তুমি যা হতে চেয়েছিলে একবার, সেরকম হয়ে ওঠা হয়নি তোমার

ছাইদানির মানচিত্রে খয়েরিদাগেরা বলে তুমি সেখানে শুয়েছিলে পরতে পরতে
তুমি যা হতে চেয়েছিলে একবার, সেরকম হয়ে ওঠা হয়নি তোমার

বিছানায় ফিরে যাবার সময়ে তোমার চোখেও কয়েকটি মৃত্যু জমে থাকে
তুমি যা হতে চেয়েছিলে একবার, সেরকম হয়ে ওঠা হয়নি তোমার

সেখানে বিষন্ন বালিশ কেঁদেছিল তিনযুগ জেগে থাকা বিনিদ্রতায়
শীত রাতের কুয়াশা শাল গায়ে খুব মোলায়েম ব’সা ছিল রোদে

সূর্যে আগুন ধরে গেলে তুমি ঘুমিয়ে পড়ো
বই-মলাটের ভাঁজে ভাঁজে তখনও জেগে থাকে অলস জন্ম-কোষ

তুমি যা হতে চেয়েছিলে একবার,

বিস্তারিত»

বৃষ্টির আনন্দ

আজ সকালে সবুজ টিপ পরবে বলে –
খুঁজে দেখ সব টিপ আছে, তবে সবুজটা নেই।
খোঁপা বাঁধবে বলে ধরে রাখছ চুলের গোছা –
অথচ কেন যেন খোঁপাটা বাঁধছে না কিছুতেই।
আজ সারাটা রাস্তা নিস্তব্ধ, নেই কোন রিক্সা
রোদে পুড়ে ঘামছ তুমি, আর জ্বলছ রাগে –
দিনের শুরুতে সবকিছুতে না, শঙ্কা জাগে মনে

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু -১

শেখ আলীমের হাইকু -১

সাকুরার দেশে শেখ আলীমের হাইকু
পাঁচ সাত পাঁচ শব্দে সূচিত বর্ণ মালা
তিন পঙক্তিতে অবলোকনের বিশ্ব জানালা।

বর্ষায় ধোয়া একটি কদম কলি
আনত আঙ্গুল মেহেদী লতানো করপুটে দেই তুলি
শ্রাবণে এ কোন অমোঘ নিমজ্জন।

বিস্তারিত»

রম্য আমার কম্ম্য নয়…!

আমার অনেক দিনের শখ একটি রম্য রচনা লেখার। কিন্তু কখনো সাহস করে লেখা হয়ে ওঠেনি…
অনেকে আছেন যারা ‘রম্যরচনা’ শিরোনামে কোন লেখা দেখলে ভ্রু কুঁচকিয়ে সেসব পড়তে শুরু করেন, ভাবটা এমন যেন- ‘এরা আর কি রম্য রচনা লিখবে??? এসব তো ছিল আমাদের সময়ে…ইন দ্যা ইয়ার নাইনটিন…’ কেউ আবার আছেন এক কাঠি সরেস, পুরো ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ‘দেখি কিভাবে আমাকে হাসায়’ ভেবে পড়া শুরু করেন…!!!

বিস্তারিত»

শীত

    রেনেসাঁ পর্ব

(জীবনানন্দ দাশ স্মরণে)

বিম্বিসার নগরে উঠেছে ঘোলাটে ময়লা চাঁদ
অরূপাক্ষ নদীতে পড়ে বালুচর। প্রিয়তমার মিথ্যা শরীরে
ডোবে কুহক-পুরুষ, প্রেমিক হতে পারে সে যদিও,
চুপ!- দেখো কুৎসিত কালো জলে ভাসে প্রণয়ের লাশ।

যাবতীয় ব্যর্থতাবাদী-বিধাতা-পূজারী সকল
ঘেটেঘেটে কাদাপাঁক রণে ভঙ্গ দেয় সেই রাতে
বিক্ষোভ মিছিল চলে অবিরাম গতিতে
দেবতাবিহীন রাজার স্বৈরাচারী সাম্রাজ্যে।

বিস্তারিত»

আফসোস রিটার্নস্‌…

– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’

সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…

বিস্তারিত»

ফ্রেমবিষয়ক রচনাখণ্ডঃ পুরোনো জন্ম এবং নতুন মৃত্যু

প্রথম খণ্ড

গাড়ীটা চলছিল অনেক জোরে। জানালা খোলা। আমি অনেকদিন চুল কাটাইনি। তুমুল বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল বারবার। আমি ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম না। আমার চোখ ঢেকে যাচ্ছিল ঝাপ্টায়, বার বার!

আমরা দুই ভাই এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শাঁ শাঁ করে ছুটে যাচ্ছি। ড্রাইভিং সীটে আমার খালাতো ভাই। বিস্রস্ত মুখে একগাল খোঁচা খোঁচা দাড়ি। বিপজ্জনকভাবে কয়েকটা গাড়িকে এদিক ওদিক করে পাশ কাটালো।

বিস্তারিত»

পরিচিতি

আমি সাদামাটা একজন ক্যাডেট ছিলাম। কলেজ এ এ্যাপুলেট এ ১ দাগ দিয়া শুরু করছি আর ৬ দাগ নিয়া বের হইছি। সেহেতু বুঝতেই পারছেন !!!!
আমি মোটামুটি একজন Juiceless(রস হীন) মানুষ। ফান বুঝতাম খুব কষ্ট করে, কেউ বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম। আর ফান এর এখন যতটুকু বুঝি তার কৃতিত্ব / অবদান বলতে গেলে আমার এক সিনিয়র এবং এক বন্ধু , না না দুই বন্ধু‘কে দিতে হবে।

