হে প্রেম,আমি পুরুষ ও ঘর্মাক্ত হবো
আমি শক্তিশালী যুবক হবো,জটাধারী সন্যাসী নয় আর
আমার বুকে রক্ত হবে উষ্ণ ও সুগন্ধময় লোবানের মত
আমার বাহু হবে পেশল,আমার পেশী হবে সুদৃঢ়
হৃদপিন্ড হবে লক্ষ বছর তপস্যাব্রত সাধুর ন্যায় চরম তিতীক্ষার
হে প্রেম,আমি বঞ্ছিত হবো না আর
কেউ কেড়ে নেবে না আমারই মুখের গ্রাস
আমার পূর্ব পুরুষের নিন্দা করে কোন জালিম শাসক
পালাতে পারবে না অক্ষত
আমারই মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবে না কোন জাতশত্রু
প্রয়োজনে,হে প্রেম,আমি প্রয়োজনে হত্যাকারী হবো
যে রকম খাদ্যের অন্বেষণে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা করে সুচিত্রিত চিত্রাহরিণ
আমি তেমনই সুন্দরকে অন্ধ করে দেব ব্যক্তিগত ক্রোধে!
সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখ
আমি সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখের কথা বলি
দুপুরের মেঘে ভেজা ফসলের মাঠ
ঘাস ও ঘাসফুলে মৃদু চারুপাঠ
বাতাসের কথা বলি
আকাশের কাছে প্রার্থনার ভঙ্গিতে মাথা নিচু করা
বটবৃক্ষের নাম লিখে কেটে ফেলি বারবার
লজ্জাবনতা ডেওয়ার গাছ মুখ নিচু করে জলের গায়ে
নিজেকে দেখে
আমি তার ও তার স্তনরূপ ফলের স্তাবক করি
মানীকে হীন করি না,হীনকে জানাই না সংবর্ধনা
গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে জেগে উঠোনে হাটি
বিড়বিড় করে পাঠ করে নেই বিপুল আঁধার
আঁধার কাব্য
জোৎস্না আমাকে কটাক্ষ করে,মুখ ঘুরিয়ে নেয়
আমি হাসি,হা-হা,কোন মঞ্চে যেন জোকস শুনেছি
ডাইনী আমাকে মারতে আসলে চোখ টিপে দেই
সে তো হতবাক
আমি কারুকে আঘাত করি না,এর মানে নয় আমি ভালো লোক
এ হলো আমার দুর্বলতা
তবে ঠিক ঠিক মানুষের মতো রাগ জমে আমার
সাগরের কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবার ইচ্ছে আছে
কতদিন আমি সাগরের খুব কাছে যাই নি
হাসিতেও বেদনা ছড়ানো যায় একথা আমি আগে শুনি নি
সম্প্রতি জেনে আয়নার সামনে দাড়াতেই কেমন কান্না পেলো
আমার কোন কবিতায় আমি ব্যাক্তিগত দুঃখ লিখি না
এমন একটি কবিতাও নেই সুখের দিনে কাঁদতে পারি
আমি ব্যর্থতম কবি!
দোস্তের শুভ দিনে…
ছোটবেলা থেকে পেরেন্টস এর কাছে শুনে এসেছি ভালো ছাত্রদের হাতের লেখা ভালো হতে হয় আর ভালো হাতের লেখা তাদেরই হয় যারা ফাউন্টেন পেন দিতে লিখে।
কলেজে যাবার পর দুইটা কথাই যার সাথে মিলে গেছে সে আমার কঠিন এক দোস্ত। মাইরে বাপ টাইপের ছাত্র।ভালো ছাত্র দের উদাহরন দিতে গিয়ে বলা হয়, জীবনে সেকেন্ড হয় নাই। আমার এই দোস্ত কিন্তু একবার সেকেন্ড হইছে। এস এস সি তে।
আজ রুমকির বাবার জন্মদিন
আজকে সিসিবির জন্মদিন গেল, বলা যায় এই উপলক্ষ্যে অনেক পুরাতন পাপীদের লেখা দেখা গেল আজ। মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য আর ফ্রিজ খুলে মিষ্টি খাওয়ার মাঝে সিসিবি বেশ কয়েকমাসের মধ্যে আজকেই সবচাইতে জমজমাট। তবে এই উতসব উতসব ভাবের মাঝে সম্ভবত সবার অলক্ষ্যেই চলে যাচ্ছে এই ব্লগের এক পুরাতন পাপীর জন্মদিন। এদিকে মাস্ফু ভাই নাকি এই শীতের রাতে চোর ডাকাতের ডিউটিতে ব্যস্ত আর রকিব মিয়া নাকি সুন্দরী বালিকাদের চা বিলানোতে ব্যস্ত কিন্তু তাই বলেতো জন্মদিনের পোস্ট থেমে থাকতে পারে না তাই আজকে রাতের এই কী-বোর্ডবাজি আমাদের ভাতিজি রুমকির বাবার জন্য 😀
