-
শ্লেটমুখী
অরীয় বেণিদ্বয়ের শামুক-দোলন, সরে
এপাশে ওপাশে প্রতিসম বিস্তার, ভেঙে
বেণিদ্বয় দুলে ওঠে, উঠতেই থাকে,
ঘনোপর্দায় ছায়াগুলো শরীর ঢাকছে, তাই
বেণিদ্বয় সচকিতে
শ্লেটে লেখা এলোমেলো আঁকিবুকি মুছে দেয়।
-
ঋতুযাপন
অরীয় বেণিদ্বয়ের শামুক-দোলন, সরে
এপাশে ওপাশে প্রতিসম বিস্তার, ভেঙে
বেণিদ্বয় দুলে ওঠে, উঠতেই থাকে,
ঘনোপর্দায় ছায়াগুলো শরীর ঢাকছে, তাই
বেণিদ্বয় সচকিতে
শ্লেটে লেখা এলোমেলো আঁকিবুকি মুছে দেয়।
[কলেজে আমাদের দুইটা গ্রুপ ছিল- এক পার্টি ইন্টারের পর ফৌজিতে যাইব আর এক পার্টি যাইব না…আমি ছিলাম দ্বিতীয় দলে…তো আমরা বিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে পঁচানোর জন্য বিভিন্ন কিছু করতাম…এর মধ্যে একটি ছিল গল্প বানানো…আজকের এই গল্পটি মূলটি হতে একটু আলাদা হলেও থিম এক…সময় বিবর্তনে ও কাহিনীর প্রয়োজনে হালকা রঙের প্রলেপ টানা হয়েছে মাত্র…তবে একটা কথা, খোদার কসম, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয় নি…]
রাত দশটা আট।
বিস্তারিত»সম্পর্কের রসায়ন বেশ কুটিল। আমরা মানুষরা একটা নির্দিষ্ট মুখের ভাষায় যে মিথস্ক্রিয়া চালাই, একে অপরের সাথে- তার বাইরেও আরেকটা মানবীয় অস্ফূট ভাষায় ভাব-চলাচল ঘটে। খানিক চাহনি, একটু নীরবতা, শরীরের একটা বাঙ্ময় আলাপ ঘটে চলে অহরহই আমাদের মাঝে। বিশেষ করে নারী-পুরুষের প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে। এই ময়দানে রোজ কত ক্রন্দন-হাস্য আর আনন্দ-বিষাদ মিশে থাকে তা চিন্তা করে বড়ই অবাক হতে হয়! যেন একটা রোলার-কোস্টার রাইডের মতো আমরা দিগ্বিদিক ছুটে শা শা করে চলে যাচ্ছি,
বিস্তারিত»আমাদের ইনটেকে বর্ণ বৈষম্য ছিল না বললেই চলে। আমরা বেশিরভাগই ছিলাম শ্যামলা কিংবা উজ্জ্বল শ্যামলা। একেবারে ফর্সা বা একেবারে কালো ছিল হাতে গোনা দু’একজন। শুরুতে যে বললাম- বর্ণ বৈষম্য ছিল না, তার প্রমান হচ্ছে বাকি দুই পার্টিদেরকে নিয়েই আমরা শ্যামলা পার্টি সবসময় হাসাহাসি করতাম। হাসাহাসি করা নিয়ে কোন সাদা-কালো ভেদাভেদ ছিল না…
যাইহোক, নামকরণের স্বার্থকতা প্রমানের জন্য আজ শুধু আমাদের কালো এক বন্ধুর গল্প বলব।
বিস্তারিত»এখন চোখের ওপরে খড় দিয়ে তৈরি সুতো আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে কেউ একজন আমার চোখ সেলাই করে দিচ্ছে। চোখের দু’পাতারা চিরে গিয়েছিলো জন্ম-মুহূর্তে। তারপরে চেরাফুটোয় গলগলিয়ে রঙ ঢুকেছে, আলো বাতাস পিতা মাতা সহোদরা ঢুকে গেছে এবং মেডুলায় তাদের কাদালেপা ঠাণ্ডাঘর বানিয়েছে। সে চোখচেরা গুহামুখেই প্রবল প্রতাপী তরুণীর শাদা শাদা স্তন আর যোনি ঢুকে গেছে সাথে করে কুষ্ঠভিখারিনীর গলিত হাত আর নখ, জটামাখা চুল।
বিস্তারিত»কলেজে ক্লাস সেভেনের অবস্থা থাকে অনেকটা অবলা নারীদের মতন। বুক ফাটে তো মুখ খোলে না…ছোট-বড় নানান সমস্যা-কাকে জানাব, কিভাবে জানাব…এইসব নানান ভাবনায় জানানোই হয়ে ওঠে না…ব্যাপারটা এমন যে সমস্যাটা কাউকে জানানোটাই একটা সমস্যা!
