আমায় আর কেউ না দেখুক,জানি তুমি দেখছো ঠিকই
আমার বুকের রক্তফেনা তুমি জানো অলৌকিকই
যে ঘুড়িটার সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেল মুক্ত হাওয়ায়
কী প্রবল তৃপ্তি জানো,ঘুড়িটা ফের ফেরত পাওয়ায়!
শিউলী বোঁটা ঘসে হলুদ রং করেছি আমার দেয়াল
এ কেবল তুমিই জানো,আড়াল থেকে রাখছো খেয়াল!
অনেক ভেবে দেখলাম আমি এই যে জীবন চারিপাশে
সেগুলো সব নষ্ট হলে কীই বা এমন যায় বা আসে
তাই এবার ঠিক করেছি অসৎ যত নষ্ট ঘুণে
সরিয়ে তাকে পালিয়ে যাবো অনেক দূরের নির্বাসনে
হে দয়াময় ক্ষমা করো ভুল যা ছিল পাপ অপরাধ
আমায় তুমি মুক্তি দিও;পারিনা আর এই অপবাদ
সইতে ভীষণ কষ্ট জানো,এই হৃদয়ের পাপের গ্লানি
তুমিই কেবল মুছতে পারো-আমি কেবল তোমায় জানি!
কেবল তোমার পাঁপড়ি খুলে
কেবল তোমার পাপড়ি খুলে
চেয়েছিলাম জড়িয়ে দিতে
একান্ত রোদ
সেই প্রদোষে প্রেমকে ভুলে
পুড়িয়ে নিলে রাত নিশীথে
সমস্ত ক্রোধ
ফেসবুকের ঘুম ভাঙলো (সাময়িক পোস্ট)
সারাদিন ফেসবুকে বইস্যা থাকি…আম্মা ডাকলো খাওয়ার জন্য…গেলাম।ফিরে এসে দেখি ফেসবুক নাই…নাই মানে কোত্থাও নাই।প্রক্সি দিয়েও কাজ হয় না…একটু গুগল গুতাগুতি জানলাম ফেসবুক ঘুমাইতে গেসে..কেমনে কী হইলো…তবে এইবার প্রধানমন্ত্রীর দোষ নাইক্ক্যা…অনেক দেশেই এই কাহিনী……
টুইটারে দেখেনঃ
এবং কিছুক্ষণ আগে সে ঘুম ভাঙলো…হ্যাপি ফেসবুকিং!
বিস্তারিত»তুমি প্রেম দিলে……
তুমি প্রেম দিলে
মাতাল হবো;অট্টহাসিতে বিদীর্ণ করে
মেঘলা আকাশ সিঁড়ি গড়ে দেব বুকের পাঁজড়ে!
তুমি প্রেম দিলে
আগুন হবো;ঘোর অমানিশা জ্বালিয়ে দেবো
লেলিহান শিখা দাবানলে ছুড়ে অতীত পোড়াবো!
তুমি প্রেম দিলে
জোৎস্নার রাতে একা পাড়ি দেবো আটলান্টিক
নীল চাঁদ ভেঙে ছড়িয়ে দেবো রূপোলী সাগরে!
তুমি প্রেম দিলে
কাশবনে একা রাজহাস হবো;তোমার পায়ের
নিকটে থাকবো চিরকাল প্রেমী ভৃত্যের মতো!
