শীতের বেলায় মজার খেলায়
দমকা হাওয়া এসে,
ঝরতে যাওয়া পাতায় ছাওয়া
গাছকে ভালবেসে।
তারেক ভাই এবং তার কাঠের সেনাপতি
বই মেলা আসলেই ক্যাম্পাসে একটা অন্য রকম সুবাস পাওয়া যায়, বইয়ের সুবাস। এই সময়ে শামসুন্নাহার হলের কোণায় বা লাইব্রেরীর সামনে আড্ডা গুলোর থেকেও বেশী টানে মেলা। অবশ্য টানারই কথা, বালিকা আর বই দর্শনের এমন সুযোগ আর কোথায় পাওয়া যাবে বলেন। তবে অনেক সময় এই দর্শনটাই সার হয় কারণ বালিকারা যেমন আমাদের পাত্তা দেয় না তেমন সব বই এই গরীব মেধাবী ছাত্রদের পক্ষে কিনা সম্ভব হয় না।
এলোমেলো-৬: সিনেমা পারাদিসো
কোন এক সুন্দর সকালে মোকা (মোকাদ্দেস,ককর, ‘৯৪-‘০০) আমার হাতে একটা ডিভিডি ধরিয়ে দিয়ে বলল, “মুভিটা দেখ, তোর ভালো লাগবে”। তখন হলে থাকি, মুক্ত-স্বাধীন জীবন। ঘুরাঘুরি, আনন্দ, গান শোনা আর মুভি দেখার জীবন। ও হ্যাঁ, মাঝে মধ্যে একটু-আধটু পড়াশোনার জীবনও। আমরা একই হলে থাকতাম, রুম ছিল কাছাকাছি। যা বলছিলাম…মোকা সাধারণত “হাই থট”-এর মুভি দেখে, আমাদের মত ম্যাঙ্গো পাবলিকের এন্টেনার উপর দিয়ে চলে যায় এসব ছবি। খুব বোরিং সময় যাচ্ছে আর হাতের কাছে নতুন কোন মুভি নাই- এই ধরণের পরিস্থিতিতে সাধারণত মোকার কাছ থেকে ছবি নেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকত না।
বিস্তারিত»বাণী চিরন্তণী – ক্যাডেট ভার্সন
১। কামরুল স্টাফ এর কমন ডায়লগ – স্টার্ট ফ্রন্ট্ররোল বিগিন
২।ক্যাডেটদের উৎসাহ দিতে গিয়ে ওভার অল ডের আগের দিন হাউস এসেম্বলি তে গোমতীর হাউস মাস্টার- ( অলরেডী পযেন্ট এর ব্যবধান এতই বেশী যে গোমতী থার্ড নিশ্চিত )
” স্টিল দেয়ার ইজ এ হোপ টু বিকাম চ্যাম্পিয়ন”
৩। আমাদের সারোয়ার ভাই একবার লাইটস অফ এর পর তিতাস হাউস এ এলেন আর পড়ে গেলেন হাউস প্রিফ্রেক্ট এর সামনে।
বিস্তারিত»কোথায় আছেন?
এক দশক হয়ে যাচ্ছে কলেজ ছেড়েছি, প্রায় কারও সাথেই যোগাযোগ নেই। কয়েকজন শিক্ষকের ঠিকানা জানা দরকার, মনে হলো, সিসিবিতে জিজ্ঞেস করাটাই সবচেয়ে ভাল হবে।
যারা এখনো বিভিন্ন কলেজেই পড়াচ্ছেন, তাদের বোধহয় পূর্ণ ঠিকানার প্রয়োজন নেই, কোন কলেজে আছেন সেটা জানতে পারলেই চলবে। আর ইতিমধ্যেই কলেজ ছেড়েছেন যারা, তাদের পুরো ঠিকানা যদি পাওয়া যায়, তাহলে গ্রেট।
১। আবু মুহম্মদ রইস স্যার ও লতিফা ম্যাডাম
২।
আনন্দ আশ্রম-
কুমিল্লায় এসে যখন পৌঁছলাম চারিদিকে তখন স্বরস্বতী পুজার আমেজ। গত রাতে জগন্নাথ হলে গিয়ে ঘুরেছি অনেক। আগে প্রতি বছর অনেকটা সময় কাটতো ওখানেই। আর এবারে হুট করে ঘুরে আসা খানিকটা, অতিথির মত আলগোছে। চারুকলা প্রতিমা বসায় পুকুরের মাঝে, চিরকালই, সেখানে গিয়ে প্রতিবারের মতই মুগ্ধতা একরাশ। অনেক অনেক ছবি। তারপরে, মানুষের ভিড়ে হাঁটতে হাঁটতে জগন্নাথের মাঠে। সেখানে পুরনো অনেক বন্ধু, আলিঙ্গন, উচ্ছ্বাস। আবারও অনেক অনেক ছবি।
বিস্তারিত»আমার প্রেমিকারা-৫
‘পুরুষ মানুষের মন আর নারীর দেহ,এই দুইটার-ই কপিরাইট থাকা দরকার’। কথাটা প্রথম যখন শুনি,হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তারপর ভেবে দেখলাম-এ আবার কেমন কথা? গুরু বললেন- এই দুইটার কপিরাইট করা থাকলে এই পৃথিবীটায় আর কোনোদিন কোনো ঝামেলা থাকতোনা।যত নষ্টের গোঁড়া,এই দুই বিষফোঁড়া।
আমি ভেবে অবাক হই-তাইতো গুরু, আপনিতো ঠিক বললেন।আমার নিজের এই মনটার ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর করার স্বভাবটার মিল বুঝি এখানেই খুঁজি পাচ্ছি।কবির ভাষায় বলি-
‘আর পারছিনা গুরু,সেই ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু’।
ধারাপাত-৩
১.দুবোর্ধ্য
———–
খিকজ !