আমার জীবনের দীর্ঘতম জুমআর নামাজগুলোর সবগুলোই কলেজের ক্লাস সেভেনে থাকতে পড়া…নামাজে যেতাম আযানের ১০/১৫ মিনিট আগে…নামায শেষ করে বের হতে প্রায় ঘন্টা দেড়েকের মামলা…ঐ দীর্ঘ সময়ে যে কারও প্রাকৃতিক ডাক আসাটা খুবই স্বাভাবিক…বেশিরভাগ সময়ে সবাই যা করত তা হল- জুমআর নামাজ ব্রেক অফের পর ভরা ব্লাডার নিয়ে কোনমতে দৌঁড়ে গিয়ে ডাইনিং হলের অথবা হাউসের কোন টয়লেটে গিয়ে সেরে আসত…খুব কমই ছিল যারা নামাজের মধ্যে উঠে মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করত।
বিস্তারিত»[এটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে নয়। এমনকি কোনও ক্যাডেট নিয়েও নয়। এই লেখাটা আমার খুব প্রিয় আর আপন একজন বন্ধুকে নিয়ে। তার সাথে এখনও যোগাযোগ আছে, এখনও মাঝে মাঝে আমি খুব বিপন্ন সময়ে তাকেই খুঁজি! আপনারা ধীরে ধীরে আমার বন্ধু হয়ে উঠছেন, তা নাহোক ভার্চুয়াল জগতেই সই। সেজন্যে আপনাদের সামনে নিবেদন।]
২৪ শে ডিসেম্বর ২০০৩, তোমার সাথে আমার বন্ধুত্বের শুরু। মাঝখানে কতটা সময় কেটেছে রে?
বিস্তারিত»কয়টা বাজে দেখতে পারলে খুব ভাল হত-ভাবলাম আমি। বেশ কিছুক্ষণ আগে কে জানি বলে গেল আর দেড় ঘণ্টা বাকি। কতক্ষণ আগের কথা সেটা, আধা ঘণ্টা? বিশ মিনিট? আমি হাঁক ছেড়ে ডাক দিলাম,
-‘আনিস ভাই, এই আনিস ভাই…’
-‘জ্বি ভাইয়া, কিছু বলবেন?’
-‘আর কতক্ষণ বাকি?’
-‘উম্…আর পঁচিশ মিনিট বাকি…কিছু এনে দেব??’
-‘না থাক, থ্যাংক ইউ!’
আর পঁচিশ মিনিট! তারপরই সব কিছুর উর্ধ্বে চলে যাব আমি।
বিস্তারিত»(তাইফুর ভাই যথার্থই বলেছেন, “এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ।” ফয়েজ ভাইএর ‘ঘাই’ গল্পটা পড়ার পর এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে বারবার আমারও তাই মনে হচ্ছিল…ফয়েজ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!)
এক।
পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারা আমার বহুদিনের অভ্যাস। এটা অনেকটা গুপ্তধন খোঁজার নেশার মতন…হাবিজাবি নানান বই ঘাটাঘাটি করে মাঝে মাঝে দেশি বা বিদেশী দুর্লভ বই পেলে যে আনন্দ হয় তার সাথে বুঝি একমাত্র গুপ্তধন পাবার আনন্দের তুলনাই চলে…তাছাড়া পুরনো বইয়ের একটা অন্যরকম গন্ধ আছে…পাতা উল্টাবার সময় গন্ধটা যখন নাকে বাড়ি দেয়…কেমন জানি একটা অনুভুতি হয়…!!!