বিস্তারিত»

গল্পঃ স্মৃতিভ্রষ্টতার উল্টোযাত্রা

এটাই প্রারম্ভের অন্ত অথবা অন্তিমের আরম্ভঃ এরকম ঘোষণায় সচকিত হয় রোমকূপ। সামনে জীবন নাই, আশা নাই, সুর নাই, নারী নাই। নেশা নাই, কবিতা নাই, তোমার দুচোখ নাই। তার থেকেও তীব্রশরীর, স্তন আর নাভিমূল নাই, তোমার মধুকূপী বাহু নাই, রীডসুলভ আঙুল নাই। প্রথাগত শূন্যতার চাইতেও বেশি কিছু, অনেক কিছু জীবন ছাড়িয়ে যার ছায়া পড়তে পারে, আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। সংখ্যারেখার প্রমাণবিন্দু হারিয়ে গেলে খুব বিপন্ন লাগে।

বিস্তারিত»

কৈশোর ৪

সব ভালো জিনিশেরই বোধহয় একটা শেষ থাকে। আমাদের জীবন আবার এতোই অদ্ভুত- অনেক কিছুই শেষ হয়েও শেষ হয় না। এই গল্পের শেষটুকু আমি এখনও কাউকে বলি নাই। এই লেখাটাও আগে শেষ করি নাই। এখন কেন জানি মনে হচ্ছে শেষ করতে হবে। সব কথা ফুরুলে নির্বাক বসে থাকা নির্জন বাতিঘরের কাছে আর কোনও কথা জমা থাকবে না। সেভাবে নির্ভার হওয়াটাও জরুরি মনে হচ্ছে এখন।

৫ই জুন মেসেজটা পেয়েছিলামঃ “যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়,

বিস্তারিত»

আজ মন খারাপের দিনে

আজ সকালে তুহিন ভাইয়ের পোষ্ট দেখার পর থেকেই কলেজ জীবনের সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতিটা খুব বেশি মনে পড়ছিল। অশ্রূ ভেজা দুটো চোখের সামনে আমার অসহায়ত্বের ছবি বারবার ভেসে উঠছিলো। সেই জমাট বাধা কষ্টের প্রলাপ বকেই আজ সিসিবিতে আমার ব্লগিং ইনিংসের শুরু হলো।
আমি ছিলাম বদর হাউসে আর আশিক হুনাইনে। যে কোন গেমসেই ওর মারাত্নক ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অন্য কলেজের অনেকেই ওকে চিনতো।

বিস্তারিত»

যে প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই…!!!

১৬.১২.২০০৮

– ‘মা, ও মা…!!’ -আহ্‌লাদে গদগদ হয়ে মা’কে ডাকলাম!
– ‘কি বলবি বল… ‘
– ‘আজ এই বিশেষ দিনে তোমাকে কিছু একটা উপহার দিতে খুব ইচ্ছা করছে…’
– ‘কি দিতে চাস?’
– ‘উম্‌…তোমাকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চাই…’
– ‘যা ভাগ! লাগবে না…’
– ‘তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সহনীয় মুদ্রাস্ফীতি, সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি…একটা কার্যকরী জনগণের বাজেট?’

বিস্তারিত»

কৈশোর ৩


এখন চিন্তা করতে গিয়ে হয়ত মনে হচ্ছে এটা অনেক বড় ব্যাপার ছিল, একটা মেয়ে আমার সাথে এগিয়ে এসে কথা বলল! তাও আমার এত প্রশংসা করল! তাও কি না আমি, যে কি না তেমন একটা মেয়েদের সাথে কথাই বলতে পারি না তার!
কিন্তু ঐসময় কেন জানি সেরকম কিছুই মনে হয় নাই। পরেরদিন নিয়মমত ক্লাসে গেলাম। পিছনের দিকে বসলাম, ক্লাসরুমের বামদিকে। এক পিরিয়ড পরে খেয়াল করলাম ডানদিকে মুমুও একা একা মেয়েদের সারিতে বসেছে।

বিস্তারিত»

বড় জানতে ইচ্ছে করে-৩…!!!

[লেখাটি উৎসর্গ করছি আমার বন্ধু ও অনেক অপকর্মের সাথী ইসলাম (জেসিসি, ১৯৯৫-২০০১) কে…ওর সাথে কথা বলার সময়ই প্রথম আজকের প্রসংগটি উঠে এসেছিল…]

দৃশ্যপট-১: গ্রামের মেয়ে কুলসুম। যৌতুকের বিনিময়ে তার বিয়ে হয় একই গ্রামের রুস্তমের সাথে। ছেলেটা অকর্মার ধাড়ি, এবং নেশাখোর…কয়েকমাস যেতে না যেতেই, আরও টাকার জন্য সে দাবী করে কুলসুমের বাবার কাছে। দরিদ্র বাবা তার এ দাবী মেটাতে ব্যর্থ হলে কুলসুমের উপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।

বিস্তারিত»

কৈশোর ২

কৈশোর ১
২য় আর ৩য় পর্বের মাঝে ছুটিতে বগুড়া এলো আমার মা আর বোন। আমার উপরে দায়িত্ব পড়ল বিকালে বের হলে বোনকে চোখে চোখে রাখা। সাধের সাইকেল চালানো মাটি!!! কী আর করা, বোনের হাত ধরে পার্কে নিয়ে যাই, সে মনের আনন্দে খেলে, আমি ব্যাজার হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। সাইকেল চালানোর সাথীরা অনেকক্ষণ রেস্‌ দিয়ে এসে পার্কে জমা হয়। তখন যা একটু ভালো লাগে।

বিস্তারিত»