পারভেজের জ্বরটা আমাদের দুজনের বেইস ক্যাম্প আসার পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এর মধ্যে আরো কিছু ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এক স্যার ফল ইন করিয়ে সবাইকে বলে দেন যে পরের দিন(আজ) একটা টিম কে আবার বাক্ষিমের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হবে যখন বাকি সবাই রওনা দিবে বেইস ক্যাম্পের উদ্দ্যেশে। স্যারের কথা বলার ধরনটাও ঠান্ডা, কারণ খুব সম্ভবত এটাই যে এ পর্যায়ে এসে বেইস ক্যাম্পের পথে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে,
আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।
কিছুকাল আগে লোকে রাজনীতির ময়দানে জলিলের ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখেছে, এবার বাংলা সিনেমার জগতে ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখা গেছে। আর এই ট্রাম্পকার্ডের ও মূল চরিত্র সে একই নাম- আবদুল জলিল। তবে এই জলিল সাহেব ব্যাঙ্ক ব্যবসায় মন দেননি তিনি মূলতঃ মন দিয়েছেন কাপড় ব্যবসায়, যার আজকাল কেতাবী নাম হয়েছে তৈরী পোষাক শিল্প। আর বস্ত্রবালিকাদের শ্রম নিংড়ানো এই ফটকাবাজিতে কিছুলোক দেশে বেশ টাকাওয়ালা হয়ে উঠেছে। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব-এম,এ,জলিল ওরফে অনন্ত।
ব্লগে একদম নতুন এসেই আমার ক্লাসমেট হায়দার এর “বাণী চিরন্তনী – ক্যাডেট ভার্সন” পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম। এরপর আমার মাথায় কলেজের কিছু উক্তি ঘুরাঘুরি শুরু করছে। চিরন্তনী টাইপ না হইলেও আমার এখনও মনে আছে। (হায়দারকে বলে নিছি, যাতে সে আবার কপিরাইট মামলা না করে দেয়)
১। কলেজে তখন ইংরেজীতে কথা বলার উপর খুব জোর চলতেছে। আমদের সাথে সাথে মাঝে মাঝে স্যাররাও ঝামেলায় পড়ে যেতেন।
Disclaimer: এখানে বলা সকল কথা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।কাউকে দায়ী করার জন্য বা কারো দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা আমার উদ্দেশ্য নয়,তাই আমি চাইনা এই কথাগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক হোক।আমার কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাই আমার উদ্দেশ্য,তাই সবাই নিজ গুনে আমার অজ্ঞতা মাফ করবেন।
গত ২৮শে এপ্রিল ছিলো ক্যাডেট কলেজ ডে।২৫ তারিখে এক বড় ভাই জানালেন যে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নাকি তা ৩০শে এপ্রিল উদযাপন করা হবে।তাই ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পক্ষ থেকে রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েশন (ROCA) এর জন্য বরাদ্দ করা কিছু কার্ড জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার দায়িত্ব পড়ল আমার উপরে।এই দায়িত্ব পালন কালে এবং এই প্রোগ্রামে গিয়েই আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসে ও নানাজনের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন পাই যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা তো নেইই বরং অন্য কারো কাছেই সদুত্তর পাইনি।তাই সিসিবির কাছেই আশ্রয় নেয়া এবং এই লেখার অবতারণা করা।
গানের ভাষায়- প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ,ঘুষ খাওয়া কখনোই নয়।এতো বড় অন্যায় কথা।তাহলে তো সবার আগে বদলাতে হবে নিজেকে।মানে ঘুষ খাওয়া ছেড়ে চুমু খাওয়া শুরু করব?হ্যাঁ,আপনি শুরু করুন,বাকিরা ঠিকই বদলাবে।বদলে যাও,বদলে দাও।তা কি হয়?কিন্তু আমার যে অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস নেই।ওদিকে অনেকেই আবার বারণ করছে,সবকিছু বদলে দিতে নেই।
যাই হোক অত অদল-বদলের মাঝে আমার প্রেমিকারা ও বদলে যাচ্ছে।আমিও তো বদলে যাচ্ছি।দিনদিন রাজনীতিবিদদের মত আরো বেশরম-বেহায়া হয়ে উঠছি।তবে সব বেহায়াপনার যে শেষ থাকে,এটা ও আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি!এই যেমন কিছুদিন আগে জলবিয়োগ করতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম।মনে মনে ভেবেছি এই দেশে ন্যায়মূর্তিরা যখন বিদেশী কূটনৈতিকের বাসার দেয়ালে মূত্রত্যাগ করেন,আমি করলে কি আর এমন ক্ষতি?যেই ভাবা সেই কাজ।কিন্তু অদৃষ্টের কি পরিহাস!ঠিক তখনই পাশ দিয়ে যাচ্ছিল আমার প্রেমিকার ছোট বোন!এমনই পরিস্থিতি অবাধ জলধারা ও নিমিষেই থেমে গেল যেমনটি মাঝপথে নদী শুকিয়ে যায়।মনে মনে ভাবি,ন্যায়মূর্তি তো পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে আর আমি সাক্ষাত যমের কাছে।মান-ইজ্জত কি আর থাকে?
