CP- কলেজ প্রিফেক্ট; শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে খুবই গম্ভীর, রাফ এন্ড টাফ টাইপের সিরিয়াস কোন চেহারা…যাকে জুনিয়ররা খুব কমই হাসতে দেখে, যার সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে পারা জুনিয়রদের গর্ব করে বলার বিষয়…এমনকি স্যার-ম্যাডামরা পর্যন্ত তাকে সমঝে চলে…
সরি, রঙ নাম্বার!!!
আমাদের ইনটেকের CP, হাসান, সম্পুর্ণ অন্য রকম। হাসি-খুশি, ফান লাভিং…কলেজে ওকে কখনও সিরিয়াস হতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না…
একবার পৌরনীতির রেজাউল করিম (পেরেক) স্যার ছিলেন ডিউটি মাস্টার। লাঞ্চ করার জন্য জুনিয়ররা ডাইনিং হল এ ডুকে গেছে আর আমরা বাইরে স্যারের জন্য অপেক্ষা করছি…হঠাৎ CP বলে উঠল,
– ‘তোরা একটু দাঁড়া, স্যারের সাথে একটু মজা করি…!!!’
ও স্যারের কাছে গেল এবং স্যারকে বলল,
-‘স্যার বড় হয়ে আপনি কি হতে চান???’
-‘ত-তুমি…আ-আমার…স-সাথে…ফাইজলামি…ক-কর?? আ-আমি…বড় হয়ে…ক-কি হব????’
ব্যাপারটা বেশি দূর এগোনর আগেই আমরা স্যারকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে হাসতে হাসতে লাঞ্চ করতে গেলাম…
আরেকবার বিড়ি খেতে গিয়ে ঘটা ঘটনা। সিগারেট আছে, কিন্তু দেখা গেল ম্যাচ নাই…কি করা যায়?? রাত তখন অনেক গভীর, সুতরাং বাইরের সাহায্য পাওয়া যাবে না…CP বুদ্ধি দিল,
-‘ওয়াটার হিটার গরম করে গনগনে লাল হয়ে গেলে তাতে সিগারেট ধরানো যাবে…!!!’ সবই ঠিক ছিল কিন্তু গরম হবার পর হিটারের কয়েল কেন জানি ছিটকে খুলে পড়ল…ওই দিন আরেকটু হলেই কেউ মারাত্মক জখম হতে যাচ্ছিল…
ইন্টারের পর CP মেডিকেলএ ভর্তি হল। আমরা বলা শুরু করলাম, ‘ডাক্তার আমাদের হাসান (উচ্চারণ এমন যাতে অর্থ দাঁড়ায় Dr makes us laugh!!) সাথে ঠিক করলাম, কেউ অসুস্থ হতে চাইলে ও পাশ করার আগেই যেন হয়…তা না হলে ওর হাতে মরণ নিশ্চিৎ!!
হাসানের আর একটা স্বভাব আছে, তা হল আজগুবি প্রশ্ন করা। সেদিন আমরা তিন বন্ধু (আমি, হাসান এবং রায়হান। রায়হান আর্মিতে,বর্তমানে ক্যাপ্টেন)
রাত দুটোর দিকে যাচ্ছিলাম ক্যান্টনমেন্ট এ। রাতে মেস বি তে থাকব। হঠাৎ হাসানের প্রশ্ন,
-‘দোস্ত, এখন যদি দেখি চেক পোস্টের ওখানে কোন ব্রিগেডিয়ার ডিউটি দিচ্ছে, কি করবি??’
