বৃথা স্বপ্ন দেখে কি লাভ, যদি কোনদিন সে স্বপ্ন না দেখে সূর্যের আলো?
কি হবে মিছে আশা করে, যদি সে আশার না থাকে কোন বাস্তবতা?
আর কখনও কি তোমার ভালবাসায় আমি ধন্য হব! –
কি হবে সেইসব কল্পনায় – যেখানে দুঃখ শুধুই ক্রমবর্ধমান?
আর কখনও কি তোমার স্পর্শ আমি অনুভব করব
গভীর নিশীথে রূপালী চন্দ্রায়?
লাভ কি সেইরাতের কথা ভেবে,
বৃষ্টির ঘ্রাণ
…কাল রাতে অনেক দিন পর বৃষ্টি দেখছিলাম, আক্ষরিক অর্থে বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখছিলাম। কেন জানি বৃষ্টির ছন্দটা অন্যরকম লাগছিল। কোথাও যেন কিছু একটা খাপছাড়া, কিছু একটা থেকেও নেই মনে হচ্ছিল…। কেমন যেন অপরিচিতের এক মোহ ছেয়ে আছে। বৃষ্টির ফোটাগুলো কী আজ একটু বেশি ভারী … না মনে হয়… তবে এতো বিস্মৃত কেন লাগছিল। বোধহয় বুঝতে পেরেছি। তবুও নিশ্চিত না হয়ে নিজের ক্লান্ত ধারনাকে প্রশয় দিতে ইচ্ছে করছিল নাহ।
বিস্তারিত»“ফুটনোট অফ এ মেমো”
…পানিতে হাত দিয়েই শিউরে উঠলাম। ঠাণ্ডা পানি! হাতে স্পর্শ করা মাত্র ছ্যাঁৎ করে লাগে। সরিয়ে নিতে ইচ্ছা করে সাথে সাথে। কল থেকে বরফ-ভাঙা পানি নেমে আসছে। আমি তারপরেও হাত পানির মধ্যে পেতে রাখি। আঙুলগুলো ডলে ডলে তেল আর খাদ্য ধুয়ে ফেলি।
আমার অফিসে ক্যান্টিনে ফোন করলে, খাবার দিয়ে যায় রুমে। একটু আগে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম, কী আছে? বললো, চিকেন বিরিয়ানি আছে। খেতে খেতে মনে হলো অনেকদিন বিরিয়ানির ক্ষিদে জিভে লেগে ছিল।
একটি নষ্ট কবিতা – ভদ্রজন পড়বেন না দয়া করে
অগ্নিদগ্ধ…!!!
লোকটার চাহনির মধ্যেই ভয়ানক কিছু ছিল। আমার দিকে তাকাতেই ঠাণ্ডা একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল শরীরজুড়ে। ঢুলুঢুলু চোখ রক্তলাল হয়ে আছে…মুখে কালো কালো বসন্তের দাগগুলো কুৎসিত চেহারাটাকে আরো কুৎসিত করে তুলেছে…
ছোট্ট একটা ঘরের মধ্যে আছি আমরা দুই জন। পাশের ঘরে লোকজনের কথা-বার্তার শব্দ শোনা গেলেও খুব একটা ভরসা পেলাম না। এই লোকের হাত থেকে আমাকে কে বাঁচাবে???
পকেট থেকে দিয়াশলাই বের করতেই বুঝে গেলাম ওর অভিসন্ধি,
মাঙ্গলিক পূণ্য
তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ জমেছে
প্রখর গ্রীষ্মের স্বেদবিন্দুর মতো –
তুমি কি পার সেই পাপকে ক্ষমা করতে ?
পাপ – সে কেন পাপ হবে
– এসো, হোক না এ আমাদের প্রথম স্মৃতি।
স্মৃতি – মনের খাঁচায় গ্রোথিত এ ক্ষণ
এক অসুন্দর সুখ –
ধরে নিলাম সেটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ।
সুখ – আপেক্ষিক এ তত্ত্বে
তোমার আমার মিলন যেন সাগরে সাগরে সঙ্গম –
কেউ কারো মাঝে বিলীন না হয়ে
নিজের অস্তিত্ত্বে একে অপরের মাঝে হারিয়ে যাওয়া।
বার-বি-কিউঃ কয়লা, পরোটা, নিউইয়ার এবং আমি!
-
২৭/১২/০৮
আমি, আমার বোন আর তূর্য যখন বনানীর শর্মা-তে দুইখান পিজা কচ কচ করে চাবায়ে খেলাম, তারপরে ঢেকুঁর তুলোনের আগেই তূর্যের দুলাভাই ফোন দিল। বনানীতেই বাসা, তিনি আর আপু কেএফসিতে খাইতে যাবেন। আমরা হাউকাউ লাগাইলাম আরেকটু আগে কইলেই তো পিজাগুলা ক্যান্সেল করতে পারতাম! :bash:
যাহোক সাথে গাড়ি ছিল বলে টান দিয়া গুলশানে গিয়ে দেখি ক্রিসমাসের লাল ফারকোট পড়ছে কেএফসি’র বুড়াটা (এরে দেখলেই ক্যান জানি ফুলানো ভুড়িটায় খোঁচা দিতে ইচ্ছা করে!
বিস্তারিত»রিপুহত্যাযজ্ঞ
১.
