একজন বড়আপা অথবা আমাদের মা নয়তো কোন স্নেহময়ী নানু

আমার নানার তখন ১০ জনের সংসার।শাহীনবাগের আধপাকা তিন রুমের নিজ বাড়ী আর নানার সরকারী চাকরীটা তখন এই পরিবারের সম্বল।বাসার বড় বোন হিসাবে আম্মুকে তখন একহাতেই সব সামলাতে হতো।ছোট ভাই বোনদের খাবার,গোসলের পানিটা কল থেকে তোলা,পড়াশোনা আম্মা বেশ ভাল ভাবেই সামলাতেন।এক ভাইকে কোলে নিয়ে আরেক বোনকে পড়াটা দেখিয়ে দিতে দিতেই রান্নাও করতেন।আমার মামা,খালারা এখনও মাঝে মাঝে ই গল্প গুলো বলেন।বড় আপার প্রতি সম্মান এর চাইতে ভালবাসাটি তাদের বেশী।তাইতো দেখি তাদের অতি ছোটখাটো কোন আয়োজনেও আমার মা কে তাদের চাই।সুদূর কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া থেকেও তারা তাদের বোনটিকে ভুলে যায় না একবারও।সেই কষ্টের দিনগুলোতেও আমার মা একবারও পথ হারাননি।আমার নানা তার শেষ দিনগুলোতে অনেক কথা বলতেন আমার সাথে।আম্মার জন্য নানা যত দোয়া করে গেছেন তাতে অন্য ভাই বোনের হিংসা করতে ই পারে ।

বিস্তারিত»

নাম ছাড়া…

৩০ এ এপ্রিল, ২০০৩, নাদান একটা :frontroll: হিসাবে ক্যাডেট কলেজে ঢুকসিলাম, ক্যাডেট কলেজে ঢুইকা প্রথম দিন সবাই :(( , আমার কেন জানি কান্দা আইতেসিল না, বরং বেশ আনন্দ লাগতেসিল, যাই হোক দুইদিন বাদেই আমার ভুল ভাংলো, শুরু হইল ক্যাডেট কলেজের বাশ, ড্রিল খুব একটা ভাল পারতাম না, স্টাফ এর প্যাদানি খাইতে খাইতে জীবন প্রায় যায় যায়, সাথে ক্লাস ৮ এর সিনিয়ারদের জালা ত আসেই। মনে হইত কবে বাইর হমু “ক্যাডেট কলেজ”

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য

[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।

বিস্তারিত»

এক সংগ্রামী ছেলের চিঠি

মা,
আমি জানি, তুমি আমার এ চিঠি পড়ে মন খারাপ করবে। সেই যে আমি বাড়ি থেকে চলে এসেছিলাম,তারপরে তো আর বেশিদিনের জন্য তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমুতে পারিনি। কথা দিচ্ছি মা, এইবার একেবারে আমি আমার সব কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরব।

তুমি  কি এখনো আমার পথ চেয়ে বাড়ির উঠোনে বসে রও ? এখনো কি তুমি আমি রাতে ফিরতে পারি ভেবে মোটা কাঁথায় বিছানা করে রাখ ?

বিস্তারিত»

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম…………

আজকে বাসা থেকে আই.ইউ.টি ফিরছিলাম ২৭ নাম্বার এ। পাশে এক লোক বসা। দেখলাম লোকের হাতে একটা ছোট খাতা। হঠাৎ উনি খাতা টা খুলল। দেখলাম ছোটদের ইংরেজি লিখার খাতা। ভিতরে একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি। উনি ছবিটার দিকে তাকায় থাকল বেশ কিছুক্ষণ। পরে খাতাটা বন্ধ করলেন। দেখলাম উনার চোখে পানি। অবাক হয়ে দেখলাম কিছুক্ষণ। অদ্ভুত একটা দৃশ্য। বাস থেকে নামার একটু আগে জিজ্ঞেস করলাম “আপনার মেয়ে?”
হাসি দিয়ে বললেন “হ্যাঁ”

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল……..

মোটামুটি বছর খানেক হয়ে গেছে সিসিবি তে আসি। চুপচাপ ব্লগ পড়ি, চলে যাই। অনেক দিন চেষ্টা করছি কিছু একটা লিখার। কিন্তু কিছুই মাথায় আসেনা।

আজকে ঠিক করলাম যা খুশি লিখমু। কেউ তো আর গালি দিব না। চিন্তা কিসের??

কলেজ থেকে বের হলাম আজ প্রায় চার বছর। এখন আই.ইউ.টি তে ফাইনাল ইয়ার। আমাদের কলেজ এর ১৩ জন আছি আমরা এখানে। তাই আসলে এখন ও কলেজ এর মত ই লাগে।

বিস্তারিত»

এইসব সাদাকাল দিনে-০৪

০।
আজকাল প্রায় সকাল আটটার ক্লাস করা হয় না। স্যার ক্লাসে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলে আর ঢুকার উপায় নেই তাই প্রায় দিন চার তলায় উঠে দেখি ক্লাসের দরজা বন্ধ ঘড়িতে তখন হয়ত আট’টা পাঁচ বা ছয়। এইভাবে ক্লাস মিস করতে করতে ভাবি কীভাবে যে কলেজে থাকতে সকালে পিটিতে যেতাম তা শুধু আল্লায় মালুম। সেভেন এইটে ডিউটি ক্যাডেট থাকতে হুইসেলেরো আর অনেক আগে উঠে কীভাবে অন্যদের জাগাতাম এইটা এখন আমার নিজের কাছেই এক সপ্তমাশ্চার্য।

বিস্তারিত»

নোটিশ

প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে,আমার আরও কিছু ( ৭ খানা ) পেইন্টিং একটি গ্রুপ এক্সিবিশনে যাইতেছে । আরও আনন্দের বিষয় হইলো ঐ একই এক্সিবিশনে আরও ৩ পিস এক্স ক্যাডেটের ছবি যাইতেছে । এখন আপনারাই বলেন , আমার গত এক্সিবিশনে যারা যামু যামু কইরাও যান নাই , আমার জন্য না গেলেও ৪ জন এক্স ক্যাডেটের এক্সিবিশন হিসেবে ঐখানে ১বার ঢুঁ মারাটা আপনার কর্তব্য হইয়া যায় কীনা?

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৬, পদ্মা রিসোর্টে আমরা কয়েকজন

ব্লগার দের জন্য আবারো আমি সেলোগ্রাফী নিয়ে হাজির। যার যে স্বভাব।
আমরা কতিপয় কিছুদিন আগে ঘুরে আসলাম পদ্মা রিসোর্ট থেকে। কঠিন শীত যখন ছিলো।
সেই দিনের কিছু ছবি।
যাত্রা হলো শুরু

হাসি খুশি

আমেরিকা ফেরত কিবরিয়া আর পরাগ গল্প শুনায়

এ দোস্তি......

মাফিয়া ইমরান

পদ্মার পাড়ে

আবারো সবাই

নৌকায় করে পদ্মা রিসোর্ট এর পথে

আরমান এর পোজ

রিসোর্ট এর প্রবেশ পথে

আমাদের সিসিবি এর আদনান এর ভাবস

খাবার খাবার ক্ষুধা ক্ষুধা

ঘোরাঘুরি

পদ্মার চরে

আহা কি দোস্তি সাদিকুর আর আদনান এর

কেউ কি দেখে ফেললো?(একমাত্র ব্যাচেলর জোড়া)

জোড়ায় জোড়ায় নৌ ভ্রমনের পথে

ধুর, আমেরিকায় এরকম নৌকা নাই কেন

আমরা সব নৌকায়

পদ্মার ঢেউ রে......

আমরা কজন নবীন মাঝি

আম পাতা জোড়া জোড়া...

ভাবী সমগ্র

বজরা নৌকা মনে হয়

যাত্রা হলো সারা

আসার পথে আবারো কিবরিয়ার আলোচনা

বিস্তারিত»

আমার সৌভাগ্য

২০০৮ সাল। আমি তখন ক্লাস ১২ এ পড়ি। সেদিন ছিল প্যারেন্টস ডে| সেই ক্লাস সেভেন থেকেই আমার প্যারেন্টস নিয়মিত আসে না। আসলেও অনেক দেরী করে আসে। আমিও বুঝি সেই মংলা থেকে কুমিল্লায় প্যারেন্টস ডে’গুলোতে আসা কতটা কষ্টকর। তাই আমি নিজেই মাঝে মাঝে আসতে নিষেধ করতাম। কখনো খুব বেশি খারাপ লাগে নি। এমনকি আমাদের এস,এস,সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যখন আর সবার বাবা মা এসেছে। তখন অভিভাবক শূন্য হয়ে আমার খুব বেশি খারাপ লাগে নাই।

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৫, ACOC পিকনিক,২০১১

ভাই ও বোনেরা, (জ্বী সিসিবি তে এখনো আমার ভাই, বোন ছাড়া কোনো অতিথি নাই)

বহুদিন পর আমি আবার হাজির আমার অতি (কু/বি/অ)খ্যাত সেলোগ্রাফী নিয়ে। কিছু করার নাই। বহুদিন ফাকিবাজি করি না। আবার দেখি অনেকে তারকা ব্লগার দের লেখা খুজে। তাই ভাবলাম এই চান্সে পোষ্ট দিলে তারকা ব্লগার লিস্টে নাম এন্ট্রি হয়ে যেতে পারে, হয়তো আগামী জন্মদিনে পোষ্টও পাইতে পারি।

কিছুদিন আগে হয়ে গেলো ACOC এর পিকনিক।

বিস্তারিত»

অতীত আর বর্তমানের আমি

আমার একটা বাজে স্বভাব আছে। হুটহাট আমি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। ক্লাসে স্যার লেকচার দিচ্ছে কিন্তু আমি অন্য রাজ্যে। এরকম আরো অনেক সময়। এটা বোধ হয় ছোটবেলা থেকেই আমি ৮-১০ ঘন্টার জার্নি করতাম তার ফসল। এখনো ঢাকা শহরে প্রতিদিন ভালই জার্নি হয়। এই কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবার একটা বড় সুবিধা আছে। যে কোনো সময় যে কোনো গান শোনা যায়, যার সাথে ইচ্ছা কথা বলা যায়,

বিস্তারিত»

……আরও কিছু সিসিসি ডায়লগ

……ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরে প্রত্যেক ক্যাডেট কতই না আজব আজব ডায়লগ এর সন্ধান পায়। আর এই নিয়ে লেখাও হয়ে গেছে প্রচুর। আরও কিছু ডায়লগ মনে পড়ল, ভাবলাম শেয়ার করি।

১. এস এস সি র লম্বা ভ্যাকেশন কাটিয়ে ক্লাস ইলেভেনে ব্যাক করলাম ১৯ইনটেক। ডিসিপ্লিনের অবস্থা তখন যা হয়। তাই এ্যাড্জুটেন্ট স্যার ক্লাসের সবাইকে ডাকলেন অডিটরিয়ামে। আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন আমাদের সমস্যা কোথায়। আমরা সবাই চুপ-চাপ জন্য স্যার নিজেই বলে উঠলেন,

বিস্তারিত»

ঘুমোবার পর

এভাবেই স্বপ্নে বাঁচে আমাদের খামখেয়ালী
আমাদের আদর পাওয়ার তুমুল দাবী
এমনই সোহাগ কুড়ায় পৌষের দীর্ঘ ছায়া
বিকেলে উদাস হওয়ার গোপন চাবি।

এখানে কেউ ছিল না,এখন সবাই আছে
আমাদের ভুলগুলো সব রঙিন তুলো-
হাওয়াতে উড়িয়ে দিলেম,তবুও স্পর্শ পেতে
আবারও বুকের ভেতর হুলুস্থুলো!

আমাকে জড়িয়ে ধরো,গালে খাও আলতো চুমু
সারাটা বিশ্ব যেন হিংসা করে
প্রতিরাতে ঘুম পাড়ানো,সকালে জাগিয়ে দেয়া
এত সব নিয়ম কানুন এই শহরে!

বিস্তারিত»

বিক্রির জন্য

অবশেষে রব মিয়া বাজারে একটা ভাল জায়গা খুঁজে পেলেন।নিজের  কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে ভিতরে তাকিয়ে দেখলেন, না কাগজ দুইটা ঠিক আছে।কাগজ দুইটা হাতে নিতেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।
“কাজটা কি ভাল হচ্ছে?” নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলেন।
হঠাৎ করে অতীত তার মনে উজ্জ্বল হয়ে উঠল………………….
কলেজ থেকে বের হয়েই গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হয়ে গেল গ্রামের তাগড়া জোয়ান রব।বাবার ইচ্ছায় বিয়েও করলেন গ্রামের মেয়ে সোহাগীকে।

বিস্তারিত»