আমরা একটা গ্রুপ আছি, প্রায়ই রাতের বেলা বের হই(মূলত বৃহস্পতিবার রাত)। অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে ঘোরাঘুরি করে চাঙ্খারপুলে পড়াটা খেয়ে তারপর ফিরি। সেদিন হাসানের ডিউটি ছিল(ওর ইন্টার্নশীপ চলছে)। ঘুরতে ঘুরতে ওর মেডিকেলের সামনে গিয়ে ডাক দিলাম। নেমে বলল,
-দোস্ত তোরা যা, আমার ডিউটি…পেশেন্টের ফলো আপ করতে হবে…বুঝলাম, হাসান সিরিয়াস না হলেও অনেক সিন্সিয়ার হয়ে গেছে…
সবশেষে, হাসানের একটা কাল্পনিক ভাইভা দিয়ে শেষ করছি…
মেডিকেলের কার্ড ফাইনাল পরীক্ষার ভাইভা চলছে,
স্যার- ‘আচ্ছা, তুমি মেডিকেলএ ভর্তি হলে কেন??’
হাসান- ‘কারন, স্যার, আমি বড় হয়ে সফল একজন ইঞ্জিনীয়ার হতে চাই…!!!’
আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন, ও যেন ওনেক বড় ডাক্তার হতে পারে…আর আমি আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি যেন ও কোনদিন সিরিয়াস না হয়, সারা জীবন যেন হাসি-খুশি থাকে…সবসময়!!
পুনশচঃ শিরোনামের সাথে বোতলের কোন সম্পর্ক নেই…!!
দোস্ত তুমি তো দেখি আমাদের ব্যাচের।
তোর লেখা পইড়া মজাক পাইলাম।
আমাদের ছিপি রাফি এখন RAB B-)
বেটা ভালই সিরিয়াস ছিল তবে জুনিয়ারদের সাথে 😀
দোস্ত, ঠ্যাংখু!
ক্রিকেট টীম তো যাইতেছে তোমার ওইহানে, সাপোর্ট দিও...
ক্রিকেড় টিম আইতাছে তবে আমার এইহানে না 🙁 আমার এখান থাকে সাড়ে তিন হাজার কিমি. দূরে।
আর সাপোর্ট,,,আবার জিগস্!!
আমাদের IUT এর ফয়সাল এর কাছে তোর কথা শুনছি বলে মনে হচ্ছে। তুই কি ওরে চিনস??
চিনি মানে?খুব ভাল কইরাই চিনি...ও তো হাফ JCC হয়ে গেছে...!!!
হাফ জে সি সি মানে কি? অর্ধেক গাছ ? :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ, তুমি সাবধান হয়ে যাও...
নাইলে কিন্তু তোমার ভাগের অক্সিজেন বন্ধ কইরা দিমু... :grr: :grr: :grr:
ভাল লেখা।একটা কথা মনে পরে গেল।আমরা একজন কে টীজ করতাম CP বলে।তখণ INTER HOUSE CRICKET খেলা চলছে।উনিও player.তো সে বলছে এখোনো তো appointment দেওয়া হয়নি।কেন আমাকে CP বলছো।্যখণ হবো তখণ বলো।খেলোয়ার রা এক টেবিলে বসে লাঞ্চ করছিল।সবাই একসাথে বলে উঠলো CP মাণে CRICKET PLAYER not কলেজ প্রিফেক্ট.তখন উনার চেহারা টা একবারে :(( হয়ে গেছিল..................
হেহেহে হাসান ভাইকে কে না মনে রাখসে?? আমার অল্টারনেট সিনিয়র সিপি ছিলেন উনি......আমারে অনেক পাঙ্গাইলেও মানুষ খারাপ ছিলেন না...হাউস চ্যাম্পিয়নশিপের সময় অনেক মজা করছি উনার সাথে...আমার আবার প্রেপ গার্ড ছিলেন...
কবীর ভাই,আপনাদের "এ কী হচ্ছে" অনুষ্ঠান টা নিয়া কিছু লিখেন না প্লিজ!এখনো হাসি ওইটার কথা মনে পড়লে...
তুমি লেখো না মিয়া, রিভিউ টাইপ কিছু...আমরা তো পিছনে ছিলাম, কিছু বুঝি নাই কেমন হইছিল...লিখ, হ্যাঁ??