বিস্তারিত»আমরা দু’জনে বসেছিলাম। রাত অনেক, প্রায় এগারটা বাজে। একটু দুরে স্ট্রীটল্যাম্পেরা ছাড়া আর কেউ নাই। আমরা দুজন বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বসেছিলাম। চারপাশে বেশ দমকা বাতাস আজকে। আমি আর তুই কংক্রিটের মাঠে পা ছড়িয়ে বসছিলাম চুপচাপ। আমাদের মাঝে খালি অনিশ্চিত নীরবতা।
তোর সাথে আমার বিরাট ঝগড়া চলতেছে। আমি অনেক নাড়া খেয়েছি ভিতরে ভিতরে। তুই আমার সাথে এরকম করতে পারলি?
ঝামেলাটা কী নিয়ে লেগেছিলো ভুলে গেছি।
বিস্তারিত»টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। আজকের খেলা ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে, দি ফাইনাল…। ইরফান আর আমি আমাদের বাসায় বসে খেলা দেখছি। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ভাল একটা স্কোর করে ফেলল। পাকিস্তান ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত কয়েকটা উইকেট পড়ে যাবার পর আমি ওকে বললাম, ‘তুই দেখতে থাক, আমি একটু নেট-এ বসি…’ ইরফান আবার পাকিস্তানের অন্ধ ভক্ত। বলল, ‘আচ্ছা যা, আমি দেখতে থাকি…’
আমি মেইলটা চেক করে,
বিস্তারিত»[এই লেখাটি লিখেছিলাম ৪ঠা জুন। ১৯৯৬-এ যারা ক্যাডেটে ঢুকেছে তাদের ইনটেক-বার্থডে। তবে অনুভূতি মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই সমান। সেখানে সবাই সমানভাবে তাড়িত হয় ইনটেক-বার্থডে নিয়ে। এখনও যে শহরে থাকি, সেখানে এই দিনে আমরা চেষ্টা করি একত্রিত হবার। দেখা করে একটু স্মৃতিচারণ, একটু নস্টালজিক হওয়া।….. এই বছর আমি সেটা করতে পারি নাই। ইচ্ছা থাকা সত্বেও জীবন আর বাস্তবতা আমাদের অনেককিছুই করতে দেয় না। সেসময় নিজের কথাগুলো ব্লগোস্ফিয়ারে লিখে রেখেছিলাম।
বিস্তারিত»খেয়াল করলাম গত অগাস্টে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু লেখা হয়নি একটুও। সেটা বেশ অবাক করা কারণ এ কয়মাসে আমার জীবনে একটা উজ্জ্বল অংশ এই লেখালেখি করাটাই। এই সময়ে অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছি নিজের লেখা নিয়ে, চিন্তা নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। সেগুলো এখানে কেন শেয়ার করিনি জানি না। অনেক সময় নজরের আড়ালে থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিশই খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন হঠাৎ করেই মনে হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও লেখাগুলো ধীরে ধীরে দিবো।
বিস্তারিত»[গতকাল থেকেই মনটা খারাপ…কিছুতেই ভাল হচ্ছে না। আমি জানি আমার মতন বাকি সবারই একই অবস্থা…কি করা যায়-ভাবতে ভাবতে মনে হল, আরে তাই তো ইরফানকে স্মরন করা যায়…ওর কথা মনে পড়লে মেজাজ খারাপ হতে পারে, তবে মন খারাপ ভাবটা যে কেটে যাবে তাতে কোন সন্দেহ্ নেই…!!!]
-‘হ্যালো, ইরফান, কই তুই?’- মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
-‘আনরাইপ মার্কেট-কাঁচা বাজারে!!’
-‘কাঁচা বাজারে?? তুই ওখানে কি করিস?’
-‘দোস্ত, কাল যে আইলানা?? কি হইছিল??’
-‘আই ওয়েন্ট টু ইট আ ম্যারেজ ইয়াস্টার্ডে!!’
ইট আ ম্যারেজ! আমি চট্ করে বুঝে ফেললাম ইরফান কি বলতে চাইল। ব্যাটা ক্র্যাক!! বছর খানেক আগে ওর হঠাৎ করে মনে হল ইংরেজী ভাষাটা ইচ্ছা করে বেশী কঠিন করা হয়েছে…! সাদা পশ্চাৎধারীরা বানিয়েছে বলেই কি ওদের মতন করে বলতে হবে?? ভাষা হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এবং তা ব্যাকরণের দোহাই দিয়ে কঠিন করার কোন মানে হয় না…অকাট্য যুক্তি!
বিস্তারিত»