একটি মোবাইল কল এবং অতঃপর…
(কাহিনীটা আসলে আমার দুই জন সি সি আর ক্লাসমেট এর। কিন্তু দুইজনই ব্যস্ত থাকায় ওদের অনুমতি সাপেক্ষে আমি লিখছি।)
সেই নার্সারী থেকে শুরু করে আজ অব্দি মোস্তফার দুঃখ, সে জীবনে প্রেম তো দূরে থাক কোন মেয়ের কাছাকাছি আসার সুযোগ ও পায় নি। তাই মেয়েদের মিষ্টি কন্ঠের প্রতি তার আকর্ষণটা একটু বাড়াবাড়িই। অফিস এর চরম ব্যস্ততার মাঝেও ভর দুপুরে কোন এক নাম না জানা ভার্সিটি কন্যার অজানা নাম্বার হতে কল তাকে বিরক্ত করতে পারার কথা না।
বিস্তারিত»এক বিকেল সন্ধ্যা হয়
রঙিন মেঘ ফড়িং হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান
পাখির গান মাতাল সুর
হলুদ ফুল আজ ফোটে
আকাশ মেঘ নদীর পাড়
খায় চুমু কার ঠোঁটে
নদীর ধার কাশের বন
পাড় উজার জলের ঢেঊ
দৌড়ে যায় নূপূর পা’য়
রঙিন কাঁচ ভাঙলো কেউ
ভাঙলো কেউ পাজড় হাড়
নীল ব্যথায় মুচড়ে যায়
বুকের জল শীতল হয়
একলা রাত কান্না পায়
কান্না পায় তাই ছড়ায়
আসমানে বকুল ফুল
আগুন জল নষ্ট হয়
কষ্ট পায় সবুজ ভুল
সন্ধ্যা হয় ধূপ জ্বালায়
মিথ্যে তার অহঙ্কার
নীল ছায়ায় তার আঙুল
স্পর্শ পায় অলঙ্কার!
মোবাইল কোম্পানী খুলতে চাই!
এস এম এস কাব্য আর আমরা
অনেকদিন লেখা হয় না।তারকা ব্লগারদের সাথে তাল মিলিয়ে যদি তারকা হওয়া যায় এই ধান্দা আর কি।আর অসাধারন সব লেখার ভীড়ে লেখার মতো লেখক আমি না।
সিসিবি তে ইদানিং ছড়া কবিতার যুগ চলছে।অসাধারন সব লেখা আসছে একের পর এক।তাই ভাবলাম এই চান্সে আমাদের কিছু শেয়ার করি।
আমাদের (৯৪-০০) এর মাঝে বেশ অনেকদিন আগে থেকেই একটা ফান চলে। শুরু অবশ্য আরমান (এমসিসি) করেছিলো।
বিস্তারিত»পাঠকের ডায়েরিঃ একজন শহীদুল জহির এবং জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার গল্প
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা লেখকদের চিনতে বড় দেরি করে ফেলি। ঘড়ির কাটা ঘুরে, সময় যায় কিন্তু সময়ের স্রোতে আমরা আসল লোকদের চিনতে বড় দেরি করে ফেলি। আমরা শুধু বাজার কাটতি লেখকদের চিনি আর চিনি টিভি নাটকের লেখকদের। তারপরেও আমরা নিজেদের পাঠক বলি। তাই সামান্য কিছু পাঠকগন্ডি পেরিয়ে একজন শহীদুল জহির কিংবা মাহমুদুল হকের সাথে আমাদের পরিচিত হতে অনেক দিন লাগে। কে জানি একবার বলেছিল সত্যিকার লেখকেরা একসময় না একসময় বেরিয়ে আসে তাই মৃত্যুর পরে হলেও তাদের লেখা ডানা মেলে।
বিস্তারিত»আমি, আমার ঘুম আর আমার আম্মু
আমার অনেক বদ অভ্যাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় বদ অভ্যাস হচ্ছে পড়তে বসলেই ঘুমিয়ে যাওয়া। যখনই পড়তে বসি ঘুমে আমার দু চোখ জড়িয়ে আসে আর আমি আমার স্বপ্নের রাজ্যে বিচরণ করতে থাকি। প্রেপের সময় যখন কোনো ভাইয়া গল্প করতে দিতেন না কিংবা কোনো স্যার হইত একদিন প্রচুর জ্বালাচ্ছেন আমি তখন ঘুম। যতই পানিশমেন্ট দিক কিছুতেই কিছু হয় না। ঘুমের চোটে কত যে উল্টা পাল্টা কাজ করেছি তার ইয়ত্তা নেই।
বিস্তারিত»কবিতাঃকিছুই মুছে যায় না
কিছুই মুছে যায় না,মুছে দেওয়া যায় না
আপাত চোখে যতই অদৃশ্য মনে হোক
সবকিছু রয়ে যায় অঘোষিত প্রেক্ষাপটে
একান্ত অন্ধকারের মাঝে কালো অক্ষরে!
