Assuming, I was with you guys on the 4th of June, 2010

সর্বপ্রথম ৪ঠা জুন পালন করেছিলাম সেই ১৯৯৭ এ। তখন আমরা কলেজের সবচেয়ে জুনিয়র। ক্লাস এইটে পড়ি যদিও, ক্লাস সেভেন আসেনি তখনও। দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গিয়েছিল কলেজ লাইফের। সবথেকে জুনিয়র থাকা অবস্থাতেও বেশ প্রতাপে সেই ৪ঠা জুন পালন করেছিলাম। সেটার পরিসমাপ্তির কথা অন্যবারের জন্য তুলে রাখলাম। তবে সেই ট্র্যাজিক পরিনতিতে আমরা যতটাই দুঃখ (?) পাইনা কেন, ৪ঠা জুন উদযাপন করাটা আমাদের জন্য ফরজের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপের বিশাল ধরা ……

নেটে বিশ্বকাপ নিয়ে হাবিজাবি সার্চ দিতে দিতে একটা সাইটে দেখলাম বিগেস্ট আপসেটস অফ ওয়ার্ল্ড কাপ. পড়েই ভালো লেগে গেলো। তাই সবার সাথে শেয়ার করছি।

১০

আলজেরিয়া ২ বনাম জার্মানি ১ (১৯৮২)

১৯৮২ সালে বিশ্বকাপ শুরুর সময় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন জার্মানির প্রথম ম্যাচ ছিলো আলজেরিয়ার সাথে। শক্তি এবং ইতিহাস জার্মানির পক্ষে (এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত কোনো আফ্রিকার দল কোনো ইউরোপিয়ান দলকে হারাতে পারেনি) থাকায় জার্মানির ম্যানেজার জুপ ডেরওয়েল দাবী করেছিলেন তার দল কোনো ঝামেলা ছাড়াই এই ম্যাচ জিতে যাবে।

বিস্তারিত»

একটি স্বপ্ন

৩য সেমিস্টার এ ওঠার পর ১টি মজার কোর্স পেলাম। Media and Politics.

ভালই যাচ্ছিল ক্লাসগুলা। কিন্তু হঠাত করেই লাগলো প্যাচ। টিউটোরিয়ালের ঘোষণা আসল। সমস্যা সেটা না, সমস্যা যা তা হলো, আমাদের এইবার হয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করতে হবে আর না হলে ১টি তথ্যচিত্র বানাতে হবে। আনন্দের সাথে আমাদের গ্রুপের সবাই সায় দিল তথ্যচিত্র বানানোর পক্ষে। বিষয় নির্বাচনেও কোনো ঝামেলা হলো না। সর্বসম্মতিক্রমে আমরা পিলখানার দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনাটা নিয়ে তথ্যচিত্র বানাবো ঠিক করলাম।

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকারা-১০

মেয়ে পটাতে আমার গুরুর উপদেশ শিরোধার্য কারন তা পরীক্ষিতভাবেই অব্যর্থ। তিনি আমাকে সবসময়ই উপদেশ দিয়ে গেলেন-হয় টাকা খরচ কর তা না থাকলে সময় খরচ কর!এই দুই জিনিষ থাকলেই হবে,আর কিচ্ছু লাগবেনা।আমি বলি,গুরু বাদ আর রাখলেন কি?