তা এই রুমকির বাবার সাথে আমাদের অনেকের পরিচয় ইন দ্যা ইয়ার নাইন্টিন নাইন্টি নাইন।
বিস্তারিত»এই দিনে…মনে পড়ে
আমাদের সবার এই এক প্রবলেম। কিছুদিন গেলেই যেকোনো কিছুর উপর দাবি জন্মায়। নিজের বলে মনে করি। তাই তো কালকে রাত থেকেই সিসিবি এর জন্মদিনে নিজের জন্মদিনের মতো খুশি খুশি লাগতেছে। আর সিসিবি এর এডু/মডূ এর উপর রাগ। এই নিয়ে কোনো বিশেষ আয়োজন নাই বলে। প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছ থেকেও তো একটা পোষ্ট আশা করতে পারি।
ইদানিং সিসিবি তে এতো নতুন আর কঠিন সব লেখক তাই নিজে লিখে,
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন
অনেকদিন ব্লগে লগইন করা হয় না, কোথাও যাওয়া হয়না, গেট-টুগেদারে গিয়ে খাওয়া হয়না- দিন দিন জীবনটা যেন তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে! এই তেজপাতা জীবন নিয়ে যে দুই-এক ছত্র লিখব- সেটা করা হয়ে উঠে না, আমার বিখ্যাত লেখকও হওয়া উঠে না ! দীর্ঘশ্বাসে ভরা এই জীবনের কাহিনী লিখতে গেলে এক বিরাট ইতিহাস হয়ে যাবে- থাক, ঐ দিকে আর না যাই।
ডিসেম্বর এক মহান মাস- আমাদের বিজয়ের মাস,
বিস্তারিত»প্রেম-যুদ্ধ-সুখ-২
ভালোবাসায়
সুখ যে নারীর,
তাহার চুড়ির ,
জরিগুলো
মাখবো মুখে
থাকবো সুখে।
সুখ ফুরোলে
যুদ্ধ এলে
দেশের ডাকে
রেখে তাকে
যুদ্ধে যাবো
কাঁদবে না সে
ভালবাসায়-
বাঁধবে না সে
যুদ্ধ শেষে
ফিরে এসে
দেখবো তাকে
আমায় দেখে
মুখ লুকোবে
আমার বুকে।
থাকবো সুখে!
এই যে দেখো,এই যে শোনো ঝড়োশ্বাসী বুকের কষ্ট
এই যে দেখো,এই যে শোনো ঝড়োশ্বাসী বুকের কষ্ট
গর্ভবতী মাঠের ফসল
ঘূর্ণিমায়া পৃথুল নারী
মন উচাটন হীরের টুকরো কালিমাময় সুখের কষ্ট!
এই যে দেখো,এই যে শোনো রাত্রি জাগা পুরুষ মানুষ
অন্ন-ক্ষুধা তীব্র মারী
আলোর বন্যা আ’ল সমতল
মানুষ নিজেই মারছে মানুষ,ছড়ায় আগুন,রক্ত ফানুশ!
এই যে দেখো,এই যে শোনো কেমন কেমন হচ্ছে লড়াই
এক পাশে তার ঢাল তলোয়ার
কামান বারুদ সবই আছে
অন্য পাশে নিঃস্ব মানুষ লড়ছে কোনো অস্ত্র ছাড়াই!
ডায়লগ সংকলনঃ মেডিকেল কলেজ ভার্সন
(ডিসক্লেইমারঃ আপনি মেডিকেল লাইনের না হলে পোষ্টটি একটু কম উপভোগ্য হবে, এই জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)
আমেরিকার মেডিকেল কলেজগুলোর স্টুডেন্টরা ৩য় বছর থেকে হাস্পাতালে কাজ করা শুরু করে, যাকে বলে ক্লিনিকাল রোটেশন। ক্লিনিকাল রোটেশনের সময় তাদের রুগী দেখার পাশাপাশি মেডিকেল চার্টে রুগীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যবলীগুলোও লিপিবদ্ধ করতে হয়। নতুন এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক মেডিকেল স্টুডেন্টই প্রথম প্রথম কিছুটা হিমসিম খায়, যার ফলস্বরূপ মেডিকেল চার্টে তাদের এন্ট্রিগুলো একটু হাস্যকর রূপ নেয়…তারই কিছু উদাহরন এইখানে উপস্থাপন করলাম…
বুকের ভেতর জল পুকুরে জমছে মান………পুড়বি তুই!