[কৈফিয়ত-ইদানিং বেকার সময়টা বড্ড বেশী যাচ্ছে,তাই এক মাসে চারটা পোষ্ট! তবে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসতে ও আমার সময় বেশী লাগেনা, তার আগেই যা পারি সেরে নেই। 😀 ]
ভালবাসা মানেই কী একধরণের বিনিয়োগ? অন্ধ প্রেম মানেও তো আবেগের চরম বাসনায় প্রতিদানে ভালবাসা ফিরে পাওয়া।এও তো একধরণের স্বার্থপরতা নাকি? তাই একে মুনাফা না বলে কী আর উপায় আছে? তবে মাঝেমাঝে বিনিয়োগটা বড্ড বেশী হয়ে যায় যার আসল উঠে আসেনা অত সহজে।
( লেখাটি উৎসর্গ করলাম বাংলা সিনেমার সেই সব নায়িকাদের,যারা এই দেশের খেটে খাওয়া অতিসাধারণ মানুষের স্বপ্নের রাণী হয়ে আজো বিনোদন যুগিয়ে যাচ্ছেন।)
সবসময়ই একটা কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এই বাংলা সিনেমাওয়ালাদের। কিন্তু মজা হল,প্রশ্নটা না যত কঠিন এর উত্তরটা ততটাই সহজ।নায়িকারা এত মোটা কেন?এই স্থূলকায় স্বাস্থ্যবতী মেয়েদেরই কেন এত চাহিদা?পেশাগত কারণে আমি এই প্রশ্নটা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সিনেমাসংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে।একজন পরিচালক আমার এই অতিসাধারণ প্রশ্নে সরাসরি যা বলেছেন-‘দর্শকের চাহিদা হল নায়িকার গায়ে গোস্ত থাকতে হবে!তা না হলে ভালো বাজার পাওয়া যায়না’।একই প্রশ্নে একজন জনপ্রিয় নায়িকার উত্তর ছিল-‘আমি যখন প্রথম আসি বেশ স্লিম ছিলাম,কিন্তু আমাদের দেশের সিনেমার সাধারণ দর্শক চায় নায়িকা একটু মোটা হলে ভালো হয়,তাই আমি ইছেকরেই মোটা হয়েছি,এছাড়া অন্য কিছু নয়’।
[লেখাটা আমার দুইজন প্রিয় বন্ধু টিটো আর কামরুলকে উৎসর্গ করলাম।যে দুজন মানুষের সাথে আমি চলচ্চিত্রের অনেক ভাবনা শেয়ার করেছি,তা ভেবে অনেক স্বপ্ন্ব ও দেখেছি।তা অতীতের কথা কিন্তু এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,এই দুজন একসময় মহৎ কোন শিল্প তৈরী করবে।আর এই লেখাটা নিয়ে নানান হা-হা,হি-হি আর ইমোর মাঝে ভাবনার খোরাক যোগাক,এটাই আসল কথা। 😉 ]
বাংলা সিনেমা নিয়ে লোকে নাক সিঁটকায়,এ আর নতুন কিছু নয়।কোন ভালো গল্প নেই,ভালো চিত্রনাট্য নেই,টেকনিশিয়ানরা দক্ষ নন,সঙ্গীতের অবস্থা খুবই সঙ্গীন,অভিনয় যাচ্ছেতাই,গুণী পরিচালকের অভাব-এরকম বিস্তর অভিযোগ।কিন্তু তারচেয়েও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে-তথাকথিত রুচিশীল দর্শক বলে নিজেকে যারা উন্নত মনে করেন,তারা কি ভালো চলচ্চিত্রের কোন চাহিদা বাজারে তৈরী করতে পেরছেন?এওতো সত্য যে,দিনশেষে চলচ্চিত্র একটি পণ্য,যার ভিত্তি পুঁজির উপর দাঁড়িয়ে কিন্তু অন্য আর দশটা অর্থনৈতিক পণ্য থেকে এটি একটু আলাদা করা যায়,কারন এর একটা শিল্পগুণ রয়েছে যার সাথে কিছুটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে।তাই এই পণ্যটিকে বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুধু যোগানদাতার দোষ খুঁজলে হবেনা,চাহিদার দিকটাও দেখতে হয়।
আজ রাতে শীত আসলেই বেশি পড়েছে, সামান্য এই চাদরে কিছুতেই মানতে চাইছে না। শীতে খাটের উপর রেবেকা কেমন গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে, দেখে মায়াই লাগে। আহারে মেয়েটা কত রাত না জানি, না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। কম্বলটাও পুরান, পাতলা। রেবেকার শীত মানছে বলে মনে হয় না, কিন্তু শালা কিছুই করার নেই। বিয়ের পর মেজ ভাই যে নতুন কম্বলটা পাঠিয়েছিলেন করাচী থেকে বেশ ওম হত ওটাতে। কিন্তু সোলাইমানের বাচ্চা সব নিয়ে গেল।
লোকে আমার নাম নিয়ে ঠাট্রা-মশকরা করে বেশ মজা পায়।আর প্রেমিকারা ও তা থেকে বাদ যাবে কেন? এ সুযোগ কি আর ওরা হাতছাড়া করে? আমার বাপজান কত শখ করে আয়োজন করে নাম রাখার জন্য লোকবল খাইয়েছে আর সেই নাম নিয়ে মশকরা !এতো হবেই কারণ উনি কি আর জানতেন,ভবিষ্যতে এই নামে রুপালী-পর্দা কাঁপানো এক নায়কের আবির্ভাব হবে,যার জনপ্রিয়তা নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে এতটাই প্রবল হবে যাতে আমাদের মত ড্রইংরুমকেন্দ্রিক দর্শক তাতে নাক সিঁটকাবেন?
বাংলাদেশের খেলা দেখলে সবসময়ই মেজাজ খারাপ হয়।আগে হইত প্লেয়ারগুলার ঢুসঢাস আউট হওয়া দেখলে আর এখন
আম্পায়ারগুলার কাজকাম দেখলে।রড টাকার আর টনি হিল্রে যে কি করতে ইচ্ছা করতেসে…দেখা যাক কালকে কি হয়।আমার মত মেজাজ খ্রাপ
কইরে লাভ নেই বইসে বইসে জুক্স পড়েন। =((
আগামী ০১ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে আমাদের এইচ এস সি এক্সাম।দেখতে দেখতে ক্যাডেট লাইফটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে!লাস্ট ড্রিল,লাস্ট পিটি,লাস্ট সোসাইটি করতে করতে লাস্ট কম্পিঊটার ক্লাসটাও করে ফেলতেসি!এইটাই হয়ত ক্যাডেট হিসেবে সিসিবি’তে আমার লাস্ট লেখা!দু একদিনের মাঝেই ব্লক মাফ হয়ে যাবে,গেমস পিটি করি না গত এক মাস ধরে।অবশ্য গতকাল ও ইডি করতে হলো!
যাই হোক,ভাইয়ারা,আপুরা সবাই দোয়া করবেন!
গত ১৮ তারিখ রাতে ঢাকার র্যাডিসন হোটেলের বলরুমে হয়ে গেলো মার্সিডিস বেঞ্জ এর নতুন দুটি মডেল গাড়ি এর উন্মোচন অনুষ্ঠান ।
এর মাঝে মূলত যেই গাড়ীটি ফোকাসে ছিলো সেটি হলো “2010 Mercedes-Benz E Class Coupe”
প্রথম দেখায় ভালো লাগার মতো গাড়ি। জটিল। আর আফসোস লাগার মতো যে আমার হবার চান্স নাই।
২৯-১১-০৯
আমার জীবনের সবচাইতে কঠিন দুটি দিন পার করে আমি এখন hmi বেইস ক্যাম্প এ । তবে কেন যেন মনে হচ্ছে আমি এদুদিনের কষ্ট খানিকটা মনে করতে পারলেও তা লিখতে পারবোনা। এ যে ভাষায় প্রকাশ করার মত না। জীবন আমাকে সামনে কোথায় নিয়ে যাবে তা বলতে পারিনা, তবে এটুকু জানি যে, এই দুদিনের কষ্টটুকু আমার ভোলা চলবে না, কিছুতেই না। এত কিছু পার করে যেখানে আমরা আসলাম তার জন্য অবশ্য আমার এই ৩৫০ পৃষ্টার ডাইরি খুবই ছোট।