দি বেস্ট! রিক্সায় করে চলার পথে অনেক মজার মজার ঘটনাও ঘটে…আজকে দুইটা ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছা করছে।
গাছিওবায়োগ্রাফি!!!
দুইদিন ধরে মনটা খারাপ হয়ে আছে, আবহাওয়ার কারনে…বৃষ্টি-ঝড়। শুধু বৃষ্টি হলে সমস্যা ছিল না…যত নষ্টের গোঁড়া সাথের ওই ঝড়ো হাওয়া।
আহারে! না জানি আমার কত ছোট-বড় ভাই কষ্ট পাচ্ছে…অনেকের নিশ্চয়ই হাত-পাও (ডাল-পালা?) ভেংগে গেছে…গত বছরও এই সময়টা আমাদের জন্য খারাপ গেছিল…’সিডর’ এর কারনে…টিভিতে যখন দেখতাম নাম না জানা আমার হাজার হাজার ভাই পড়ে আছে…চোখ ফাইট্যা কান্না
আসত!!! :((
এবার তাও মন্দের ভাল…..
কবিতাঃ তোমার কোন ছুটি নাই…!!!
আমি কবিতা মোটেই হজম করতে পারি না, হয়ত আমার জীবন ছন্দহীন-অন্তমিলহীন তাই…কারও কবিতা পড়ে তাই যখনই কমেন্ট করেছি- বেশীরভাগ করেছি না বুঝে, কিংবা তার সাথে সম্পর্কের পয়েন্ট আপ করার জন্য… 😉
কবি বলে গেছেন, ‘…কবিতা তোমায় দিলেম আজ ছুটি…পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসান রুটি…’ কিন্তু আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদকে কখনও ঝলসান রুটির মত মনে হয় নি…আর যদি কল্পনাই করব, তাহলে ঝলসান রুটি কেন? এর চেয়ে বরং পোচ করা ডিমের কুসুম কল্পনা করা ভাল…অনেক বেশি ক্যালরি!!
বিস্তারিত»ক্যাডেট নম্বর!
যে কোন ক্যাডেটের প্রথম পরিচয় তাঁর ক্যাডেট নাম এবং নম্বর। ক্লাস সেভেনে কলেজে পা দিয়েই কলেজ থেকে পাওয়া এই দুটি জিনিসই যে কোন ক্যাডেটের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে মিশে যায়। ক্যাডেট নম্বর টা অনেকটা ব্রান্ড এর মত-ওয়েস্টার্ন আমলে গরু বা ঘোড়ার পিছনে লোহা গরম করে যেমন দেয়া হত! কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাডেটদেরকে নম্বর দিয়ে কত সমস্যার সমাধান করেছে তার ইয়ত্তা নেই। অমুক সিনিয়র ক্লাস সেভেনের পাঁচজনকে ডেকেছেন-
কে কে যাবে?
আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি…!!!
(আমার এই লেখাটা আমি শফি ভাইকে উত্সর্গ করছি…ওনার পোস্ট পড়তে গিয়েই আমার মাথায় এটার আইডিয়া আসে। যদি লোকজনের ভাল লাগে তাইলে কুন কথা নাই…যদি খারাপ লাগে তাইলে সব দোষ শফি ভাইয়ের! আমি লিখতে পারি না, এইডা যতই সত্য হোক মানবো না…!!)
সকাল থেকেই মনটা আমার আজ খুব ফুরফুরে…প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কেন…আচ্ছা, আজ কি বৃহঃস্পতিবার?? ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রাখতেই দেখলাম জ্বলজ্বল করছে ১০ই মে ২০৪২,
বিস্তারিত»টার্মেন্ড সুইট!
জেসিসি’র আজব কিছু ট্রেডিশনের একটি ছিল এই টার্মেন্ড সুইট। এটি আর কিছুই না, টার্মেন্ড পরীক্ষার পর জুনিয়রকে দেয়া সিনিয়রদের প্রীতি উপহার…!! পুরো হাউস ধরে অথবা পুরো ইনটেক ধরে পাঙ্গা খাইতে হত। তবে নিঃসন্দেহে হাউসে খাওয়া সুইটটি ছিল বেশি ভয়াবহ…ডর্মের ভিতরে অথবা হাউসের সামনে ফল ইন করে শুরু হত মিষ্টি বিতরন…প্রথমে থাকত হাল্কা পিটি টাইপ পানিশমেন্ট…ওয়ার্ম-আপ হবার পর শুরু হত হ্যান্ড চার্জ! চড়-থাপ্পর, স্কেল, হ্যাংগার এবং অবশ্যই বেল্ট।
বিস্তারিত»আমাদের ছিপি!!!
CP- কলেজ প্রিফেক্ট; শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে খুবই গম্ভীর, রাফ এন্ড টাফ টাইপের সিরিয়াস কোন চেহারা…যাকে জুনিয়ররা খুব কমই হাসতে দেখে, যার সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে পারা জুনিয়রদের গর্ব করে বলার বিষয়…এমনকি স্যার-ম্যাডামরা পর্যন্ত তাকে সমঝে চলে…
সরি, রঙ নাম্বার!!!
আমাদের ইনটেকের CP, হাসান, সম্পুর্ণ অন্য রকম। হাসি-খুশি, ফান লাভিং…কলেজে ওকে কখনও সিরিয়াস হতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না…
একবার পৌরনীতির রেজাউল করিম (পেরেক) স্যার ছিলেন ডিউটি মাস্টার।
তারে জামিন পার ও দুটি কথা…
গত বছর বলিউড এ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ছবি রিলিজ হয়েছিল-‘তারে জামিন পার’। ছবিটি দেখার সময় কয়েকবার চোখ ভিজে ওঠেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। তবে আমার মনে হয় ছবিটি বিশেষ করে সকল ক্যাডেটদের হৃদয়কে সবচেয়ে কাছ থেকে ছুঁয়ে গেছে। পিচ্চিটাকে(দার্শিল) যখন বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় এবং তারপর ওর যে মানসিক অবস্থা দেখানো হয় তাতে যে কোন ক্যাডেটের ক্লাস সেভেন/এইট এর কথা মনে পড়তে বাধ্য।
সত্যি,
আমি শিহরিত!!!
ব্লগ এ এটাই আমার প্রথম লেখা এবং বাংলাতেও এই প্রথম আমি কিছু লিখছি…..
টাইপ করতে একটু কষ্ট হলেও হেব্বী মজা পাচ্ছি…..
সত্যিই বিজ্ঞান কত এগিয়ে গেছে….!!!
লিখছি ইংলিশ এ অথচ দেখাচ্ছে বাংলা অক্ষর…..
আজিব…!!!
পুরো বিদেশী ব্যাপার স্যাপার……
যাহোক, আজ আর কথা বেশি বাড়াবো না…..
সবাইকে ধন্যবাদ ।
কবীর
খ-১৭৭৪
৩২ তম ইনটেক(‘৯৫-২০০১)
ঝ.ক.ক