বুকের ভেতর জল পুকুরে জমছে মান
পুড়বি তুই
রক্ত নদের তপ্ত স্রোতে হঠাৎ ঢেউ
যখন ছুঁই
উদাস বাতাস কাঁপন ধরায় ওই দূরের
ঝাউ শাখায়
জোৎস্না সিঁড়ি ভাঙলো পরীর নিরর্গল
শ্বেত পাখায়
অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… ভাসা ভাসা ভাষা পর্ব
আলসেমি করে করে অনেক দিন কিছুই লেখা হয়না। এরমধ্যে কয়েকদিন আগে খেয়াল করলাম ইংরেজীতে স্বপ্ন দেখছি। দুই মাস ধরে দিনের মধ্যে ১৪ ঘন্টারও বেশি ইংরেজীতেই কথাবার্তা বললে হয়তো এইরকমই হয়ে যায়। যাহোক, মনে হলো যেমনই হোক একটা কিছু লেখা যাক।
অনেক আগে রিডার্স ডাইজেস্টে একটা জোক পড়েছিলাম৷ একটা টিন এজ মেয়ে তার মাকে গিয়ে প্রশ্ন করলো, মা, তুমি কেন বাবার প্রেমে পড়লে?
মা জবাব দিচ্ছে,
আমি সখী নষ্ট মানুষ
আমি সখী নষ্ট মানুষ, ঘুণে খাওয়া, শতেক পোড়েন মন
একশো পশুর লক্ষ আঁচড় বুকে করে ফিরছি সারাক্ষণ
তোর কী হবে আমার সাথে হৃদয় জড়ালে?
ভালোবাসায় মন পোড়ালে?
ভাবিস সখী, তুই তো সুখী, সুখবিলাসী
তোর পরানে তিরিশটা জলরঙের হাসি
ধুনচিবনের কঞ্চিতে কি আঁশ মেটে মন?
আমার অন্ধকারের বন্ধ ঘরে করবি কী তখন?
আলো হয়ে আসলি না হয়,
বিস্তারিত»আসবি কি তুই?
খেয়া নিয়ে রইবো বসে বৈতরণীর ঘাটে
রাখবি কি তুই আমার তরী’য় পা?
নইলে আমি নির্বাসনে যাবো অচিন দেশে
তোর স্মৃতি সব ফেরি করে শিমুলতলীর হাটে
দুঃখ যত ঋণ করেছি বুকে
থাকবি কি তুই সর্বনাশী দুঃখগুলো ঘেষে?
জোৎস্না রাতে বসবো একা নীলফড়িংয়ের মাঠে-
আসবি সখী ভাঙতে আমার মান?
ফেরার বেলায় স্বপ্ন যত বলবি আমায় হেসে?
একটি শোক সংবাদ
এইমাত্র খবর পেলাম আজ সকালে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের শরীয়তউল্লাহ হাউজের ক্যাডেট ওয়াহিদ নামে এক ক্যাডেট মারা গেছে।(ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না লিল্লাহে রাজিউন) ক্লাস নাইনের এই ক্যাডেটটি সকালে পিটির পরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে,সঙ্গেসঙ্গে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়,সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে নেওয়ার পথে ক্যাডেটটি মারা যায়।
আসুন সবাই দোয়া করি যেন আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করেন এবং ক্যাডেট কলেজ,তার বন্ধুরা ও তার স্বজনদের এই শোক সইবার শক্তি দেন।
এ কবিতা তুমি পড়বে না জানি…
আজকাল আমার মন কেমন করা অসুখ হয়েছে
অসুখ তো সুখ,যখন তখন
বুক চিড়ে বের হয়ে আসে সুদীর্ঘশ্বাস
যখন তখন মনে পড়ে বাল্যস্মৃতি
অতীত থকে কষ্ট এনে বুকের উপর পারদ জমাই
পারদের মতো অস্থির তুমি,বুকে খেলা করা তোমারই মুখ
ইচ্ছে করে যখন তখন তোমার চোখে ওষ্ঠ ছোঁয়াই
কষ্ট হয়;যে কারণে বুকের ভেতর খাঁ খাঁ,ফাঁকা-তাই বুঝি না
দূরে থেকে তোমায় কেমন অচেনা লাগে,চিনতে পারি না
মাঝে মাঝে কেমন একটা স্বপ্ন দেখি,হ্যালুসিনেশনঃ
হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় যে তুমি আমার উঠোনে দাঁড়ানো
আমার দিকে চেয়ে তুমি হাসছো,দেখছো-সেই যে তুমি
আমি জানি তা মিথ্যে,তবুও দেখার সময় ভুল বুঝে যাই
সত্যি যদি তুমি একবার এসে আমার জানালায় দাঁড়াও
বিশ্বাস করো,আমার সেদিন অশ্রু হবে না,কান্না হবে না
আমি কেবল তোমার অমন আকুল করা হাসিটা নিয়ে
খুব মায়াময় রূপোর ফ্রেমে বাঁধিয়ে আমি বুকে রাখবো
তোমার ঠোঁটের হাসিটা আমি আঙুল দিয়ে টেনে আনবো
হা হা হাসি,খাঁ খাঁ শূণ্য
তুমি আমার মৃত্যু অতীত জানোনা নারী,কেমন ব্যথা
বিষন্ন বিষ,নীল করে দেয় আমার সর্বশরীর জুড়ে
চোখে আমি ঝাপসা দেখি,তুমি আমার সুদীর্ঘশ্বাস!