আপোষ্ব চোখ বুঝে থাকা তবুও ভালো
নিজেকে সজোরে চেপে ধরা অমসৃন পাথরে
ঘষে ঘষে যতই চেষ্টা হোক-মুছবে না,
খসখসে শুধু-আর আগুনের ফুলকি জ্বলতে পারে!
এখন যতই হাওয়ায় বাঁধা থাকুক বর্তমান
শ্যাওলা জমে ঢেকে যাক বুক-সবুজ আস্তরণে
ভেতরে কঠিন অস্থিমজ্জা তবু নীরবেই
আঁচড়ে বয়ে বেড়াবে গোপ্ন গভীর দাঘ!
যে নারীটি আমার ছিলো,আজ কেন সে অন্য কারো?
যে নারীটি আমার ছিলো,আজ কেন সে অন্য কারো?
আমার নারী অন্য কারো!
যে বিকেলে প্রাচীন ব্যথা আঘাত হানে মর্মমূলে
আজ কেন সে ভীষণ গাঢ়?
নিশিথ রাতে একলা পাখি হঠাৎ ডাকে তারস্বরে
আজ কেন তার ঘুম ভেঙে যায়?
যার রুমালে সুবাস ছিলো বকুলফুলের দোলনচাঁপার
যার সে রুমাল,আজ সে কোথায়?
এই বছরে কেনই বা আর একটি বারও চাঁদ উঠেনি?
শুভ জন্মদিন প্রিয় মাজহার ভাই
আমার খোমাখাতা আজকাল বড্ড অসহ্য হয়ে উঠেছে। আমি না থাকলে এই পান্ডুলিপি কে লিখে যাবে? তা নিয়ে ভাবছিনা, বরং আমাকে জ্বালায় বন্ধুতালিকার একজন একজন করে চলে যাওয়া। এ এমনই এক যাত্রা, না ফেরার দেশে যাত্রা। কি এমন বয়স, এভাবে না বলে চলে যাওয়া প্রিয় মানুষগুলো তাই বড্ড জ্বালাতন করছে। কদিন পর পরই খোমাখাতা জানান দিচ্ছে এরা নিষ্ক্রিয়, এদের আবার জাগাও। কে বলে মাজহার ভাই জেগে নেই,
বিস্তারিত»মফস্বল সংবাদ
আমাদের এই ছোট্ট শহরে আমার মত যুবক বয়সী ছেলেপেলেদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা আসলে তেমন একটা নেই। এই পাড়ার মুখে, ঐ পাড়ার চায়ের দোকানে কিংবা বালিকা স্কুলের রাস্তার উপর কালী মন্দিরের সামনে। এইসব জায়গায় অবশ্য বহু পোলাপাইন আড্ডা দেয় কিন্তু আমারা তেমন একটা জুত পাই না। আরে আড্ডা দিলে দিতে হয় দিল খুলে কিন্তু এইসব জায়গায় কি আর তার জো আছে? পাড়ার মুখে আড্ডা দিলে হাজারটা মুরব্বির সামনে পড়তে হয়।
বিস্তারিত»হাঁটুলের ক্রিয়েটিভ চিন্তা
চারপাশে এতো ক্রিয়েটিভ মানুষের ভিড় দেখে আমার মধ্যেও আজকাল ক্রিয়েটিভিটির ভূত চেপেছে। টেলিভিশন খুললেই দেখি দারুন সব ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন, অভিনেতারা সব ক্রিয়েটিভ ভাষায় কথা বলছে, ক্রিয়েটিভ বুদ্ধিজীবিদের মুক্ত বুদ্ধির চর্চা, রাজনীতিকদের দেশ গড়ার ক্রিয়েটিভ ভাবনা, প্রতিশ্রুতি, ক্রিয়েটিভ রাজনৈতিক কূটচাল কত কি! ঘরে বাইরে সব জায়গায় ক্রিয়েটিভিটির ছড়াছড়ি। ফেইসবুক, ব্লগ যেখানেই ঢুকি সেখানেই ক্রিয়েটিভ সব ভাবনা, ক্রিয়েটিভ সব পোস্ট। রাস্তাঘাটে, ক্যাম্পাসে, চায়ের দোকা্নে, রেস্তোরায় সব জায়গায় ক্রিয়েটিভ ব্যবসা,
বিস্তারিত»