অন্ধকারে বসে
জানো এষা আজ
আমার এখানে বড় বেশী অন্ধকার
আদিম কিছু মানুষ বুকে জিঘাংসা নিয়ে
রক্তচক্ষ বেড়ায় ঘুরে হিংস্রমতন!
জানো এষা এই
আমরা যেন ফিরে যেতেছি আদিম যুগের ষাট প্রহরায়
কেন যেন এই পিছে ফিরে চলা অন্ধ আমরা
চক্রমশ চলেছি অতীতের কোন বরফের দেশে!
প্রেম যুদ্ধ সুখ-৪
কিশোরী জানে না আমি এক অন্ধ অবোধ বালক
আমার হাতে পতাকা ধরিয়ে একটি লোক
মিছিলে টানে যুদ্ধে টানে!
আমার প্রেমিকা যুদ্ধ বোঝে না,প্রেম চায় শুধু
বিপ্লবে নয়,কাব্যে জানে সে
শিল্পীর মন দ্রবীভূত হয়!
আমি তবু থাকি বড়ো নিশ্চুপ বুকে বিপ্লব
পতাকা নিয়ে,উজ্জ্বল রঙ প্লাকার্ড নিয়ে
মিছিলে দাঁড়াই!
আগুনের লাল মশাল জ্বেলে আধাঁরে দাঁড়াই
তখন বারুদে ঘন অবরোধে নিঃশ্বাস দায়
আমার প্রেমিকা যন্ত্রনা দেয় আরো!
বুকের মধ্যে অনেক ফাটল
রাত বাড়তেই ক্রমশ আমি মানুষ হয়ে উঠি
লোভ-কাম-ক্রোধ-পাপচিন্তা বাড়িয়ে হাতের মুঠি
সব টেনে নেই বুকে
বুকের ভেতর লক্ষ ফাটল,তার কোনটায় ঢুকে
নষ্ট মাথার চিন্তাগুলি,খায় খুটে খায় মড়ার খুলি
সেই মৃত কি আমি?
আয়নাতে মুখ দেখতে গিয়েও থামি
ভরসন্ধ্যায় শ্মশানঘাটে বসে
এসব যত চিন্তা ভেবে ঘামি!
সুজাতাকে প্রেমের কথা বলে
নিয়ে গেছি বৈতরণী নদীর কাছে-হাত দিয়ে সেই জলে
পালিয়ে গেলাম মানুষ ছেড়ে অচেনা জঙ্গলে
সুজাতা কি একা সেদিন ফিরতে পেরেছিল?
খুশকি – ৭
প্রিন্সিপাল এসেম্বলী!! (সিসিবি ভার্সন) পর্ব ৩ এর উদ্ধৃতাংশঃ
ব্লগে ‘৯২ এর ভাইদের আনাগোনা অন্যন্য অনেক ব্যাচের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। বেশ কয়েকজন আছেন মোটামুটি চেষ্টা করেন রেগুলার থাকার জন্য। প্রথমেই আসলেন রহমান ভাই। পিকনিকে অল্পের জন্য আসতে না পারার যন্ত্রণা কিছুটা হলেও ভোলার জন্য এবার আগে থেকেই সব ম্যানেজ করে রেখেছিলেন। ব্যাপক মাঞ্জা মেরে, চুল ব্যাক ব্রাশ করে এসেছেন!
-রহমান ভাই,
একটি চিত্রকল্প……
দমকা হাওয়ার মৃদ্যু দোলা হাস্নাহেনার ঝাড়ে
দাগ রেখে যায় রাতের
মনের ভেতর চঞ্চলিত স্বপ্ন স্পর্শ পায়
ভীষণ উদার হাতের!
সেই পুরোনো আদ্যিকালের রাজপ্রাসাদের ইট
শ্যাওলা দিয়ে ঢাকা
তার উপরে উপুর করে মেলছে আঁধার ছায়া
গন্ধরাজের শাখা!
মেঘের স্রোতের আলতো ছোঁয়ায় কাঁপছে তিরতির
মলিন রূপোর চাঁদ
তার আলোতে ঘ্রাণস্মৃতিময় বাড়ছে ধীরে ধীরে
রহস্যময় রাত!
পাঠকের ডায়েরীঃ লারা
কিছু কিছু বই আছে কেন জানি পড়া হয় না। পড়া হয় না মানে হয়ত বইটা কাছেই আছে কিংবা চাইলেই পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় তবুও কেন জানি আর পড়া হয় না। কলেজে টেস্ট বা প্রিটেস্ট কোন একটা পরীক্ষার আগে ফর্মে আমার পাশে বসে বসে ইরফান একটা বই পড়ে, উলটে পালটে আবার পড়ে এবং পড়া শেষে প্রত্যেকবার বলে- রাশেদ বইটা পড়িস কিন্তু। কিন্তু আমার আর পড়া হয় না।
বিস্তারিত»আমি লোভী নই…তবুও আজকাল
আমি লোভী নই: তবুও আজকাল মাঝে মধ্যেই
লোভ আসে সুচতুর জোয়ারের মতন
বুকের মধ্যে দীর্ঘ বছরের জমানো লোভেরা বেড়ে উঠে
বিকেলে বৃক্ষের ছায়ার মতো দীর্ঘতর হয় জ্যামিতিক হারে।
আজকাল খুব ইচ্ছে করে কৈশোরের যুক্তিহীনতায়
ফিরে গিয়ে চোখে রাখি রঙিন চশমা
ঠোঁটে মৃদ্যু গুঁজে দেই সাদা সিগারেট
তারপর উদ্ধত ভঙ্গিতে হেটে যেতে আঙুলে চিরুণী চালাই চুলে।