তবে তাতে ঝুঁকি আছে ঢের, টাকা কিংবা সময় এই দুটোর বিনিয়োগই যে মুনাফার নিশ্চয়তা দেবে এমনটি কিন্তু নয়।সব বিনিয়োগের মত এটাও একি শর্ত মেনে চলে,মুনাফা প্রাপ্তির সম্ভাবনার আধিক্য যত বাড়বে,ঝুঁকি ও সমান তালে বেড়ে চলবে।

বিস্তারিত»

আমার চারপাশ ০৪

আজকে সকালটা শুরু হল বৃষ্টি দিয়ে। ভোরে প্রচন্ড শব্দে একটা বাজ পরল, তখন প্রায় ছয়টা বাজে। বাজের শব্দ আর ঠান্ডা বাতাস এই দুইয়ে মিলে ঘুম ভেঙ্গে গেল। রাতে ঘুমিয়েছি অনেক দেরীতে তাই এই ঠান্ডা ঠান্ডা বৃষ্টি মুখর পরিবেশে আবার ঘুম। দারুন ঘুম। ঘুমানোর সময় একটা স্বপ্ন দেখলাম। কলেজ নিয়ে। কলেজে থাকতে সকাল বেলা বৃষ্টি ছিল সবার বহু প্রতিক্ষীত কিন্তু তার দেখা পাওয়া যেত ভোর বেলা কদাচিত।

বিস্তারিত»

এক্স ক্যাডেট লাইফের প্রথম কবিতাঃ বৃষ্টি ও প্রেম ১

সেই পুতঃ প্রেম সাগর দোলায়
সেই পুতঃ প্রেম জানলা খোলায়
গ্রীলে ঠেকে মুখ,সে এসে দাঁড়ায়
বৃষ্টি ছুঁতে সে দু’হাত বাড়ায়
দু’হাত বাড়িয়ে জল ছুঁতে চায়
বৃষ্টিস্নাত প্রেম ছুঁতে চায়
বৃষ্টি জলের ঘূর্ণিমায়ায়
আজ কেন সে নীল ছুঁতে চায়!

জলে ভেজে গাল,কেন সে হাসে
জল চুমু খায় জানালার পাশে
তার ঠোঁটে হাতে জল ছুঁয়ে যায়
বৃষ্টির প্রেমে নীল ধূয়ে যায়
জলে ভিজে যেতে দুহাত বাড়ায়
কী নিবিড় হাসি চোখের তারায়!

বিস্তারিত»

আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০২)

আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০১)
১।
২০০০ সাল। আমরা ক্লাস ১১ এ পড়ি। বই খাতা কিনে নিয়ে যাইনি কলেজে তাই পড়ালেখা না করার অজুহাত আপনা থেকেই তৈরি। স্যারদের চক্ষুশূল আমরা তখন। একেতো রেজাল্ট খারাপ হয়েছে এসএসসিতে তার উওর ১১ এ উঠলে যা হয় ব্যাচের ডিসিপ্লিন ও ভাল না। তখনই একটা খুব হাইফাই খবর পেয়ে মন নেচে উঠল। এসএসসিতে স্ট্যান্ড করা সবাইকে হেডকোয়ার্টার থেকে সংবর্ধনা দিবে তাও গার্লস ক্যাডেট কলেজে,

বিস্তারিত»

বন্ধ হওয়ার পরও পিসি তে ফেসবুক ইউজ করা এবং ফুল ফেসবুক সাপোর্ট এর উপায়

বন্ধ হওয়ার পরও পিসি তে ফেসবুক ইউজ করা এবং ফুল ফেসবুক সাপোর্ট এর উপায় :

যা করতে হবে তা হলঃ নিচে freegate সফটওয়ার এর লিঙ্ক দিয়েছি,ওটা ডাউনলোড করে নিন।তারপর জাস্ট freegate ক্লিক করে ওপেন করুন।এরপর সরাসরি ইন্টারনেট ব্রাউজার বা গুগল ক্রোম ওপেন করে জম্পেস ভাবে ফেসবুক ইউজ করুন।কিন্তু যারা মজিলা ফায়ারফক্স ইউজ করছেন তারা অপশন এ গিয়ে ইন্টারনেট সেটিংস চেঞ্জ করুন এবং “use proxy”অপশন সিলেক্ট করে “ok”.freegate হয়তো নতুন ভার্সন আসলে তা নিজে থেকেই আপডেট হবে।

বিস্তারিত»

আমার ফেসবুকিং আটকায় কে??

