মোঃ হাসমত আলী মানুষ হিসাবে খুবই নিকৃষ্ট শ্রেণীর। লোভী, ধূর্ত, হীন মনের অধিকারী। বয়স পঁঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ বছর। স্ত্রী ও দুই কন্যা- আয়শা ও আম্বিয়াকে নিজ জেলা মাদারীপুর রেখে ম্যারিড ব্যাচেলর হিসাবে চাকুরি করছেন। কর্মজীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক। মানুষ যেমনই হোন না কেন, হিসাব তিনি খুব ভাল বোঝেন-এটা তার চরম শত্রুও মেনে নেবে।
অন্যান্য নানা সদগুনের(?) পাশাপাশি হাসমত আলী’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার মানসিক বিকৃতি। আরও স্পষ্ট করে বললে, মানুষের আদিম রিপু জনিত বিকৃতি। যে কোন সংবাদ-পত্র পড়ার সময় তার একমাত্র পঠিত বিষয় যৌন বিষয়ক ঘটনাগুলি। মানুষ ইনটারনেটে কিছু খুঁজতে চাইলে যেভাবে সার্চ ইঞ্জিনে কি ওয়ার্ড লিখে খোঁজে, তেমনিভাবে তিনি সংবাদ-পত্র হাতে নিয়েই নির্দিষ্ট শব্দ সম্বলিত ঘটনাগুলো খোঁজা শুরু করেন। এর মধ্যে অন্যতম কিছু হল- প্রকৃতির ডাকে সাড়া, ধান-পাট ক্ষেত, শ্লীলতাহানী, উপর্যুপুরি, পালাক্রমে, রাতভর, মুমূর্ষু, রক্তাক্ত, সংগাহীন ইত্যাদি। এই শব্দগুলো যেন তার মাথায় পুরোপুরি গেঁথে গেছে…! আশরাফুল সেঞ্চুরী করল না শূন্য, নির্বাচন কমিশনার কি বলল, আমেরিকার জাতীয় নির্বাচনে ওবামা জিতবে নাকি ম্যাককেইন- এসব খবর তাকে মোটেই স্পর্শ করে না। কর্মস্থলের সহকর্মীরাও তার এই স্বভাবের কথা জানেন। অনেকে তাকে অনেকভাবে বুঝিয়েও বিরত রাখতে না পেরে শেষে বলেছেন, ‘ হাসমত ভাই, এই বয়সেও এই সব বাড়াবাড়ি ভাল না মিয়া, আল্লাহ্ কিন্তু সহ্য করবে না’। হাসমত আলী কোন জবাব না দিয়ে শুধু একটা হাসি দেন, অশ্লীল টাইপ হাসি…!
সেদিন ছিল মংগলবার। বরাবরের মতন অফিসে গিয়ে প্রথমে চা চেয়ে পাঠালেন, এর পর আয়েস করে পেপার দেখতে লাগলেন। একবার চোখ বুলাতেই মনটা ভাল হয়ে গেল, কারন তার রাডারে অনেকগুলো খবরের খোঁজ ধরা পড়ল, যেগুলোয় তার ‘আকাংখিত শব্দ’ সমূহ রয়েছে। ‘দিনটা মনে হয় আজকে ভালোই যাবে’- ভেবে খবরগুলো এক এক করে পড়া শুরু করলেন। হঠাৎ একটা খবরে তার চোখ আটকে গেল…’কিশোরীর আত্মহত্যা’ – আরে, এটা তো তার নিজ জেলার কাহিনী! কিন্তু, মেয়েটার নাম আয়শা দেখে বুকের মধ্যে ধ্বক করে উঠল, কোনমতে পরের লাইন পড়তে গিয়ে দেখলেন, ‘পিতাঃ মোঃ হাসমত আলী, নড়াইলে কর্মরত’…আর পড়তে পারলেন না…মাথাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে…বুক চেপে ধরে নিচে পড়ে গেলেন…কোন ‘সেই’ রকম শব্দ না, চোখের সামনে কেবল একটাই শব্দ দেখতে পাচ্ছেন…সন্তানহীন পিতা!!!
আর যেন অনেক দূর থেকে কানে ভেসে আসছে কিছু কথা-বার্তা…’এই সব বাড়াবাড়ি ভাল না মিয়া, আল্লাহ্ কিন্তু সহ্য করবে না..!!!
এক পরিনত লেখকের মতো লেখা । তুমি আরো বেশি করে লিখ। এমন লেখা সিসিবি কে আরো সমৃদ্ধ করবে।
মান্নান ভাই, ঠ্যাংকু...তয় আমি ইরাম কিছু না... :shy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সত্য ঘটনা লিখছ নাকি? 😕
ফয়েজ ভাই, আমার মনে হয় এরকম ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক না... :-B
দুনিয়ায় পচুর গিয়াঞ্জাম!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
খুব ভাল হইছে। Guy de Maupassant এর এরকম একটা গল্প পড়ছিলাম মনে হয়। ঘটনাটা ছিল একেবারেই ভিন্ন, কিন্তু গল্পের মোরাল ছিল একই।
বস আগে কইবেন না??? 🙁
শেষে না আবার কপিরাইট আইনে জলদস্যু হইতে হয়!!! 😕
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ,ভেরি গুড, সিসিবি তে আসলে এখন প র্যন্ত মৌলিক বিষয়ে কেউ লিখে নাই............তুমি সে পথের প্রথম পান্থ
সাইফ ভাই, আপনে মনে কয় গত কয়েক মাস সিসিবিতে কম আসছেন...আমি ভাই প্রথম না... :shy:
তয় আপনারে ধন্যবাদ।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভালো ছিল। কলেজে দেয়ালপত্রিকাতে লিখতা বুঝা যায়।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর ভাই, কাহিনীর টুইস্ট তো অইখানেই... 😀
কলেজে একবারই লেখা দিছিলাম...তাও Y2k নিয়া...বুঝতেই পারছেন কপি-পেস্ট কইরা... :-B
তয় ফর্মের ওয়াল-ম্যাগাজিনে একবার আসলেই লিখছিলাম...মানে হ্যান্ড রাইটিং আমার ছিল... :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাল্লাগছে... :clap: :clap: ।
Life is Mad.
ইয়াল্লা..কবীর ভাইর হাত দিয়া এইটা কি বাইর হইল!! :boss: :boss:
ভাই আপনি সবসময় আন ফায়ার। :boss:
আশেপাশের কাউকে যেন তুলে আনলেন । :clap:
.
লেখাটাতো জব্বর হইছে মিয়া :boss: :boss:
এইলেখা যে লেখকের সে যে পায়ের হিসাব মিলাইতে পারতেছেনা এইটা নিজের চোখে ব্লগে না দেখলে বিশ্বাসই করতামনা :)) :))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
খিকয্
x-(
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:clap: :gulli2:
দারুণ লিখছ
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: