কৈশোর ১

৫ই জুন, ২০০৮

আজ সারাদিন, সকাল থেকে বসে আছি। মাথায় অজস্র চিন্তা চলছে। সব ঠেলে দিয়ে এখন লিখতে শুরু করলাম।

কৈশোর!! গতকাল থেকে দারুন স্মৃতিকাতর হয়ে আছি। পুরোনো স্বপ্ন আর জীবনটা বড় বেশি জ্বালাচ্ছে। ভুলে থাকার জন্য ক্রমশ হা হা করে হাসছি, ছুঁড়ে ফেলতে চাচ্ছি ভাবনাগুলো। আজ সকালে হুট করে একটা মেসেজ পেয়েছি:
“যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়, তার চেয়ে কত দূরে তুমি?…

বিস্তারিত»

বড় জানতে ইচ্ছে করে-২ (প্রচন্ড রাজনৈতিক পোষ্ট…!)

আমার এবারের পোস্টে যে প্রশ্নগুলি রয়েছে, তা মূলতঃ রাজনীতি সংক্রান্ত। সুতরাং পড়ার আগে সবাইকে একটা কথা মনে রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ করব- আপনারা এমন একজনের লেখা পড়ছেন, যার রাজনীতি বিষয়ক জ্ঞান খুবই সীমিত…

১। বাংলাদেশের কুইতিহাসিক (বা কুখ্যাত!) ১১ই জানুয়ারীর আগে বড় একটি রাজনৈতিক দলের বেশ প্রবীণ নেতা, যিনি একাধারে মুক্তিযোদ্ধা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য ছিলেন- দল থেকে বেড়িয়ে যান। পরবর্তীতে তার মুখ থেকে আমরা অনেক বড় বড় কথা,

বিস্তারিত»

দ্য নাইট ইজ স্টিল ইয়াং!

রাত নামলে নিশাচর সকল প্রাণিদের মাঝে একটা প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। যেমন করে দিবাচর প্রাণিরা সকালে সূর্যকে মানে, উনি উঠে গেলেই তারা বিছানা-বালিশ ছেড়ে উঠে পড়ে। তারপরে বিমূঢ় ত্বকে পানি ঝাপটা দিয়ে জেগে ওঠে। জেগে ওঠার ক্ষণ থেকেই তাদের বোধসমূহ সজাগ হতে থাকে। শৌচ শেষ করে নাশতার পরে ধূমায়িত চা খেতে খেতে সকল পাপ ঘাড়ে নিয়ে জাগতিক বোধেরা ফিরে আসে।

সেরকম ভাবে নিশ্চয়ই নিশাচর প্রাণিরা জেগে ওঠে।

বিস্তারিত»

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পাক বাহিনীর হামলার বিবরণ

লেখকঃ অধ্যাপক গোলাম জিলানী নজরে মোরশেদ
সূত্রঃ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পাক বাহিনীর হামলার বিবরণ; ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’, বাংলার বাণী – বিশেষ সংখ্যা; ১৯৭২

স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের আর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মত ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজেও কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমে, ছাত্রদের পদভারে কলেজ আজ সরগরম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা বর্বর পাক বাহিনী তাচ্ছিল্যভরে নষ্ট করে দিয়েছিল, তা এক এক করে জোগাড় করা হচ্ছে। কলেজের শ্রী বৃদ্ধির জন্য নিরলস চেষ্টা চলছে।

বিস্তারিত»

খিবি লিজ্জা পিলাম…!!!

আজ ঘুম থেকে ওঠার পর টিভিতে দেখি বড় বড় করে লেখা ‘ইরাকে গিয়ে অপমানিত হলেন প্রেসিডেন্ট বুশ’। ‘কি এমন হল’- ভাবতে ভাবতে চ্যানেল ঘুরে জানতে পারলাম, সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালে তার দিকে জুতা ছুড়ে মারা হয়েছে…এরপর যখন ভিডিও টা দেখলাম,-তখন লজ্জায়, দুঃখে, ক্ষোভে, শোকে, হতাশায় মনটা খারাপ হয়ে গেল…এও কি সম্ভব? কি করে ঐ সাংবাদিক এমনটি করতে পারলেন? তার কি একটুও খারাপ লাগছে না???

ভিডিও টি দেখুন এখানে।

বিস্তারিত»

সনদবিহীন আত্মজ

    ঙ.

…শশাঙ্ক নামে একটা ছেলে জন্মেছে একটু আগে। ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ডের ঘোলাটে পর্দাঢাকা কেবিন থেকে তার চিল-চিৎকার ভেসে আসছে। ফিনাইলধোয়া ঘরে জীবাণুমুক্ত তোয়ালেতে সে জড়ানো। রোগ-জরা তাকে এখন ছুঁতে পারবে না। আরো অনেক অনেক দিন পরে সে পঙ্কিল হবে, তার আগে এখন অন্তত সে নিষ্পাপ, সরল, নির্মল আগমনের পরে কাঁদছে। শশাঙ্কের মা, একটু আগে প্রসবজনিত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন চুপচাপ। মৃত্যুর একটু আগে তিনি একবার শশাঙ্ককে কোলে নিয়ে তার নরোম মাথায় চুমু খেয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলেছেন।…

বিস্তারিত»

বড় জানতে ইচ্ছে করে…!!!

আমার বুদ্ধি একটু কম হবার কারনে কিনা জানি না- অনেক কিছুই ঠিকমত বুঝতে পারি না…কাউকে যে প্রশ্ন করে যে জেনে নেব সাহসের অভাবে সেটাও ঠিকমত হয়ে ওঠে না…তাছাড়া আমার জ্ঞান পিপাসাকে দমাবার কারনেই হয়ত জ্ঞানী-গুণিরা বলে গেছেন ‘জানার কোন শেষ নেই’ অথবা ‘অধিক কৌতুহলে বিড়াল মরে’…ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ইদানিং ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’ এই স্লোগান দেখে আবার উৎসাহ পাচ্ছি…আমি যেহেতু বিড়াল নই- বরং একজন ‘বৃক্ষ-মানব’,

বিস্তারিত»

অনন্যার চোখ

…ক্রমশ কীটচলনের ফলে আমার মাথার ভিতরে নাগাসাকি ঝরে পড়তে থাকে বলে আমি চোখ মেলে নির্লিপ্ত মনিটরে ফোটন খুঁজি, পিক্সেল ভেঙে ভেঙে দুইশছাপ্পান্ন রং ঢুকে পড়ে ইন্দ্রিয়পথে; সেখানে তাদের ইগলু-ঘরের পাশে রোম রোম পেতে ধূসর জর্নাল পৃষ্ঠা উন্মোচনের গাঢ়বিষাদের আয়নার ওপাশে অনন্যার চোখে ঝিলিক বুলায়। রুঝ মুছে গেলো কিনা বুঝে ওঠার জন্যে অনন্যা একবার তাকিয়েছিল পারদলেপা তলে, সেজন্যেই ফ্রেমের মাঝখানে তার গোলাপি ঠোঁট তিরতিরিয়ে গোপন কথাগুলো বলে ফেলে অকপটে।

বিস্তারিত»

গল্পঃ দ্বিধা

সন্ধ্যা নেমে এসেছে বলেই মনে হয় এই হলুদ আলোয় ডিভাইডারে বসে রোমেলা দু’হাত মুঠো করে বেশ চিন্তায় মগ্ন হয়ে থাকে। একমুঠোয় সবুজ পাতা ঘিরে থাকা কতগুলো দোলনচাপা। বাদামি ময়লা ফ্রক-পরা রোমেলা তার হতবিহ্বল ভাব কাটাতে রুক্ষ্ণ তেলহীন চুল সরায় মুখের উপর থেকে। একটু আগে একটা গাড়ি-মহিলার কাছে সে পাঁচটা ফুল বিক্রি করেছে। তারপর থেকে ডিভাইডারেই বসে আছে থম্‌ মেরে। কী করবে বুঝতে পারছে না। সামনে দিয়ে হুশহাশ করে গাড়িগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে বা সিগন্যালে পড়ে বুড়োটেগুলোর মতো বসে থাকছে রোমেলাকে না ছুঁয়েই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট না হইয়াও…!!!

[বিশেষ কারনে লেখাটি একা না পড়ে ১৮ জনের বেশি (18+!!) পড়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হল, কেউ লেখা পড়ে অফেন্ডেড হলে নিজ দায়িত্বে হবেন…কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না...]

কিছু কিছু নন-ক্যাডেট মানুষ আছে যাদের দেখে নিজের অজান্তেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়…আহা! এই মানুষটা যদি ক্যাডেট কলেজের আলো-বাতাস-খাবার পেত- তা হলে না জানি কি আইটেম হত…!! পংটামি যে ক্যাডেটদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়,

বিস্তারিত»

বিচ্ছেদের পরে…

আমি বোধহয় দিনে দিনে দারুন অভিনেতা হয়ে যাচ্ছি!

কী অদ্ভুত নিয়মে বুঝে গেলে শেষমেষ তুমি,
শব্দের মোড়কে জড়াতে হলোনা বিচ্ছেদের
গতানুগতিক অভিনয়। কষ্টের অভিনয় করা
মুলতই কষ্টকর, বিশেষত যখন মুখোশ খুলে
বসি আমরা মুখোমুখি, তাবৎ কপটতা ঝরে যায়
আমাদের, ঠিক একদম দুদিন-পুরোনো পাঁপড়ির মতো।

বিস্তারিত»

মোবাইল বিড়ম্বনা- আমার কাহিনী…!!

[সায়েদ ভাইএর মোবাইল ফোন নিয়ে পোস্টটা পড়ে আমার নিজের মোবাইল বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল…সবার সাথে শেয়ার করার লোভ ছাড়তে পারলাম না…]

মোবাইল ফোনের বিড়ম্বনার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সপ্তাহে দু’এক দিন ‘সরি রঙ নম্বর’ কিংবা ‘আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন’…এসব কথা বলতে হয় না-এমন লোক এখন খুব কমই আছে…কলরেট কমে যাওয়ার কারনে মানুষ এখন আর আগের মতন সাবধানী নেই,

বিস্তারিত»

শীতের শুরুতে আর বছরের শেষে জমে থাকা কথারা কম্বলের ওম পোহাতে চায়

শুরুঃ
শুরু বলে আদৌ কিছু নেই। সেখানে পেছোতে পেছোতে আমরা একেবারে পিছনে গিয়েও একটা আদি সুতো পাই, যার মাথায় আরো অন্য সুতোর লেজ বাঁধা থাকে। এই আপ্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিলে আমরা অনায়াসে হাল ছেড়ে দিতে পারি। তখন বাকি থাকে যেকোনও একটা শুরু বেছে নেয়া। যেকোনভাবে ঠেলা দেয়ার মতো একটা কথা বলতে শুরু করে দিলে পরের কথা গুলো এমনি এমনি চলে আসবে। এদেশে মানুষের অভাব নাই,

বিস্তারিত»

আমার বিসিএস পরীক্ষা…!!!

আমার খুব শখ ছিল বিসিএস পরীক্ষাটা হেব্বি মাস্তি করে দেব…একে তো জীবনের প্রথমবার, তার উপর আবার চান্স পাব কিনা- এরকম কোন টেনশন নেই। কারন আমি নিশ্চিৎ যে আমার হচ্ছে না। জীবনে আর বিসিএস দেয়া হয় কিনা-কে জানে!! সুতরাং মাস্তি না করার কি আছে??

কিন্তু হায়! মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক…সিট প্ল্যান দেখে জানতে পারলাম, আমার সিট পড়েছে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, লক্ষ্মীবাজার!!! অর্থাৎ কিনা সদরঘাটের কাছাকাছি…আমি থাকি বনানী,

বিস্তারিত»

শ্লেটমুখী ও অন্যান্য

    শ্লেটমুখী

অরীয় বেণিদ্বয়ের শামুক-দোলন, সরে
এপাশে ওপাশে প্রতিসম বিস্তার, ভেঙে
বেণিদ্বয় দুলে ওঠে, উঠতেই থাকে,
ঘনোপর্দায় ছায়াগুলো শরীর ঢাকছে, তাই
বেণিদ্বয় সচকিতে
শ্লেটে লেখা এলোমেলো আঁকিবুকি মুছে দেয়।

    ঋতুযাপন
বিস্তারিত»