…দুপুর গড়িয়ে চলে এলেও ঘেরা-পর্দা ঘরে সবুজ-আঁধার, বিনম্র; চলাচল করে। আমি ওঘর থেকে এলোমেলো ঘুম পায়ে এসে একটু হকচকিয়ে যাই, দেখি অন্ধকারের সবুজ মায়া তখনও যা টেবিলের প্রান্তে লেগে ছিল। আমাদের ঘরের একাকী রসনা-টেবিলে কিছু বোনা-কাপড়ের ম্যাট চকচকে-কাঁচ গেলাশেরা মিনারেল বোতলে ভরা মমতা-জল উদভ্রান্ত আর বিষন্ন বসে থাকে। এ ঘরে এলেই তারা সবাক-সশব্দ হয়ে ওঠে, কিশোরীর ঋতুমন্ত হয়ে ওঠার মতো তাদের কোমল ব্রীড়া,
অন্যরকম তুমি
আজ অন্যরকম সকাল, সূর্যটা আজ অন্যরকম –
আজ তোমাকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে একটু অন্যরকম।
আজ স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে অন্যভাবে,
আজ স্বপ্নরা সব অপেক্ষাতে তোমায় রাঙাবে বলে।
আমি আনন্দে আনন্দে নেচে বেড়াই তোমায় ভালবেসে,
নিজেকে আজ বড় ভাল লাগে তোমায় ভালবাসি বলে।
তুমি কি ভাবছ পাগল হয়েছি, বলছ একি হল আমার –
বিশ্বাস কর, আজ সকালে সূর্য উঠেছে পাগল হবার।
বিলম্বিত সত্য
এই আশা নিয়েই বেঁচে থাকা ভাল –
স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট অনেক বেশি ।
জানি সত্যের মুখোমুখি হতে হবে একদিন –
হোক সে প্রতিকূল, কিংবা অনুকূল ।
তবু দুঃখের সত্যকে বিলম্বিত করলেই
সত্য থেকে পলায়ন বলা যায় না –
প্রার্থনা
আমার হৃদয়ে বয়ে চলে
ক্ষুব্ধ জলপ্রপাত,
ঝলসে ওঠে এক টুকরো স্মৃতি;
আমি ডুবে যাই অন্য সময়ে।
অসহায় পরে থাকে
ভুল শব্দের গাঁথুনি;
গল্পঃ সহোদর-মায়া
আমার জ্ঞান থাকতে থাকতেই ধারালো চাপাতির কোপে ডান হাঁটু থেকে আলাদা করে ফেলল আমার পা-টাকে। রমিজ। রমিজ আর সোবহান। সোবহানের পাশে আরো কেউ ছিল (মনে পড়ছে না)। রমিজের হাতে চাপাতিটা ধরা ছিল। কোপানোর ঠিক আগে ঝিকিয়ে ওঠা আলোয় দেখেছি রমিজের হাতের শিরাগুলো ফুলে উঠছে। সাঁ–ঝুপ! একটা শব্দের পরে আমি টের পাই পা আলাদা হয়ে গেছে। কাটাপ্রান্তে লাল লাল মাংস আর রক্ত। মোড়ের দোকানে পিজা বলে যা বিক্রি হয় পনেরো টাকায়,
বিস্তারিত»সিসিবি’কে নিয়ে একটি ব্যাপক চিন্তাশীল পোস্ট…!!!
২০০৯ এর জানুয়ারী মাসটা সিসিবি’র জন্য একটি মাইলস্টোনের মাস হতে চলেছে…প্রতিদিন যে হারে পোস্ট আসছে তাতে হাজারতম পোস্ট হতে খুব বেশি হলে আর ১০/১২ দিন লাগবে।
আমি সিসিবি’তে যোগদান করেছিলাম ২০০৮ এর মাঝামাঝি সময়ে, তখন দিনে মনে হয় দুই তিনটার বেশি পোস্ট হত না…ধীরে ধীরে সদস্যসংখ্যা বাড়তে লাগল, সিনিয়র ভাইদের আনাগোনা জোরাল হতে লাগল, সেই সাথে তাল মিলিয়ে জুনিয়ররাও…শুধুই স্মৃতিমূলক লেখা থেকে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের লেখা আসতে আরম্ভ করল…মূলতঃ এটিই ব্লগটাকে করে তুলল গতিশীল…
শীতের চাদর
ছেঁড়া ছালা গায়ে দিয়ে
ঠাণ্ডা মেঝেতে শুয়ে আছে সে,
গায়ে বিঁধছে সূঁচের মতো
বরফ শীতল ঠাণ্ডা বাতাস
– তবু শিশু শুয়ে থাকে
অভ্যস্ত ভঙ্গীতে, কাঁপতে কাঁপতে ঠক ঠক;
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দু’বছর পর
এই বেশ ভালো আছি –
শেষ হয়ে যাওয়া ভালোবাসার চর্বিত চর্বন নিয়ে
জাবর কাটছি শেষ হওয়া বলদের মতো।
যে যাই বলুক, ভালোবাসাহীনতার এক চরম আনন্দ আছে –
আর তা হলো দায়বদ্ধতাহীনতার সুখ, উপরি হিসেবে নতুন গাভীর স্বপ্ন।
আমার দীর্ঘ প্রেমময় জীবনের সুখস্মৃতিগুলো
কালের ধূলোয় হারিয়ে যাচ্ছে, যাবে;
দগদগে ঘা-এর মতো আরো উজ্জ্বল হবে
সেই সময়ের কষ্টগুলো – বর্তমানে সেগুলোই বেশী মনে পড়ছে।