সরকার ফেসবুক বন্ধ করসে খুব ভাল করসে!পোলাপাইনের কাম নাই-কাজ নাই…সারাদিন এই ফাউল সাইটে বইসা গ্যাজায়!শুধুশুধু সময়ের অপচয়…এই কথা আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও শান্তি পাই না!কলেজ থেকে বের হইসি গত ২৪ তারিখ,পোলাপাইনরে খুব মিস করি!তবু খুব মজা লাগে সবাই ফেসবুকে দেখা সাক্ষাত করতে!কিন্তু কী থেকে কী হলো সন্ধ্যা থেকে ঢুক্তে পারতেসি না…প্রথমে বুঝি নাই কাহিনী কি!বুঝলাম সামুতে ঢুকে।তখন থেকেই হাজার হাজার পোস্ট কেমনে এফবি তে ঢোকা যায়!এর মধ্যে সবচেয়ে ইজি প্রসেস আসতে রাত ২ টা বাজছে।খালি এক সেকেন্ডের মামলা…http এর পর খালি একটা s বসায়া দেন!মানে এড্রেসটা হবে https://www.facebook.com …এই তো!আমি ফেসবুকে ঢুকসিলাম বাট মজা নাইক্কা!কজ পোলাপাইনই নাই।ওরা তো আর জানে না…মোবাইল দিয়া ঢোকে কিছু পাবলিক আছে…যাই হোক যারা ফেসবুক মিস করতেসেন ……আসেন…সরকার তো ফেসবুক আটকাইতে চায়…কিন্তু এইটা তো আর ক্যাডেট কলেজ না।আর ক্যাডেটদের আটকানো যায় নাকি?…চামে আমার প্রোফাইলটাও দিয়ে দেই…পারলে একটা রিকোয়েস্ট মাইরেন!

বিস্তারিত»

ফুটবল লিজেন্ড —— দ্য ব্ল্যাক পার্ল

বিশ্বকাপ নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে দেখি আহসান স্মৃতির বিশ্বকাপ নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করে দিয়েছে। ঠিক করেছি আমার লেখাটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে ওর লেখাতে কমেন্ট হিসেবে দিয়ে দেবো। ফুটবল নিয়ে কি লেখা যায় চিন্তা করতে করতে মাথায় এলো, ফুটবলারদের নিয়ে লেখি। “ফুটবলার” বললেই সবার মনে প্রথমে ভেসে আসে পেলে বা ম্যারাডোনার নাম। কিন্তু এরা ছাড়াও আরোও যারা ফুটবল শিল্পী ছিলেন বা আছেন তাদের নিয়ে একটা “দশে মিলে করি সিরিজ”

বিস্তারিত»

সত্যজিৎ এর “নায়ক”

সিনেমা আমার কম দেখা হয়। মাঝে মাঝে এর তার থেকে শুনে শুনে দু’য়েকটা সিনেমা দেখা হয়। এর মাঝে অবশ্য বাংলা সিনেমার পরিমাণ খুব কম, প্রায় নেই বললেই চলে। অভিজ্ঞতা যা আছে তার কিছুটা আগে দেখা শুক্রবার দুপুর তিনটা বিশের বাংলা সিনেমার সুবাদে। ব্যাপারটা নিয়ে আগে তেমন একটা গা করি নি কিন্তু কয়েক দিন বাংলা সিনেমা কে প্রটেকশন দেওয়া নিয়ে শুরু হওয়া বির্তক ব্লগের পাতা গড়িয়ে আমাদের আড্ডাতেও একদিন এসে পরল।

বিস্তারিত»