ও হ্যাঁ মনে পইড়া গেলো.. কলেজে এক প্রেপে কিছুটা শিথিল পরিবেশে হাসান ভাইরে একবার জিগাইসিলাম উনি কিসের ডাক্তার হবেন,উনার উত্তর ছিল-"প্লাস্টিক সার্জন"
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম-"এত কিসু থাকতে এইটা কেন হাসান ভাই??"
উনার উত্তর-"আরে মিয়া বুঝ না?এই যে বলিউডের নায়িকাগুলারে দেখ এত বিশাল বিশাল "..."(সেন্সরড),এইগুলা কাদের হাতে বানানো জান??আমি প্লাস্টিক সার্জন হইলে (এরপর হাসান ভাই বললেন কি কি সুবিধা হবে...)
আমাদের বায়োলজি পার্টির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্লাস্টিক সার্জন হবার 😉
প্রিয় পাঠক, এই আমাদের হাসান ভাই!
আফসোস!!!! :(( :((
কেন যে বায়োলজী নিয়া ডাক্তার হইলাম না!!!
ইস্!!!
চরম মজা পাইলাম.........।
এইটা কার মাথা থেকে বাইর হইসিলো??? মজা পাইসি :))
ঐখানে কার মাথা থেকে বাইর হইছে এইটা আমারও জানার ইচ্ছা।কারণ সেম একটা ব্যাপার আমিও বলতাম ।ট্রান্সলেশন ,তিনি আমাদের হাসান।যে যাই বলুক ভুল।কারন এর দুইটা উত্তর।যেটা যে বলবে আমি উল্টাটা বলতাম।
এরকম আরো আছে।বৃষ্টি পড়ছে এর ট্রান্সলেশন,It is raining .অথবা
Bristi is reading.
আমিন ভাই লাস্ট লাইনটা কি জিহাদের উদ্দেশ্যে? 😉
ও আচ্ছা আমার এইটা মাথায় ছিলো না ।এম্নিই বলছিলাম। 😀
=)) জটিল মজা পাইলাম। সবগুলাই হেভি জোস...
জুনায়েদ ভাই আরো বেশি বেশি লিখেন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কবির, খুব ভাল লাগলো.... হাসান আসলেই ঝাককাস!!!! আমি কেন এই বলগে আগে আসি নাই???????
dosto welcome..kmon asish???josss joss lekha ase..tui beta kisu akta post kor..tor kahini to kom na!!!!
ইমরান ভাইয়ের কাহিনী দিয়ে আরেকটা ব্লগ সাইট খোলা যাবে... 😀 😀 😀
আমি লিখি?কিন্তু কথা হইল আমারে মাইরের হাত থিকা বাচানোর দায়িত্ত্ব কইলাম আপনের। :))
ছোট বইলা(সাইজে) অপমান করলা না তো???
এইডা কি কইলেন কবীর ভাই...
ইমরান ভাই আমারে খালি পাঙ্গাইতো উনারে "ফলো" করার জন্য...সেই থিকা আমি এক্টু সাবধানে থাকি... 😀
ইস্... এই চিন্তা কেন আমার মাথায় আসল না আগে? তাইলে তো প্যালাশটিক সার্জারি পর্তাম।
ইট ইজ নেভার লেট টু স্টার্ট!
শুরু কইরা দে পড়াশুনা... 😀
যেমন সুন্দর লেখনী,তেমনি সুন্দর লেখার চরিত্রগুলো। আর কমেন্টগুলো তো লা-জওয়াব...।
:shy: :shy: :shy:
CP Hasan আমাদের হাসান । :khekz:
আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম . অনেক সুন্দর লেখা হইছে - তুই ও কিন্তু কম হাসাস না কবির. ডাক্তার আর কবির দুই জন ই আমাদের হাসান...