ঐতিহাসিক দিন

আজ থেকে ১৬ বছর আগে।

এই দিনে।
একদল নিরপরাধের জেলের শাস্তি হলো। তারা জানেও না কেনো। কিন্তু আদেশ যেহেতু হলো যেতে তো হবেই।
তাই তারা ভয়ে ভয়ে জেল খানায় গেলো। কিন্তু তারা জানেও না এই জেলখানার সময়টাই তাদের জীবনের সেরা সময় বলে গন্য হবে। মেয়াদ এর পর সবসময় আফসোস হবে এই সময়টার জন্য। এই কয়েদীরাই সবচেয়ে কাছের হবে তাদের জীবনে।
হ্যা,

বিস্তারিত»

স্ট্যান্ডিং এট দ্যা এজ (লাস্ট ডেইজ ইন ক্যাডেট কলেজ)

ক্যাডেট লাইফটা শেষ হয়ে গেল।কাল আমাদের আর্টস এর এক্সাম শেষ হলো।সায়েন্সের শেষ হবে ১৮ তারিখ!এখন খালি মাস্তি আর মাস্তি।এতদিন কলেজে আমরা একা ছিলাম,আগামীকাল কলেজ আসবে।এভাবেই বোধহয় সব শেষ হয়!২৪ তারিখ মনে হয় আমাদের বিদায়!পুরাটা ক্যাডেটলাইফ এত্ত বাজে লাগতো,ইদানিং কেন যেন যেতে ইচ্ছে করে না!আগে ভাবতাম কবে মুক্তি পাবো,এখন মনে হয় না জানি কোথায় গিয়ে পড়ি।সত্যি খুব মায়া লেগে গেছে।এই ব্লক,কম্পিউটার ল্যাবে ফাঁকি দিয়ে বসে থাকা,লাইব্রেরী তে পড়া,রাত ৩ টা ৪ তা পর্যন্ত জেগে কার্ড খেলা,চান্স পেলেই করিডোর ক্রিকেট!ক্যাডেটরা যে কত নতুন নতু খেলা আবিষ্কার করে।ইদানিং প্রতিদিন রাতে টিভি রুমে খেলা দেখতে যাই!সাউন্ড অফ,পয়েন্টে পয়েন্টে গার্ড দাড় করিয়ে খেলা দেখার এই এডভেঞ্চার আর কই পাবো?জীবনে কোনোদিন কাঠাল খাই না বাসায়।গত সপ্তাহে একাই একটা আস্ত কাঠাল শেষ করেছি প্রতিযোগীতা দিয়ে।চুরি করা কাঠাল বলে কথা!এটা কি চুরি?হাউজের সামনে একটা আম গাছে আম নাই!অথচ এই জীবনে আর কোনোদিন গাছ থেকে পেড়ে কাচা আম খাওয়ার আনন্দটাই পাবো না!ক্যাডেট কলেজের প্রতি মায়া গুলোর সোর্স খুব সিম্পল!তবুও একে এড়াই কি ভাবে?

বিস্তারিত»

বাচ্চা মজার কাচ্চা হাসির ……

গত সপ্তাহে মুরতজা ভাইয়ের লেখা একটা পোস্টে বাচ্চাদের নিয়ে একটা কমেন্টে ওনার মেজাজ বিলা করে দেয়ায় উনি ঠাডায়া …… যাই হোক, দুঃখের কথা
আর চিন্তা না করি। মনে হলো বিলা হয়ে যাওয়া মেজাজ ঠান্ডা করার জন্যে বাচ্চাদের নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দেই।

প্রথম ঘটনাটা আমার এক কাজিনের। তার তখন ৩-৪ বছর বয়েস আর আমি তখন বুয়েটে ২য় লেভেলে। চাহিবামাত্র চকলেটের সাপ্লাই করতে রাজি থাকায় এবং কার্টুন আর কম্পিউটার গেমস সম্পর্কে ভালো আগ্রহ থাকায় বাচ্চা মহলে তখন বেশ জনপ্রিয় ছিলাম।

বিস্তারিত»

অতঃপর সেই আমি-২

পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন

ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।

বিস্তারিত»